ব্লগ

কেন এভাবে কাঁদিয়ে গেলেন অভিদা?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসে ছিলাম ছায়াবীথির সামনে তৈরি বাংলা একাডেমির মাচায়। আমি আর ইমতিয়াজ আহমেদ​। লম্বা-চওড়া এক ভদ্রলোক এলেন। পরামাণুর গহীন নিসর্গে বইটা কিনে ইমতিয়াজ ভাইয়ের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘স্যার একটা অটোগ্রাফ প্লিজ!’ এরপর আমি একটু অনমনষ্ক, কে না কে! ওদিকে নজর দিলাম না। হঠাৎ একটা কথা কানে এলো, ‘আমি অভিজিৎ।’


২৮ বর্গমিটার

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ৮:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২৮ বর্গমিটারের একটা ঘর। সেটাই আমার অ্যাপার্টমেন্ট। একজন মানুষের বেঁচে থাকতে যা কিছু লাগে সব আয়োজন এর মাঝেই। একটা দেয়াল কাঁচের। সেটাই জানালা। পর্দা সরিয়ে দিলে, কনকনে শীতে কুঁকড়ে যাওয়া গাছগুলোকে ঝড়ো বাতাসের সাথে যুঝতে দেখা যায়। কিছু ছাত্রহোস্টেলের শ্যাওলা ধরা ছাদ চোখে পড়ে। তার মাঝে মাঝে বয়লারের ধোঁয়া বের হবার চিমনি। বৃষ্টির পানি জমে আছে এখানে সেখানে। এরকম একটা অ্যাপার্টমেন্টেই কি মারা গেছি


অদেখা বন্ধুর জন্যে

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ৩:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)


এক একদিন প্রতিদিন-৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ৩:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুক্রবার সকালে আউট পেশেন্ট ক্লিনিক, বসে বসে অনেক কিছু ভাবছিলাম। অন্য দিনের চেয়ে আজ স্কেজুল বেশ হালকা। গত কয়েক দিন প্রচণ্ড শীত পড়ায় অনেক রুগী শেষ মুহূর্তে এপয়নমেন্ট ক্যানসেল করেছেন। খুব ধীরে সুস্থে সবাইকে দেখছি আজ। শেষ রুগীটি প্রথমবারের মতো আমাকে দেখাতে এসেছেন। তার সাথে কথাবার্তা শেষ করে ল্যাব স্লিপ লিখছি, তিনি হঠাৎ জানতে চান,
-ডক, তুমি কোন দেশের?
আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ প্রধান ছোট্ট এই শহরতলীর অনেক রুগীকেই আমার তামাটে গায়ের রং, ঘন বাদামী চুল, এবং বিশেষ টানযুক্ত ইংরেজী উচ্চারণ খুব কৌতূহলী করে তুলে, বুঝতে পারি। অনেকে ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করেনা না। আবার অনেকে প্রথম দিন-ই জিগ্যেস করে ফেলেন। আমি পাল্টা জানতে চাইলাম,
-তোমার কি মনে হয়? ও একটু ভেবে বলে,
-ইন্ডিয়ান
-না, আমি ইন্ডিয়ান না।


শিকারী কাপুরুষ

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ১২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিকারের শখ অনেকের, কিন্তু সাহস হাতে গোণা কয়েকজনের। যদিও শিকারের আত্মরক্ষার তেমন কোন উপায় নেই, তবুও বন্দুকের রিকয়েল কিংবা গুলির আলগা ফুলকি ছুটে পেলব ত্বকে দাগ বসিয়ে দিতে পারে। কিংবা কোমল মনের কেউ নিষ্ঠুর বলে ভর্ৎসনা করতে পারে। ইত্যাদি নানা ভয়ে বেশিরভাগ শিকারপিয়াসু দূরে দাঁড়িয়ে অন্যের শিকার দেখে ভিকারিয়াস আনন্দ পায়। তবে কেউ কেউ শিকারের দেহ নিথর হয়ে এলে লোকলজ্জা ও অস্ত্রের ভয় কাটিয়ে উঠে। তারাও অংশ নি


কর্নেল সেয়ানার বিজ্ঞান মেলা, প্রফেসর শমশেরের গাড়ি, আর হাবুলের বিজ্ঞান স্বপ্ন ।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৩/২০১৫ - ৫:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
মেলায় স্টলগুলোর সামনে দিয়ে একবার ঘুরে এসে শমশের সাহেব যারপরনাই বিরক্ত হলেন। জনসমাগম ভালো, কিন্তু প্রধান অতিথির কোনও চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। জনা বিশেক স্টল, তার সামনে শ-খানেক মানুষ। বিজ্ঞান মেলায় এর চেয়ে বেশি আর কে আসবে? দু’জন বাদাম ওয়ালা ঘুরে বেড়াচ্ছে ইতস্তত। ব্যাবসা মনে হয় ভালোই। এক কোনায় একজন গ্যাস বেলুন বেচছে। বিজ্ঞান মেলা তো নয়, যেন ফাল্গুন উৎসব। যত্তসব। তিনি মুখ ভার করে গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন। দু’টোর সময় মেলা উদ্বোধন করার কথা ছিল। চারটা বাজে, এখনো প্রধান অতিথির খবর নেই। হাসিবকে একবার ফোন করে দেখবেন নাকি ভাবলেন। থাক, আগে কর্নেল ব্যাটা আসুক।

সোয়া চারটার সময় মাঠের মাঝখানে একটা সুদৃশ্য গাড়ি এসে থামল। কর্নেল সেয়ানা ভারিক্কি চালে গাড়ি থেকে নামলেন। রাগে তার মুখ থমথম করছে। শমশের সাহেব প্রমাদ গুনলেন। ছোটবেলা থেকেই সেয়ানার রাগ মারাত্মক। তিনি তাড়াতাড়ি তার বন্ধুর গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন।

“ব্যাটা”, ফিসফিস করে বললেন কর্নেল, কিন্তু গর্জনের মত শোনা গেল, “নিমন্ত্রণ দাও প্রধান অতিথির, কিন্তু গাড়ি পার্ক করার একটা জায়গা রাখোনা আশেপাশে। খুঁজতে খুঁজতে জান কাবার হয়ে গেল। জানো না, আমি লেট করাটা একদম পছন্দ করি না? ব্লাডি সিভিলিয়ান কোথাকার! “


আগে মুসলমান পরে বাঙ্গালি

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: রবি, ০১/০৩/২০১৫ - ২:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যরা রাস্তা-ঘাটে লুঙ্গি খুলে বাঙ্গালীর মুসলমানিত্ব যাচাই করত। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে আজকাল আর পাকিস্তানি সৈন্য লাগেনা কিছু হলে নিজেরাই লুঙ্গি খুলে দেখায় কে কত বড় মুসলমান। একটা ভাল জিনিস শিখিয়ে গেছে পাকিস্তান।


ব্লগার মরে না

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৮/০২/২০১৫ - ১০:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোন সময়ে কোন কথা বলতে হবে বা হবে না'র হিসাব করতে করতে সব থেকে জরুরি কথাগুলোই শেষ পর্যন্ত বলা হয়ে ওঠে না। ছাপা মাধ্যম/নেট মাধ্যম সব জায়গাতেই "সঠিক সময়" নির্ণয়ের গণিত নিয়ে প্রবল কামড়াকামড়ি চলে। যারা এই অতি বিতর্কিত "সঠিক সময়ের" তোয়াক্কা না করে নিজ বিচারে সঠিক কথাটা বলে ফেলতে পারেন, তাঁদের কথাগুলিই শেষ পর্যন্ত বলা হয়। অভিজিৎ সেরকমই একজন। সব থেকে বড় কথা, যাকে আঘাত করতে তিনি কলম চালিয়েছেন ঠিক তাঁকেই ত


আসেন শক্তিটা দেখিয়ে দিই

সৌরভ কবীর এর ছবি
লিখেছেন সৌরভ কবীর [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৮/০২/২০১৫ - ৩:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের কি করবার আছে? কার কাছে যাওয়া যায়? কার কাছে বিচার চাওয়া যায়? কার সাথে রাস্তায় নামা যায়? কে প্রতিবাদের ইভেন্ট খুললে গোয়িং বলা যায়? কয়জনের কুৎসিত প্রতিক্রিয়ার উত্তর দেয়া যায়? আমতা আমতা করে বলা অব্যয় বহর কতো সহ্য করা যায়? হঠাত মনে হতে পারে উত্তর সহজ, আবার পরক্ষণে দুর্বিষহ কঠিনও লাগতে পারে।


এই টিএসসি, হায় টিএসসি!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৮/০২/২০১৫ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল রাতে রকমারিতে বিভিন্ন লেখকদের বইয়ের তালিকা ঘাঁটছিলাম আর ঠিক করছিলাম যে কী কী বই কেনা যায় বইমেলা থেকে। কিন্তু লেখক বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম কারণ বাংলাদেশে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকাটা খুব বেশী বড় না। আর তাঁদের বই আগেই কেনা হয়ে গেছে। হঠাৎ মনে এল একজনের নাম। তার একটা বই আমি বড় ভাইকে দিয়ে কিনিয়েছিলাম বইমেলা থেকে বছর ছয়েক আগে। বইয়ের নাম “বিবর্তনের পথ ধরে”। লেখিকার নাম বন্যা আহমেদ। বাং