মুহম্মদ জাফর ইকবাল কোনও পীর নন, রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে তাঁর হাজারটা দূর্বলতা থাকতেই পারে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে গবাদি ও ছাগুকুলের বহুদিনের প্রচেষ্টায় এদেশের সবচেয়ে ‘সেলিং লাইক হট কচুরিস’ মার্কা ক্লিকবেইটের নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এই ক্লিকবেইট ব্যবহার করে রাতারাতি হট কচুরি হতে চাওয়া বিস্বাদ মানকচুর ঝাড় শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলা প্রয়োজন শুরুতেই।
ছেলেবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে। মাকে গিয়ে বলছি, “মা, আমার কেমন যেন লাগছে”।
“কেমন লাগছে তোর, মন খারাপ? কেউ কিছু বলেছে?”
“না তো, মন খারাপ না”। আমার সীমিত শব্দ-সম্ভারে সে অনুভূতিকে ধরতে পারছি না আমি। সম্ভবত কেমন লাগছে সেই অনুভূতিটির নাম জানতেই মায়ের কাছে যাওয়া।
“তাহলে, একা-একা লাগছে? খেলতে যাবি?”
“নাহ, তাও না। কেমন যেন মায়া-মায়া লাগছে”।
একবার বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন তো, ফুসফুস ফুলে উঠবে টানটান করে, তারপর ছেড়ে দিন ধীরে ধীরে, মাত্র ৫ সেকেন্ডের ব্যাপার। কী শান্তি না? প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে এত অসংখ্যবার আমরা কাজটা করি যে আলাদা করে খেয়ালই হয় না। খেয়াল করার দরকারই বা কী!
বিশ শতকের শুরুর দিকে, ১৯০৫ সালে, জুরিখ-এর প্যাটেন্ট অফিসে কর্মরত একজন তরুণ গবেষক চারটি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করে ইউরোপের বিজ্ঞানী মহলে বেশ সারা জাগিয়ে ফেলেন । আলোক রশ্মির শক্তি ও তেজস্ক্রিয়তা, পরমাণুর আয়তন ও গতি-প্রক্রিয়া আর অভিকর্ষ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের এই প্রবন্ধগুলো নিউটন, ফ্যারাডে এবং ম্যাক্স ওয়েল এর উদ্ভাবিত এবং দুশো বছর ধরে বিরাজমান ধ্রুপদী পদার্থ বিজ্ঞানের মৌলিক ধারনাগুলোর ভিত্তিমূলে প্
তুষার ঝড়ে প্রায় পুরো আমেরিকা এই সপ্তাহে বিপর্যস্ত- তুষারের ছোবল যেন টেক্সাসেরও দক্ষিণ পর্যন্ত নেমে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে, এমন ঘটনা বিরল মনে হলেও অস্বাভাবিক নয়। আমরা ইদানিং পোলার ভরটেক্সের নাম বেশ শুনে আসছি এবং আবহাওয়াবিদরা বলছেন পোলার ভরটেক্স কলাপ্স করার কারণে আর্কটিক আবহাওয়া এত নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু এই পোলার ভরটেক্স ব্যাপারটা কী বা উত্তর মেরুর আবহাওয়া এত নিচে নেমে আসারই কারণ কী?
কম্পিউটারে কোনো প্রয়োজনীয় সফটওয়ার ইন্সটল করার আগে দেখতে হয় তার অপারেটিং সিস্টেম কোনটি। যদি উইন্ডোজ হয় তাহলে সফটওয়ারের উইন্ডোজ ভার্সন ইন্সটল করতে হয় আর লিন্যাক্স হলে লিন্যাক্স ভার্সন। এছাড়াও নানা রকম অপারেটিং সিস্টেম আছে। এখন কারো মনে প্রশ্ন আসতে পারে, অপারেটিং সিস্টেমের কী দরকার? সরাসরি সফটওয়ারটা কম্পিউটারে ইন্সটল করে দিলেই কেন হবে না?
[ সুকুমার সমগ্রতে লিখেছে - 'সন্দেশ' পত্রিকার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সমসাময়িক ঘটনাবলী এবং যাবতীয় সাংস্কৃতিক বৈজ্ঞানিক সংবাদকে সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থিত করা। প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর এ ধরনের রচনা লিখেছেন, পরবর্তীতে সম্পাদক সুকুমার রায় তৎকালে এবং তার আগে যে-সমস্ত বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক আবিস্কার হয়েছে, আধুনিক সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যেসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে - সেসব তথ্যবহুল সংবাদ 'সন্দেশ' পত্রিকায় নিয়মিতরূপে, অত্যন্ত সরসভাবে পরিবেষণ করতেন। বিজ্ঞানের তথ্য নিয়ে লেখার মুশকিল এই যে, এককালের প্রতিপাদ্য পরবর্তী কালে বদলে যায়; বিভিন্ন ইওরোপিয় গ্রন্থ বা পত্রপত্রিকা থেকেও এসব তথ্য আহুত হয়েছে। কিন্তু এই রচনার মূল্য অন্যত্রঃ সেটি হচ্ছে লেখকের বলবার ভঙ্গী এবং এই ভঙ্গী সুকুমারের সম্পূর্ন নিজস্ব। তাছাড়া, উনিশ শতাব্দের মধ্যভাগে আর বিশ শতাব্দের প্রথমাংশে পাশ্চাত্ত্য জগতে বিজ্ঞান ও সভ্যতার অগ্রগতি নিয়ে যে বিস্ময় ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল - এ দেশে শিক্ষিতজনের মধ্যেও তার আলোড়ন লেগেছিল। এই লেখাগুলিতে অন্তর্নিহিত রয়েছে সেই একই আগ্রহ ও উদ্দেপনাঃ সুকুমার কিশোর মনে তাকে সঞ্চারিত করতে চেয়েছিলেন। এই সমস্ত গদ্যরচনা কবি এবং কথাকোবিদ্ সুকুমার রায়ের অন্য পরিচয় উদঘাটন করবে।
এর মধ্যে থেকে একটি প্রিয় প্রবন্ধ বেছে নিয়ে সচল পাঠকের সামনে পরিবেশন করা হলো। ]