উগ্রতার জমানায় কে যে কদ্দিন বাঁচি-মরি ঠিক নেই।
অনেক চা খেয়েছি। সিরিজ বকেয়া রাখতে চাচ্ছি না।
স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে সব গবেষণা বা পরিসংখ্যানে বোধহয় সবচেয়ে উপেক্ষিত থাকে আমাদের যুদ্ধশিশুরা- যাদের জন্ম হয়েছিলো একাত্তরের বিভীষিকার মধ্যে। আমি জানি না কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা একাত্তরে এবং পরবর্তীতে কতজন শিশু যুদ্ধের কারণে নিহত হয়েছিলো। স্বাভাবিক সময়ে একটা শিশুর জন্মের সময় এবং পরে কত যত্ন-আত্তি, হাসপাতাল-ক্লিনিকে ছুটোছুটি করা লাগে। ছয় বছর আগে আমার মেয়ের যখন জন্ম হলো, তার আগের দিন রাতে হাসপাতালে চলে
[ আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারও দানে পাওয়া নয়। দাম অবশ্য আমি দিইনি, বাকিতেই পেয়েছি পূর্বপুরুষের বদান্যতায়। সেই বাকির খাতা কখনও শুধতে পারব না, জানি। কিন্তু, বাকির খাতায় যে নাম তোলা আছে সেটুকু অন্তত যেন আমরা ভুলে না যাই। যাঁদের রক্তের ওপর গড়া এই দেশে (প্রায়) নির্বিবাদে বেঁচে আছি, তাঁদের রক্তপাত শুরু হয়েছিল এই দিনেই। জানা কিংবা অজানা সেই সকল অসীম সাহসীদের জন্য নিরন্তর শ্রদ্ধা। ]
[i][ওরা যুদ্ধ করেনি, ওদের সার্টিফিকেট নেই, ইতিহাসে ওদের কোন পদবী নেই। ওদের কেউ অন্ধকার রাতে টর্চলাইট হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পথ দেখিয়েছে, কেউ রাতে ঘরের দাওয়ায় আশ্রয় দিয়েছে, নিজের খাবার বাঁচিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছে, তাঁদের অস্ত্র, তথ্য, সংবাদ পারাপার/পাচার করেছে দীর্ঘ নয়মাস ধরে। অতঃপর দেশ স্বাধীন হবার পর কৃতিত্ব দাবীদারের ডামাডোলে ওদের কথা ভুলে গেছি আমরা। সেই সব অনালোচিত, ভুলে যাওয়া অমুক্তিযোদ্ধা স
ধরা যাক প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের রাজনীতি, যুদ্ধের নেতৃত্ব, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র কিংবা একাত্তর পরবর্তী চারটি বছর যে রক্তাত্ত ইতিহাসের মাঝ দিয়ে বেড়ে উঠেছিলো বাংলাদেশ, তার কিছুই জানে না। জানে না বঙ্গবন্ধু হত্যা তথা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে কে বা কারা কাজ করেছিলো প্রকাশ্য দিবালোকে আর একান্ত সঙ্গোপনে। জানে না একাত্তরের রণাঙ্গনের দেবদূত হয়ে ওঠা আদর্শের প্রবাদ পুরুষ একজন খালেদ
সানাউল্লাহ ছুটছেন গ্রামকে গ্রাম পেছনে ফেলে। পতিত জমির আল ধরে, মেঠো পথ ধরে, স্বাধীন বাংলার মানচিত্র আঁকা পতাকার খুঁটি ধরে। পতপত করে সে পতাকা উড়ছে ডিসেম্বরের শীতল হাওয়াকে পোষ মানিয়ে। মনে তাঁর আজ বিষম আনন্দ। তিনি ছুটছেন বাড়ীর উদ্দেশ্যে, যেখানে রেখে এসেছিলেন কিশোর পুত্র আর কৈশোর পেরোনো কন্যাকে। নিশ্চয় তারা দেশ স্বাধীন হওয়ার খবর শুনেছে? নিশ্চয় দিন গুনছে বাবার ফিরে আসার?
আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস বই আর পড়ার বিষয়বস্তুর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হল গল্প আর ইতিহাস আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হবে ইতিহাসের গল্প। আর বাংলাদেশের ইতিহাসের গল্প নিজের বলেই সেটা অনুভূতিতে ভাসায় সবচেয়ে বেশি। “সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ” ঠিক তাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণিল, উত্তাল, গর্বের সময়ের গল্প, হতাশা আর আশা পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে হাটার সময়ের গল্প। এদেশ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ের সংগ্রাম , নতুন দে
আম আর দুধে মিশে যায়... দিন দিন...
যেমন মিশে যায় দুই গাঢ় সবুজের ছায়াগুলো।
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় গাঢ় লাল সূর্যটা
সেখানের সবুজ আকাশে উঠে আসে- একটি সাদা তারা
আর একটি সাদা ফালি চাঁদ...
প্রিয়.কমের একটি খবরে দেখলাম এ.টি.
(এই লেখাটি পত্রিকার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু বইমেলার সময় আর বেশি নেই আমি উইথড্র করে এখানে দিয়ে দিলাম।)