ব্লগ

প্রতিদিনের গল্প- দ্বিতীয় পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

( প্রথম পর্ব এখানে )
[justify]
আমি প্রথম ঢাকায় আসি ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষার পর।

বিন্তী তখন খুবই ছোট, আব্বা কি একটা কাজে ঢাকা আসায় আমরা সবাই এসেছিলাম। আব্বা আমাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন। ওখানে একটা রাস্তার পাশের দোকানে খেলনা পিস্তল দেখেছিলাম, গুলি করলে সাদা ছোট ছোট পুঁথির মত বল বের হয়। ওটা দেখে আব্বাকে নিয়ে এসেছিলাম কেনার জন্য, দেখি ততক্ষণে বিক্রি হয়ে গেছে। ওটা নাকি একটাই ছিল! আমার এত খারাপ লেগেছিল! আমার প্রথম ঢাকা স্মৃতি ছিল খেলনা পিস্তল না পাওয়ার আক্ষেপটাই।


জাতিস্মর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ধারনা আমাদের মধ্যে বেশির ভাগেরই জাতিস্মর শব্দটির সাথে প্রথম পরিচয় বাংলা ব্যকরণ পড়তে গিয়ে। স্কুল জীবনে এক কথায় প্রকাশ বলে একটি জিনিস ছিল এবং সেখানে "পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ করতে পারে যে- জাতিস্মর" খুবই নিয়মিত ছিল ,পরীক্ষায় আমার অন্তত প্রায়ই "কমন" পড়ত। কিন্তু আমার আবার পড়ার বইয়ের চেয়ে গল্পের বইয়ে বেশি ঝোঁক ছিল, আমি এ শব্দের মানে প্রথম জেনেছিলাম তাই গল্পের বই থেকেই। আমার মত যারা ছোটবেলায় সত্যজিৎ


ঈশপের গল্প (১১৬ - ১২০)

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।


উজান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এতক্ষণে একটু দম ফেলবার সময় পেল শাঁওলী। মা গো! কাল সেই সকাল থেকে শুরু করে আজ এই ঘণ্টাখানেক আগে অব্দি যা ঝড়টা গেল! প্রথমে তো হলুদ, তারপর এক এক করে আশির্বাদ, বিয়ে থেকে আজ সকালে বাসি বিয়ে। ইস! বিয়ে করে নাকি কেউ?


হারামজাদা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওভারব্রিজের অন্ধকার একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আলো দেখছিল পলাশ। অন্ধকার থেকে আলো দেখার আলাদা একটা মজা আছে। এখনো বেশ ভিড় ব্রিজের উপরে। অনেক লোকজন এপাশ ওপাশ দিয়ে খালি নামে আর উঠে, হনহন করে হাঁটে। ‘প্রতিদিন এরা কই যায় এতো?’ পলাশের মনে হয়। পলাশ তার এখনকার নাম। আগে নাম ছিল সয়ফল। তেমন জুতের নাম ছিল না। সয়ফল বা পলাশ, অথবা পলাশ বা সয়ফল আদতে একটা বেজন্মা। তার আলাভোলা মুখ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। আগে কেবল জন্মসূত্র


এক যে ছিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক যে ছিল গাঁ, সেই গাঁয়ে ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক বাবা, আর ভী-ষ-ণ মিষ্টি এক মা। আর তাদের ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক সংসার। এমন মিষ্টি সংসার নাকি ত্রিভুবনে কেউ দেখেনি। সেই সংসারে সুখ, শান্তি আর ভালোবাসার কমতি ছিল না কোনো, ছোট্ট বাড়িটার চারপাশে ছিল ভালোবাসার ছড়াছড়ি।


ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সৃষ্টির মাহাত্ম্য কখনও কখনও কি সৃষ্টিকর্তাকেও আড়াল করে দাঁড়ায় না?
স্বীয় ঔজ্জ্বল্যে কি ঢেকে দেয় না সৃষ্টির দিনক্ষণ, বিবরণ?
টিকাটুলী থেকে রিকশা নিয়ে প্রেসক্লাব অতিক্রম করতে করতে ভাবতে থাকি আমরা। ভাবতে ভাবতে হাইকোর্ট পার হই। দোয়েল চত্বর অতিক্রম করে একসময় পৌঁছে যাই বাঙালির প্রাণের মিনার শহীদ মিনারে।


ভাইবারমান্না

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গদির কলা খাইবা রে?
আইসো তবে ভাইবারে।


পাকিস্তান ভাল খেলে, তাই সমর্থন দেই। আসলেই? (পর্ব-২)

ধ্রুব আলম এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব আলম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২২/০২/২০১৫ - ৩:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাকিস্তানের বিশ্বকাপরঙ্গ চলার আগেই, এশিয়া কাপ চলার সময় এদেশীয় পাকি-পেয়ারুদের শীৎকারের আবেগ থামাতে একটা লেখা লিখেছিলাম। আজকাল আর পাকি সমর্থক তেমন পাওয়া যায় না, আড়ালে-আবডালে তাদের চাপা কান্না শুনি, তবে ফেসবুকে হাহাকার (পড়ুন ম্যাৎকার) কমে গেছে। এখন তারা কথা বলে ব্যালেন্সিং করে, ভারত হারলে খুশি হয়,কিন্তু পাকি হার-জিতে আবেগ প্রকাশ করলে আশেপাশে দুষ্টু 'খেলার সাথে রাজনীতি' মেশানো লোকজন দৌড়ে এসে ভরে দেয়।

সেই লেখার আর ২য় পর্ব লেখার আগ্রহ বোধ করিনি। কিন্তু অলস বসে আছি বলে মনে হলো, লিখেই ফেলি (অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা)। পাকি-পেয়ারুদের যত বাগারম্বড় তো সেই এক বিশ্বকাপ জয় নিয়েই। শুরু করি পাকিস্তানের বিশ্বকাপ কাহিনী।


মহাভারতের মহাভজঘট ০৫: জাতিবংশ ঘরবাড়ি পোশাক

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: রবি, ২২/০২/২০১৫ - ৮:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মহাভারতমতে যাদব আর পাণ্ডব বংশ দুইটা শুরু হইছে ভৃগুমুনির পুত্র শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানী এবং তার সতিন; রাজা বৃষপর্বার কন্যা শর্মিষ্ঠার গর্ভ থাইকা রাজা যযাতির ঔরসে। দেবযানী গর্ভজাত রাজা যযাতির বড়ো পোলা যদু থাইকা যাদব বংশ যার শেষ মাথায় পাই কৃষ্ণরে। শর্মিষ্ঠাগর্ভজাত যযাতির ছোট পোলা পুরু থাইকা পয়লা পুরু বংশ তার পর কুরু বংশ তারপর পাণ্ডব বংশ; যার শেষ মাথায় পাই পঞ্চপাণ্ডব। তো শর্মিষ্ঠার পোলা পুরু থাইকা