অ
লোকটি দাঁড়ির ফাঁকে রোদের লুকোচুরি নিয়ে সূর্যে এসে দাঁড়ায়। রোদে শরীর রাখে।
খালি গা থেকে উড়ে যায় কতকগুলো ঘামের চিল। একবার মেঘের শ্রীটা দেখে নিয়ে পা বাড়ায় সে- যেতে হবে ঝুপড়ি দোকানে; বেলা হয়ে আসছে- বারটার পরে কলিমমিস্ত্রি আর চা করে না। কলিমমিস্ত্রি চায়ের কারিগর, কাঠের না। অথচ তার দোকানের মন্দার কাঠের বেঞ্চিতে বসলে আরাম লাগে- গরমকালে স্রোতেলা জলে স্নান দিলে যেমন লাগে সেরকম। বসে ব...
লিফটে দরজার সামনে ওদের দেখা। দুজনের চোখেই কিছুটা কৌ্তুহল।কোন রকম ইতস্তত না করেই তরুন দু পা এগিয়ে যুবতীকে পরিস্কার ইংরেজীতে জানতে চায়, তুমি কোন দেশী?
আমি বাংলাদেশী, তুমি? মৃদু হেসে যুবতীও ইংরেজীতেই উত্তর দেয়।
তরুন এবার বাংলায় বলে, আপনি বাংলাদেশী!সিঙ্গেল স্টুডেন্টসদের এই হাউজেই থাকেন! এখানে আর কোন বাংলাদেশী আছে বলে তো জানি না!
-আমিও তো জানতাম না। কাল চাবি নেয়ার সময় প্রভোষ্টকে ...
উপসংহারের আগে :
আমি বিছানার পাশে বাবার মাথার কাছে বসে আছি। আমার ভাই বোনেরাও আছে সাথে। আমি অঝোরে কাঁদছি। বাবার চোখ দিয়েও টপটপ করে পানি পড়ছে। বাবা কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড অসুস্থ। বাবা বিড়বিড় করে কি যেন বলছে। বুঝতে পারছি বাবা আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
তারও আগে যা ঘটেছিলো :
আমরা ছোট্ট একটা দোতলা বাসায় থাকি। আমরা মানে আমি আমার ৮ ভাই বোন এবং বাবা। আমিই সবার চেয়ে বড়। ছোটবেলার স্মৃতি য...
[justify]রাতের খাবার কখন দেয় কে জানে? আমার খালি খিদা লাগে। এখানকার খাওয়া মুখে রোচে না। তাও গিলে গিলে খাই। পেট ভরিয়ে ফেলি। এখানে পড়ে আছি অনেক দিন অনেক মাস অনেক বছর। ইদানীং বাবা আমাকে আর দেখতে আসে না। বাবা বোধহয় আর পারছে না। এদিকে ডাক্তার আমার পুরানো জামাকাপড় পাল্টে দিচ্ছে না। আমি ময়লা জামা পড়ে দিনের পর দিন থাকছি। ডাক্তারকে বলেছিলাম। হাসে। বলে- তোর আব্বায় না দিলে পাবি কেমতে?
পায়ে শিকল ম...
[ নিচের লেখায় অনেক সাহিত্য-আইন লঙ্ঘন হতে পারে, বানান ভুল হতে পারে, দাঁড়ি-কমার ভুল থাকতে পারে, সাধু-চলিতের মিশ্রন থাকতে পারে। আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিলাম। ]
অনেক ভয় আর শঙ্কা নিয়ে লিখতে বসেছি। গত কয়েকদিন ‘অতিথি লেখক’দের নিয়ে যে কাঁটাছেড়া চলছে, ভয়ই লাগে যদি আনাড়ীলেখক,জামান সাহেব বা দলছুট এর সাথে আমার নামটাও জড়িয়ে যায়। তবে আমার ‘পরিবর্তনশীল’ বন্ধু মহিবকে বলে রেখেছি...দেখ্ ভাই, লেখা যদি...
গনি মিয়া একজন গরিব বর্গাচাষী। তার নিজের কোনো জমি নেই। অপরের জমি চাষ করে……
এমনি গনি মিয়ার সাথে সখ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরার সময় থেকে। অনুবাদ নামক তত্ত থেকে। তারপর সময় বয়ে চলা … এভাবে চলতে চলতে বাস্তব পটে চলে আসে আরেক গনি মিয়া, মৃত্তিকা শিল্পী মাটি নিয়ে খেলা.. খেলতে খেলতে স্বপ্ন বোনা, যতটা না ইচ্ছা তারচেয়ে অনেক বেশি বাস্তবতা।
হ্যা, গনি মিয়া একজন কুমার। বাংলার অনেক বিলুপ্ত প্রায় শিল্প...
স্যুটকেসটা বেশ বড় ছিল। যতদিন বিছানার নিচের জায়গাটা জুড়ে ছিল বোঝা যায়নি। এখন শূন্যতার মাপে বোঝা যাচ্ছে, শূন্যতাটি বিরাট। বিষন্ন লাগছে হঠাৎ।
অথচ এমন তো লাগার কথা ছিল না! বহুদিন ধরেই একই বাড়িতে থেকেও সম্পূর্ণ আলাদা ছিলাম আমরা। হাসি থেমে গিয়েছিলো অনেক আগেই, ইদানিং বন্ধ হয়েছিলো কথাও। এর কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট কারন নেই, কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার কথা বলতে পারি না যেখান থেকে এ দূরত্বের সৃ...
একদম কাছে না এলে তার উপস্থিতি টেরই পাওয়া যাবে না।
এখন রাত একটা-দুটো হবে নিশ্চয়ই। এমদাদ আলী লঞ্চের একদম পিছন দিকে বসে আছে। নীচু রেলিংএ পিঠ ঠেকিয়ে দু'পা ছড়িয়ে। সর্বক্ষণের সাথী দোনলা বন্দুকটি পাশে শুইয়ে রাখা। তারপাশে একটা প্লাস্টিকের মগে কিছুটা সস্তা মদ। রাত জাগতে গেলে এর চেয়ে ভালো রসদ আর নেই।
এমদাদ আলী বনবিভাগের নাইটগার্ড। সুন্দরবন এলাকাতেই তার চাকরী। প্রায় সতেরো বছর হয়ে গেল।...
পাউরা জারুরও খালি দুই পা, দুই হাতই আছে! এক পাউরা জারু আর কয় পয়েন নিব! আলি আজগরের কথায় সবাই যেন একটু সচকিত হয়।
ভাড়াটে খেলোয়ারের চিন্তাটা তবুও বাসেদ-এর মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। তার রেশ ধরেই বলে,
-দেহ মিয়ারা ষোল গেরামের লগে জিত্তা ফাইনাল খেলায় ঠগলে গেরামের মান থাহে! হের লাইগ্যাই কই, অহনও টাইম আছে চিন্তা কইরা দেহো। বাঘা রোস্তম একলাই একশ। হেরে আনলে খেলায় আমরা জিতুম। ঢাকারগাঁও গেরামের প...
[right]কবেকার মৃত কাক: পৃথিবীর পথে আজ নাই সে তো আর;
তবুও সে ম্লান জানালার পাশে উড়ে আসে নীরব সোহাগে
মলিন পাখনা তার খড়ের চালের হিম শিশিরে মাখায়;
তখন এ পৃথিবীতে কোনো পাখি জেগে এসে বসেনি শাখায়;
পৃথিবীও নাই আর; দাঁড়কাক একা — একা সারারাত জাগে;
কি বা হায়, আসে যায়, তারে যদি কোনোদিন না পাই আবার।
নিমপেঁচা তবু হাঁকে : ‘পাবে নাকো কোনোদিন, পাবে নাকো
কোনোদিন, পাবে নাকো কোনোদিন আর।’
--- "এই সব ভালো লাগে", জী...