Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

মায়াতরী

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: শুক্র, ১৯/০১/২০২৪ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ভাই পানি আছে?"

"আছে, মিনারেল না জগের পানি?"

"জগের পানিই দ্যান।"

লোকটা ঘাড় থিকা বড় একটা ছালার বস্তা ধপ্পড় কইরা নামায়া এক পাশে রাখলো। বস্তাওয়ালা গায়ে গতরে তাগড়া, বেশ গাইট্টা গুইট্টা। এই শীতের রাইতেও ঘাইমা পুরা গোছল কইরা ফালাইছে। মনে হয় অনেকক্ষণ ধইরাই সে এই বোঝা নিয়া বইয়া বেড়াইতাছে। কইত্থিকা আইতাছে, বুঝা গেল না। ওইপার যাইবো মনয়।


আকাশপথে ঘুমন্ত রূপবতীর সান্নিধ্যে

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ০৬/০৫/২০২৩ - ৯:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[দুটো কারণে গল্পটা অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রথম কারণ: এ ধরণের একটা অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিল বহুবছর আগে, থাই এয়ারওয়েজের সিউল-ব্যাংকক রুটের একটা ফ্লাইটে। তাই মার্কেজের লেখা এই গল্পটা পড়ে বিশেষ ভালো লেগেছিল। শুধু ভালো লাগলেই অনুবাদটা করতাম না যদি দ্বিতীয় কারণটি যোগ হতো। গল্পটি পড়ার পর বাংলা ভাষায় কেউ অনুবাদ করেছে কিনা খোঁজ নিতে গিয়ে কালি ও কলম পত্রিকায় ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি অনুবাদ পেলাম। কিন্তু সেই অনুবাদটি এত কুৎসিত যে মার্কেজের জন্য আমার রীতিমত করুণা হলো। তাঁর এত সুন্দর গল্পটাকে বাংলা ভাষায় এনে রীতিমত খুন করা হয়েছে। এই গল্পটা মার্কেজের জীবনের একটি সত্য ঘটনা নিয়ে লিখিত। ঘটনাটি তিনি Sleeping Beauty on the Airplane শিরোনামে লিখেছিলেন মেক্সিকো থেকে প্রকাশিত Proceso নামের একটি পত্রিকার ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সংখ্যায় ]

মেয়েটা ছিল অতীব সুন্দরী। গায়ের রঙ বাদামী, সবুজ অ্যালমণ্ডের মতো দুটো চোখ আর কাঁধ পর্যন্ত নেমে যাওয়া ঘন কালো চুল। চেহারার মধ্যে এমন একটা প্রাচীন আভিজাত্যের ছাপ, বোঝার উপায় নেই ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্দেজের মধ্যে কোন অঞ্চলের বাসিন্দা। পোশাক আশাকে সূক্ষ্ণ এবং মার্জিত রুচির ছাপ। একটা লিংক্স জ্যাকেটের সাথে হালকা রঙের ফুলের ছাপা সিল্কের ব্লাউস পরেছে। ঢিলেঢালা লিনেনের পাজামার সাথে পরেছে বোগেনভিলিয়া রঙের ফ্ল্যাট জুতো।

মেয়েটাকে দেখামাত্র মনে হলো ‘এ আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে রূপবতী নারী।’ প্যারিসের শার্ল দ্য গল এয়ারপোর্টে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটের চেক-ইন কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলাম। মেয়েটা তখন গর্বিত সিংহীর মতো দৃঢ় পদক্ষেপে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। যেন এক অলৌকিক ছায়ামূর্তি হয়ে ক্ষণকালের জন্য আবির্ভূত হয়ে আবার টার্মিনালের ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল।


একটি ভৌতিক গল্প : কানাউলার খপ্পরে

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৫/২০২৩ - ২:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাঁয়ের অদূরে এক গভীর জঙ্গল। তার পাশেই এই গাঁয়ের কবরস্থান। মাঝরাত। পশ্চিম আকাশে এক ফালি ফ্যাকাসে চাঁদ জেগে আছে। আর আছে আকাশ জোরা অগুনতি তারা। কবরস্থানটি বেশ বড় আর খোলামেলা হওয়ায় বাঁকা এক ফালি চাঁদের অল্প আলোতেও ছায়া ছায়া আঁধারে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। দূরের কোন গাছে বসে একটা হুতোম প্যাঁচা ডাকছে – ভূত, ভূত, ভূতুম !


বালিশ (শেষ পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৬/০৪/২০২৩ - ১২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ বালিশ একটি ধারাবাহিক গল্প। গল্পের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের লিংক এখানে দেয়া হল পর্ব ১ **পর্ব ২ ]


জলেশ্বরীর দিনপত্রী..

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: রবি, ২৬/০৩/২০২৩ - ৯:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?
লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝ’রে যায় –
হাসি, জ্যোৎস্না, ব্যথা, স্মৃতি, অবশিষ্ট কিছুই থাকে না।
তবু ভালোবাসা দিতে পারি।
শাশ্বত, সহজতম এই দান —
এতই সহজ, তবু বেদনায় নিজ হাতে রাখি মৃত্যুর প্রস্তর, যাতে কাউকে না ভালোবেসে ফেলে ফেলি।'
#বিনয় মজুমদার
________________________________________________________
আমি বড় হয়েছি দাদা-দাদির বাড়িতে, একা৷


বালিশ (দ্বিতীয় পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৯/০২/২০২৩ - ৩:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পরদিন শুক্রবার হওয়ায় আকরাম সাহেবকে অফিসে যেতে হলনা। এমনিতেও উনি অফিসে যেতে পারতেন না। কারন আঙ্গুল বিশ্রীভাবে ফুলে গেছে, সাথে প্রচন্ড ব্যাথা। মেসের যেই ছেলেটা সকালে চা দিয়ে যায়, তাকে তিনি এক মগ কুসুম গরম পানি আনতে পাঠালেন। কুসুম গরম পানিতে আঙ্গুল ডুবিয়ে রাখলে যদি কিছু উপকার হয়। ছেলেটা কুসুম গরম পানির পরিবর্তে টগবগে গরম পানি দিয়ে গেছে। আকরাম সাহেব বামহাতে ঠান্ডা পানির মগ নিয়ে গরম পানির সাথে


Its good... Be back home again'- ডেনভারের গানে এক ফেরারীর বাড়ি ফেরা

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: রবি, ১২/০২/২০২৩ - ২:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Its good... Be back home again'
গানটা বাজছে।
শিমুলকে টের পাচ্ছি। ও এসেছে।
ওর ডাকাতদলের বারো জনের সবার মুখ মনে পড়ে গেল।
long long lost friends!
মনে পড়লো সুন্দরবনের নৌকার জীবন,
চিঙড়ি ঘেরের মাচাঙ, জঙ্গলের মাঝখানে গোলপাতার ডেরা।
প্রায় চল্লিশ দিন আমি শিমুলের ডাকাত দলটার সাথে ছিলাম।
মানুষ কত কারণে ভালবাসে।
আমাকে ওরা ভালবেসেছিল,
ভদ্র সমাজের একজন হয়েও আমি ওদের ঘৃণা করিনি দেখে।


আঁকটোবরের শেষ গল্প: ফেরারী সীমান্ত

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ৩১/১০/২০২২ - ১:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
জারিয়া ঝাঞ্জাইল নামে বাংলাদেশে কোন স্টেশন আছে জানা ছিল না মারুফের। প্ল্যাটফর্মে নামার পর স্টেশনের অদ্ভুত নামটা দেখলো সে। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ময়মনসিংহের ট্রেনে ওঠার সময় তাকে বলে দেয়া হয়েছিল ময়মনসিংহও তার জন্য নিরাপদ নয়। সে যেন ময়মনসিংহ নেমে শহরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা না করে জারিয়াগামী কোন একটা লোকাল ট্রেনে উঠে পড়ে। জারিয়া থেকে সড়কপথে দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে নদী পার হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করতে হবে। এই ছিল শওকতের বাতলে দেয়া পলায়নপথ। মারুফ জীবনে কোনদিন উত্তরবঙ্গে আসেনি। বাংলাদেশে তার গতিবিধি সীমাবদ্ধ ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত।


আঁকটোবরের প্রথম সপ্তাহে সরবত খানের বিড়ম্বনা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শুক্র, ০৭/১০/২০২২ - ১২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি ছবি আঁকতে পারি না। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় শেষ ছবিটা এঁকেছিলাম একটা মুরগির ডিমের খোসায়। তারপর থেকে আর কখনো রঙপেন্সিল হাতে নেইনি। গতকাল সরবত খানের ঘটনাটা লেখার পর মনে হলো এটার সাথে একটা ছবি যোগ করে দেয়া যাক। যুগের সাথে ছবি আঁকার পদ্ধতির বিবর্তন ঘটেছে। এবার ডিমের খোসার বদলে মোবাইলের খোসার ওপর আঙুল বুলিয়ে আঁকা। ছবি কিছু না হোক আঁকিবুকি তো হবে। এলোমেলো আঁকিবুকিও আঁকটোবারের উদ্যোগে সামিল হতে পারে। আর কিছু না হলে সরবত খানের বিড়ম্বনার সাথে তো পরিচয় হবে।

উত্তরাধুনিক সাহিত্য সমালোচক শরিফুল মালিকের বাসায় ঢুকেই বাকহীন হয়ে গেলেন রজনীগন্ধা পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক সরবত খান।


অপরিকল্পিত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০২২ - ৬:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তপন বাবু হালকা গড়নের ছোটোখাটো একজন লোক। চেহারাটা বেশ ধাঁরালো, বিশেষ করে নাকটা। তাঁর চোখ দুটি একেবারে অমায়িক, সবসময় হাসিহাসি একটা ভাব। তাঁকে কেউ কখনো খুব রাগতে দেখেছে বলে মনে হয় না। তাছাড়া বেশ রসিক লোকও বটে, তা নাহলে কি আর অফিসে নিজের বাড়ন্ত ভুঁড়ি নিয়ে সহকর্মীদের সাথে নিজেই হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন?