সবচেয়ে অসত্য ভাবনা কী?
‘অবশেষে জানিলাম- মানুষ একা।”
কেন অসত্য?
কারণ, প্রত্যেকটি মানুষ বহু মানুষের হাতে তৈরি।
বহু মানুষের সাথে যুক্ত।
সে একলা একা হতেই পারে না।
বহু যুগের বহু কোটি মানুষের দেহ মন মিলিয়ে মানুষের সত্তা।
সেই বৃহৎ সত্তার সঙ্গে সম্পর্ক
একজন ব্যক্তি মানুষ যতটুকু দেখতে পারে
সে ততটুকু যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে।
সেই সত্তাকে নাম দেয়া যেতে পারে
মহামানুষ।
এই বৃহৎ সত্তার মধ্যে
গাঁয়ের অদূরে এক গভীর জঙ্গল। তার পাশেই এই গাঁয়ের কবরস্থান। মাঝরাত। পশ্চিম আকাশে এক ফালি ফ্যাকাসে চাঁদ জেগে আছে। আর আছে আকাশ জোরা অগুনতি তারা। কবরস্থানটি বেশ বড় আর খোলামেলা হওয়ায় বাঁকা এক ফালি চাঁদের অল্প আলোতেও ছায়া ছায়া আঁধারে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। দূরের কোন গাছে বসে একটা হুতোম প্যাঁচা ডাকছে – ভূত, ভূত, ভূতুম !
ড. সম্পদ পান্ডে ও আমি উন্দাভাল্লি গুহার ভেতরে অনেকগুলো ছবি তুললাম। আমি প্রৌঢ়, পৃথুল শরীর। সে তুলনায় সম্পদ বেশ শক্ত-সমর্থ। তবু এখানে বেড়াতে এসে আমাদের দু’জনার মনই এখন তুখোড় তারুণ্যে উদ্ভাসিত।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল কোনও পীর নন, রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে তাঁর হাজারটা দূর্বলতা থাকতেই পারে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে গবাদি ও ছাগুকুলের বহুদিনের প্রচেষ্টায় এদেশের সবচেয়ে ‘সেলিং লাইক হট কচুরিস’ মার্কা ক্লিকবেইটের নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এই ক্লিকবেইট ব্যবহার করে রাতারাতি হট কচুরি হতে চাওয়া বিস্বাদ মানকচুর ঝাড় শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলা প্রয়োজন শুরুতেই।
আমাদের গাড়িয়াল ছকমল দা হাতের কঞ্চির একটানে আশ্চর্য ক্ষমতায় ঝোপের মধ্য থেকে থোকা থোকা ফল উঠিয়ে আমাদের দিত। ওগুলোর নাম পানিয়াল ফল, হাতের তালুতে নিয়ে জোরে জোরে নাড়ু বানানোর ভঙ্গিতে ওগুলোকে ঘষতে হত, তখন সেই ফল হয়ে উঠত অমৃতের মতো। ছকমল দা আমাদের হাতে ফলগুলো দিয়ে বলত, বইন, কও- আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। আমরা বলতাম, আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। দূর্গাপুর থেকে মোগলহাট স্টেশনে যাওয়ার পথ
১৯
সেনাবাহিনী ছেড়ে গোপন সশস্ত্র বিপ্লবে যোগ দেয়া লেঃ কর্নেল জিয়াউদ্দিনের সরকারি চাকুরিতে প্রত্যাবর্তন (অথবা প্রাইজ পোস্টিং) বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। বাহাত্তর থেকে চুয়াত্তরের কোন একসময় (পরস্পর বিরোধী তথ্য আছে) সেনাবাহিনী ছেড়ে জিয়াউদ্দিন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টিতে যোগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে জেনারেল এরশাদের শাসন আমলে তিনি সাধারণ ক্ষমার সুযোগে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ন পদে নিযুক্তি পান (১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই পদে বহাল ছিলেন)। পরে তিনি চট্টগ্রাম প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নামের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল প্রতিষ্ঠা (পরস্পর বিরোধী তথ্য আছে) করে সেখানে প্রিন্সিপাল হিসাবে যোগ দেন। এখন চট্টগ্রামে সুখ-শান্তিতে বসবাস করছেন। একটি বিপ্লবী জীবনের মধুরেণ সমাপয়েৎ।
[justify](ক) ঘটোৎকচ সরণিতে আইসক্রীম
ধানমণ্ডি ৮ নাম্বার সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে হাতের বামে যে রাস্তাটা রবীন্দ্র সরোবরের গা ঘেঁষে দক্ষিণ দিকে গেছে সেটার নাম ৭/এ। তবে এই রাস্তা বেশিক্ষণ ৭/এ নামে দক্ষিণ দিকে যেতে পারেনি অল্প পরেই ৭/এ সোজা পশ্চিম দিকে রওনা দিয়েছে, আর দক্ষিণগামী রাস্তার নাম হয়ে গেছে ৬/এ। এই ৬/এ-ও এক সময় দক্ষিণ দিকে যাবার পথ না পেয়ে পশ্চিম দিকে রওনা দিয়েছে।
'ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?
লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝ’রে যায় –
হাসি, জ্যোৎস্না, ব্যথা, স্মৃতি, অবশিষ্ট কিছুই থাকে না।
তবু ভালোবাসা দিতে পারি।
শাশ্বত, সহজতম এই দান —
এতই সহজ, তবু বেদনায় নিজ হাতে রাখি মৃত্যুর প্রস্তর, যাতে কাউকে না ভালোবেসে ফেলে ফেলি।'
#বিনয় মজুমদার
________________________________________________________
আমি বড় হয়েছি দাদা-দাদির বাড়িতে, একা৷
প্রলয়ের দিনে,
তেপনের চারপাশে মৌমাছি চরে
জেলে জোড়ে ঝকমকে জাল
সুখী তিমিকের দল লাফায় সায়রে
কিশোর চড়ুই খেলে ছাতের নালার কাছে
সাপগুলো সোনালিবরন, যেমন হওয়ার কথা।
প্রলয়ের দিনে,
ছাতা কাঁধে রমণীরা মাঠ ধরে হাঁটে
উঠোনের পাড়ে বসে ঝিমোয় মাতাল
সব্জিওয়ালা এসে চেঁচায় গলিতে
দ্বীপ ঘেঁষে আসে এক হলুদ পালের নাও
অফুরান বেহালার স্বরটা হাওয়ায়
নিয়ে যায় তারাভরা রাতে।
আর যাদের আশঙ্কা ছিলো বাজ-বিজুলির