আমাদের গাড়িয়াল ছকমল দা হাতের কঞ্চির একটানে আশ্চর্য ক্ষমতায় ঝোপের মধ্য থেকে থোকা থোকা ফল উঠিয়ে আমাদের দিত। ওগুলোর নাম পানিয়াল ফল, হাতের তালুতে নিয়ে জোরে জোরে নাড়ু বানানোর ভঙ্গিতে ওগুলোকে ঘষতে হত, তখন সেই ফল হয়ে উঠত অমৃতের মতো। ছকমল দা আমাদের হাতে ফলগুলো দিয়ে বলত, বইন, কও- আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। আমরা বলতাম, আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। দূর্গাপুর থেকে মোগলহাট স্টেশনে যাওয়ার পথ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন। একাত্তরের এইদিনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রমনার রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের অপশাসন ও নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ভাষণটির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা। এটি একটি ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের নির্যাতন, নিপীড়
ইর্মগার্ড ফুর্খনার নামক জার্মানকে দেখে আর দশজন সাধারণ বৃদ্ধ শ্বেতাঙ্গ নারীর থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কিন্তু ফুর্খনার সাধারণ নন। আজ ৯৭ বছর বয়স্ক ফুর্খনারকে উত্তর জার্মানির এক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
[justify](ক)
[i][গত ১৪ই অক্টোবর ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ বা কংগ্রেসে ওহাইয়োর রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবোট এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান রো(হিত) খান্না ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। নানা কারণে এই প্রস্তাবনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্
স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের নিমিত্তে ১৯৬২ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবদুল আজিজ বাগমারের নেতৃত্বে গড়ে উঠে ‘অস্থায়ী পূর্ববঙ্গ (অপূর্ব) সরকার’ নামে একটি গোপন সংগঠন । রাজনৈতিক নেতৃত্ব যথাসময়ে যাতে স্বাধীনতার ডাক দিতে সক্ষম হন সে কাজকে সহজতর করার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার বানী ঘরে ঘরে পৌছেঁ দেওয়ার শপথ নিয়ে সংগঠনটি গঠিত হয় । (১) সংগঠক হিসেবে ছিলেন ঢাবি ছাত্র খন্দকার বজলুল হক, শান্তি নারায়ণ ঘোষ (উভ
বাবার চাকুরীর সূত্রে ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসের কোন একটি দিনে আমরা সপরিবারে ভুরুঙ্গামারি নামক একটি প্রত্যন্ত স্থানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি। রংপুর থেকে লালমনিরহাট গামী ট্রেনে এসে তিস্তা নদীর উপরে যে তিস্তা রেলওয়ে সেতু, তার কাছেই তিস্তা নামের একটি অতি অর্বাচীন রেল জংশনে আমরা কুড়িগ্রামগামী ট্রেন ধরার জন্য দুপুরের পর পর এসে পৌঁছালাম। আব্বা বললেন- ঐ তো কুড়িগ্রামের ট্রেনটি প্লাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছে। তা অব
(সতর্কতা:এই গল্পে এমন কিছু রক্তাক্ত সত্য বিবরণ আছে যা দুর্বল হৃদয়ের জন্য সহনশীল নাও হতে পারে)
দেশকালসময় সবকিছুর উর্ধে চলে যাবার পরও ক্ষীরোদরঞ্জন নাথ কিছুতেই দৃশ্যটা ভুলতে পারছেন না। নিরবালা দেবী তাঁর স্ত্রী হলেও তার মাথার উপর নিজের কাটামুণ্ডুটি এভাবে হাজির হবে ব্যাপারটা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তখনো তার চক্ষু মুদে আসেনি। তিনি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছেন কয়েক সেকেণ্ডের সচেতন অচেতনের মাঝামাঝি ভাষাতীত এক মুহুর্ত ছিল সেটি। কাট্টলীর নাথ পাড়ার সবগুলো প্রাচীন বৃক্ষ, সমুদ্রের হাওয়া, চৈতালী ঝড় ক্ষীরোদরঞ্জনের সাথে একমত। তাঁর কোন অভিযোগ নেই কারো কাছে। তবে সেই ঘটনার পর থেকে তিনি শুধু ঘুরে ঘুরে সেই খুঁটিটার কাছে ফিরে আসেন। যে খুঁটির নীচে ঠেস দিয়ে বসে ছিল নিরবালা দেবী। আসলে ঠেস দেয়নি, একটা পাটের দড়িতে বাঁধা ছিল নিরবালা দেবীর শরীরটা।
[justify]ডিসেম্বর মাস আসলে পাকিস্তানের মিডিয়াগুলোতে ‘১৬ই ডিসেম্বর’ প্রসঙ্গে মৃদু নড়াচড়া শুরু হয়। এই সময়ে ‘Dhaka Fall’ নামে ‘ভারতের কাছে যুদ্ধে পরাজয়’ অথবা ‘দেশ ভাঙা’ অথবা ‘পূর্ব পাকিস্তান হারানো’ প্রসঙ্গে কিছু পাকিস্তানী বক্তা টকশো বা সাক্ষাতকারে গরম গরম কথা বলার বা পাকিস্তানী লেখক পত্রিকার কলামে বা ব্লগে গরম গরম লেখার চেষ্টা করেন। বিষয়টা তাদের কাছে গৌরবের না বলে এইসব গরম বক্তা-লেখকগণ চেষ্টা করেন
এই ঘটনাটি অনেকেই জানেন না। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিকেল সাড়ে চারটায় পাকিস্তানীরা ঢাকার রেসকোর্সে আত্মসমর্পন করলেও চট্টগ্রাম শহর তখনো বিপদমুক্ত হয়নি। চট্টগ্রামের পাক বাহিনীর আত্মসমর্পনের কথা ছিল পরদিন। সেদিন চট্টগ্রাম আরেকটি ভয়াবহ রক্তপাতের সাক্ষী হতে পারতো। ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছিল আগ্রাবাদ হোটেলে। সাক্ষী ছিলেন জাপানী রেডক্রস কর্মী তাদামাসা হুকিউরা।