১.
[justify]অনূঢ়কালঃ
আনমনে আনাগোনা মেঘময় মইতে,
উদাসীন জালবোনা স্মৃতিগড়া বইতে;
নীলহারা আসমানে মেঘালয় দুর্মর,
ঝিরিঝিরি বারিধারা মায়াময় মর্মর।
এইপারে বুনোঘাস কেঁপেকেঁপে উচ্ছল,
ওইদূরে তটিনীর জলনাচে চঞ্চল;
মনভরে স্নানসেরে গাছসব পাতাতে
চারিদিক ঝরঝর সুরময় দোলাতে।
মানুষ নাকি তার স্বপ্নের সমান বড়। সে হিসেবে এখন আমার শিশুসম অবস্থা, যদিও কালে কালে বয়স আটাশ পেরিয়ে গেছে। বেঁচে থাকলে মানুষ বারে বারে বদলায়, আর সেইসাথে স্বপ্নের পরিধি ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বকীয় তত্তের মতন পাক খেয়ে একটা ক্ষুদ্র বিন্দুতে চলে আসে।
ধরো, আমার সাথে তোমার আজই শেষ দেখা?
- তাহলে জোছনার জল ভেঙ্গে বৃষ্টি নামবেনা পৃথিবীর কোনো বরষায়, মাটির শরীরে থাকবেনা আবাদের মাঠ অথবা বিপনী বিতানে কোনো চোখ জুড়ানো পন্য।
যদি ফিরিয়ে দিতে বলি ভবঘুরে বিকেল?
- বইবেনা যুগল নদী মনি-মালা। বাঁশি বাজবেনা চন্দ্রস্নাত এই শহরে।
মনে করো, এখানেই থেমে গেল আমাদের হেঁটে চলা?
- কবিতার স্বচ্ছ ডানা আমি ভেঙ্গে দেব খানখান, তাতে বিরক্ত হবেন স্বয়ং ঈশ্বর।
ঘুমের ভেতর স্বপ্নকে মধুকর মনে হয়
স্বপ্নের ভেতর কখনও হাসি, কখনও কাঁদি
মাঝরাতে গভীর ঘুম বিশ্রাম পায়!
ঘুম ভাঙলে সিগ্রেটের ধোঁয়া অন্ধকারকে
জিজ্ঞেস করে— কোল বালিশের পাশে
কেন দাঁড়িয়ে থাকে শেষ রাত্রির একাকীত্ব!...
স্বপ্ন জানে না, আমার চোখে জমা কত অজানা ভয়
একাকীত্ব জানে কী? চোখের গভীরতা কাকে তাড়ায়!
অপ্রাসঙ্গিক
আলোটা ঝাক্ করে চোখে লাগার সাথে সাথেই ঝাঁঝালো পেচ্ছাপের গন্ধটাও নাকে ঢুকে পড়লো।
শালা! রোজ বলা যে বাইরে গিয়ে করবি। এইটুকু হেঁটে যাবেনা! জানালা দিয়ে বাইরে ছাড়তে ছাড়তে মেঝেসহ ভিজেছে।