Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

উকা এবং গন্ধ চুরি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৪/০৯/২০১৮ - ১:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আকাইশি পর্বত মালার সীমান্ত ঘেঁষে বিস্তীর্ণ কিসো উপত্যকার অপূর্ব এক গ্রাম সুমাগো। সবুজ পাতার ঝিরিঝিরি, নাম না জানা পাখী, পাহাড়ী রাস্তায় নীল সাদা মেঘের ভেলা, আর নারাই নদীর ঢেউ খেলানো হাসি- সব মিলিয়ে সেখানকার লোকের মনে দারুন শান্তি।


ইকবাল সাহেবের কালো বাক্স

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৯/২০১৮ - ১:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

ইকবাল সাহেবের তিন মেয়ে। তিনজনই অনিন্দ্য সুন্দরি। বড় মেয়েটির নাম মিথিলা।

আজ মিথিলার জন্মদিন। এই মুহূর্তে সে আলুথালু চুল নিয়ে বিছানার উপর বসে। পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি নতুন জামা, কিছু গোলাপ, আর কালো রঙের একটি বাক্স। ইকবাল সাহেব কয়েকবার এসে তাড়া দিয়ে গিয়েছেন। মিথিলার যেতে ইচ্ছে করছে না, কিন্তু উপায় নেই। এ বাড়ির এটাই নিয়ম।


অলৌকিক মানুষ

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: রবি, ০২/০৯/২০১৮ - ১২:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ঘুরতে ভালো লাগে। অদেখা জায়গা, মানুষ। নতুন নতুন গল্প। এভাবে প্রতিদিন পৃথিবীটা বড় হয়ে ওঠে। একদিন অনেক দূরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। একদম নতুন জায়গা, ঘুরতে ঘুরতে যেমন হয় একজন মানুষের দেখা পেয়ে গেলাম, যার কথা শুনতে ভাল লাগছিলো। তিনি আমাকে আজব এক জায়গার কথা বললেন আর তার চেয়েও এক


চোর (একটি মিথ্যা ঘটনা অবলম্বনে রচিত সত্য গল্প)

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৮/২০১৮ - ১০:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আলম বিশিষ্ট লেখক। তার কারবার অণুগল্প নিয়ে। হাজার তিনেক গল্পের জন্ম সে ইতিমধ্যে দিয়েছে। ফেসবুকের দেয়ালে এগুলো নিয়মিত পোষ্ট হয়। লাইক তেমন একটা পড়ে না। বরঞ্চ উল্টো ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে তার বন্ধুর সংখ্যা কমে যায়। ফ্রেন্ডলিস্টে আগে ছিল বত্রিশ জন। আজকে দেখা গেল উনত্রিশ। তিনজন সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আনফ্রেন্ড করেছে। আলম দমে যাবার পাত্র নয়। তার সাধনা নিরলস।

কোন ব্লগেই তার লেখা ছাপা হয় না। ব্লগের সঞ্চালকদের মেসেজ পাঠাতে পাঠাতে তার আঙ্গুলের ছাল উঠে গেছে। সেখানে জ্বালা পোড়া করে। ভেসলিন লাগিয়ে রাখতে হয়। আলম বুঝে না তার “আলোকিত বিভীষিকা” কিংবা “দানবের ভালবাসা” এর মত তুখোড় অণুগল্প কি করে সাহিত্য ব্লগ গুলতে স্থান পায় না। জীবদ্দশায় সত্যিকারের জিনিয়াসরা কখনই মূল্য পান না। আলমের আফসোস।


আমার আটপৌরে স্ত্রী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১৮ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার প্রবাস জীবন মোটামুটি আনন্দময়। আর এই আনন্দময় জীবনের বেশীরভাগই আমার স্ত্রীর অবদান। সে একেবারে খাঁটি বাঙালী বধু, গৃহকর্মে অতি নিপুণা। বিদেশে এসে বেশীরভাগ অবলা বাঙালী নারীরাই বেশ সবলা হয়ে উঠে। আমার স্ত্রীটি এখনও সেরকমটি হয়ে উঠতে পারেনি। ঘরের বাইরে একা বের হওয়া তার সাধ্যের বাইরে। রাস্তা পার হতে গেলে আমার হাত চেপে ধরে পার হয়। আমাদের বাসার পাশের গ্রোসারি শপ। সেখানেও সে একা যাওয়ার সাহস করে উ


গ্রীষ্মের কয়েকটি দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০১৮ - ৩:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের বাগানের পশ্চিম পাশটায় সূর্যের আলো খুব একটা আসেনা। রোদ না পেয়ে একেবারে যা তা অবস্থা ঘাসের। হামবার নার্সারির ম্যানেজার আলফান্সোর কথামতো গতো দু-মাসে চার বার সার দিয়েছি। সার মানে কম্পোস্ট, যেমন তেমন নয়, পাহাড়ি ভেড়ার নাদি মেশানো কালো কালো মাটির দলা। সেই দলা রোদে শুকিয়ে, হাত দিয়ে ভেঙে, গুঁড়ো গুঁড়ো করে মেশাতে হয় ঘাসের গোড়ায়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং উৎকট গন্ধে এদিকে আসাই দায়। একগাল হেঁসে আলফান্সো বললো, সারে কাজ হবে না।


ফুটবল

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১৮ - ১১:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

- তুরা না ইণ্ডিয়া য্যাসছিসগে, ঢাকা কলেজ ক্যান যে ত্যালি ভর্তি হতি গেলি রঞ্জু!
এহেবারে ইণ্ডিয়া গিয়ে ভর্তি হলি তো ঝঞ্জাট কম হত তুগের, তাইনে?


হুদাহুদি ০২

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ১০/০৬/২০১৮ - ১২:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"দইবড়াটা একটু চেখে দেখবেন কি, মাই লর্ড?" নার্সিসা ম্যালফয় একেবারে নতজানু হয়ে দইবড়ার বাটি রাখেন ভল্ডেমর্টের সামনে।

ভল্ডেমর্ট চোখ বন্ধ করে চুপচাপ গরুর গোস্তো দিয়ে পোলাও খায় চপচপ করে।


গন্তব্য

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৬/২০১৮ - ৩:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই কবে তুমি
দুঃখের সূতোয় বোনা
সুখের চাঁদরটা হাতে দিয়ে বলেছিলে-
‘গায়ে জড়িয়ে নাও, যে শীত পড়েছে
ঠাণ্ডা লেগে যাবে।’
সে চাঁদর শরীরে মেখে আমি হাঁটতে হাঁটতে
পেরিয়ে এলাম অনেকটা পথ।
উঁচু নিচু আাঁকা বাকা পথগুলো
আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলো
আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না।
আমি থামতে পারতাম, কিন্তু থামি নি।
পথের মধ্যে অনেকেই ছিল, যাদের জিজ্ঞাসা করা যেত
কিন্তু করি নি।


মোহন মিয়ার অসুখ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১৮ - ৮:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

রাত একটা বাজতেই মোহন মিয়ার চায়ের তেষ্টা পায়। তবে তেষ্টা পেলেই তো আর উঠে যাওয়া যায় না, সব কিছুরই একটা নিয়ম রয়েছে। বিরক্ত মুখে কী বোর্ডের দিকে হাত বাড়ালেন তিনি। টেবিলের উপর একগাদা বই, কিছু খবরের কাগজ, একটি কালির দোয়াত, আর দোয়াতের পাশেই রুপোর মতো ঝকঝকে একটা পার্কার কলম পড়ে। মোহন মিয়া পুরনো দিনের মানুষ, টাইপ করার আগে একবার কাগজে না লিখলে তাঁর চলে না।