নাহিয়ান, বেঁচে ফিরতে পারলে পালিয়ে যেও!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৯/২০১১ - ১১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তোমার বয়সী বলেই তুমি করে বলছি। তোমার মিউজিক আমার পছন্দ। আমি হার্ড মেটাল মিউজিক দারুণ পছন্দ করি। তুমি হার্ড মেটাল মিউজিকের ছেলে। আমি জানি। পাওয়ারসার্জ নামের তোমার ব্যান্ডটি খুব কম বয়সী কিছু ছেলের হাতে গড়া। প্রতিভা কম বয়সেই প্রকাশ পায়। আমি তোমাদের মিউজিকে মুগ্ধ। মুগ্ধ আরো অনেকেই। আমি তোমাদের কনসার্টে হাজারে হাজার তারুণ্যকে নাচতে দেখেছি তোমার বাজনাদের তালে।

তুমি মিউজিক ভালোবাসো তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দিনভর তুমি মিউজিক নিয়ে পড়ে থাকো সে কারো অজানা নয়। তোমার ধ্যান জ্ঞান মিউজিক। আমি জানি।

কিন্তু তুমি বোধহয় ভুলে গেছিলে, তুমি উদ্ভট এক দেশে জন্মেছ। আর এইদেশে জন্ম নেয়াটাই এক ভয়াবহ অপরাধ। এখন তুমি রক্তে মজ্জায় বুঝতে পারবে কোন ধরণের শকুন এই দেশ চালায়।

স্পষ্টতই কাগজে কলমে এদের অস্তিত্ব নেই। কাগজে কলমে এই দেশ সম্ভাবনাময়। আবেগী মানুষের আত্মসান্তনায় এই দেশ সকল দেশের সেরা। কিন্তু এই দেশের প্রতিটা মানুষ জানে,

এখানে অর্থ অথবা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে বাঁচা দায়।
এখানে খুনের আসামী মাফ পেয়ে যায় আর মন্ত্রীসভায় বসে রাজাকার।
এদেশে কারো পরিবারে একজন সন্ত্রাসী থাকা খুব সৌভাগ্যের বিষয়।
এদেশে আইন ভাঙতে পারা কৃতিত্ব।
এই দেশে বস্তুত আইন বলে কিছু নেই। তুমি পুলিশকে টাকা দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে।
এই দেশে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লতায়পাতায় কোনভাবে যুক্ত হতে পারলেই তুমি ক্ষমতাবান।

এই তালিকা দিয়ে শেষ করা যাবেনা। এই তালিকার প্রতিটি অক্ষর সবাই জানে। কাণ্ডজ্ঞান হবার পরেই সবাই জেনে যায়, এদেশ সব সম্ভবের দেশ। এই দেশে তাই পাড়ার মাস্তান হওয়া ভালো একটা ব্যপার। মাস্তানের বন্ধু হওয়া ভালো একটা ব্যাপার। এই দেশে রাজনীতি একটা পেশা। এদেশের ছেলেরা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নেয়।

নাহিয়ান, তোমাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে শুনলাম। সবাই জানে এই উদ্ভট দেশের পুলিশ আইন মানে না। তারা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সবচে বড় কথা, এরা পশু শ্রেণীর। এরা হাসতে হাসতে মানুষকে নির্যাতন করতে পারে। সেই নির্যাতন অবর্ণনীয়। এবং সেটা তারা করে অভ্যাসবশতঃ। কারো উপর নির্যাতন করতে এদের কোনো কারণের প্রয়োজন হয় না। সেই কথাটিও সবাই জানে। এই দেশে তাই কাউকে পুলিশে ধরলে সে অন্যায় করেছে কিনা তা নয়, লোকে আতঙ্কিত হয় পুলিশের নির্যাতনের ভয়ে।

পুলিশে কাউকে ধরে নিয়ে গেলে কিছু বলা উচিত নয়। তুমি আমার পছন্দের মানুষ মানে এই নয় যে তুমি কোনো অন্যায় করতে পারনা। তুমি অন্যায় করে থাকলে অবশ্যই তোমার নামে মামলা হোক। তোমাকে পুলিশে গ্রেপ্তার করুক এবং আদালতে তোমার বিচার হোক। কিন্তু সেটা হয়নি। পুলিশ তোমাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পিটিয়েছে। তোমাকে ইলেক্ট্রিক শক দিয়েছে দীর্ঘ সময়। আজকে রাত তুমি থানাতেই থাকবে, জানিনা কী হবে! নিশ্চিত করে বলতে পারি খুব সুখে থাকবে না। নির্যাতিত হবেই!

এমনিতেই এদেশের পুলিশ অশিক্ষিত এবং বর্বর। এরা কাণ্ডজ্ঞানহীন মৌলবাদী হয় বলে, তুমি যদি লম্বা চুল রাখো সেটা অপরাধ! তুমি যদি রাতের বেলা হাঁটতে বেরোও সেটা অপরাধ! তুমি যদি তোমার পোশাকে আশাকে অথবা জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন আনো সেটাও অপরাধ! এই পুলিশেরা কখনো কারো সঙ্গে ভদ্র ভাষায় কথা বলে না। এদেরকে কোনো প্রশ্ন করা যায়না! সুতরাং তোমার জীবনযাত্রা যে পুলিশের চক্ষুশূল হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমনিতে তো নির্যাতিত হতেই, লম্বা চুল রেখেছ বলে আরো নির্যাতিত হবে! গিটার বাজাও অথবা গান করো বলে আরো নির্যাতিত হবে! তুমি এই দেশে জন্মেছ বলে পুলিশ নামের যে রাজনৈতিক বাহীনিটিকে এদেশের সাধারণ মানুষ সবচে বেশী ভয় পায় তাদের হাতে তুমি নির্যাতিত হবে!

এদেশের সবাই জানে, এখান থেকে পালিয়ে "বিদেশ" যেতে পারা খুব সৌভাগ্যের বিষয়। সেই বিদেশ কোন দেশ তাতে কিছু যায় আসে না, সেই বিদেশে গিয়ে কী করবে তাতে কিছু যায় আসেনা। এদেশ ছেড়ে যেতে পারলেই এদেশের লোকেরা নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে! অথচ তুমি এই উদ্ভট দেশে মিউজিকের সঙ্গে জীবন কাটাবার চিন্তা করছিলে! তুমি বোধহয় খানিকটা ছেলেমানুষ! বোধহয় অনেকটা আবেগী! সঙ্গীতের সঙ্গে থাকো বলে তুমি ভুলে যাও পৃথিবীতে শ্বাপদই বেশী!

যদি বেঁচে ফিরতে পারো তো ভালোবাসার মতো ছেলেমানুষী বাদ দিয়ে বরং ঘেন্না করতে শিখো। যে শ্বাপদ মানুষ পেটায় তাকে ঘেন্না করো। ক্ষমতাবান মাস্তান দেখলে ঘেন্না করো। আইন ভাঙতে পারা বীর ঘেন্না করো। রাজনীতিক ঘেন্না করো। আর যতো দ্রুত সম্ভব পালিও। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের যে ভুখণ্ডটিকে ৩০ লাখ পবিত্র প্রাণ তাঁদের রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছিলেন, সেই ভুখণ্ডটি এখন শকুনের আবাস। সেখানে ভালোবাসার মতো ব্যপার খুব হাস্যকর একটা আবেগ! এখানে বেঁচে থাকতে পারাটাই আনন্দের সংবাদ!

এই লেখাটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা! অনেকখানি কষ্ট জমে আছে বলে, লেখাটিও হয়েছে অগোছালো। তোমার খবরটি জানার পর থেকেই একটা দায় বোধ করছি! এই লেখাটি লেখা খানিকটা সেই দায় পূরণের তাড়না থেকেই! তোমার প্রতি দায়বদ্ধ এই দেশের সবকটি মানুষও! এই দেশটা এদেশের মানুষের। কাঁটাতারে একটা ভূখণ্ড ঘিরে ফেললেই সেটি একটি দেশ হয়ে যায় না! দেশের দায় তাই তার মানুষকেই নিতে হয়! আমি নিজে পালিয়েছি বলে নিজের দায় মেটাতে অন্তত প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেও পারছি না! বলতে কষ্ট হয়, ছোট লাগে, মাথা নিচু হয়ে আসে। তারপরও বলছি, যতো দ্রুত সম্ভব পালাও। কষ্ট হবে, খুব কষ্ট হবে জানি। তবুও, তুমি তো অন্তত বাঁচতে চাও তাইনা?

সম্পাদনা বিষয়ে: এই লেখাটিতে আরেকটি নাম ছিল। মন্তব্যে আকতার আহমেদের দেয়া লিঙ্কটি পড়ে সেটি মুছে দিয়েছি। এমনিতে এদেশে কেউই বিচারবহির্ভূতভাবে নির্যাতিত হোক সেটি আমার কাম্য নয়। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্কিত কেউ যদি তার যুদ্ধাপরাধী বিরোধী অবস্থানকে স্পষ্ট না করে তাহলে তার কোনো ব্যপারে আমি সহানুভূতি বোধ করিনা। এই লেখাটি তাই শুধুমাত্র নাহিয়ানের জন্যই।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার চুল যখন লম্বা ছিলো তখন যখন তখন রিক্সা থামিয়ে পুলিশ জেরা করত। বুয়েট পড়তাম বলে আইডি কার্ড দেখিয়ে অনেক বার বেঁচে গেছি। আসলেই অতি মুর্খ এই পুলিশ সম্প্রদায়। নাহিয়ান এবং আফিফের জন্য শুভকামনা।

কল্যাণF এর ছবি

মুর্শেদ ভাই, এইটা খুবি অন্যায়। আমি সবার আগে মন্তব্য করলাম, এখন দেখি আপ্নারটা এক নম্বরে। আমি খুবি আহত ও মর্মাহত। আমি কিন্তু চইলা যামু কইলাম চোখ টিপি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খুদাপেজ। চোখ টিপি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কল্যাণF, আশা করছি পোস্ট পড়ে তারপর মন্তব্য করবেন এরপর থেকে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কল্যাণF এর ছবি

ভাই পোস্ট পোড়ে মন্তব্য করেছিলাম, যেটা ৭ বা ৮ নম্বরে প্রকাশিত হয়েছে, আর তখন কোন মন্তব্যই ছিল না। কিন্তু মুর্শেদ ভাইএর কমেন্টে যেটা লিখেছি সেটা প্রথমটার পরে হলেও দেখি যে আগে প্রকাশ হয়ে গেছে। আপনার পোস্টের বিষয় নিয়ে উপহাস করা বা বিষয়ের গুরুত্ব কমিয়ে দেখানো আমার উদ্দেশ ছিল না, সে রকম কোন ভাব প্রকাশ পেলে দুঃখিত। মন খারাপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নিভৃত_সহচর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য। খবরটা পাওয়ার পর থেকে সচলায়তনে ঢু মারছিলাম কেউ এটা নিয়ে লিখবেন সেই আশায়। আজকে নাহিয়ান আর আফিফ পরিচিত বলে অনেক মানুষই সোচ্চার হয়েছে কিন্তু এই ঘটনা কোন সাধারণ ছাত্রের বেলায় ঘটলে এত বড় প্রতিক্রিয়া হতো না। নাহিয়ান, আফিফ তোমরা এতটুকু সান্তনা নিয়ো যে তোমাদের উপর যে অবিচার হয়েছে তার প্রতিক্রিয়া হয়তো ভবিষ্যতে এইরকম অসভ্য কর্মকান্ডের ব্যপারে মানুষকে একটু সচেতন করবে।

তানিম এহসান এর ছবি

স্তব্ধ হয়ে গেলাম!!

কল্যাণF এর ছবি

আপডেটঃ ফেসবুকে আমার এক বন্ধুর স্ট্যাটাস থেকে জানলাম উর্ধতন কর্ত্রিপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে ওদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য, আজকে বিকালে প্রেস ক্লাবে একটা সমাবেশ বা এরকম কিছু ছিলো যা বাতিল করা হয়েছে এবং সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে আপাতত এই বিষয়ে কোন স্ট্যাটাস না দিতে।

অরফিয়াস এর ছবি

ঘটনাটা আজকেই চোখে পরলো, দেশটা আসলেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে, আপনার প্রতিটা লাইনের সাথে একমত, কিছুদিন আগেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম, আজকে আবার একই ঘটনা দেখে মুখের ভেতর আপনেই তেতো হয়ে গেলো, পশুদের হাতে যখন ক্ষমতা চলে যায়, তখন সেখানে মানুষ কি করে থাকবে, যারা বেঁচে আছে তারা তো সুপারম্যান, যারা অন্য দেশে পালাচ্ছে তাদের দলে আমিও আছি, ফেরার ইচ্ছাও নেই কখনো...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আয়নামতি এর ছবি

রেগে টং কাজটা ঠিক করলেন না মুর্শেদ ভাইয়া! আমি ফাষ্টু হলে কী হতো রে ওঁয়া ওঁয়া

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এটাই অতিথির ট্র্যাজেডি। মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কালো কাক এর ছবি

পোস্ট পড়ে কমেন্ট করলে ভালো হয়। পোস্টের বিষয় যাই হোক আপনার এই প্রথম হওয়া নিয়ে কমেন্ট ভাল লাগেনা সবখানে।

Amit এর ছবি

well written. Thanks to you, whoever you are.

আয়নামতি এর ছবি

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, পোস্টটির বিষয় বস্তু না জেনেই আমি মুর্শেদ ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে একটা মন্তব্য করেছিলাম তার জন্য। এর জন্য বিব্রত হচ্ছি। আরো বেশি বিব্রত এবং লজ্জিত হলাম পোস্ট পড়ে। আপনার আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সেই সাথে নাহিয়ান এবং আফিফের জন্য শুভকামনা।

কালো কাক এর ছবি

দুঃখিত আমার আগের মন্তব্যের জন্য। এটা না দেখেই করেছিলাম।
(এর আগে অন্য একটা পোস্টে একই টাইপ একটা মন্তব্য দেখে খারাপ লাগছিল, তাই এখানে দেখে আর পরেরগুলো না পড়েই মন্তব্য করে ফেলেছি। দুঃখিত)

মিলু এর ছবি

দেরিতে হলেও ব্যাপারটা সচলে আসল। এই অন্যায় নির্যাতনের প্রতি ঘৃণা জানানোর ভাষা নেই।

দুর্দান্ত এর ছবি

হতবাক! এই ছেলেগুলোর কি অপরাধ হতে পারে? ওয়ারফেজের পরে এত ভাল বাংলামেটাল আরেকটা কোথায় পাব? এদের ঠিক কি অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা জানেন কেউ?

উচ্ছলা এর ছবি

ওদের apartment-এর এক ফ্ল্যাটে চল্লিশ ভরি গয়া চুরি হয়েছে; আর ওদের music jamming নিয়ে মামলার বাদি ভদ্রলোকের বহুদিনের ক্ষোভ, রাগ ছিল। প্রতিশোধ নেয়ার এটাই ছিল মোক্ষম সুযোগ। তাই সন্দেহভাজন হিসেবে ওনার নির্দেশে পুলিশ ওই ছেলেদেরকে এ্যারেস্ট করেছে। পুলিশ নিজের মুখে বলেছে ওদের চুল লম্বা বলে ওদেরকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারন আছে!

অসভ্য দেশের অসভ্য পুলিশ ডিপার্টমেন্ট!!

চরম উদাস এর ছবি

আশা করি দ্রুত সমাধান হবে। আশা ছাড়া আর কিবা করার আছে।

নুসায়ের এর ছবি

এই ঘটনা সংক্রান্ত খবর ব্লগ/ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও খুঁজে পেলাম না। কোন সংবাদ পত্র / অনলাইন নিঊজ এজেন্সীতে (বিডিনিউজ ইত্যাদি) কি এটি প্রকাশিত হয়েছে? ব্লগ পড়ে সত্য ঘটনা পরিষ্কার বুঝতে পারলাম না (এবং সঙ্গত কারনেই ব্লগের সব কথা কখনই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি না)।

পুলিশ জানাচ্ছে চুরির মামলা। ব্লগ/ফেসবুক জানাচ্ছে এটা মিথ্যা মামলা। মামলা (মিথ্যা) দেয়ার কারন -

১। ফেসবুকের একটা গ্রুপ জানাচ্ছে (লিঙ্ক হারিয়ে ফেলেছি), প্রভাবশালী প্রতিবেশী কেবল ঈর্ষান্বিত হয়ে পুলিশকে প্রভাবিত করেছেন।

২। অন্য ব্লগ পড়ে জানতে পারলাম, কন্সার্ট উপলক্ষে তারা ঐ এপার্টমেন্টের ছাদে বেশ কিছু দিন ধরে জ্যামিং করে আসছিলেন। প্রবল শব্দের কারনে ঐ একই প্রভাবশালী প্রতিবেশী বিরক্ত হয়ে মিথ্যা মামলা ঠুকে দিয়েছেন।

৩। এই কমেন্ট লিখতে লিখতেই ফেসবুক থেকে (এক বন্ধু মারফতে) জানতে পারলাম, নাহিয়ান এবং আফিফ এর নাম পুলিশ কে বাসার (যে বাসায় চুরি হয়েছে) কাজের মেয়ে (মূল অপরাধীর সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত) জানিয়েছে। যদিও এটা কিছুই প্রমান করে না, পুলিশ মিথ্যা সাক্ষী সাজাতেই পারে।

প্রথমবার শুনে এর কোনটাই আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় নাই। তাদের সম্পর্কে জেনে, তারা কেন চুরি করবেন সেরকম কোন কারন খুজে পেলাম না। আবার নাহিয়ানের/আফিফের মতো (ক) পরিচিত মুখ আর (খ) উচ্চ/মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের বিরুদ্ধে কেবল (১) আর (২) এর মতো হালকা কারনে, কেউ মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে ঝামেলা পোহাবে সেটাও মনে হয় নাই।

মিথ্যা মামলা আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মূল ঘটনা/ঘটনার কারন জানতে আগ্রহী।

হিমু এর ছবি

বাড়ির ছাদে জ্যামিং করার আইডিয়াটা পুলিশি নির্যাতনের মতোই অতি জঘন্য লাগলো।

রাহিন হায়দার এর ছবি

ছাদে জ্যামিং করার আইডিয়াটা জঘন্য সন্দেহ নেই; কিন্তু 'পুলিশি নির্যাতনের মতোই অতি জঘন্য' কি?

নীলকান্ত এর ছবি

অতি জঘন্য না হলেও কাছাকাছি। তোমার একটা গিটার আছে আর সাথে একটা ব্যাণ্ড- এর অর্থ এই না যে ছাদের উপরে উঠে জ্যামিং করবা।
বাসা সবচেয়ে উপরের তলায় হলে বুঝা যায়, ছাদে অনুষ্ঠানের কুফল।


অলস সময়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্য পড়ে মনে হল নাহিয়ান ছাদে উঠে জ্যামিং করত (যদি সত্যিই করে থাকে) সুতরাং তাকে পুলিশে পিটিয়ে খুব একটা খারাপ কাজ করেনি! তোমার মন্তব্যটা পড়ে অনেক উপকার হলো পলাশ! হাততালি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নীলকান্ত এর ছবি

আমাদের অনেকের বাসার আশেপাশে ব্যাণ্ডের ছেলেরা জ্যামিং করে, প্যাডে যাইতে না পারলে। ভালভাবে শব্দদূষণ হচ্ছে বললে প্রতিক্রিয়া কি হয় তা অনেকেই হয়তো জানে। আর কিছু এই মুহূর্তে বলতে চাই না।

অটঃ পুলিশ অনেক খারাপ, সন্দেহ নাই। জেনারেলাইজেশন আমরা সবার ক্ষেত্রেই করি, খালি পুলিশের ক্ষেত্রেই করি না, নাকি ভাই?


অলস সময়

নিভৃত_সহচর এর ছবি

এখানে দেখতে পারেন
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=202316

বাংলা চ্যানেলের খবরেও দেখানো হয়েছে শুনেছি। তবে কোনটায় এটা এখনো জানি না।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

চুরির মামলা দেয়ার দরকার ছিল না। আর নির্যাতন তো গ্রহণযোগ্য না-ই।

সমাধান ছিল ফৌজদারী আইনেই, যদি ২ নম্বরটা সত্য হয়

268. A person is guilty of a public nuisance who does any act or is guilty of an illegal omission which causes any common injury, danger or annoyance to the public or to the people in general who dwell or occupy property in the vicinity, or which must necessarily cause injury, obstruction, dangers or annoyance to persons who may have occasion to use any public right. A common nuisance is not excused on the ground that it causes some convenience or advantage.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নুসায়ের এর ছবি

ঘটনা সেটাই।

যদি ২ নম্বরটা সত্য হয়

(১) এবং (২) কে এক কথায় মেনে নিয়েই যতো গোলমাল। (৩) নিয়ে কোন কথা-বার্তা হচ্ছে না (সম্ভবতঃ তাদের অর্থনৈতিক / সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে)।

তবে কোন পরিস্থিতিতেই নির্যাতন গ্রহণযোগ্য নয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ডুপ্লি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বন্দনা কবীর এর ছবি

আমার বাড়ি ছয়তলায় আর আমার পাশের পাঁচতলা বাড়ির ছাদে আর্টসেল ব্যান্ড জ্যামিং করতো। সরাসরি সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগ হত আমার। আমিও প্রায়শঃই বিরক্তি প্রকাশ করতাম, বিশেষ করে ছেলের পরীক্ষার সময়। তাই বলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো অভিযোগ এনে পুলিশি চিন্তা আমাদের কারোরই মনে এসেছে বলে মনে হয়না। হেভি মেটাল গ্রুপের জ্যামিং নিঃসন্দেহে অত্যাচারের মতই, তাই বলে পুলিশি নির্যাতনের মত?!! কখনোই নয়। আর ওদের বিরুদ্ধে যে চুরির অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে তা নিতান্তই হাস্যকর।
চুরির দায়ে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া?!! এটা কেবল এই বঙ্গ দেশেই সম্ভব।
লেখকের সাথেই সুর মেলাতে ইচ্ছে করছে এখন। দেশপ্রেম এই মূহুর্তে নিছক বিলাসিতা আমাদের জন্য। সুস্থ্য মতন সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারাটাই এখন ভাগ্যের ব্যাপার।
এই দেশটা ট এখন প্রভাবশালিদেরই। তারাই থাকুক। আমরা ভেসে যাই, যেখানে ইচ্ছা, কার কি?

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ

এভাবেই সম্ভাবনাময় তারুণ্যকে হত্যা করা হয় এদেশে......... মন খারাপ

ছোট্ট একটা আশার আলোঃ সুমন ভাই(অর্থহীন) এর সাম্প্রতিক স্ট্যাটাসে দেখলামঃ

We are approaching for bail tomorrow. Hopefully we will get them out tomorrow inshaallah. Pls pray for Nahian and Afif.

সচলের একটি পোস্ট আশা করছিলাম, দায় মেটালেন আপনিই!!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

নিটোল. এর ছবি

ভালো ত! কয়দিন পুলিশ ভাইয়েরা আমাদের শেখাবে কীভাবে চুল কাটাতে হবে, রাস্তায় কীভাবে আর কখন হাঁটতে হবে, তাদের সামনে দিয়ে যাবার সময় কীভাবে এবং কয়বার সালাম ঠুকতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আজকাল অনেক কিছু শিখছি। এদেশে মিউজিক নিয়ে থাকাও পাপ!

রু (অতিথি) এর ছবি

এই খবরটা কোন সংবাদ মাধ্যমে আসছে না কেন কেউ জানেন? আপনার ব্লগ থেকেই জানলাম। এই ছেলেগুলার কী অপরাধ আমি জানি না। কোন অপরাধ করে থাকলেও পুলিশ বাহিনীর কোন অধিকার নাই তাদের উপর নির্যাতন চালানোর। আশা করবো এই ঘটনায় তারা তাদের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে যাবেনা।

তাপস শর্মা এর ছবি

নিরব।
শুধু বলতে চাই রাষ্ট্র শক্তি যখন এভাবে আস্ফালন শুরু করে দেয় তখন একটা বিপ্লব প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বাঘে ছুঁ'লে আঠারো ঘা আর পুলিশে ছুঁ'লে ছত্রিশ ঘা; এটা এতোদিন পর্যন্ত মশকরা হিসেবেই প্রচলিত ছিলো। এখন সেটা মশকরা থেকে ভীতিকর বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বিগত কয়েকদিনের ঘটনা এই বাস্তবতাকে প্রবলভাবে আশংকাজনক করে তুলেছে। এখন মনে হচ্ছে, কেউ ই আমরা নিরাপদ নই। আজকে রাস্তা থেকে আমাদের ধরে নিয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারলেও হয়তো কালকে আমাদেরকে পুলিশ তুলে দিবে কিছু জানোয়ারের হাতে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য। নয়তো পড়শুদিন আমরা বলি হলো ক্রসফায়ারের। কিংবা সেটাও বেঁচে গেলে পরদিন সকালে বিছানা থেকে চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে দেখবো আমাদের ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে সোনা চুরির মামলায়! আর পুলিশ এসে হাজির আমাদেরকে নিয়ে গিয়ে তাদের হীন, পশুত্ব চরিতার্থ করতে।

আমাদের সরকার মুখে ডিজিটাল বাংলাদেশের খই ফুটিয়ে চারদিক সয়লাব করে দিচ্ছে, অথচ তাঁদের এইসব ফাঁপা বুলির প্রদীপের নিচেই যে ভয়ঙ্কর অসভ্যতার অন্ধকার ঘিরে আছে, সেগুলো নজরেই আনছে না। মন্ত্রীর নামে অথর্ব, বেহায়া আর নিরেট কিছু অপদার্থকে বসিয়ে রেখেছে দেশ চালকের আসনে। তাঁদের চোখে নিজেদের সবই পড়ে, কেবল জনগণের স্বার্থেরই কিছু পড়ে না।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ঘটনাটা আর কোথাও পড়িনি। এখানেই জানলাম। পুলিশের একটা অলিখিত নীতি হলো দাগী সন্ত্রাসী ধরলে তাদের যথাযোগ্য আপ্যায়ন সহকারে থানায় রাখা। আর কোন নিরীহ মানুষকে ধরলে তার উপর গজব চালিয়ে দেয়া। যদি স্বচ্ছল ঘরের ছেলে হয় তো পোয়া বারো, যত মার তত পয়সা। আমার ছাত্রকালে এরকম ধরা খেতে খেতে কয়েকবার বেঁচে গেছি প্রায় অলৌকিক উপায়ে। নইলে আজকে আমার মেরুদণ্ডও সোজা থাকতো না।

নাহিয়ান আফিফ বেঁচে ফিরবে বলে আশা রাখলাম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দ্রোহী এর ছবি

আবাসিক এলাকায় বাড়ির ছাদে জ্যামিং করা বেশ বড় ধরনের যন্ত্রনা। স্কুল বয়সে পাড়ার বড় ভাইদের এই যন্ত্রনা সহ্য করেছি কিছুদিন। আমার দৃষ্টিতে তাই এটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু সে অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে ইলেকট্রিক শক দেয়াটা শুধুমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভবপর।

দেশটা বহুদিন আগেই পচা-গলা লাশে পরিণত হয়েছে। সে লাশ একটু একটু করে ছিঁড়েখুঁড়ে খাচ্ছে শেয়াল-শকুনে। এখন কেবল একটা জিনিসই কামনা করি। আমার কাছের মানুষগুলো যেন কোনমতে ভাল থাকে। বেঁচে থাকে। মন খারাপ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মন খারাপ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

pathok(sam) এর ছবি

কিছুক্ষণ আগে নাহিয়ান আর আফিফ মুক্তি পেয়েছে হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই খবরটার জন্য ধন্যবাদ। তারা কি সুস্থ আছে?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

pathok (sam) এর ছবি

Afif was not physically tortured during his 'stay' - নাহিয়ান এর আপডেট জানা যায়নি, ওকে মেরেছে, ইলেক্ট্রিক শক দিয়েছে - হোপ হি উইল বি অলরাইট সুন -

তারেক অণু এর ছবি

মন খারাপ বর্বরতার শেষ হবে কবে !

কাবেরী এর ছবি

কাঁটাতারে একটা ভূখণ্ড ঘিরে ফেললেই সেটি একটি দেশ হয়ে যায় না ।

দুর্দান্ত এর ছবি

১। ঢাকায় কারো ঘর থেকে ৪০ ভরি সোনা খোয়া যাওয়ার মামলা করলে পুলিশ কি সেই সোনার উতস বা মালিকানার সত্য়তা যাচাই করে? নাকি সাহস করে থানায় গেছে বলেই ধরে নেয়া যায় যে এই আদমী কর খেলাপি নয়?

অপ্রাসনং্গিক হলে মুছে দেবঃ
২। ঢাকা স্টক এক্সচেন্জ এর সাথে জড়ইত মানুষজন বে-লিজিনং ও সাউথইস্ট ব্য়ান্কের পরিচালক ও ব্ররিহত শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ও বিদেশেমন্ত্রীর আত্মীয় হিসাবে জনঐক মিনহাজ মান্নান ইমন সাহেব এর কথা জেনেশুনে থাকবেন। বে লিজিনং ও সাউথইস্ট এর শেয়ারের দাম বছরের শুরুতে যথাক্রমে ১৬০০ ও ৬০০ আকার থেকে এসে সেপ্টেম্বরে ৯৫০ ও ৩০০ তে গড়আগড়ই খাচ্ছে। যদি এই ইমন সেই ইমন হয়, তাহলে বিবেচনা করুন, একে তো বাজারে ১০-১৫ কোটি টাকার লোকসান, তদুপরি ঘরের ভেতর থেকে নগদ দু-দু কোটি টাকার সোনা খোয়া যাওয়া। এহেন পরিস্থিতিতে কানের কাছে হেভি মেটাল সহ্য করতে পারে কোন হার্মাদ?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দুনিয়ায় সবকিছু পাল্টায় কিন্তু কিছু কিছু প্রজাতির মানুষের চরিত্র পাল্টায় না।

১৯৯১ সালের পহেলা জানুয়ারী খুলনা বিএল কলেজে কনসার্ট করতে গিয়ে পুলিশ ধোলাই দিয়ে বাঁ পা ভেঙে দিয়েছিলো আর ডান কাধেঁর হাড় ফাঁটিয়ে দিয়েছিলো।

শিবিরের ক্লিকবাজিতে ওইদিন পুলিশের গুলিতে চোখের সামনে মুক্তি মাহমুদ লিটন মারা যায়। গুলি খেয়ে যখন মুক্তি পড়ে ছিলো তখন একদল পুলিশ আহত মুক্তির উপর লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গণ্ডগোল শুরু হলেই আমরা আমাদের ইন্সট্র্যুমেন্ট নিয়ে মাঠের পাশের হলে আশ্রয় নেই। পুলিশের একজন অফিসারই আমাদের সেখানে একটা রুমে নিরাপদে অবস্থান করতে বলে। কিন্তু গণ্ডগোল চরম আকার ধারণ করার কিছুক্ষণ পর একদল পুলিশ সেই রুমের দরজা ভেঙে আমাদের সমস্ত ইন্সট্র্যুমেন্ট ভেঙেচুরে দেয়। তারপর আমাদের মারতে মারতে নিয়ে গিয়ে একটা গাছতলায় বেঁধে রাখে। এরপর দফায় দফায় ধোলাই চলতে থাকে। যে পুলিশ সামনে থেকে যায় সেই একটু পিটিয়ে যায়। কয়েকজন মার খেতে খেতে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে। কিন্তু সেই অজ্ঞ্যান মানুষকেও ওরা পিটিয়ে যায়। মার খেতে খেতে আমার যখন হেগে ফেলার অবস্থা, তখন হঠাৎ করেই আমার এক স্কুল বন্ধু পুলিশের কন্সটেবল বাবর আলী আমাকে দেখতে পায়। সে তখন তার হাবিলদারকে বলে আমার বাধন খুঁলে আমাকে তার হাতের বেতের ঢালের আবরণ দিয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু তখন অন্য কয়েকজন পুলিশ এসে ঢালের উপর থেকে আমাকে মারার চেষ্টা করতে থাকে। ঠেকাতে গিয়ে বাবরও আচ্ছামতো কতগুলো বাড়ি খায়। অবশেষে হাবিলদার নিজে এসে আমাকে নিয়ে নদীর পাড়ে আসার পর আমি ভাটার সময় কমপক্ষে ২০ ফিট উপর থেকে নিচে কাদার উপর লাফিয়ে পড়ি। এরপর ......................

পুলিশের কথা না শুনে যদি সেদিন গণ্ডগোলের শুরুতেই ভেগে যেতাম, তবে আর ধোলাই খেতে হতোনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ

নির্বাকতা ছাড়া আজকাল কোন অভিব্যক্তি পাই না। খুব খুব ব্যথিত হলাম। মন খারাপ হতাশা আর হতাশা দেশটাকে নিয়ে.......... মন খারাপ

guest_writer এর ছবি

লম্বা চুলের বিষয়টি আমাকে অত্যন্ত ভাবিয়ে তুলেছে। আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে দেশের একটি মফস্বল শহরে নবাগত এক ও,সি, সাহেবের নির্দেশে রাস্তায় লম্বা চুলওয়ালা কোন পুরুষ দেখলেই পুলিশবাহিনী তাদের কাছে থাকা কেঁচি দিয়ে চুল কেটে দিত। সেই ও,সি, সাহেবের নাম ছিল মালেক। তিনি তখন মালেকুল মউত নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। এত বছর পরেও পুলিশের মনস্তাত্বিক কোনই পরিবর্তন হয়নি ! আরও একটা কথা ভাবছি, পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেবার আগে কোন পুলিশ সদস্য কি কখনও লম্বা চুল রাখেননি ! লম্বা চুল রাখাতো বিভিন্ন সময়ে ফ্যাসন হিসাবেই এসেছে।
ওদের মুক্তির সংবাদটি পেয়ে আনন্দিত হয়েছি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন ?

মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আচ্ছা, মালেকুল মউতরে আপনিও চেনেন। আমরা অবশ্য তাকে দেখেছি সে যখন খুলনা সদর থানার ওসি ছিলো তখন। সেই যুগে মালেক দারোগা আর তারপর কামরুল দারোগার 'তাফালিং' মানুষকে আতঙ্কের চরমে নিয়ে গিয়েছিলো।

এটা চলতেই থাকবে মনে হচ্ছে। বন্ধ হওয়ার তো কোনও লক্ষন দেখছিনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

guest_writer এর ছবি

কামরুল দারোগাকেও চিনি। সম্ভবত সে কুষ্টিয়ার মানুষ। আমারও ঐ সময় লম্বা চুল ছিল। যেকোন একটি জাতীয় অনুষ্ঠানে মালেক সাহেবের সাথে আমার মোলাকাত হয়েছিল। আমার সাথে কথাবার্তার পরে আমার চুলটা বেচে গিয়েছিল।

প্রৌঢ়ভাবনা

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ফাহাদ এর ছবি

নাহিয়ান এবং আফিফ- এর জন্য শুভকামনা...

লেখাটা পড়ে অবাক হয়েছি... এই ঘটনার কি অগ্রগতি হলো দয়া করে জানাবেন...

সাফি এর ছবি

অনার্য অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। লেখা আর মন্তব্য পড়ে যা জানতে পারলাম -

১। নাহিয়ান / তার দল এপার্টমেন্টের ছাদে জ্যামিং করতো (হেভি মেটাল)
২। প্রভাবশালী কোন প্রতিবেশীর আপত্তি অগ্রাহ্য করায় ক্ষমতা (অপ)ব্যবহার করে চুরির মামলায় নাহিয়ান আফিফকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এবং মার খাওয়ানো হয়েছে।
৩। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ব্যান্ড শিল্পীরা একাত্ম হয়ে মানববন্ধন করার আয়োজন করলে 'উপরের মহল' থেকে মানব বন্ধন এমনকি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে নিষেধ করা হয় এবং ছাড়িয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
৪। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাননবন্ধন বাতিল করা হলে নাহিয়ান আফিফ ছাড়া পায়।

উপরের কোন ঘটনাই স্বাভাবিক বা নিয়মামাফিক না, অথচ এমনটাই হয়ে আসছে আমাদের জীবনে। দেশটা দিনকে দিন ক্ষমতাশীলদের হয়ে যাচ্ছে।

কালো কাক এর ছবি

আমাদেরকে রাস্তায় ছিনতাইকারী অজ্ঞান করে মেরে ফেলবে
ডাকাত ট্রেন থেকে ফেলে দেবে
জনতা পিটিয়ে মেরে ফেলবে
রাস্তায় গরুছাগল চেনা ড্রাইভাররা ভর্তা বানিয়ে ফেলবে
তাতেও যদি কেউ বেঁচে থাকে তার জন্য আছে সরকারি পুলিশ আর পুলিশের বড় ভাইরা!

জন্মগত পাপের ফল মনে হয় !!!!

আকতার আহমেদ এর ছবি

বাংলানিউজ২৪ এর নিউজ লিংক:
http://l.banglanews24.com/details.php?nssl=96cb6ddf0dcef16a7972f523976b7e83

চুরির মামলায় জামায়াত নেতার পুত্রের জামিন

ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকারের ছেলে সরকার মেহেদী আসিফ স্বর্ণ চুরির মামলায় জামিন পেয়েছেন।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম শামীমা পারভীন রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে এই জামিন মঞ্জুর করেন। একই সাথে তিনি মামলার অপর আসামি সাইমুম হাসান নাহিয়ানকেও জামিন দিয়েছেন।

গত রোববার ধানমণ্ডি থানার এক চুরির মামলায় তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জাকির হোসেন তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ২৭ আগস্ট বাদী পরিবারসহ বিদেশে যাওয়ার পর ৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে দেখেন তার বাসা থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে।

এ অভিযোগ ধানমণ্ডি ৩/এ রোডের ৪৮ নং হোল্ডিং ৬/বি ফ্লাটের মালিক মিনহাজ মান্নান ইমন বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

সরকার মেহেদী আসিফ একটি ব্যান্ড দলের সদস্য বলে জানা গেছে।


যে জসিম উদ্দিন সরকার এখনও নিজামী, সাইদী, মুজাহিদদের হত্যা, ধর্ষণের মত অপরাধের বৈধতা দেয়ার জন্য সক্রিয়; তার ছেলের জন্য মানবিক আচরণ দাবী করার মতো মহত্ত্ব দেখাইতে পারলাম না!

pathok(sam) এর ছবি

বলেন কি?! দারুন একটা তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ আকতার আহমেদ ভাই। তবে আরেকটা ছেলে নাহিয়ান - তাকে তো ভালই জানি - যদিও রাজনীতিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানা নেই

ফাহিম হাসান এর ছবি

যে জসিম উদ্দিন সরকার এখনও নিজামী, সাইদী, মুজাহিদদের হত্যা, ধর্ষণের মত অপরাধের বৈধতা দেয়ার জন্য সক্রিয়; তার ছেলের জন্য মানবিক আচরণ দাবী করার মতো মহত্ত্ব দেখাইতে পারলাম না!

মেহেদী আসিফ নিজে কি জামাত/শিবির করে?

মেহেদী আসিফের কি একটাই পরিচয় "রাজাকারের সন্তান"? এই পরিচয়ের উপর তার নিজের হাত কতটুকু?

চুরি বা পাব্লিক নুইসেন্সের অপরাধ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি হোক - কোন সমস্যা নাই। আর দশজন অপরাধীর মতই তার সাথে আচরণ করা হোক - সমস্যা নাই।

কিন্তু ফালতু অজুহাতে বা অহেতুক সন্দেহে সাধারণ নাগরিকদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে আচরণ করে সেই ব্যাপারে আমার স্পষ্ট আপত্তি আছে। সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা তো আরো ঘটেছে।

আকতার আহমেদ এর ছবি

ফাহিম হাসান
আপনি আমার মন্তব্যের যে অংশটুকু কোট করেছেন তা আমার ব্যক্তিগত অবস্থানকে ধারণ করে এবং আমিও তা করি সচেতনভাবেই। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার মনোভাব আলাদা হতেই পারে।

আর পিতার ভূমিকা এবং অপরাধ সম্পর্কে নিজের অবস্থান পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত রাজাকারের সন্তানের প্রথম পরিচয় "রাজাকারের সন্তান"-ই!

তানজিম এর ছবি

তাহলে আইনের শাসন বলে একটা জিনিস আছে তার কি হবে?...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অফটপিক ফাহিম, এইক্ষেত্রে কি হইছে জানি না, কিন্তু,
রাজাকারের বাচ্চা যতদিন বাপকে রাজাকার হিসাবে ঘৃণা না করবে, ততদিন সে রাজাকারের বাচ্চাই থাকবে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ফাহিম হাসান এর ছবি

একমত।

কিন্তু সবার ঘৃণার প্রকাশ তো আর ব্লগে/সংবাদপত্রে ঘটে না। কারো ঈমান যদি দুর্বল থাকে (মনে মনে ঘৃণা করে কিন্তু পরিবারের বিরুদধে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারে না) বেনেফিট অব ডাউটটা কাকে দিবেন?

আর আত্মীয়তার সূত্রই কতদূর পর্যন্ত যাবে? in laws? ধরেন কারো মামা শ্বশুর রাজাকার (জ্ঞাত বা অজ্ঞাত)। তাহলে তার মানবিক আচরণ পাওয়ার অধিকার আছে না নাই?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

একটা উদাহরণ দেই। আমি বর্তমানে যুদ্ধপরাধের দায়ে আটক তিনজন টপ জামাতির একজনের মেয়ে জামাইকে চিনি। খুবই মাইডিয়ার টাইপের লোক। তাকে ইনফ্যাক্ট সবাই লাইক করে। এই তথ্যগুলো পড়ে আপনি কি তাকে ঘৃণা করবেন, না বুকে জড়িয়ে ধরবেন? একটু চিন্তা করে উত্তর দিবেন। কারণ, আপনার উত্তরের ওপরে আমার পরবর্তী মন্তব্য নির্ভর করবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

কারো জন্মের জন্য তাকে দায়ী করতে পারেন আপনি? যদি আফিফ নিজে স্বাধীনতাবিরোধী এই ধরনের কোন প্রমাণ থাকে আপনার কাছে, তো দয়া করে বলুন।

যতদিন পর্যন্ত রাজাকারের সন্তানকে দেখামাত্র সে নিজে কী জানার চেষ্টা না করেই "রাজাকারের বাচ্চা" বলে গালাগাল দেয়ার মত রেসিস্ট আচরণ করে যাবেন, ততদিন পর্যন্ত বাপের কাজের জন্য বাপকে ঘৃণা করার আগে রেসিস্ট আচরণের জন্য তার আপনাকে ঘৃণা করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে - এবং এই কারণে যদি একটা নব্য রাজাকার তৈরী হয়, সেটার দায় তার বাপের না, বরং আপনার।

আপনার জ্ঞাতার্থে বলি, আমার জন্মদাতাও স্বাধীনতাবিরোধী - সেই অর্থে আপনার মন্তব্য ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধেও যায়, এবং আমি এটা ব্যক্তিগত পর্যায়েই নিচ্ছি। এই ধরনের রেসিজমের শিকারদের দলে টানতে শিবির কী করে জানা আছে আপনার? জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেটাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার মত দৃঢ়তা বা সাহস যা-ই বলেন সেটা আমার ছিলো, কিন্তু তাই বলে সবার থাকবে এটা আশা করা ঠিক নয়। কেউ যদি এইসব রেসিজম এড়াতে শিবিরের মিষ্টি কথাকে গ্রহণ করে, তাহলে শিবিরের হাত ধরার জন্য সে ঘৃণ্য নিশ্চয়ই, সাথে শিবিরের কর্মী একটা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনারও প্রাপ্য।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনি এই ইস্যুতে নিজের গায়ে মন্তব্য নিয়া যান কেন? মানুষ স্বভাবতই তার জন্মদাতাকে ভালোবাসে, জন্মদাতার কাছ থেকে জীবন সম্পর্কে প্রাথমিক পাঠ নেয়। সুতরাং বায়াসনেসটা সাধারণত জন্মদাতার আদর্শের দিকেই থাকে। এর বাইরে যেটা আছে, তা ব্যতিক্রম। আমি ভার্চুয়াল এবং রিয়েল ওয়ার্লড মিলাইয়া আপনারে ছাড়া এরকম কাউরে পাই নাই, যার বাপ রাজাকার; কিন্তু ছেলে রাজাকারবিদ্বেষী। আর এক্ষেত্রে পাত্র একজন উচ্চ পর্যায়ের জামাত নেতার সন্তান এবং বাপের আদর্শের বিরুদ্ধে সে গিয়েছে বলে জানা যায় না। বাপের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের সুবিধা নেয়া একজন সন্তানের জন্য বাপের রাজাকার পরিচয়ের দায়িত্ব নেয়াও ফরজ। নাইলে পুরাই ডাবল ক্রস হয়ে যায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

আপনি যখন "স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানমাত্রেই স্বাধীনতাবিরোধী" এই জেনারেলাইজেশন করবেন, তখন সেটা সরাসরি আমার গায়ে লাগবে বলেই আমি সেটা নিজের গায়ে নেবো - It's that simple!

পূর্বপুরুষ স্বাধীনতাবিরোধী আর নিজে উল্টো এরকম আর দেখেননি কথাটা ভুল। এই সচলায়তনেই দেখেছেন, আমিও দেখেছি (নাম প্রকাশ করলাম না)।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনি রাজাকার জন্মদাতার প্রভাব থেকে বেরিয়ে রাজাকারকে ঘৃণা করতে পারায় আপনাকে স্যালুট। কিন্তু আপনি যদি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন যে, আপনি রাজাকারের পোলাদের প্রতিনিধিত্বকারী স্যাম্পল এবং রাজাকারের পোলা নিয়া কিছু কইলেই সামনে আইসা ঢাল হইয়া দাঁড়ান, তাইলে প্রবলেম। কারণ, তখন আপনার ভূমিকা হয় রাজাকারের সংখ্যাগরিষ্ঠ নিমকহালাল পোলাদের রক্ষাকর্তা। আপনার মধ্যে মানবতা উপচায়া পড়তে পারে বা নিজের অবস্থান নিয়া হীনমণ্যতা থাকতে পারে বা অন্য কোনো কারণে আক্রাণ্তবোধ করেন; কিন্তু আমার কাছে এই ইস্যুতে তথাকথিত মানবতা কাজ করে না, মধ্যপন্থা বা সুশীলতার আবরণে রাজাকার ও তাদের অনুসারী সংখ্যাগরিষ্ঠ বংশধরদের জন্য এসকেপ রুট তৈরি করতে দেয়ার মধ্যে আমি কোনো স্বাভাবিকতা বা মহানুভবতা খুঁজে পাই না। আমি যখন রাজাকারের পোলারে গালি দেই, তখন ব্যতিক্রম আপনি সেই টার্গেটে থাকেন না, টার্গেট নিজের দিকে টানলে সেটা আপনার দায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

দুঃখিত, সবার কাছ থেকে স্যালুট গ্রহণ করি না আমি - বিশেষ করে যারা আমাকে গালাগাল করে স্যালুট দিতে আসে তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করার কোন প্রশ্নই আসে না।

আমি "রাজাকারের পোলাদের" প্রতিনিধিত্বকারী স্যাম্পল নই, কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তান টার্মটা আমার ক্ষেত্রেও সোজাসুজি ভাবেই প্রযোজ্য - সেটা বোঝার ক্ষমতা যদি আপনার না থেকে থাকে, তাহলে শুধুশুধু কথা না বাড়ালেও চলে।

আমি কোন রাজাকার, নব্য অথবা পুরোনো, কোনটাকেই রক্ষা করে কোনদিনই কিছু বলিনি কখনো বলবোও না। কোন স্বাধীনতাবিরোধী, সেটা যে কারণেই হোক না কেন, আমার কাছ থেকে ঘৃণা ছাড়া আর কিছু পাবে না। কিন্তু আপনাদের মত মধ্যযুগের প্রথার গর্বিত সমর্থক হিসেবে কারো বংশপরিচয় দেখে তাকে বিচার করতে না যাওয়ার মত আধুনিকতা আমার আছে বলেই আমি মনে করি।

তথাকথিত সুশীলদের অনুসরণে আমি "রাজাকারেরও মানবাধিকার আছে" ধরনের কোন কথা বলছি না

একজন রাজাকারের গায়ে বাংলাদেশের পতাকা আঁকা যত বড় অপরাধ, তার চেয়েও বড় অপরাধ স্বাধীনতার কোন সমর্থকের গায়ে চাঁদ-তারা আঁকা - এবং এই কাজটা আপনারা প্রতিদিনই করে যাচ্ছেন।

আমি যখন রাজাকারের পোলারে গালি দেই, তখন ব্যতিক্রম আপনি সেই টার্গেটে থাকেন না, টার্গেট নিজের দিকে টানলে সেটা আপনার দায়।

এরপর থেকে গালিটা দেয়ার সময় দয়া করে পাশে ব্র্যাকেটে লিখে দেবেন আমি এবং আমার মত যারা আছে তারা এই গালির স্কোপে পড়ে না। যদি না দেন, সেক্ষেত্রে ওই গালির দায় আপনার - এবং আমি সেটাকে ব্যক্তিগত পর্যায়েই নেবো।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনি আমার গালির টার্গেট না, এটা কি আগের মন্তব্যে ক্লিয়ার হয় নাই?

স্যালুট না নিলে নাই, ব্যাপার না। আমারও আপনারে ত্যালানোর ঠেকা পড়ে নাই। রাজাকারের পোলা যে রাজাকারের অনুসারী না, সেটা প্রমাণের দায় তার, আমার না। নামের আগে রাজাকারের পোলা লিখে যে ঘোরে, নামের শেষে ব্রাকেটে তার নিজেরই উচিত রাজাকারের অনুসারী না, এইটা ক্লিয়ার করা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

না পরিষ্কার হয়নি এবং আপনার কাছে হাত জোড় করে কেউ তেল বা পূর্বপুরুষের-পাপের-কারণে ক্ষমা কোনটাই ভিক্ষা করেনি।

রাজাকারের পোলা যে রাজাকারের অনুসারী না, সেটা প্রমাণের দায় তার, আমার না।

Guilty by default, unless proven otherwise- চমৎকার, এমনি কি আর বাংলাদেশের পুলিশ কেউ অপরাধ করলে তার বাপ মা ভাই বোন চোদ্দ পুরুষকে থানায় নিয়ে হাজির করে?

আপনার মত কারো কাছে কিছু প্রমাণের দায় নেই আমার। যদি আমার মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধীর কোন নামগন্ধ খুঁজে পান, এখানকার সবার স্বার্থে

- এ ইমেইল করে জানিয়ে দিন। আর যেহেতু আপনার মনে হয় বাপের পরিচয় দিয়েই এটার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত, সেটাও জানান ওখানেই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনাকে বরং আপনার রাজাকার বাপের পরিচয়ে গর্বিত মনে হচ্ছে, ক্ষমা চাইতে যাবেন কোন দুঃখে?

আমার মতো কারো কাছে প্রমাণ করাও দরকার নাই। শুধু রাজাকারের পোলাদেরকে আমার মতো কেউ গালি দিলে সামনে এসে কান্নাকাটি না করলেই হলো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

আপনাকে বরং আপনার রাজাকার বাপের পরিচয়ে গর্বিত মনে হচ্ছে, ক্ষমা চাইতে যাবেন কোন দুঃখে?

আমাকে কোথায় ওই পরিচয় নিয়ে গর্ব করতে দেখেছেন? "রাজাকার বাপের পরিচয় নিয়ে গর্বিত হওয়া" - অত্যন্ত গুরুতর এবং স্পর্শকাতর অভিযোগ। দয়া করে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিন

কী অদ্ভুত! আপনার মনে হচ্ছে আমি কান্নাকাটি করছি? আপনি নব্য এবং পুরানো রাজাকারকে যতদিন গালি দেয়ার দিয়ে যান, আমি আপনার সাথেই আছি। যদি আমাকে গালি দিতে আসেন, আমার কাছ থেকে পাল্টা গালি না হলেও প্রতিক্রিয়া আপনার সহ্য করতে হবে সেটা জেনেই দয়া করে আসবেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার গর্বের বিষয়টা ক্লিয়ার করি। রাজাকার জন্মদাতার প্রভাব থেকে বের হয়ে তার উলটোটা চিন্তা করা অনেক কঠিন কাজ, এটা আপনিও জানেন (অন্তত আপনার আচরণ দেখে তাই ধারণা)। যার বাপে মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকার কোনোটাই না, তার পক্ষে রাজাকারকে ঘৃণা করা সহজ, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে কাজটা কঠিন। এই কঠিন কাজটা করার ফলেই আপনার মধ্যে সচেতন বা অবচেতনে অহঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। ব্লগে এজাতীয় ইস্যু উঠলেই এটা ঢাকঢোল পিটিয়ে জানান দেয়াটা এই অহঙ্কারপ্রকাশক।

ব্যক্তি আপনারে আমি গালি দেই নাই, আগের মন্তব্যগুলোয় বলেছি। গালি বলতে আমি ব্যক্তিআক্রমণ বুঝি, চ বা ব-বর্গের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। আপনার প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্তিআক্রমণ আছে কিনা, এতোদিন একসাথে সচলে থাকার পরে আমি এইটা খুঁজতে এখনো উৎসাহী না। তবে কারো প্রতিক্রিয়া রাজাকারদের পক্ষে গেলে আমার পক্ষ থেকে ব্যক্তিনির্বিশেষে নো টলারেন্স আচরণ পাবেন, এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। এর প্রেক্ষিতে আপনি আমাকে কুশীল ভাষায় গালি না দিয়ে সুশীল ভাষায় 'প্রতিক্রিয়া' দেখাবেন, এর জন্য প্রস্তুত না থেকে আমি কখনো কোনো মন্তব্য লিখি না। গুড লাক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

রাজাকারের প্রতি সমর্থনমূলক কিছু যদি কারো কাছ থেকে আসে, আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে আমার কাছ থেকেও সে কোন টলারেন্স পাবে না।

আর নিরহঙ্কারের প্রকাশ কি? পূর্বপুরুষের দোষে গালি খেয়ে চুপচাপ "আমারে মাফ কইর‍্যা দেন" বলে কান্নাকাটি করা? সেটাই খুঁজছেন?

ওহ আর আপনি যদি রাজাকার হতেন তাহলে সুশীল ভাষায় প্রতিক্রিয়া নয়, কুশীল ভাষায় গালিই দিতাম।

আপনাকে বরং আপনার রাজাকার বাপের পরিচয়ে গর্বিত মনে হচ্ছে, ক্ষমা চাইতে যাবেন কোন দুঃখে?

আপনি এখানে বলেননি আমি আমার চিন্তাধারা নিয়ে গর্বিত, আপনি বলেছেন আমি আমার জন্মদাতার রাজাকার পরিচয় নিয়ে গর্বিত। কোন প্রমাণের ভিত্তিতে এই ধরনের অভিযোগ করেন আপনি জানতে পারি? ক্লিয়ার করার নামে যা খুশি তাই পেঁচিয়ে দিলেই এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ বাতিল হয়ে যায় না।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ব্যাখ্যা আপনার পছন্দ না হলে কিছু করার নাই। আগেই বলেছি, আপনাকে ত্যালানোর ঠ্যাকা পড়ে নাই। আপনার কাজে রাজাকারের নিমকহালাল পুত্রকন্যারা এস্কেপ রুট পাচ্ছে। এই এস্কেপ রুটটা আমি দেবো না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি দুঃখিত, আপনার ব্যাখ্যা আমার আসলেই গ্রহণযোগ্য মনে হয় নি।

আপনার ব্যাখ্যায় আপনি বলেছেন,

আপনার গর্বের বিষয়টা ক্লিয়ার করি। রাজাকার জন্মদাতার প্রভাব থেকে বের হয়ে তার উলটোটা চিন্তা করা অনেক কঠিন কাজ, এটা আপনিও জানেন (অন্তত আপনার আচরণ দেখে তাই ধারণা)। যার বাপে মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকার কোনোটাই না, তার পক্ষে রাজাকারকে ঘৃণা করা সহজ, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে কাজটা কঠিন। এই কঠিন কাজটা করার ফলেই আপনার মধ্যে সচেতন বা অবচেতনে অহঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। ব্লগে এজাতীয় ইস্যু উঠলেই এটা ঢাকঢোল পিটিয়ে জানান দেয়াটা এই অহঙ্কারপ্রকাশক।

ব্যাখ্যায় আপনি বলেছেন নিজের দৃষ্টিভঙ্গী, সেই দৃষ্টিভঙ্গী অর্জনের পথের বাধা, কঠিন কাজ করার গর্ব ইত্যাদি মিলে অহঙ্কার তৈরী হচ্ছে। অথচ এই ব্যাখ্যাটা যে মন্তব্যের, সেখানে আপনি এই জিনিসগুলোর কোনটাই আনেননি, সেখানে সোজাসুজি বলেছেন,

আপনাকে বরং আপনার রাজাকার বাপের পরিচয়ে গর্বিত মনে হচ্ছে, ক্ষমা চাইতে যাবেন কোন দুঃখে?

একমাত্র রাজাকার ছাড়া আর কেউ কোন রাজাকারের পরিচয়ে গর্ববোধ করতে পারে না। - এই কথাটা আপনি, এবং অন্য সবাই, খুব ভালো করেই জানেন। আপনার মন্তব্যে আপনি সরাসরি আমাকে রাজাকার পরিচয়ে অভিযুক্ত করেছেন।

সাধারণভাবে কারো কাছে নালিশ জানানো আমার স্বভাববিরুদ্ধ। কিন্তু এই বিশেষ অভিযোগটি এতটাই স্পর্শকাতর যে এটিকে হালকাভাবে নেয়া সম্ভব নয়। আমি মডারেটরকে অনুরোধ করছি আমার বিরুদ্ধে এই বিশেষ অভিযোগটি সম্পর্কে খতিয়ে দেখতে এবং সেটার সত্যতা/অসত্যতা প্রমাণের সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।

ধন্যবাদ।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

দরকার নাই

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অপছন্দনীয় এর ছবি

প্রিয় সচলায়তন মডারেটর,

আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ধন্যবাদ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিছু মনে না করলে একটা পরামর্শ দেই। মন্তব্য মনে হয় মডুরা সবসময় দেখেন না। আপনি বরং কন্টাক্টে ইমেইল করুন। এই পোস্টের একটা লিংক দিবেন, কার কোন বক্তব্য নীতিমালার কোন কোন ধারা ভেঙ্গেছে, সেগুলো টু-দ্য-পয়েন্ট (অল্পশব্দে চর্বিছাড়া) লিস্ট করে, সাথে আপনি কার কেমন সাজা চান, তা উল্লেখ করে পাঠিয়ে দেন। মডুরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে অভিযুক্ত সম্ভাব্য কালপ্রিটগণ হয়তো নিজেদেরকে ডিফেন্ড করতে পারবেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিলে ডিফেন্সের আগেই শাস্তি হয়ে যাবে। আবার নীতিমালার কোনো ধারার মারপ্যাঁচে পড়ে গেলে কান্নাপক্ষও শাস্তির স্বীকার হতে পারে। একটা জমজমাট বিচার দেখার জন্য গ্যালারিতে বসলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অপছন্দনীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। উপায়গুলো জানা আছে এবং ছিলো।

অপছন্দনীয় এর ছবি

ডুপ্লিকেট

সন্দেশ এর ছবি

প্রিয় অচ্ছ্যুৎ বলাই,
আমরা অপছন্দীয়ের সাথে বাদানুবাদের পুরোটা লক্ষ্য করলাম। যুদ্ধপরাধীদের প্রশ্নে আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন। এটাও সঠিক আপনার মন্তব্য কখনোই ব্যক্তি অপছন্দনীয়কে উদ্দেশ্য করে ছিলো না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আপনাকে শেষ দিকে এসে ধৈর্য্যহীন মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

অপছন্দীয় স্পষ্টভাবে তার অবস্থান জানানোর পরও "আপনাকে বরং আপনার রাজাকার বাপের পরিচয়ে গর্বিত মনে হচ্ছে?" এই ধরণের মন্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।

তাছাড়া অন্য একটি পোস্টেও আপনাকে অশালীন মন্তব্য করতে দেখা গেছে। আপনার ক্ষেত্রে এই ট্রেন্ডটি খুব দুঃখজনক। এ ব্যাপারে আপনাকে আরও যত্নশীল হতে জানানো যাচ্ছে।

সন্দেশ এর ছবি

প্রিয় অপছন্দনীয়,
অছ্যুৎ বলাই একাধিক বার আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন তার মন্তব্য আপনার উদ্দেশ্যে করা হয়নি। তারপরও আপনি ক্রমাগত বিষয়টি নিজের উপর টেনে এনেছেন। বিষয়টি অনভিপ্রেত এবং রাইটার্স কমিউনিটির জন্য পজিটিভ নয়।

যুদ্ধপরাধীদের বিরুদ্ধে সচলায়তনের একটা পরিষ্কার এবং দ্বিধাহীন অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থানের পক্ষের সবাইকে সচলায়তন সাদরে আমন্ত্রন জানায়।

এক্ষেত্রে আপনার সাহসী এবং ব্যতিক্রমধর্মী অবস্থানের জন্য আমরা বাহবা জানাই। কিন্তু আপনাকে সচলায়তনে এসংক্রান্ত আলোচনাকে ব্যক্তিগতভাবে না নিতে আপনাকে আরো যত্নবান হতে হবে। নইলে এই ধরণের অনভিপ্রেত তিক্ততা বাড়বে বই কমবে না।

আপনার সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

প্রয়োজন নেই

ফাহিম হাসান এর ছবি

বলাইদা, সচলায়তনে আমি একজন ব্লগারের মন্তব্যে পড়েছিলাম যে তার বাবা স্বাধীনতাবিরোধী কিন্তু তিনি বাবার কৃতকর্মকে ঘৃণার চোখে দেখে। তিনি পুরানো সচল, নামটা সঠিক মনে পড়ছে না। আরেকটা লিঙ্ক দেই।

যাই হোক, আপনি রিয়েল+ ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে কাউকে এমন দেখেন নি তার মানে এই না যে আপনি এমন সরলীকরণ করবেন। অনেক সময় আমরা সচেতনভাবে সামাজিক মেলামেশার স্তর নির্বাচন করি। সিলেকশান বায়াস থাকতেই পারে। আমি এখন পর্যন্ত যত চাইনিজ ছাত্রের সংস্পর্শে এসেছি তারা সবাই কম-বেশি নোংরা কিন্তু এই অব্জার্ভেশানের ভিত্তিতে আমি বলতে পারি না চাইনিজ মাত্রই নোংরা, এদের পোলাপানগুলাও নোংরা।

মানুষের সামষ্টিক চরিত্রে অবশ্যই এলাকার ছাপ পড়ে। মানুষ সামাজিক পরিবেশ বিচ্ছিন্ন প্রাণী না।

এটা আপনারই বক্তব্য ছিল এই পোস্টে

আজকে থেকে বিশ বছর আগে মানুষের সাথে মানুষের ইন্টার‍্যাকশান হত সামনাসামনি। চিন্তার সূত্র থাকত বই অথবা সংবাদপত্রে। এখন চিন্তা শেইপ পায় ইন্টারনেটে। মানুষ এক গ্রামে জন্মায়, অন্য গ্রামে বড় হয়, শহরের স্কুল থেকে ম্যাট্রিক দেয়, উচ্চ শিক্ষার জন্য বড় শহরের কলেজে যায়। মানুষের এক্টিভিটি স্পেইস বাড়তেছে। চিন্তা ও আচরণের শিকড় শুধু এলাকাতে নাই। ভৌগোলিক এলাকার কথাই যদি বলেন তাইলে তো রংপুরের মানুষ মফিজ, বরিশালের লোক ডাকাত আর নোয়াখালির মানুষ কপট-খল। আর বাঙ্গালি মাত্রই ঘুষখোর-চোর।

আর আপনার এই সরলীকরণের ভিত্তি যদি জেনেটিক হয় তবে তো যুদ্ধশিশুরাও ঘৃণার পাত্র!

রাজাকারকে ঘৃণা করি। তার সন্তান যদি বাপের কাজে সাপোর্ট দেয় তাহলে তারেও ঘৃণা করি। কিন্তু বাপের ঘৃণাটুকু ছেলেমেয়ের উপর ফেলি না। দুইটা আলাদা। আর এই ক্ষেত্রে আপনি শিওর যে আসিফ/আফিফ বাপের সমর্থক?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আর এই ক্ষেত্রে আপনি শিওর যে আসিফ/আফিফ বাপের সমর্থক?

উলটা প্রশ্ন আপনাকে, আপনি কি শিওর যে সে বাপকে ঘৃণা করে?

এখানে মূল বিষয় হলো, রাজাকারের সন্তান তার বাপকে রাজাকারিত্বের কারণে ঘৃণা করে, এটাকে আপনি উদাহরণ হিসেবে দেখেন, না ব্যতিক্রম হিসেবে দেখেন। আমি ব্যতিক্রম হিসেবে দেখি। আমার অভিজ্ঞতা এবং সহজ-সরল যুক্তি এটাকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখায়। ব্যতিক্রম স্ট্যান্ডার্ড না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম হাসান এর ছবি

উলটা প্রশ্ন আপনাকে, আপনি কি শিওর যে সে বাপকে ঘৃণা করে?

উল্টা প্রশ্ন করার পাশাপাশি জবাবটা দিলেও পারতেন। যাই হোক, আমি উত্তর দিচ্ছি - না, আমি শিওর না। যদি সে বাপের কুকীর্তির সমর্থক হয়, তাহলে তার প্রতি আমার মানবিক সমর্থন থাকবে না।

রাজাকারের সন্তান তার বাপকে রাজাকারিত্বের কারণে ঘৃণা করে, এটাকে আপনি উদাহরণ হিসেবে দেখেন, না ব্যতিক্রম হিসেবে দেখেন। আমি ব্যতিক্রম হিসেবে দেখি। আমার অভিজ্ঞতা এবং সহজ-সরল যুক্তি এটাকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখায়। ব্যতিক্রম স্ট্যান্ডার্ড না।

না, আমিও ব্যতিক্রমকে স্ট্যান্ডার্ড মানি না। আপনি এমন কাউকে দেখেন নাই বলাতে আমি লিংক দিয়েছি মাত্র। আমি যেটা বলতে চাইছি "শুধুমাত্র বংশ পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে কাউকে বড় বা ছোট করা যায় না।" দেশদ্রোহীতা রক্তের মাধ্যমে কতটুকু প্রবাহিত হয় তা আমি-আপ্নি জানি না। মীর জাফরের দায় তার প্রপৌত্র নেয় না। আজকে এত জামাত-শিবিরের সমর্থক সবার বাবা-মা কি রাজাকার ছিল?

কোন রাজাকারকে ধরে নির্যাতন করুক - সমস্যা নাই। যে রাজাকার তার প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি/ মানবিক বোধ নাই।

-----

আমি নাহিয়ান বা আফিফ কাউকেই চিনি না। তাদের গানের সাথেও পরিচিত নই। তারা যদি পাব্লিক নুইসেন্সের কারণে গ্রেপ্তার হয় তাহলে বাড়তি কোন সহানুভূতিও নাই। বিখ্যাত শিল্পী অপরাধ করলেও সে অপরাধীই। আমার আপত্তি বিচারের আগে পুলিশী নির্যাতন বিষয়ে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রাজাকার শুধুমাত্র একটা প্রতিষ্ঠান না, রাজাকারিত্ব একটা আদর্শ, যা আমাদের স্বাধীনতার আদর্শের বিপরীত। আজকের যারা জামাত শিবির করে, তারা আর একাত্তরের রাজাকার প্রতিষ্ঠানের লোকেরা এই বিন্দুতে এক। ৭২ এর সংবিধানে শুধু কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই, রাজাকার বা জামাত শিবিরের এই আদর্শের চর্চা স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। আজকের জামাত শিবিরকে আপনি গ্রহণযোগ্যতা দিবেন, মানবতা দেখাবেন, সুযোগ পেলেই এরা আপনার মানবতা দিয়াই আপনারে আরেকটা একাত্তরের আচরণ উপহার দিবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম হাসান এর ছবি

আজকের জামাত শিবিরকে আপনি গ্রহণযোগ্যতা দিবেন, মানবতা দেখাবেন, সুযোগ পেলেই এরা আপনার মানবতা দিয়াই আপনারে আরেকটা একাত্তরের আচরণ উপহার দিবে।

কথা ঠিক আছে কিন্তু আমি তো জামাত-শিবিরকে গ্রহণযোগ্যতা দেই নাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জামাত শিবিরদের জন্ম ৭১ এর পরে বলে তারা রাজাকার না - এই ফর্মূলা প্রয়োগ করে তাদের গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার কাজটা স্বাধীনতাবিরোধিরা করে। একই ধরনের ফর্মূলায় একজন ব্যতিক্রমকে দেখিয়ে 'জেনারেল' ট্রেন্ডকে অস্বীকার করে রাজাকার ফ্যামিলিকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়া হয়। একই ধরনের সমীকরণে পাকিস্তানের কোন কবি আমাদের দুঃখে তিন পাতা কবিতা লিখেছিলো বলে পাকিস্তানকে ঘৃণা করা যাবে না ফতোয়াও চলে। একটু খেয়াল করেন, এই কেসগুলোর মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন।

(আপনাকে কোনোকিছুর জন্য আবার দায়ী করি নাই। হাসি )

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

যেহেতু পোস্টটি আমার, সুতরাং এই বিষয়ে আমার অবস্থানটি পরিষ্কার করা জরুরি।

আফিফের বাবার পরিচয় আমি এই আপনার মন্তব্য থেকেই জানলাম। নাহিয়ানের বাবা কী করেন তাও জানিনা। আমি আফিফকে চিনিও না। চিনি নাহিয়ানকে তার পাওয়ারসার্জ ব্যান্ডের জন্য। তার গিটারের জন্য। আফিফ পাওয়ারসার্জের সদস্য নয়। তার নামটি আমার লেখায় এসেছে সেও নাহিয়ানের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে। আফিফ নির্যাতিত হয়নি। নির্যাতিত হয়েছে নাহিয়ান।

তবে, আমি চাই আমার দেশে বিচার ছাড়া নির্যাতন না হোক। এবং বিচারও সবার জন্য সমান হোক।

জবাবদিহীতার দায় নিচ্ছি না। কেবল জানিয়ে রাখি, আফিফের প্রশ্নে অথবা তার মতো যে কারো প্রশ্নে আমার অবস্থান। কেউ যদি রাজাকারের মতবাদে বিশ্বাসী হয় অথবা সমর্থক হয় অথবা রাজাকার প্রশ্নে নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা রাজাকার ঘৃণা না করে তবে (সে তার বাবা হোক আর যেই হোক) তাকেও আমি আরেকটা রাজাকার হিসেবে দেখব।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

pathok (sam) এর ছবি

ফ্যান্টাস্টিক!

অপছন্দনীয় এর ছবি

কেউ যদি রাজাকারের মতবাদে বিশ্বাসী হয় অথবা সমর্থক হয় অথবা রাজাকার প্রশ্নে নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা রাজাকার ঘৃণা না করে তবে (সে তার বাবা হোক আর যেই হোক) তাকেও আমি আরেকটা রাজাকার হিসেবে দেখব।

সম্পূর্ণ সহমত।

pathok (sam) এর ছবি

সহমত!
অভিজ্ঞতা ১ঃ খুবই ভাগ্যবান জীবনে কোন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে হয় নাই
অভিজ্ঞতা ২ঃ রাজাকার বাবার সন্তান হলেও কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধ বিরুধধ না
অভিজ্ঞতা ৩ঃ মুক্তিযুদ্ধ বান্ধব সরকারের মণত্রীর মেয়েও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী করমকান্ডে জড়িত থাকতে পারেন
অভিজ্ঞতা ৪ঃ আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, কিন্তু ছাত্র ইউনিয়ন করার জন্য আমাকে সমরথন দেন্নি, বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন নাস্তিক হবার জন্য

!! চরম উদাস কে মনে পড়ছে - কমেন্ট টা জগাখিচুড়ি হয়ে যাচ্ছে

তানিম এহসান এর ছবি

সম্পূর্ণ সহমত!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ব্যক্তিকে ব্যক্তির কর্ম/চিন্তাধারা দিয়ে বিচার করতে হবে, ব্যক্তির পিতা দিয়ে না। ব্যক্তি যদি স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে, যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে, জামায়াতের পক্ষে না হয় তবে কোন সমস্যা দেখি না। সেক্ষেত্রে তার পিতার কর্ম দ্বারা তাকে বিচার করা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সন্তান যদি পিতার অপকর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে সেক্ষেত্রে সন্তানও অপরাধী।


_____________________
Give Her Freedom!

জ়াতির বিবেক এর ছবি

এখানে অনেকে বলেছেন যে আবাসিক এলাকায় জ্যামিং করা ঠিক হয় নাই , অতি সত্য কথা । দুই-একজন কমেন্টেও এমনভাবে মতামত দিলেন যেন পুলিশ ভালো কাজই করসে ! পুলিশ কিন্তু ওদের জ্যামিং করার জন্য থানায় নেয় নাই , মামলা হইসে স্বর্ণ‌ চুরির ব্যাপারে । মামলা যখন স্বর্ণ‌ চুরির তখন কিন্তু জ্যামিং করার প্রসঙ্গ আনাটাই অযৌক্তিক । এমনকি মামলার এজাহারে নাহিয়ান এবং আসিফের নাম পর্য‌ন্ত উল্লেখ নাই । ওদের ধরে নিয়ে যাওয়া হইসে সন্দেহভাজন হিসেবে । রিমান্ড না দেয়ার আগে কিভাবে পুলিশ হেফাযতে (!!!!) শারীরিকভাবে নির্যা‌তন করা যায় ?

রাজাকারের সন্তান হওয়ার পিছনে কি আসিফের কোন হাত আছে ? সে কি করে সেটাই কি মূল বিষয় হওয়া উচিত না ? আসিফ একজন ড্রামার , আমাদের কাছে আসিফের পরিচয় ঐটাই । যদি সে জামাত সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে যুক্ত থাকে তাহলে সেটা অন্য প্রসঙ্গ । আপনার কাছে সে রকম কোন তথ্য থাকলে প্রকাশ করুন ।

কল্যাণF এর ছবি

আসিফ নাকি আফিফ?

pathok (sam) এর ছবি

আফিফ

hhh এর ছবি

;