ঘটনাক্রম ৭১: আরশ আলী’র রক্তে রাঙ্গা ‘বাইব্‌না’

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৪/০৫/২০১৫ - ৪:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ব্রজগোপাল সরকার একজন মুক্তিযোদ্ধা। ব্রজগোপাল সরকার ৫ নম্বর সেক্টরে ৫ নম্বর সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নিজের নিরাপদ অবস্থান কে উপেক্ষা করে বাবা-মা ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠদের থেকে পালিয়ে চলে যান মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরে। উনার গৌরবময় যুদ্ধজীবনের কিছু ঘটনা প্রকাশ করলাম আজ। ঘটনার প্রতিটি শব্দ ব্রজগোপাল সরকার এর; আমি শুধুমাত্র লিপিকার এর দায়িত্বে। সম্পর্কে তিনি আমার পিতা।]

শরৎ এর শুরু। টানা ক’দিন বৃষ্টির পর রোদ উঠেছে। দারুন গরম পড়েছে।

আমরা ৩০ জনের মুক্তিযুদ্ধের একটি দল দিরাই থানার (সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত) ভাটিপাড়া হাই স্কুলে ক্যাম্প করে আছি। টেকের ঘাট হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার জয়কলস থেকে দিরাই নদী পথে পাকসেনাদের চলাচলের সময় সুযোগ বুঝে আক্রমন করি।

১৪ সেপ্টেম্বর আমরা ১৫ জনের একটি দল দুটি ছৈ- ওয়ালা ও একটি খোলা নৌকা নিয়ে জয়কলস বাজারের কাছে দিয়ে প্রবাহিত কালনী নদীর দিকে রওনা দিলাম। জয়কলস বাজার সুনামগঞ্জ বাজার থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরে। কালনী নদী দিয়ে গিয়েই পাকসেনারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানা সদর দিরাই আক্রমণ করে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করে এবং এখান থেকেই হাওড় এলাকার গ্রাম, হাট-বাজারে সাধারন মানুষের উপর আক্রমণ চালায় ও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।

আমরা কিছুদুর যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা আরেকটি দলের সাথে আমাদের দেখা হয়। অনেকেই পূর্ব-পরিচিত একসাথে ট্রেনিং নেয়ায়। ঐ দলের একজন আরশ আলী, জানতে পারল যে আমরা তার বাড়ীর কাছেই যাব। অনুরোধের সাথে আরশ জানায়, মাস তিনেক আগে বাবা-মা কে না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারতে গিয়েছিল সে। আমাদের সাথে সে ও যাবে, বাবা-মা কে একনজর দেখবে। কমান্ডারের অনুমতি নিয়ে খুশিমনে আমাদের সাথে নৌকায় উঠল। সন্ধ্যায় কালনী নদীর কাছাকাছি পৌঁছে খোলা নৌকায় আমরা ১০ জন একটি খাল দিয়ে নদীতে ঢুকে মাইল দুই-এক উজান বেয়ে অন্য খাল দিয়ে হাওড়ে ফিরে আসি। এরপর রাত কাটাতে দশগাঁও গ্রামে যাই। গ্রামে ছনের দু-একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। এ গ্রামের সকলেই হিন্দু। বর্ষার শুরুতে জয়কলস বাজারে মিলিটারি আক্রমনের পর প্রাণভয়ে সব ফেলে তারা ভারতের বালাট শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। রাজাকাররা গ্রামবাসীর ফেলে যাওয়া সকল সম্পদ, গরুবাছুর লুট করে। রাতে কোনরকমে ভাত আর আলুর ঝোল রান্না করে খাবার সারলাম। ঐ রাতে দুজন করে পালাক্রমে সকলেই পাহারা দেই। আরশ আলী আর আমি একসাথে পাহারায় ছিলাম। সারাক্ষণ সে বাড়ির গল্প করছিলো। আমরা তাকে সাথে এনেছি এর কৃতজ্ঞতায় বলছিল দাদা আপনি ঘুমিয়ে পরুন আমি একাই পাহারা দিবো। স্বাভাবিক, আমি দায়িত্বটা বাদ দেইনি।

সূর্য উঠার আগেই আমরা পুনরায় কালনী নদীর পাড় থেকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে ‘বাইব্‌না’ নামের গ্রামে পৌঁছি। মাঝখানে একটি খাল, দুই পাড়ে দুই পাড়া। খালের পূর্ব পাড়ে মুসলিম ও পশ্চিমে হিন্দু পাড়া। খালে নৌকাগুলি রেখে হিন্দু পাড়ায় উঠলাম। পাড়াটি ছিল জনশূন্য, মিলিটারির ভয়ে সব কিছু ফেলে ভারতে চলে গিয়েছে। ঐ পাড়ায়ও দু-একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নাই। আমরা একটি ঘরে ঢুকে খিচুড়ি রান্না করে সকালের খাবার সেরে নৌকায় গিয়ে বিশ্রাম নিলাম। আমরা এখানে পৌঁছে যা দেখলাম সকলের বাড়িতেই পাকিস্তানের পতাকা টাঙ্গানো। ছোট ছোট নৌকা পাকিস্তানের পতাকা টাঙ্গিয়ে এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে। একটি নৌকা পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে আমাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নৌকার লোকটিকে ডেকে পতাকা নামিয়ে দিলাম এবং বুঝিয়ে দিলাম এটা পাকিস্তান না, এটা বাংলাদেশ!

সকাল গড়িয়ে বিকালে আমরা যখন অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, এমন সময় একটি নৌকায় মুন্সি ধরনের একজন লোক একটি বাচ্চা সহ আমাদের কাছে এসে গল্প শুরু করলো। আমাদের বারবার তার বাড়িতে যেতে অনুরোধ করতে লাগলো। ঠিক তখন মুসলিম পাড়া থেকে একজন লোক চিৎকার করে বলছিল ‘আপনারা গল্প করতাছেন, আর এইদিকে মিলিটারি আইয়া পড়ছে’। শুধু চিৎকার শুনলাম, লোকটাকে দেখলাম না। সাথে সাথেই গুলি আর ব্রাশফায়ার। তাৎক্ষনিক যে যেভাবে পারে নৌকা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। ঐ মুন্সি গোলাগুলির শুরুতেই কেটে পড়েছিল। কমান্ডার আব্দুল মজিদ এল.এম.জি নিয়ে পানিতে পড়লেন। আমি এল.এম.জি’র দুইটি গুলিভর্তি ৬টি ম্যাগাজিন সহ একটি কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে দ্রুত নৌকা থেকে পানিতে পড়ে কোনরকমে হিন্দু পাড়ায় উঠলাম। তখন আমি শুধু কমান্ডার ছাড়া কে কোনদিকে গেছে জানি না। পাড়ায় উঠেই আমরা একটি মাটির ভিটাকে আড়াল করে শুয়ে পজিশান নিলাম। কমান্ডারের হাতে একটি করে ম্যাগাজিন দিলাম আর উনি শুয়ে ব্রাশফায়ার করলেন। পাকসেনারাও ব্রাসফায়ার করছিলো। দু পক্ষের ব্রাশফায়ারে ১০-১২ মিনিট গুলির শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায়নি।

আমাদের ৬টা ম্যাগাজিনের গুলি শেষ হওয়ার পরও অন্যপাড় থেকে গুলি আসতেই থাকে। আমরা দুইজন তখন কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পরলাম। চারদিকে জল। মাঝে মাঝে কচুরিপানা। আমাদের নৌকায় অনেক গোলাবারুদ, অটোমেটিক রাইফেল থাকা সত্ত্বেও আমরা অসহায়। নৌকা থেকে হাতিয়ার ও গুলি নিয়ে আসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নৌকাগুলি পাকসেনাদের আওতার মধ্যে। একপর্যায়ে কমান্ডার পাকসেনাদের কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিলো। আমি বললাম, ‘দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেই যুদ্ধ করতে এসেছি। মরবো তবুও আত্মসমর্পণ করবো না।’ তখন তিনি আমাকে নৌকা থেকে গুলির বাক্স আনতে বললেন। আমি নৌকায় গুলি আনতে যাব,ঠিক তখনই আমাদের দলের একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসূল,যাকে আমি রসূলদা বলে ডাকতাম, ক্রলিং করে খালি হাতে আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন হাতিয়ার আনতে আমিও নৌকায় যাব। উনার কথায় আমার সাহস অনেক বেড়ে গেল। আমি দ্রুত ও সতর্কতার সাথে পানিতে নেমে নৌকার দিকে এগিয়ে গেলাম। আমি নৌকায় উঠে পরলাম, রসূলদা নৌকায় উঠার চেষ্টা করতেই মিলিটারি তাকে লক্ষ্য করে গুই করলো। তাঁর বামহাতে গুলি লাগলো, মারাত্মকভাবে তিনি আহত হন। ঐ অবস্থায় আমি একটি গ্রেনেডের বাক্স উনার হাতে দিলাম। উনি একহাতে গ্রেনেডের বাক্স নিয়ে আহত অবস্থায় আর আমি এক হাজার গুলির একটি বাক্স নিয়ে অক্ষত অবস্থায় নৌকা থেকে নেমে সাঁতরিয়ে এবং কাঁদার মধ্যে গড়িয়ে কোনরকমে পাড়ে উঠলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য মেশিনগান আর ম্যাগাজিনে কাঁদা লেগে ওগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গুলি বের হচ্ছিল না। কোনও অবস্থাতেই শত্রুরা যেন আমাদের অবস্থান বুঝতে না পারে এজন্য আমরা ক্রলিং করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছি। উপায় না পেয়ে আমরা তিনজন যখন সরে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম তখনই আমাদের দলের অখিল ভৌমিক ও সিরাজ মিয়া একটি করে এস.এল.আর হাতে এবং আরশ আলী ও তৈবা সিং খালি হাতে আমাদের কাছে আসলেন এবং বললেন পালিয়ে যাওয়ার কোনও পথ নেই,সামনে মিলিটারি আর তিনদিকে পানি। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাব। আমরা একটি উঁচু ভিটার মাটিকে আড়াল করে কাঁদার মধ্যে বসে পজিশান নিলাম। আমি আর আরশ আলী দলে সবচেয়ে ছোট বলে কমান্ডারের কথায় ম্যাগাজিনে গুলি ভরে তাদের সাহায্য করছিলাম। আরশ আলী আমার বাম পাশে বসেছিল, আমাদের অন্য দুজন দুটি এস.এল.আর দিয়ে একটানা গুলি করছিলো। ঐ পক্ষ থেকেও ব্রাশফায়ার হচ্ছিল। তৈবা সিং আড়াল ছেড়ে একটু এগিয়ে গিয়ে মিলিটারিদের লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারল। হঠাৎ গড়গড় আওয়াজ, আরশ আলী মাটিতে ঢলে পড়ল! পাকসেনাদের একটি গুলি তাঁর বুক ভেদ করে চলে গেছে। বুকের বাম পাশ থেকে রক্ত বের হচ্ছে, রক্তে আমার গা ভিজে যাচ্ছে! আরশ আলী একটি কথাও আর বলতে পারলনা। তাঁর মৃত্যু দেখে কিছুক্ষনের জন্য সবাই থমকে গেলাম। পর মুহূর্তে আরও দৃঢ়তা নিয়ে যুদ্ধ শুরু করলাম। শপথ নিলাম, পাকসেনাদের আমরা পরাজিত করবোই!

হঠাত প্রচণ্ড বাতাস আর তুমুল বৃষ্টি শুরু হল, যেনো আরশ আলীর মৃত্যুতে প্রকৃতি ও অভিমান ও রাগ করেছে। অন্ধকার ঘনিয়ে এল, মাঝে মাঝে বৃষ্টি চমকাচ্ছিল। লক্ষ্য করলাম পাকসেনারা বিরতি দিয়ে গুলি ছুড়ছে। এমন সময় বিজলীর আলোতে দেখলাম হামাগুড়ি দিয়ে একজন লোক আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমরা প্রায় সকলেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পরলাম এবং গামছা দিয়ে তাকে বেঁধে ফেললাম। তখন সে আমাদের অনুরোধ করে বলতে লাগলো, ‘আমাকে আপনারা মারবেন না। আমি কালা মিয়া। আমিই আপনাদের সতর্ক করে কইছিলাম মিলিটারিরা আইয়া পড়ছে। অহন কইতাছি শালারা ভাগতাসে, আগাইয়া গেলে ধরন যাইবো’! ইতোমধ্যে মিলিটারিরা গুলি করা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কালা মিয়াকে বিশ্বাস করলামনা, আরও আধা ঘণ্টা গুলি ছুঁড়লাম। বৃষ্টি থেমে গেলে প্রচণ্ড বাতাস বইছিল। ঘোর অন্ধকার, রাত আনুমানিক ৯ টা। আরশ আলীর লাশ নৌকায় তুলে ভাঁটিপাড়ার দিকে রওনা দিলাম। কালা মিয়াকে সাথে করে নিয়ে আসলাম। রাত আনুমানিক ১২ টায় ভাঁটিপাড়ায় পৌঁছলাম। গ্রামের লোকজন নিয়ে রাতেই আরশ আলীকে কবর দিলাম।

কালা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম। জানালো, যে মুন্সি আমাদের নৌকার কাছে গিয়েছিল, সেই মুন্সি এই এলাকার বড় দালাল। যে লোকটার নৌকা থেকে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে দিয়েছিলাম, সে মুন্সির ভাতিজা। মুন্সি তাঁর ভাতিজার কাছ থেকে আমাদের কথা জেনে জয়কলস থেকে মিলিটারিদের খবর দিয়ে এনে আমাদের ধরিয়ে দিতে চেয়েছিল। কালা মিয়ার কথা শুনে ঐ রাতেরই শেষ প্রহরে কালা মিয়াকে সাথে নিয়ে আমরা আরো দুজনে দালাল মুন্সিকে ধরতে ‘বাইব্‌না’ গ্রামে তাঁর বাড়িতে গেলাম। কিন্তু তাকে পেলাম না।

পরের দিন ভাঁটিপাড়া হাইস্কুলে আমরা সকলে একত্রিত হলাম। স্কুলের বারান্দায় বসে গল্প করছিলাম আমরা। একজন বয়স্ক লোক একটি কিশোর ছেলেকে নিয়ে আমাদের কাছে আসলেন সেসময়। জানালেন, আরশ আলী নামে তার ছেলে আছে একজন। প্রায় তিন মাস আগে বাড়ীর কাউকে কিছু না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারতে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় গুলাগুলির আওয়াজ শুনে ভাবলেন আশেপাশে কোথাও মুক্তিবাহিনীর লোক আছে। তাঁদের কাছে গেলে আরশ আলীর খবর পাওয়া যাবেই। ভদ্রলোকের কথা শুনে আমরা অনেকেই কেঁদে ফেললাম। তিনি বললেন, বাবারা তোমরা কাঁদছ কেন? তখন কমান্ডার আব্দুল মজিদ সবকিছু খুলে বললেন। কিশোর বালকটি তখন ভাই ভাই বলে কাঁদতে লাগলো। আরশ আলীর বাবা কাঁদলেন না, গর্ব ভরে তিনি বলতে লাগলেন, ‘আমার আরশ দেশ স্বাধীন করার জন্য শহীদ হয়েছে। আমি বাড়ি গিয়ে আরশের মাকে বলবো এক আরশকে খুঁজতে গিয়ে অনেক আরশকে খুঁজে পেয়েছি। আমাদের আরশ মরেনাই। তাঁর রক্তে এই দেশ স্বাধীন হবে। দেশের অনেক উন্নতি হবে। তখন সবাই আরশ আলীর কথা বলবে। মুক্তিযোদ্ধা আরশ আলীর মাকে মা বলবে। এর চেয়ে বড় কি আছে? এর চাইতে বড় পাওনা কি কিছু আছে?

ঐদিন আরশ আলীর বাবা আর ভাই আমাদের সাথে থেকে গেলেন। পরের দিন বিদায় বেলা আরশ আলীর বাবা বারবার আমাদেরকে বললেন, দেশ স্বাধীন করার পর আমরা যেন আরশ আলীর মাকে দেখতে যাই।

আমরা কথা দিয়েছিলাম শহীদ আরশ আলীর পরিবারের সাথে দেখা করতে যাবো। আরশ আলীর বাবা চেয়েছিলেন স্বাধীন দেশ উন্নত হবে। আরশদের কথা মনে রাখবে সকলে। দেশ স্বাধীন হয়েছে চার দশকেরও বেশি সময়। অন্য অনেক প্রতিশ্রুতির মতো আরশ আলীর মাকে দেখতে যাওয়াও ভুলে গেছি।

সুশোভন অর্ক

ধন্যবাদান্তেঃ শাহেনশাহ ভাই, ঘটনাটি প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করার এবং ব্লগটি প্রকাশে সার্বিক সহযোগিতার জন্যে।


মন্তব্য

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই লেখাটার জন্য আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের এরকম অজানা গল্পগুলো উঠে আসুক বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকে। এই্ প্রজন্মের কাছে আমাদের বলার মতো, গর্ব করার মতো অনেক গল্প বাকী রয়ে গেছে। সেই গল্পগুলো একদিন আমরা সংকলিত করে হয়তো কাগজেও প্রকাশ করবো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুশোভন  এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা! আপনাদের সহযোগিতায় আশা করি আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ব্রজগোপাল সরকার এর যুদ্ধ জীবনের সকল কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো।আমার বাবা'র জন্য দোয়া করবেন!

হিমু এর ছবি

ব্রজগোপাল সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা আরো শুনতে চাই। নিয়মিত লিখুন।

সুশোভন  এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা! আপনাদের সহযোগিতায় আশা করি আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ব্রজগোপাল সরকার এর যুদ্ধ জীবনের সকল কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো।আমার বাবা'র জন্য দোয়া করবেন!

সুশোভন  এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা! আপনাদের সহযোগিতায় আশা করি আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ব্রজগোপাল সরকার এর যুদ্ধ জীবনের সকল কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো।আমার বাবা'র জন্য দোয়া করবেন!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আরশ আলীর বাবার প্রসঙ্গ আসতে আমারই চোখে পানি চলে আসল...

শাহেনশাহর কাছে আপনি লিখছেন জেনে খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। ব্রজগোপাল সরকারের সমস্ত বর্ণনা লিপিবদ্ধ করুন। আমরা আছি আপনার সাথে।

আর হ্যাঁ রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলুন ছটপট।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কী আশ্চর্য্য যোগাযোগ!
আমি গতকাল ঢাকা থেকে ফিরেছি। দুইদিন ধরে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছি সালেহ চৌধুরীর কাছ থেকে- যিনি টেকেরঘাট সাব সেক্টরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দিরাই শাল্লা অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন।
সালেহ চৌধুরী শহীদ আরশ আলীর কথা বলছিলেন। তার অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা দলগুলোর প্রথম শহীদ আরশ আলী। আমি এই মুহুর্তে অডিও তে শুনছিলাম সালেহ চৌধুরীর ভাষ্যে আরশ আলীর কথা এবং সচলায়তনে ঢুকতেই সেই গল্প!

আপনার বাবাকে আমার জরুরী ভিত্তিতে দরকার। কিভাবে যোগাযোগ করবো জানান।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুশোভন  এর ছবি

০১৬৭৫৭৪৪৩০১
এই নাম্বারে আপনি ফোন করতে পারেন হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনি যে এলাকার যুদ্ধের কথা লিখলেন, প্রায় পুরো এলাকাই আমার দেখা। পড়তে পড়তে কল্পনাও করতে পারছিলাম কিছুটা। আমার চাচারা এই এলাকায় ছিলেন কিছুদিন।

গণযুদ্ধের এসব কথামালা লিপিবদ্ধ করা খুব প্রয়োজন। আরো লিখুন। বাবার কাছ থেকে যতটা পারুন আদায় করুন। আমরা অনেকেই পারিনি। আপনি সেই না পারার ক্ষতে কিছুটা হলেও মলম লাগিয়ে দিন।

সুশোভন  এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য!

অপ্রস্তুত লেনিন এর ছবি

আরও গল্প পোস্ট দেয় । বজ্রগোপাল সরকারের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।।।

J Roy Joy এর ছবি

দাদা, কাকুর কাছ থেকে আরো গল্প কালেক্ট করুন এবং আমাদের জন্য নিয়মিত প্রকাশ করলে কৃতজ্ঞ থাকব। আর আমদের জেলার অজানা সব ঘটনাও জানব।

হাসিব এর ছবি

একটা সিরিজ করতে পারলে খুবই চমৎকার হয়। সাথে যদি অডিও ভিডিও সাক্ষাৎকার জুড়ে দিতে পারেন তাহলে সেটা অক্ষয় কীর্তি হবে।

রানা মেহের এর ছবি

ব্রজগোপাল সরকার সচলায়তনকে নিজের কথা বলার জন্য নির্বাচিত করেছেন,
এজন্য সচলায়তনের একজন সাধারণ সদস্যের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

খুব ভাল হয় যদি সচলে রেজিস্ট্রেশন করে নেন এবং মুক্তিযুদ্ধে উনার পুরো অভিজ্ঞতা সিরিজ আকারে লেখেন। তার সাথে হাসিব ভাই যেটা বললেন অডিও ভিডিও সাক্ষাৎকার থাকলে সেটা অমূল্য সংযোজন হবে।

ভাল থাকবেন। আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সালেহ চৌধুরীর বয়ানে এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলো শুনছি কিছুদিন ধরেই। জায়গার নামগুলো এতো চেনা হয়ে গেছে। আরশ আলী নামটাও...

অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। অনুরোধ করি, আপনার বাবার যুদ্ধকালীন স্মৃতির পুরোটা তুলে রাখুন। খুব জরুরী...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।