অনেক কাহিনী বলার ছিল আমাদের,অনেক বিষন্ন রাত্রি
আর রক্তাক্ত দিনের গল্প
শুরু হয়েছিল অশ্রুর সিঁড়িতে,হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছিল
বিষন্নতার শীতল বাতাস
তারপর শুরু হলো দিন,টর্চার-চেম্বার থেকে ভেসে আসা চিৎকার
ছড়িয়ে গেল জ্বরতপ্ত আগুন বাতাসে
নবান্নের আনন্দ পুড়ে ছাই হলো;উড়ে গেলো এদিক-ওদিক
আমাদের গল্পগুলো পড়ে রইলো বিষন্ন উঠোনে।
২
আমাদের গল্প পড়ে থাকে উঠোনে
হলুদ বিষন্ন পাতারা উড়ে যায় চৈত্রের হাওয়ায়
গ্রীন হাউজ আশংকার মতো আমাদের আশাহত আশাগুলো
প্রসব করে লোলচর্ম প্রতিবন্ধী অলীক ফ্যান্টাসি।
৩
নদী শুকিয়ে যায়,বালি থেকে উঠে আসে মরা শামুক
বেরিয়ে আসে হলুদ পোকারা
শুকনো কূয়োর নিচে পানির বদলে ধাতব শব্দেরা
বাতাস চিরে ছুড়ে দেয় বিকট হাহাকার।
৪
একটি স্বপ্নের জন্য বসে থাকা অনেকদিন
আমাদের মহান দিনগুলোর তারিখ গড়িয়ে যাচ্ছে বারবার
আর আমরা এখনো কলহের কলরোলে
কথার ফানুস আর বাগাড়ম্বরে
আশার ফ্যাকাশে সূর্য টলে যাচ্ছে
হতাশার লেগুনের দিকে।
অন্ধকারের দিকে সরে যাচ্ছি আমরা-মেঘলা আকাশ
আমাদের গল্প পড়ে আছে সিঁড়িতে ও উঠোনে
৫
যদি এই হতো,বলা হতো আজ শ্রাবণের দিন
খরাতপ্ত জনপদে বৃষ্টির ঢল হবে
আজ মহুয়া ও নৃত্যের রাত
সব ক্লেদ,গ্লানি ধুয়ে যাবে অবিরল ধারার বর্ষণে
এইভাবে যদি শুরু হতো আমাদের গল্প গাঁথাগুলি
৬
দিন এলো!দিন কি এলো-গল্প শোনাবার?
আমাদের বীরগাঁথা,যুদ্ধময় সেই দিনগুলো
সব ক্ষতরেখা বুকে নিয়ে আবারো জেগে উঠতে চায়
আমাদের চর্যাগীতি অমল-ধবল সেই ইতিহাস বুকে ধরে
মূর্ত হতে চায়
মূর্ত হতে চায় চাষাভূষা,মাঝিদের গান
আজ সেই দিন।না শোনানো সেইসব গল্পের দিন।
মন্তব্য