'বাংলা দেশের রং যে নীল তা এই সব যাত্রায় খুব টের পাওয়া যেত- আকাশ নীল, বাতাস নীল,প্যাডলের আঘাতে ফেনিল জলটুকু ছাড়া পুরো মেঘনা কালচে নীল, তীরের পাটখেত নীল, সুপুরি-নারকেল বন নীল, গ্রামের গাছগাছালি নীল, ধূ ধূ জলের দূরের তীরও শুধু একটা হালকা নীল রঙের রেখা। এই নীল জীবনানন্দ আরো অনেক বেশি দেখেছিলেন :
অশ্বত্থে সন্ধ্যার হাওয়া যখন লেগেছে নীল বাংলার বনে
কবিতা কী এইটা বড়ো মুশকিলের প্রশ্ন। এইটার উত্তর হয় ইশকুলের ছাত্রের মতো হয়; নাইলে হয় মাস্টরের মতো। কিন্তু কোনোভাবেই কবির মতো হয় না। আমি বরং কবিতার মইদ্যে কী পাই সেইটা বলি। কবিতার মইদ্যে আমি মূলত দুইটা জিনিস পাই। প্রথমত একটা পরিস্থিতি আর দ্বিতীয়ত সেই পরিস্থিতির অনুভূতি কিংবা প্রতিক্রিয়া। মানে ততক্ষণে মেঘ গর্জাইয়া বৃষ্টি শুরু হইয়া গেছে নাকি সুরঞ্জনা আরেক বেটার দিকে চইলা যাইতাছে সেইটা। তারপর কবি তার অন
আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের,পরে হাত,
সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙ্ক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে!
শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি।
তিব্বতের একটি গ্রাম দেখে জীবনানন্দের বিমুখ নেশনের কবিতা মনের মাঝে ঘুরে ওঠে, অতলান্তিক এবং ভারত মহাসাগরের মিলন স্থলের টেবিল পর্বত মনে করিয়ে দেয় বানিজ্যবায়ুর জন্য অপেক্ষমান নৌবহর আর নাবিকদের কথা, হাভানা বন্দরের ওপর পাশে কমলা রঙের সূর্য দেখি সেই সাথে দেখি কবির মুখ, বাদুড়ের আঁকাবাঁকা আকাশের নিচে যেন কবিরই প্রতিচ্ছায়া, উড়োজাহাজ থেকে বাংলার শ্যামল প্রান্তর দেখে সবার আগেই করুণ ডাঙ্গার প্রতি নিবেদন
আমার প্রিয় কবি সেই ডাঙা ছেড়ে পৃথিবীর পথে রূপ খুঁজতে যান নি, যেই ডাঙার পথে পথে নির্জন অঘ্রাণে ছড়ায়ে থাকা বটের শুকনো পাতা এক যুগান্তের গল্প ডেকে আনে, বন্ধুদের বলেছিলেন- তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও- আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব। বাংলার মুখ দেখে পৃথিবী রূপ খোঁজার ইচ্ছাও পোষণ করেন নি আর। মালাবারের সুনীল সমুদ্র, আর ঊটির পর্বতের শোভা দেখার আমন্ত্রণ অবলীলায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলার ভোরের দোয়েল প
এক জীবনানন্দকে নিয়েই জীবন পার করে দেয়া যায়। অন্যভাবে বলতে গেলে - জীবন নষ্ট করে দেয়া যায়। ছত্রে ছত্রে বিস্ময় ছড়িয়ে রাখেন এই কবি ---কথাগুলো লেখক আহমাদ মোস্তফা কামালের।
তিনি অনেক দূর থেকে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও জীবনানন্দের কবিতার সাথের ছবিগুলো নিয়ে ব্যপক উৎসাহ দেন সবসময়। এই পোস্টটি তার জন্য- আপনার উৎসাহের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় কামাল ভাই।
কতদিন ভোরের বাতাসে কাঁঠাল পাতা ঝরতে দেখি না, কুয়াশা ফুঁড়ে বের হওয়া গাঙশালিকের দল কেমন অপরিচিত হয়ে গেছে, মাথার উপরে সোনালি ডানার চিল ভর দুপুরে উড়ে না কেঁদে কেঁদে, চালতাফুল শিশিরের নরম গন্ধের ঢেউয়ে ভিজে না- কিন্তু আমি ভিজি, বছরের প্রতিটি দিন জীবনানন্দের কবিতা আমাকে সিক্ত করে, আপ্লুত করে, সেই ফেলে আসা চেনা জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।