মাক্তুব, ভাবল ও।
“আরে কী হলোটা কী, জিজ্ঞেস করো!” ইংরেজের কথায় সম্বিত ফিরে পেল সান্টিয়াগো।
মেয়েটির কাছাকাছি গেল ও। ইতস্তত করে একটু হাসল।
“আপনার নামটা জানতে পারি কি?”
“ফাতিমা,” চোখের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে নিতে বলল মেয়েটি।
“ও আচ্ছা... আমাদের দেশের মেয়েদেরও এই নাম হয়।”
সে অনেক কাল আগের কথা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের বৃষ্টিভেজা এক সন্ধ্যা। তখনও সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, বাইরে খাওদাওয়া, আড্ডা দেয়া, এমনকি সহকর্মী সহযোগে বড়দিন উপলক্ষে নৈশভোজ করতে গেলেও বাঁধা পাবার বা দুবার ভাবার কোন কারণ ছিলনা। ছিলোনা করোনা!
ঢাকার যানজট :
সম্প্রতি ঢাকার এক অংশের মেয়র বলেছেন, ‘রাজধানীর যানজট নিরসন এক দিনের বিষয় নয়। এ যানজট আমাদেরই সৃষ্টি। পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্পভিত্তিক কাজ করতে গিয়ে রাজধানীতে এই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।’ তিনি অন্যত্র আবার বলেছেন, ‘এখন বনানীর সামনে এসে বিশাল যানজটের মধ্যে আটকে থাকতে হয়। আমরা নিজেরাই সেখানে সেতু ভবন করেছি। এর পাশে আবার বিআরটিএ ভবনও করে ফেলেছি।’
আলামিন ভাতের হোটেল পারে পানের দোকানে
চাবাইতেছিনু পান। তখন অকস্মাৎ
পাঠাও চাপিয়া এসে উপস্থিত হাউমাউ ক্রন্দনরত গেনী বন্ধু ইছহাক
চন্দ্র বিদ্যাসাগর। পাঠাওয়ের ইয়ামহা চালকটি পরম আদরে
মুছাইয়া দিল গেনী ইছহাকের অশ্রু একটি বাতিল রুমালে। আমা পানে
ইছহাককে আলিঙ্গন বাগাইয়া আগাইতে দেখিয়া সে করিল হুশিয়ার, ভাই এট্টু দেইহেন।
তারপর চলে গেল ভো ভো করে কুথা পানে যেন।
কিছুদিন আগে আল জাজিরার একটা পুরনো ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম - 'I Knew Saddam'। বুঝতেই পারছেন সাবেক ইরাকি একনায়ক সাদ্দাম হোসেনের উপর বানানো সেটা। থাম্বনেইলে খাকি পোশাকে সাদ্দাম, মোটামুটি অল্পবয়স্ক তখনো, চোখমুখে ভাঁজ পড়েনি, কিন্তু চেহারার ক্রুর ভাবটা ঠিকই আছে। যে চেহারা অহর্নিশ টানা চব্বিশ বছর ধরে দেখতে হয়েছিল ইরাকের মানুষকে।
এখন ভরা শীত। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আজকে শীত একটু কমই বলা যায়!
সেবা প্রকাশনীর সাথে পরিচয় তিন গোয়েন্দা’র ‘সবুজ ভূত’ বইখানা দিয়ে। তখনও বুঝতে পারিনি ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে একদিনে পড়ে শেষ করা এই বইটি টেনে নিয়ে যাবে কতদূর। তখনও বুঝতে পারিনি বিদেশি সাহিত্যের অচেনা ভাষার জগতে ঢুকে যাবো মায়ের ভাষায়।
আর তখনও জানতাম না, জীবনে আসতে চলেছে ‘মাসুদ রানা’।
তপন বাবু হালকা গড়নের ছোটোখাটো একজন লোক। চেহারাটা বেশ ধাঁরালো, বিশেষ করে নাকটা। তাঁর চোখ দুটি একেবারে অমায়িক, সবসময় হাসিহাসি একটা ভাব। তাঁকে কেউ কখনো খুব রাগতে দেখেছে বলে মনে হয় না। তাছাড়া বেশ রসিক লোকও বটে, তা নাহলে কি আর অফিসে নিজের বাড়ন্ত ভুঁড়ি নিয়ে সহকর্মীদের সাথে নিজেই হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন?
থ্রিলার/বড় গল্প
আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হানত্
সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হ’য়ে শ্রান্ত
আসবে তখন পান্থ।
১.
৮ই মে, ভোর ৬ঃ৩০। লন্ডন, কানাডার পশ্চিম ওন্টারিওর এক ছোট্ট শহর।
প্রবাস জীবন যত দীর্ঘ হচ্ছে, ততই মনে হচ্ছে আমার জন্মভূমিতে নতুন প্রজন্ম এক অদ্ভুত, আত্মঘাতী আশকারার ভিতর দিয়ে বড় হচ্ছে।
এই আশকারার ফল, সন্ধ্যা আর রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণরত বিমানের ককপিটে বসা পাইলটের চোখে লেজার মারা। এই কাজ এখন একটি সান্ধ্য বিনোদনে পরিণত হয়েছে। কুর্মিটোলার আশেপাশের উচ্চ ভবনের ছাদে বসে কিশোর যুবক মধ্যবয়স্ক লোক এই 'খেলা' খেলে অথবা খেলতে দেখে মজা নেয়।