প্রলয়ের দিনে,
তেপনের চারপাশে মৌমাছি চরে
জেলে জোড়ে ঝকমকে জাল
সুখী তিমিকের দল লাফায় সায়রে
কিশোর চড়ুই খেলে ছাতের নালার কাছে
সাপগুলো সোনালিবরন, যেমন হওয়ার কথা।
প্রলয়ের দিনে,
ছাতা কাঁধে রমণীরা মাঠ ধরে হাঁটে
উঠোনের পাড়ে বসে ঝিমোয় মাতাল
সব্জিওয়ালা এসে চেঁচায় গলিতে
দ্বীপ ঘেঁষে আসে এক হলুদ পালের নাও
অফুরান বেহালার স্বরটা হাওয়ায়
নিয়ে যায় তারাভরা রাতে।
আর যাদের আশঙ্কা ছিলো বাজ-বিজুলির
কর্ণছোঁয়া লাল লেলিহান শিখা
ঘুরছে উঁচু, শক্তিশালী ফাঁদ
আদর্শ আমার মানচিত্র হয়ে
জ্বলছে আগুন রাস্তা থেকে ছাদ।
"প্রান্তসীমায় দেখা হবে শিগগীর"
তপ্ত ভুরুর নিচে আমার গর্বিত উচ্চারণ,
আহ, কিন্তু তখন অনেক বুড়ো ছিলো মন
এখন আমি তার চেয়ে তরুণ।
এগিয়ে যায় যত অর্ধ-বিধ্বস্ত সংস্কার
"নিভিয়ে ফেলো সব ঘৃণা" আমার চিৎকার
জীবন যে সাদা-কালো এমন মিথ্যাগুলি
বলেছে যেন আমার মাথার খুলি।
ঘটনাকে শিকার করতে গিয়ে ঘটনার শিকারে পরিণত হবার অভিজ্ঞতা আপনার আছে? ব্যাপারটা শুনতে হাস্যকর মনে হলেও আমার জন্য মর্মান্তিক ছিল। কারণ সেরকম একটা ঘটনার শিকার হয়ে আমি এখন ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলার অপেক্ষায় নির্জন কারাকক্ষে বসে আছি।
ঘটনাটি বলা যাক।
ধরা যাক আমার নাম মারফি। যে অস্বাভাবিক ঘটনাটি আমাকে এখানে এনে ফেলেছে সেটার সাথে আরো একজন জড়িত। তার নাম কেলি। আমরা দুজনই ছিলাম ট্যাক্সিডার্মিস্ট। ‘ট্যাক্সিডার্মিস্ট’ শব্দটা আপনার কাছে অচেনা হলে আমাকে একটু ব্যাখ্যা করতে হবে। তবে ট্যাক্সিডার্মি কী সেটা বোঝানোর জন্য আমি দীর্ঘ প্রবন্ধ ফাঁদবো না। শুধু বলি শব্দটা যেমন বিশ্রী, তেমনি অসম্পূর্ণ। সাধারণভাবে বলতে গেলে ট্যাক্সিডার্মিস্ট হলেন এমন একজন বিশেষজ্ঞ যিনি একাধারে প্রাণীবিদ, প্রকৃতিবিদ, রসায়নবিদ, ভাস্কর, চিত্রকর এবং কাঠমিস্ত্রী। যে লোক একসাথে এতগুলো কাজের সাথে জড়িয়ে থাকে তার মেজাজ একটু তিরিক্ষি হতেই পারে, তাই না?
কবিতাটার খোঁজ পেয়েছিলাম খোমাখাতায়, সচল দ্রোহীর একটি মন্তব্যে। কবিতাটা পড়ে মনের মধ্যে একটি অস্থিরতা শুরু হলো, বুকটা কোথায় যেন ধক করে উঠল। মন চাইছিল নিজের মতো করে, নিজের ভাষায় সেই গল্পটা ছড়িয়ে দেওয়ার। তাড়াহুড়ো করেই তাই অনুবাদের চেষ্টা করে ফেললাম। মূল কবিতাটা পাওয়া যাবে এখানে…
মাক্তুব, ভাবল ও।
“আরে কী হলোটা কী, জিজ্ঞেস করো!” ইংরেজের কথায় সম্বিত ফিরে পেল সান্টিয়াগো।
মেয়েটির কাছাকাছি গেল ও। ইতস্তত করে একটু হাসল।
“আপনার নামটা জানতে পারি কি?”
“ফাতিমা,” চোখের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে নিতে বলল মেয়েটি।
“ও আচ্ছা... আমাদের দেশের মেয়েদেরও এই নাম হয়।”
মূলঃ এন্ডি উইয়ারের The Egg অবলম্বনে
মারা যাওয়ার পর তুমি তোমার গন্তব্যে যাচ্ছিলে।
একটা সড়ক দুর্ঘটনা ছিলো। তেমন আহামরি কিছু নয়, যদিও মরণঘাতী। স্ত্রী আর দুই সন্তান রেখে গিয়েছিলে। যন্ত্রণাহীন মৃত্যু। ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম (ইএমটি) তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো তোমাকে বাঁচাতে, পারেনি। তোমার শরীর এমন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো, বিশ্বাস করো এই ভালো হয়েছে।
সূর্য উঠতে উঠতে সান্টিয়াগোর ঘুমও ভেঙ্গে গেল। যেখানে আগের রাতে চোখের সামনে তারার মত বিন্দু বিন্দু আলো দেখেছিল ও, এখন সেখানে শুধু সারি সারি খেজুর গাছ, যতদূর চোখ যায়।
“বাব্বাহ, আমরা শেষ পর্যন্ত আসতে পারলাম তাহলে!” বলল ইংরেজ, সেও উঠে পড়েছে।
আজ ওনার জন্মদিন। সব মানুষই নিজের জীবন দিয়ে যা বুঝতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে ৮৫ বছর বয়সে এই অসাধারণ কবিতাটি লিখেছিলেন লেখকদের লেখক খ্যাত হোর্হে লুইস বোর্হেস, ৮৬ বছরে তিনি মারা যান দুর্দান্ত এক জীবন শুষে নেওয়া জীবনের শেষে। কোন এক বৃষ্টি ভেজা দিনে আনমনে দুর্বল অনুবাদ করেছিলাম ইংরেজিতে থেকে (স্প্যানিশ ভালো পারি না বিধায়)- ( ছবিটা সাহারা মরুভূমিতে তোলা)
'যদি আরেকবার জীবন শুরু করতে পারি'
এই গল্পটা আপনি বিশ্বাস করবেন না এবং হেসে উড়িয়ে দেবেন তা প্রায় নিশ্চিত। তবু যেহেতু কোন এক কবি বলেছিলেন, “পৃথিবী ও স্বর্গে এমন কিছু ঘটে যার সবটুকু আমাদের আয়ত্বের মধ্যে নেই….” সেহেতু আমি ঘটনাটা বলবো। কাহিনীটা বিচিত্র খামখেয়ালীপূর্ণ একটি ঘড়ি নিয়ে।
ঘড়িটা কিভাবে আমার কাছে এলো সেই ঘটনায় যাবার আগে দুনিয়ার ঘড়ি জাতির চরিত্র বিষয়ে দুটো কথা বলে নেই।
পৃথিবীতে সাধারণত দুই জাতের ঘড়ি আছে। প্রথম জাতটা হলো সে দিনের পর দিন ভুল সময় দেখিয়ে যাবে, সে জানে সে হদ্দ ভুল- তবু তাতে কোন লোকলজ্জা নেই তার, বরং ভুল সময়ের কাঁটা ঘুরিয়ে সারা দুনিয়াকে কাঁচকলা দেখিয়ে যাবে। এদের আমি বলি ‘ফটকা ঘড়ি’। দ্বিতীয় জাতের ঘড়ি হলো, সে চিরকাল সঠিক সময় দেবে শুধু যেদিন তার উপর ভরসা করবেন সেদিনটা বাদে। এই জাতের ঘড়িদের আমি ‘সাধু ঘড়ি’ বলি।
বড় প্রাণীদের মধ্যে বাঘ একসময় এখানে অসংখ্য ছিল অথচ এখন একেবারেই নেই। এটা অবিশ্বাস্য যে ১৮৬৪ সালের ডিসেম্বরে শিকারিদের একটি দল ২৫৭টি বাঘ এবং চিতাবাঘের খুলি নিয়ে এসে পুরস্কার হিসেবে ৭০০ টাকা নিয়ে গিয়েছিল।