১৩
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪। পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওআইসির (OIC) দ্বিতীয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানে আগত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তুন আবদুল রাজাকের সাথে স্বাগতিক দেশ, অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠকের আয়োজন করা হল। সময়মত আবদুল রাজাক বৈঠকের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলেও জুলফিকার আলী ভুট্টোর দেখা নেই। পাগল-প্রায় প্রটোকল অফিসাররা ভুট্টোর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারল না। অনেক চেষ্টা করেও ভুট্টোকে পাওয়া না গেলে আবদুল রাজাক ক্ষুব্ধ হন, এমনকি দেশে ফিরে যাবেন এমন কথাও বলেন।
মানুষ কেন বই পড়ে? জ্ঞানী হবার জন্য নাকি স্রেফ আনন্দের জন্য? অন্যদের কথা জানি না, আমি পড়ি আনন্দের জন্য। সেই ফাঁকে যদি দুয়েকটা জ্ঞানার্জনের পূণ্য অর্জিত হয় সেটা বাড়তি লাভ।
তো, এই পড়াশোনা ব্যাপারটা জ্ঞানার্জনের পাশপাশি মানুষের কল্পনাশক্তির প্রসারণ ঘটায় ব্যাপক ভাবে। আমি নিজে স্কুল বয়স থেকে আজ অবধি হাজার হাজার হাবিজাবি বই গিলে নিজের কল্পনাশক্তির বড়সড় এক পর্বত দাঁড় করিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম জীবনে আর নতুন কিছু পড়ার নাই। কিন্তু কয়েকদিন আগে শেষ করা একটি অভিনব পুস্তকের কাছে আমার সমস্ত কল্পনাশক্তির পর্বতের ভিত নড়বড়ে হয়ে গেছে। আরেকটুর জন্য ধ্বসে পড়েনি।
মজার ব্যাপার হলো, আমি আগ থেকেই জানতাম আমি একটি কল্পকাহিনী পড়তে যাচ্ছি যার সাথে বাস্তবের কোন যোগসূত্র নেই। তবু এই হোঁচট খাবার কারণ কী?
জানতে হলে, পড়তে হবে।
[justify]
অনেক অনেক যুগ পরে একটা ব্লগ লিখতে গিয়ে দেখি A,S ,D, W, Q, E, R, স্পেসবার, লেফট শিফট ইত্যাদি , মানে গেম খেলতে যেইসব কি লাগে, সেগুলো বাদে বাকি কিবোর্ড বিকল হয়ে বসে আছে। তাই বলে কি ব্লগরব্লগর বন্ধ থাকবে? কখনোই না। তাই এসে গেলো গুগল ভয়েস টাইপিং এ লেখা এই টাটকা তাজা ভ্রমন্থণ!
_________________
লেখার শিরোনাম দেখে আমি আপনার সম্ভাব্য দুটো প্রতিক্রিয়া কল্পনা করতে পারছি। একটাতে আপনি ভাবছেন যে এটা কোন ট্রেন এক্সিডেন্ট ফ্যাক্সিডেন্ট নিয়ে লেখা, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আপনি বুঝে গেছেন যে এটা ৪৭ এর দেশভাগ কিংবা সেটার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখা। খুশবন্ত সিং এর 'ট্রেন টু পাকিস্তান ' যদি আপনার পড়া থাকে, আপনি সম্ভবত দ্বিতীয় দলে পড়েছেন। বইটি যদি না পড়ে থাকেন এবং পড়ার ইচ্ছে পোষন করেন, তাহলে একটা স্পয়লার এলার্ট দিয়ে রাখলাম, কারন বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার চমকটা কিন্তু আমি এখানে ফাঁস করে দেব! অবশ্য বইটা এত দারুণ যে সেটার পরেও এই বই পড়ে আপনি মুগ্ধ হবেন, শতকরা নব্বই ভাগ গ্যারান্টি।
মাঝ-দুপুরে এক অতি গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একা যাচ্ছিল নয়ন। বেলা যে মাঝ-দুপুর তা কে বলবে? বড় বড় ঘন গাছের কারণে পুরো জঙ্গলে গা ছমছমে অন্ধকার। যেন সন্ধ্যা ঘনিয়েছে। দুরু দুরু ভয় আর শঙ্কা নিয়ে নয়ন জোর কদমে হাঁটতে থাকে। আর মনে মনে নিজেকে সাহস দেয় – ভূত-প্রেত বলতে দুনিয়ায় কিছু নাই। সব দুর্বল মনের কল্পনা।
“তোমার সাথে দাবা খেলে হারতে হারতে আমি শেষ হয়ে গেলাম, তুমি মাঝে মধ্যে একটু খারাপ খেলে আমাকে জিততে দিতে পারো না? তোমার কি কোন ভদ্রতা জ্ঞান নাই?”, চিংকু ওর বিরক্তি প্রকাশ করল।
“নিজের ইচ্ছায় জোর করে আমি হারতে পারি না, কিভাবে জেনে বুঝে হারতে হয় সেটাও আমি জানি না, কাজেই তোমাকে আমার চেয়ে ভালো খেলেই জিততে হবে”, এলিসের সোজাসাপ্টা জবাব।
আশ্চর্য নয় কিছু,
নিতান্ত প্রাকৃতিক।
অভিবাদন, আমার প্রেসিডেন্ট কেন ইউলিয়ামসন।
তোমাকে কেন আমার প্রেসিডেন্ট বলছি, অনেকে অবাক হলেও তুমি জানো
কেন তোমাকে আমার প্রেসিডেন্ট বলছি।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই,
লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে
ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর
তুমি পৃথিবীকে দেখিয়েছিলে, সত্যিকারের মানুষ কেমন হয়।
তোমার মধ্যে এই এই মানুষের রূপ দেখে
সারা পৃথিবীই সেদিন তোমাকে ভালবেসেছিল।
সে সময় রাহুল দেশাই নামে একজন টুইট করেছিলেন