মোর আপনার চেয়ে আপন যে জন
খুঁজি তারে আপনায়...
নিজের চেয়েও যে আপন-
সে কেমন আসলে?
মানবজীবন যখন পাঠশালা
সেই পাঠশালায় পড়াশোনা কেমন হয়-
তা বোঝাতে সাধু কাজী নজরুলকে ডেকে এনেছেন।
কাজী নজরুল সেখানে পড়েছেন।
নিজের ভেতরকে জেনেছেন।
ভেতরের আমিকে খুঁজেছেন।
খুঁজতে খুঁজতে
মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
০ (শূন্য)
।।।।।।।।।
কে আমি?
বিস্তৃত মহাকাশে ছুটে চলা সহস্র লক্ষ কোটি গ্রহ তারার মধ্যে
পৃথিবী নামের একটি গ্রহে- এই যে আমি;
কে এই আমি?
কী আমার পরিচয়?
৮৭ লক্ষ প্রজাতির জীব পৃথিবীতে আছে
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন।
এই এত জীবের মধ্যে মানুষই একমাত্র জীব
যে নিজের আত্মপরিচয় খুঁজে বেড়ায়-
আর কেউ নয়-
আড়াই হাজার বছর আগে
মানুষের লিখিত ইতিহাসের প্রথম যুগে
আদি শিক্ষক সক্রেটিসকে
অভিবাদন, আমার প্রেসিডেন্ট কেন ইউলিয়ামসন।
তোমাকে কেন আমার প্রেসিডেন্ট বলছি, অনেকে অবাক হলেও তুমি জানো
কেন তোমাকে আমার প্রেসিডেন্ট বলছি।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই,
লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে
ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর
তুমি পৃথিবীকে দেখিয়েছিলে, সত্যিকারের মানুষ কেমন হয়।
তোমার মধ্যে এই এই মানুষের রূপ দেখে
সারা পৃথিবীই সেদিন তোমাকে ভালবেসেছিল।
সে সময় রাহুল দেশাই নামে একজন টুইট করেছিলেন
শিক্ষক কে? যার কাছ থেকে শিখি।
কার কাছ থেকে শিখেছি? জীবনে, কারা ছিলেন আমার শিক্ষক?
এই প্রশ্নের উত্তরের আগে, একবার ভাবিতো-
কী শিখেছি আমি?
যা শিখেছি- তা কীভাবে শিখেছি?
প্রশ্নটা মহাশূন্যের মতো বিশাল। কী শিখেছি আসলে, এই জীবনে?
ভাবলে মনে হয়, এক অসীম শূন্যতার মধ্যে এসে পড়েছি। জীবন মানেইতো শেখা। শিখে চলা।
কত কি দেখেছি জীবনে! কত কি শুনেছি জীবনে। কত কি পড়েছি, জেনেছি।
কথামালা....
কখনও তা দুটো চিন্তার। দুটো অনুভবের। দুটো হৃদয়ের।
কথামালা মানে, সবসময় কাছে আসার জন্য তা কিন্তু নয়।
কখনও অনেক কথা বলি আমরা, দূরে যাওয়ার জন্যও।
দূরে গিয়ে কাছে আসার জন্য।
এই কথামালাটা ধরা পড়েছিলো কানের রাডারে।
একটা পার্কে, তখন সন্ধ্যা নামছে।
আকাশে অনেক পাখি। বাড়ি ফেরার আগে শেষ আলোয় গোসল করে নিচ্ছে।
একটা ছাতিম গাছ, তার তলায় আমি হেলান দিয়ে ছিলাম।
এই জীবনে কতভাবেই না আমরা ‘আমি’ হয়ে উঠতে পারি
ভাবুক মানুষটা তার উত্তর খুঁজে বেড়ায়,
আর রাতভর মোমবাতিটা কেবল জ্বলে যায়।
হীরে তো আসলে একটুকরো পাথরই শুধু, তাই না
যে জেনে গিয়েছিল কীভাবে উজ্বল হয়ে উঠতে হয়?
শহীদের রক্ত কি ভবঘুরের মাতাল গ্লাসের
এক চুমুক মদিরার চেয়েও বেশি পবিত্র?
দূর পৃথিবীর পথে কোন এক অমল ভোরে
কখনও কি কথা হয়েছিল তোমার সাথে আমার?
তিরের আঘাত থেকে কি বাঁচিয়েছিলে আমায় কখনও
রঙীন খেলনাগুলো যখন তোমার জন্য নিয়ে আসি খোকা
তখন বুঝতে পারি; চারদিকে কেন এত রঙের খেলা
ঐ মেঘে, ঐ জলে। আর কেনই বা ফুলেরা এত রঙে রঙ করা
বুঝি খোকা, রঙীন খেলনাগুলো যখন তোমার হাতে তুলে দেই।
যখন তুমি নাচবে বলে গান গেয়ে উঠি
তখন আমি সত্যি জেনে যাই; কেন গাছের পাতায় সুর ওঠে, আর কেনই বা
সমুদ্রের ঢেউগুলো একসাথে কল্লোল করে ওঠে পৃথিবী শুনবে বলে
বুঝতে পারি আমি, যখন গান গেয়ে উঠি তুমি নাচবে বলে।
মনের মধ্যে
একটু পর পর এক জোড়া চোখ ভেসে উঠছে।
তাকিয়ে আছে।
নীরব কথায় পরিপূর্ণ দুটো চোখ।
কথাগুলো আমার মধ্যেও কোথাও আছে।
টের পাচ্ছি। অনুভব করতে পারছি।
খুবই কষ্ট হচ্ছে।
শিল্পির মৃত্যুতো এমনই। যার সাথে সাথে আমাদেরও মৃত্যু হয়।
আমাদের গভীর অনুভূতিগুলো
আমাদের গভীর স্বপ্নগুলো
আমাদের গভীর বেদনাগুলো
গভীর আনন্দগুলো
আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে
অবচেতন হয়ে, তার হদিসগুলো আমরা ঠিক মতো জানিই না।
কখনও এমন সময় আসে
কোথাও ফেরা যায় না।
এমনকি স্মৃতির মধ্যেও।
যাওয়ারও কোথাও থাকে না।
ভবিষ্যতগুলো বর্তমানে এসে
বোকার মতো বসে থাকে।
তখন আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে থাকি
সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকি।
যখন হাঁটি, পা ফেলি
তখনও কোথাও যাই না…
সেই কত হাজার বছর আগে
সেই রকম একটা সময়ে
আমি ছিলাম পাহাড়ি গ্রামে।
বান্দরবনের মুরংপাড়ায় বসে বসে তাকিয়ে দেখতাম
পাহাড়।
কখনও কুয়াশায় মোড়া।
১! নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
প্রতিদিন ভোরে উঠিয়া মনে মনে মন থেকে বলে
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি
২। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
কোমল স্বরে কথা বলে।
তাহারা উচ্চস্বরে কথা বলতে জানেই না।
৩। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
জাতির পিতার মৃত্যুদিবসে নিজের ছবি টাঙায় না।
৪। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
মিথ্যাকে সত্যের মতো বলে না।
৫। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা