গ্রীষ্মের কয়েকটি দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০১৮ - ৩:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের বাগানের পশ্চিম পাশটায় সূর্যের আলো খুব একটা আসেনা। রোদ না পেয়ে একেবারে যা তা অবস্থা ঘাসের। হামবার নার্সারির ম্যানেজার আলফান্সোর কথামতো গতো দু-মাসে চার বার সার দিয়েছি। সার মানে কম্পোস্ট, যেমন তেমন নয়, পাহাড়ি ভেড়ার নাদি মেশানো কালো কালো মাটির দলা। সেই দলা রোদে শুকিয়ে, হাত দিয়ে ভেঙে, গুঁড়ো গুঁড়ো করে মেশাতে হয় ঘাসের গোড়ায়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং উৎকট গন্ধে এদিকে আসাই দায়। একগাল হেঁসে আলফান্সো বললো, সারে কাজ হবে না।

এই কথাটা সে আগে বললেও পারতো। বিরক্তি লুকিয়ে জানতে চাইলাম কাজ হবে কীসে।

দেড়শ ডলার বেরিয়ে গেলো। নতুন জাতের ঘাসের বীজ এবং মাটি কিনে বাড়ি ফিরে প্রতিজ্ঞা করলাম, এই শেষ। ঘাস বাঁচুক আর নাই বাঁচুক, আমি আর এর মধ্যে নেই। দরকার হলে পাকা করে ফেলবো।

কী ঘাসই না গজালো! তিন সপ্তার মধ্যেই ঘন সবুজের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে তিন মাসের বিরক্তি। আমি সাত সকালে উঠে ঘাসে পানি দেই, পারলে চোখে মাইক্রোস্কোপ ঠেসে একটা একটা করে টেনে তুলি আগছার ঝাড়। ছেলেকে বলে দিয়েছি এদিকটায় যেন খেলতে না আসে। একদিন খেলতে খেলতে বল চলে এসেছিলো, হুড়মুড় করে দৌড়ে এসে বলটা তুলতেই এমন খ্যাঁক খ্যাঁক করে উঠলাম আমি, যে সুমু রেগে মেগে ছেলের হাত ধরে পার্কের দিকে চলে গেলো। যাবার আগে বিড়বিড় করে কী যেন একটা বলতেই আমি চোখ তুলে তাকালাম। আমার স্ত্রী মিষ্টি করে বললো,

-অমন করে তাকাচ্ছো কেন! কী বলেছি জানতে চাও?

জানতে চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এমন ভুল কেউ করে! আমার মৌন আপত্তি অগ্রাহ্য করেই বরফ শীতল কণ্ঠে আমার স্ত্রী জানিয়ে দিলো অমিয় এই বাগানে আর কখনোই খেলবে না।

ভালোই হয়েছে, সাত বছরের একটা ছেলে পার্কে না গিয়ে সারাদিন ব্যাক ইয়ার্ডে পড়ে থাকে এ কেমন কথা? আর তাছাড়া মাত্র তো তিনটি মাস, তুষার পড়ার আগে ঘাসগুলো ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে গেলেই ব্যাস, আগামী বছর যতখুশি খেলুক না!

সেদিন বাড়ি ফিরতেই ছেলে দৌড়ে এলো।

-বাবা বাবা, তোমার ঘাস ভেঙে গিয়েছে।

অমিয় বাংলা ভালোই বলে। তবে মাঝে মাঝে অদ্ভুত সব শব্দ মিশিয়ে ফেলে কথায়। আমি যা বোঝার বুঝে নিলাম। হুড়মুড় করে বাগানে গিয়ে দেখি নতুন ঘাসের একটা কোনায় খাবলা খাবলা মাটি ছড়িয়ে। কে করলো এমন নিষ্ঠুর কাজ! আমাদের পাড়ায় র‍্যাকুন কিংবা গ্রাউন্ডহগ নেই। তাকিয়ে দেখি বেড়ার উপর একটা কাঠবিড়ালি বসে বসে ঝিমাচ্ছে। নিশ্চয়ই এই বদমায়েশের কীর্তি। গাছ থেকে একটা আপেল ছিঁড়ে ছুড়ে মারতেই পইপই করে পালালো ওটা। কানের পাশ দিয়ে গিয়েছে।

পাশের বাড়িতে থাকে পিটাররা। পিটারের মা’র বয়স আশির কাছাকাছি। ভীষণ কুচুটে সে বুড়ি। সারাটা বিকেল দোতলার জানালায় দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীদের দিকে নজর রাখে। তক্কে তক্কে থাকে কাকে কেমন করে বিপদে ফেলা যায়। খুক খুক করে গলা খাঁকারি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো সে।

-বড় বাঁচা বেঁচে গেলে বাপু।
-বেঁচে আর গেলাম কই? এ ব্যাটা আবার আসবে। এতো কষ্টের ঘাস আমার!
-আমি সে কথা বলছি না। আপেলটা গায়ে লাগলেই তিনশ ডলার বেরিয়ে যেতো।
-তিনশ ডলার মানে!
-তিনশ ডলার ফাইন। আর না হলে অন্তত একমাসের কমিউনিটই সার্ভিস তো বটেই।

এদেশের আইন কানুন বড়ই অদ্ভুত। পাবে গিয়ে হাতাহাতি করলে কিচ্ছু হয়না, অথচ রাগের মাথায় কাঠবিড়ালি ঠ্যাঙালে তিনশ ডলার। আমি সরু চোখে বুড়ির দিকে তাকাই। নাহ, একে বিশ্বাস নেই। সত্যি সত্যিই পুলিশ ডেকে আনবে। গজগজ করতে করতে ভেঙে যাওয়া ঘাস ঠিক করি আমি।

তিনদিন পর আবারও সেই দৃশ্য। পরদিন আবার, তারপরের দিন, প্রতিদিন। আমি মুখ বুজে সহ্য করি, যতটুকু পারি ঠিক করি বিধ্বস্ত বাগান। জানালা থেকে বুড়ি এলেনর খিক খিক করে হাসে।

-তোমার অনেক ধৈর্য হোসেন।

তবে ধৈর্যেরও একটা সীমা থাকে। সাত দিনের দিন নার্সারিতে গিয়ে আলফান্সোকে বলতেই একটা বুদ্ধি শিখিয়ে দিলো।

বাসায় ফিরে সুমুকে জিগ্যেস করলাম,

-ঘরে মরিচের গুঁড়ো আছে?

সুমু ঝাঁঝালো কণ্ঠে পাল্টা প্রশ্ন করলো,

-কী বলতে চাও তুমি?

খুবই বিপদজনক প্রশ্ন। আমি মিন মিন করে বললাম,

-জটিল কোন প্রশ্ন তো করিনি। কেবল জানতে চাইছি ঘরে মরিচের গুঁড়ো আছে নাকি নেই।

কী বুঝতে কী বুঝলো কে জানে! কাটা কাটা গলায় বললো,

-গরুর মাংসে ঝাল কম হয়েছে সেটা এমন কুটিল করে না বললেও পারতে। নাকি তোমার ধারণা আমি চিনি দিয়ে রান্না করি!

আমি কথা না বাড়িয়ে আলফান্সোর লেখা চিরকুটটা এগিয়ে দিলাম।

কাঠবিড়ালিরা মরিচের ঝাঁজ সহ্য করতে পারেনা। নতুন ঘাসের উপর আচ্ছা করে এক প্যাকেট মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে ভাবলাম, যাক আর কোন ঝামেলা নেই।

কীসের কী! পরদিন আবারও দলিত মথিত আমার বাগান। ভাগ্য ভালো যে দিনটা ছিলো শনিবার। অফিস নেই, নেই কোথাও বেরুনোর তাড়া।

জানালার পর্দা সামান্য সরিয়ে আমি তাকিয়ে রয়েছি বাগানের দিকে। হাতে ডলার স্টোর থেকে কেনা অমিয়র তীর ধনুক। রান্নাঘর থেকে কিছুক্ষণ পরপর সুমু বিড়বিড় করে কী যেন বলে চলেছে। জানতে না চাওয়াই শ্রেয়। একটা সময় অমিয় আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে প্রশ্ন করলো,

-বাবা, তুমি কতক্ষণ এখানে বসে থাকবে?
-যতক্ষণ কাঠ বিড়ালিটার দেখা না পাই।
-আমাকে ছুঁড়তে দেবে? আমার এইম খুব ভালো।

রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে সুমুর ঝাঁজালো শাসানি,

-নিজের ঘরে যাও অমিয়। বাপ পাগল হয়ে গিয়েছে বলে তোমাকেও পাগলামি করতে হবে না।

অমিয় খুব অবাক হয়ে আমার দিকে তাকায়,

-বাবা, তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছো?
-ধুর ব্যাটা। পাগল হলেতো তোকে কামড়ে দিতাম।

বলেই ছেলের ফোলা ফোলা গালে কামড় দেয়ার ভঙ্গি করি আমি। খিল খিল করে হাসতে হাসতে পালিয়ে যায় সে।

ঠিক তখনই খরগোশটা এলো। এসেই একগাদা ঘাস খাবলে তুলে ফেললো মাটি থেকে। কাঠবিড়ালির দিকে তীর ছোড়ার কথা ভাবতে পারলেও তুলতুলে নরম খরগোশকে আঘাত করবো এমন পাষাণ আমি নই।

দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম।

খরগোশেরা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় প্রাণী। নখ নেই, দাঁত নেই, শিং নেই, নেই শক্ত চামড়া কিংবা পুরু রোম অথবা কাঁটার বর্ম। মানুষ দেখলেই চোখের পলকে ছুটে পালায়। কিন্তু এই খরগোশটার যেন কোন ভয় ডর নেই। চোখের কোন দিয়ে তাকিয়ে দেখি জানালায় বুড়ি দাঁড়িয়ে। কী করবো কী করবো ভাবতে ভাবতেই চোখে পড়লো হোস পাইপটা। আমার বাগানে পানি আমি দিতেই পারি।

প্রথম কয়েক সেকেন্ড খরগোশটা পাত্তাই দিলো না। শেষমেষ তাক করে একরাশ পানি ছুঁড়তেই, ঠিক লাফিয়ে নয়, কেমন যেন ঘষটে ঘষটে সরে গেলো বেড়ার ফাঁক গলে। হোস পাইপটা হাতে যখন নিয়েইছি তখন পুরো বাগানটাতেই পানি দিয়ে যাই ভেবে এগুলাম আমি। ঘাস নাহয় পরেই ঠিক করবো।

আজ আকাশটা বেশ মেঘলা। থেকে থেকে বাতাস বইছে জোরে শোরে। বাতাসের ঝাপটায় হোস পাইপের পানি ইতস্তত ছড়িয়ে পড়ছে ওদিকে ওদিক। হঠাৎ খরগোশে খাবলানো জায়গাটায় কী যেন একটা নড়ে উঠলো। সাপ না তো! আমি লাফ দিয়ে সরে গেলাম। ভুল দেখিনি। কিছু একটা নড়ছে, ভোঁতা ভোঁতা মাথা, সাপ হলেও হতে পারে। সাপে আমার দারুণ ভয়। কী করবো বুঝতে না পেরে সজোরে ছিটিয়ে দিলাম আরও একরাশ পানি।

নাহ, সাপ নয়। সাপ হলে হয়ে তেড়ে আসতো নয়তো চলে যেতো। এটা অন্য কিছু।

কৌতূহলের চেয়ে খারাপ কিছু নেই। আমি পা টিপে টিপে কাছে গিয়ে দেখি ইঞ্চিখানেক লম্বা একটা প্রাণী, লোমহীন, দেখতে অনেকটা জলহস্তীর মতো। পানির ঝাপটায় চুপসে গিয়ে দারুণ কষ্টে ইতি উতি নড়ছে। সদ্য জন্মানো একটা খরগোশ ছানা। কী যে কষ্ট হোলো আমার! দারুণ অপরাধ বোধ নিয়ে ঘরে ফিরে এলাম।

ফিরতেই লাফাতে লাফাতে অমিয় বললো,

-বাবা, বাবা! আমি দেখেছি।
-কী দেখেছিস?
-খরগোশটাকে।
-আয় তোকে আরেকটা জিনিস দেখাই।

একটা নয়, তিন তিনটে খরগোশের ছানা, একটা আরেকটার গায়ে লেগে শুয়ে রয়েছে। ঘরে গিয়েছিলাম দশ মিনিটও হয় নি, এরই মাঝে আবার ফিরে এসেছিলো মা খরগোশটা। অমিয়র চোখ গোল গোল হয়ে গিয়েছে। একবার ছানাগুলোর দিকে, আরেকবার আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি ভরসা দিয়ে বললাম,

-ভাবিস না ব্যাটা। আমি এদের ফেলে দেবো না।

অমিয়র মুখে রাজ্য জয়ের হাসি।

সেদিন থেকে আমাদের প্রতিদিনকার রুটিনে খানিকটা পরিবর্তন এলো। ব্যাক ইয়ার্ডে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি সবাই। খরগোশ খুব লাজুক প্রাণী। কে জানে, আমাদের চলাফেরায় ভয় পেয়ে মা’টা যদি ছানাদের ফেলে চলে যায়!

ঘরের জানালা থেকে দূরবীন দিয়ে দেখি। সবসুদ্ধ সাতটা ছানা। একটু একটু করে বাড়ছে প্রতিদিন। এখন দেখতে ওদের মায়ের মতোই লাগে। তবে খুব ছোটো, সবচেয়ে বড়টা ইঞ্চি দুয়েক হবে।

অমিয় খরগোশ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। সুমুও বেশ খুশি, এই সুযোগে ছেলের ক্লাসের প্রজেক্টটা দাঁড়িয়ে যাবে। একদিন অমিয় এসে বললো,

-বাবা তুমি জানো একটা খরগোশ কতোদিন বাঁচে?
-কতো আর হবে! বিশ, পঁচিশ?
-তুমি কিচ্ছু জানোনা বাবা। মাত্র সাত বছর।
-তাই নাকি?
-হ্যাঁ বাবা। আর এই সাত বছরে একটা খরগোশ থেকে একশ নব্বই বিলিয়ন খরগোশ হয়। উই উইল বি রিচ বাবা।

শুনে আমার চোখ কপালে উঠে গেলো। বললাম,

-কী যা তা বলছিস? কোথায় পেলি এমন কথা?
-গুগল করে। আচ্ছা বাবা, একশ নব্বই বিলিয়ন মানে কী?

একটা খরগোশ নিজের কাছে রেখে দেবে বলে ঠিক করেছে অমিয়।

এবছর দারুণ গরম পড়েছে আমাদের শহরে। গত দু সপ্তায় এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েনি। বাগানের নতুন পুরনো সব ঘাস শুকিয়ে শেষ। শুকনো মাটিতে গজিয়ে উঠেছে রাজ্যের আগাছা। খরগোশগুলো চলে গেলেই আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হবে আমাকে। অমিয় বলেছে আর নাকি সপ্তা দুয়েক।

আকাশে গতকাল থেকেই কালো কালো মেঘ জমতে শুরু করেছিলো। দারুণ নাকি বৃষ্টি হবে আজ রাতে। অন্য সময় হলে খুব খুশি হতাম। কিন্তু খরগোশগুলোর জন্য চিন্তা হচ্ছে খুব। ভালো হতো একটা চালা মতো বানিয়ে দিতে পারলে। কিন্তু গুগল বলেছে এটা করা ঠিক হবে না। খরগোশরা নাকি বাসার কাছে একটা গন্ধ ছড়িয়ে রাখে যাতে অন্যান্য প্রাণীরা ছানার খোঁজ না পায়। আমি গেলে সেই গন্ধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

রাতভর ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়েছে আকাশ ভেঙে। খরগোশের চিন্তায় আমি ঘুমোতে পারিনি। সকাল হতেই দৌড়ে গেলাম জানালার কাছে। দূরবীনে চোখ লাগিয়ে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। ঘন আগাছার আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে খরগোশের বাসা।

দৌড়ে গিয়ে ড্যান্ডিলাইওনের ঝাড় সরিয়ে দেখি বাচ্চাগুলো নেই, কয়েকটা ঠ্যাং পড়ে আছে কেবল। খানিকটা দুরে, বেড়ার সাথে গা লেপ্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে মা খরগোশটা। বাতাসে ভ্যাপসা গন্ধ। আমার পায়ের কাছে ভনভন করছে ডুমো ডুমো মাছির ঝাঁক। আমি আর মা খরগোশ পরস্পরের দিকে তাকিয়ে।


মন্তব্য

হাতুড়ি এর ছবি

কী মন্তব্য করব খুজে পাই না। আপনার লিখার হাতের প্রশংসা আর নাই বা করলাম।

গল্পটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। এটা কি সত্যি ঘটনা, না কি আপনার কল্পনা? যদি সত্যি হয়, কীসে খেল বাচ্চাগুলোকে?

ধন্যবাদ।

--হাতুড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাতুড়ি। একটা খরগোশ এসেছিলো বাগানে। সম্ভবত ঘর পালানো কোন বেড়াল খেয়েছিলো বাচ্চাদের। আমার স্ত্রী আর ছেলেকে বলিনি। ওরা জানে ছানারা মা'র সাথে চলে গিয়েছে অন্য কোথাও।

---মোখলেস হোসেন।

সোহেল ইমাম এর ছবি

শ্রদ্ধা

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সোহেল ইমাম।

---মোখলেস হোসেন।

এক লহমা এর ছবি

প্রাকৃতিক! হাততালি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ এক লহমা। ছোটবেলায় সবাই মিলে একসাথে খেতে বসলে কখনো কখনো এই ধরেন আলুটা বা ডিমটা, কিংবা মাছের ল্যাজাটা পাতের কোনায় রেখে দিতাম। যখন মুখরোচক আর কিছুই থাকবেনা তখন তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাবো। আপনার মন্তব্যটা দেখে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। হাততালিটা পাতের কোনে খুঁজে পাওয়া ইলিশের ডিমের মতোই লাগলো।

---মোখলেস হোসেন

সোহেল ইমাম এর ছবি

মোখলেস ভাইয়ের লেখার ধরনটাই আকর্ষনীয়। সচলায়তনে ঢুকে মোখলেস ভাইয়ের লেখা আছে দেখলে সবচেয়ে আগে সেটাই পড়ে ফেলি। তার লেখার ব্যাপারে একটাই ক্ষোভ তার অনেক গল্প এবং কিছু উপন্যাস কয়েকটা কিস্তির পরই থেমে গেছে। লেখকের কাছে এ নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। কিন্তু এ কথাও ভেবে দেখার আছে অনেকদিন যাবত “অতিথি লেখক” এই নামহীন শিরোনামের তলেই থেকে গেছেন মোখলেস ভাই। এখন ক্যাটাগরির স্লটটায় নাম দিয়ে তাকে লেখা দিতে হয়। অন্তত হাচল হলে হয়তো লেখক শুশুক, ফসল বিলাসী হাওয়ার মত উপন্যাস গুলোর কিস্তি নির্দ্বিধায় চালিয়ে যেতেন। কোন লেখকই চাননা নামহীন শিরোনামের তলে তার ভালোবাসার লেখা গুলো হারিয়ে যাক। এর আগেও কয়েকবার তাকে হাচল করবার প্রস্তাব কয়েকজন তুলেছেন। মডারেটররা ভেবে দেখবেন কি?

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অতিথি লেখক এর ছবি

দিলাম সোহেল ইমাম। নিজের ঢোল নিজেই পিটাইয়া দিলাম। ভালো থাকবেন।

---মোখলেস হোসেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।