Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

বালিশ (দ্বিতীয় পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৯/০২/২০২৩ - ৩:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পরদিন শুক্রবার হওয়ায় আকরাম সাহেবকে অফিসে যেতে হলনা। এমনিতেও উনি অফিসে যেতে পারতেন না। কারন আঙ্গুল বিশ্রীভাবে ফুলে গেছে, সাথে প্রচন্ড ব্যাথা। মেসের যেই ছেলেটা সকালে চা দিয়ে যায়, তাকে তিনি এক মগ কুসুম গরম পানি আনতে পাঠালেন। কুসুম গরম পানিতে আঙ্গুল ডুবিয়ে রাখলে যদি কিছু উপকার হয়। ছেলেটা কুসুম গরম পানির পরিবর্তে টগবগে গরম পানি দিয়ে গেছে। আকরাম সাহেব বামহাতে ঠান্ডা পানির মগ নিয়ে গরম পানির সাথে


সেই খুনে ঘড়িটা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৭/২০২১ - ৩:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই গল্পটা আপনি বিশ্বাস করবেন না এবং হেসে উড়িয়ে দেবেন তা প্রায় নিশ্চিত। তবু যেহেতু কোন এক কবি বলেছিলেন, “পৃথিবী ও স্বর্গে এমন কিছু ঘটে যার সবটুকু আমাদের আয়ত্বের মধ্যে নেই….” সেহেতু আমি ঘটনাটা বলবো। কাহিনীটা বিচিত্র খামখেয়ালীপূর্ণ একটি ঘড়ি নিয়ে।

ঘড়িটা কিভাবে আমার কাছে এলো সেই ঘটনায় যাবার আগে দুনিয়ার ঘড়ি জাতির চরিত্র বিষয়ে দুটো কথা বলে নেই।

পৃথিবীতে সাধারণত দুই জাতের ঘড়ি আছে। প্রথম জাতটা হলো সে দিনের পর দিন ভুল সময় দেখিয়ে যাবে, সে জানে সে হদ্দ ভুল- তবু তাতে কোন লোকলজ্জা নেই তার, বরং ভুল সময়ের কাঁটা ঘুরিয়ে সারা দুনিয়াকে কাঁচকলা দেখিয়ে যাবে। এদের আমি বলি ‘ফটকা ঘড়ি’। দ্বিতীয় জাতের ঘড়ি হলো, সে চিরকাল সঠিক সময় দেবে শুধু যেদিন তার উপর ভরসা করবেন সেদিনটা বাদে। এই জাতের ঘড়িদের আমি ‘সাধু ঘড়ি’ বলি।


তক্ষক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০২০ - ১২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তক্ষকটা প্রত্যেক বিকেলে আসে। পাঁচটা কিংবা তার আশেপাশে। আগেও হয়তো আসতো। কিন্তু খেয়াল করার সময় পাইনি। অতিমারীর কারণে, এই তিন মাসের ক্রমপ্রসারমান ঘরবন্দী জীবন। আশেপাশের আসবাব, দেয়ালের রং, পাখার গতি, সবকিছু খুব আপন । সেই সাথে তক্ষক। সময়ের বুদবুদে ডুবে সময় হারিয়ে ফেলা আমাকে, প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয় বিকেল পাঁচটা বেজে গেছে। এমন না যে, তাকে ভয় লাগে না আমার। প্রথম প্রথম গা গুলিয়ে আসতো তাকাতে। কী বি


হারানো খাম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৯ - ১১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্মৃতির নাগোরদোলায়

মুসাররাত জাহান শ্বেতা

মনযোগ দিয়ে বাংলা ব্যাকরণের কারক-সমাস পড়ার চেষ্টা করছিলাম, ইন + অল = বধ কিভাবে হয় তা বোঝার চেষ্টা করছি, বুঝতে না পেরে হতাশায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম, এমন সময় মৃদু শোরগোলের আওয়াজ শুনে পড়ার টেবিল ছেড়ে ওঠার অযুহাত পেয়ে খানিকটা স্বস্তি বোধ করলাম। আমার ঘরের দরজা খুলে উকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কি হচ্ছে। রান্নাঘরের সামনের করিডোরে অনেকগুলো অপরিচিত বাচ্চা, আট দশ বছর বয়েস হবে, নিজেদের মধ্যে কিচির মিচির করছে, রাঁধুনিখালা ব্যাস্ত হয়ে তাদের সবাইকে টিনের থালায় ভাত খেতে দিয়েছে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে। খেতে বসে একজনের হাতে ধাক্কা লেগে পানির গ্লাস অন্যজনের খাবারের ওপর পড়ে ভাসিয়ে দিয়েছে আর তা সামাল দিতে যেয়ে আরেকজনের থালা উল্টে জামায় ডাল পড়ে একাকার। ভর দুপুরে কি হচ্ছে এসব? আমাদের বাড়িতে এরাই বা কারা?


হারানো খাম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৫/২০১৯ - ১২:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীতুর জন্য গল্প

মুসাররাত জাহান শ্বেতা

ছুটির দিনগুলোতে আমি পড়ে যাই মহা বিপদে। বলছি কেন।


ট্রেনযাত্রা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/১২/২০১৭ - ৩:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ট্রেনে শেষমেশ ঊঠতে পেরে মতিন মিয়া হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। কাঁধের দুটো ঝোলা আর হাতে ধরা শাড়ির প্যাকেটটা নিয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে সে তাল সামালাতে পারছিল না ভীড়ের মধ্যে । ট্রেন যখন চলতে শুরু করল তখন মরিয়া হয়ে সে দরজার হাতল লক্ষ্য করে ঝাঁপ দিল। একমুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল হাত ফসকে সে বুঝি পড়েই যাবে ট্রেনের চাকার নীচে। এমনকি মৃত্যুভয়ে কেঁপেও উঠেছিল সে। ভাগ্য ভাল যে কিছু হয়নি আর ঝোলাও অক্ষত আছে। এগুলো নষ্ট হলে ক


One day in the life of Ivan Denisovich (আইভান ডেনিসোভিচের জীবনের একদিন) - পর্ব - ৫ : A novel by Alexander Solzhensitsyn

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৪/২০১৭ - ৭:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব = ৫

(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)

১০৪ নম্বর দলটা মেরামত কারখানার একটা বড় ঘরে গেল যেটার জানালাগুলো গত শরৎকালেই ঘসেমেজে চকচকে করা হয়েছে আর সেটাতে ৩৮ নম্বর দলটা কংক্রিটের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিছু স্ল্যাব কাঠের ছাঁচের ভেতরে রাখা আর অন্যগুলো তারের জাল দিয়ে পোক্ত করে বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা। ছাদটা অনেক উঁচু আর মেঝেটা শুধুই মাটির। জায়গাটা একেবারে হিমশীতল হয়ে থাকতো, যদি না কয়লা জ্বালিয়ে উষ্ণ করে না রাখা হতো, অবশ্য সেটা কর্মীদের জন্য নয়, স্ল্যাবগুলো যাতে তারাতারি জমাট বাধঁতে পারে সেজন্য। সেখানে একটা থার্মোমিটারও আছে। এমনকি রোববারগুলোতেও, কেও যদি কোন কারনে নাও আসে, একজন সিভিলিয়ানকে সেখানে রাখা হয় শুধু উনুনটা জ্বালিয়ে রাখার জন্য। ৩৮ নম্বর দলের লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কাউকে উনুনের আশেপাশে বসতে দিতে আগ্রহী না। তাদের দলের লোকেরাই সেটার চারপাশে বসে পায়ে প্যাঁচানোর ন্যাকরাগুলো শুকোচ্ছে। কি আর করা, ওই কোনায় বসা যায়, ওই জায়গাটাও খারাপ না।


One day in the life of Ivan Denisovich (আইভান ডেনিসোভিচের জীবনের একদিন) - পর্ব - ৪ : A novel by Alexander Solzhensitsyn

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০২/২০১৭ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব = ৪

(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)

ভিড়টা হালকা হয়ে আসছে। গার্ড-হাউজের পেছনে প্রহরীদের জ্বালানো আগুনটা জ্বলছে। এরা সবসময়ই বন্দীদের বাইরে কাজে পাঠানোর সময় আগুন জ্বালায়। একদিকে গাটাও গরম রাখা যায়, অন্যদিকে আগুনের আলোর কারনে গুনাগুনির কাজের সময় দেখতেও সুবিধা হয়।

গেটের প্রহরীদের একজন দ্রুত গুনতে লাগলো, “প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয়...”


১০১টা ছবির গল্প - ১২, ক্যাথিড্রাল গ্রোভ

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/০৮/২০১৬ - ৯:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify] I urge you to travel, as far and as much as possible. Work ridiculous shifts to save your money. Go without the latest iPhone. Throw yourself out of your comfort zone. Find out how other people live and realize that the world is a much bigger place than the town you live in. And when you come home, home may still be the same, and yes, you may go back to the same old job, but something in your mind will have shifted.
And trust me that change everything.


গেডানকেন ট্রাভেল- একটি অবৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১২/০২/২০১৬ - ১:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মোঃ সাইফুল ইসলাম এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্রতম ব্যাক্তি। তার একাউন্টে কোন ক্রেডিট নেই। একটা ক্রেডিটও না। এক ক্রেডিট থাকলেও অবশ্য কোন লাভ হত না। আজকাল এক ক্রেডিটে একটা চুষনি লজেন্সও কেনা যায় না।

ছোটখাট এক সফটওয়্যার কম্পানিতে একদম নিচের দিককার ধরতে গেলে কোন পদই না এই রকম এক পদে কাজ করত সাইফুল। বেতন ভাল ছিল না। তারপরও মাস শেষে কিছু একটা পাওয়া যেত। সেটা দিয়ে কোন কোনমতে জীবন চালিয়ে নেয়া যেত।

পৃথিবীতে আপন বলতে তার কেউ নেই। সে বড় হয়েছিল এতিখানায়। এতিমখানায় লেখা পড়ার সিস্টেম খুবই নিম্ন মানের। টেনেটুনে পরীক্ষায় পাস করেছিল বলে লেখাপড়া শেষ হওয়ার পর কোথাও চাকরী হয়নি। তারপর কিভাবে যেন অনেক দেন দরবার করে এই কাজটা পেয়ে গিয়েছিল। টেনেটুনে পাস করা প্রায় ফেল্টু ছাত্রের কাজের কোয়ালিটি আর কতইবা ভাল হবে? কাজের চার মাসের মাথায় বড়সর কিছু ভুল করে বসল। সাইফুলের বস তাকে ডেকে বলল,"আসসালামু আলাইকুম। আপনি এবার আসতে পারেন।" ফলস্বরুপ কাজ ছেড়ে তাকে চিরতরে চলে আসতে হল।