প্রসঙ্গ ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানি:
ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা ভাষা নিয়ে গণমাধ্যমে লেখা আর কথার স্রোত আসে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার হ্যান এবং সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ত্যান করতে হবে বলে গুণীজন১ এ মাসে অনেক উপদেশ, পরামর্শ আর হাহাকার উপহার দেন আমাদের। মার্চের এক তারিখে বাংলা ভাষা নিয়ে কথাবার্তাগুলো রোদে শুকিয়ে ন্যাপথলিন দিয়ে আবার তোরঙ্গে তুলে রাখা হয়, পরের বছরের জানুয়ারির তিরিশ-একতিরিশ তারিখ ফের বের করে রোদে দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ঠ্যাকা কাজ চালানোর জন্য। ফেব্রুয়ারি তাই এক অর্থে বাঙালির ভাষা-রমযান। আমার ইচ্ছা ছিলো ফেব্রুয়ারি বাদে বাকি এগারো মাস বাংলা ভাষার টুকিটাকি নিয়ে একজন আগ্রহী চর্চক হিসেবে ঘ্যানঘ্যান করার, কিন্তু বিধি বাম।
নিকষ কালো আকাশের বুক চিরে ধমনীর মত আলো ঝলকে উঠলো। ঝলকের মাঝে দেখে মনে হবে, কোটি কোটি শীতল, পড়ন্ত বৃষ্টি ফোটা হঠাৎ যেন মাঝপথে থমকে গেছে। পানিজমে থাকা রাস্তায় প্রতিফলিত হলো সেই স্বর্গীয় অগ্নিঝলক। যেন ভাঙা কাচের টুকরো দিয়ে সাজানো ঢালাই করা রাস্তাটা। তারপর আবার নিকষ আঁধারে ফিরে গেলো বজ্রাহত আকাশ। আর ফের শুরু হলো যেন অব্যহত বৃষ্টির ধারা। ফুটপাথটা অন্ধকার। নিকষ কালো রাতের পেশী যেন চারিদিক থেকে চেপে ধরতে চাইছে। দাতে দাত চেপে, ডানপাশের ব্যাথাটা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করলো গোয়েন্দা ফ্র্যাঙ্ক শ' । অন্ধকারের মধ্যে তার চোখদুটো কুচকে রয়েছে। দু-হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছে স্মিথ এন্ড ওয়েসন পয়েন্ট আটত্রিশ চিফ'স স্পেশাল। একজন শুটারের ভংগিতে দাড়িয়ে দুই রাউন্ড গুলি করলো সে। ফ্র্যাঙ্কের কিছু সামনে, দ্রুত দৌড়ে কাছের একটা গুদামঘরের কোনায় আশ্রয় নিয়ে কোনমতে নিজেকে বাচালো কার্ল স্ক্যাগ। প্রথম গুলিটা শীষ কেটে চলে গেলো পেছন দিয়ে, আর দ্বিতীয়টা গুদামঘরের দেয়ালের কোনায় লেগে চলটা উঠিয়ে ফেললো। গুদামঘরের ধাতব চালায় আর ফুটপাথে আছড়ে পড়া অবারিত বৃষ্টির গর্জন, আর এর সাথে বিদ্যুতচমকের শব্দ, দুয়ে মিলিয়ে গুলির শব্দকে প্রায় ঢেকে দিলো। ব্যক্তিগত প্রহরীররা যদিও কাছেপিঠে থেকে থাকে , তারা মনে হয় কোন কিছু শুনতে পায়নি। তাই ফ্র্যাঙ্ক-এর সাহায্য পাবার আশা সুদূর পরাহত। সাহায্য পেলে ও অবশ্য স্বাগতই জানাতো, স্ক্যাগ বিশালদেহী, শক্তিশালী এক সিরিয়াল খুনি । এ পর্যন্ত কমপক্ষে বাইশটা খুন করেছে সে। সবচেয়ে ভালো দিনেও লোকটা ভয়ঙ্কর-রকম বিপদজনক, আর এই মূহুর্তে সে একটা ঘুর্ণায়মান কাঠচেরা করাতের মতোই ভয়াবহ।
৮
উনিশ’শ পঁচাত্তরের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর একটি ছিল সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ক্ষমতায়ন। তাঁর দল গঠনের প্রাথমিক চিন্তাভাবনা নিয়ে তাঁরই শাসনকালের এক আমলা, প্রথমে নোয়াখালি এবং পরে চিটাগাঙের জেলাপ্রশাসক, সবেক সিএসপি অফিসার জিয়াউদ্দিন চৌধুরির পর্যবেক্ষণ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
উর্দু ভাষায় প্রকাশিত পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘নওয়া-ঈ-ওয়াকতের’ ১৯৭৫ সালের ২রা ডিসেম্বর সংখ্যার শীর্ষ খবরে স্থান পায় বাংলাদেশের ‘বিপ্লব’। লিবিয়ায় আশ্রিত বঙ্গবন্ধুর খুনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষাতকারের বরাতে সেই খবরে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের দুই অংশকে আবার একত্রিকরণের’ উদ্দেশ্যে তারা (বিপ্লবীরা) একটা ‘বিপ্লব’ (১৫ই আগষ্ট) করেছে। সেই খবরে আরও বলা হয়, যদিও কিছু সংখ্যক ‘সাম্রাজ্যবাদি দালালের তৎপরতায়’ বিপ্লব আপাতত বিঘ্নিত হয়েছে (৩রা নভেম্বররের পাল্টা অভ্যুত্থান), কিন্তু ‘পাকিস্তানের দুই অংশের এক হওয়া’ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
রেখাচিত্রী জেইক পার্কার ২০০৯ সালে মাসব্যাপী প্রতিদিন (কমপক্ষে) একটি করে ছবি আঁকার এক হুজুগ চালু করেছিলেন। সময়ের সাথে এটা হুজুগ থেকে ছোটখাটো বিকেন্দ্রিক উৎসবের চেহারা নিয়েছে, নাম ইঙ্কটোবর (বিস্তারিত সূত্রে)। ইঙ্কটোবরের মূল প্রেরণা ছিলো প্রতিদিনের চর্চায় কালির কাজের ওপর শিল্পীর দক্ষতা বাড়ানো, নামটাও তাই কালি থেকে গজিয়েছে। হিস্পানিভাষী শিল্পীরা এটাকে [i]তিন্তোব্র
[justify]সামিরা। যুগোস্লাভিয়ার সারায়েভো শহরে বাবা-মা আর ছোট বোনকে নিয়ে ওদের সংসার। যাকে বলে সুখের সংসার। কলেজ থেকে পাশ করার পরই সামিরার চাকরি হয় দূরের এক দুর্গম গ্রামে। শিক্ষকতার চাকরি। জীবনের প্রথম চাকরি নিয়ে উচ্ছ্বসিত সামিরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সেই গ্রামে যাবার বাসে ওঠে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনের নতুন অধ্যায়।
বিস্তারিত থাক
শুধু বলি, লিফ্টের ভিতরে আমরা তিনজন ঠেসাঠেসি, নিঃস্পন্দ নির্বাক।
হিংস্র পত্নী প্রাণপ্রিয়া হোসনে আরা অদূরে জ্বলন্ত চোখে কটমট
আমা পানে চেয়ে, বিড়বিড়ায়ে কী যেন চলিছে বলি।
তার পাশে ততোধিক জ্বলন্ত যুগল আঁখি পিটপিটায়ে চেয়ে আছে
নিতম্বিনী রাবেয়া পাটেল। হোসনে বিবির সে সহকর্মিনী। নিকটেই বাসা।
সুন্দরী। তনুটি খাসা।
আলগোছে দেখে লই, হোসনে আরা খন্তাখানি লগে লয়ে আনিয়াছে কি না।
ইউএন হ্যাবিটেট বা জাতিসংঘ বসতি টেকসই প্রতিবেশ পরিকল্পনার (sustainable neighbourhood planning) উদ্দেশ্যে নতুন যে কৌশলপত্র প্রকাশ করেছে সেখানে নিচের পাঁচটি নীতিকে গুরুত্বপূর্ণ ব’লে ঘোষণা করছে-
[i]১. রাস্তা আর রাস্তার নেটওয়ার্কের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা : রাস্তার নেটওয়ার্কের জন্য মোট জমির অন্তত ৩০ শতাংশ থাকা দরকার। সেই সাথে প্রতি বর্গকিলোমিটারের জন্য কমপক্ষে ১৮ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা থাকতে হবে।