ইর্মগার্ড ফুর্খনার নামক জার্মানকে দেখে আর দশজন সাধারণ বৃদ্ধ শ্বেতাঙ্গ নারীর থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কিন্তু ফুর্খনার সাধারণ নন। আজ ৯৭ বছর বয়স্ক ফুর্খনারকে উত্তর জার্মানির এক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অধিক কী বলি আর
পাখটিভিস্ট বন্ধু ওয়াছিম কাগমারির কথা।
হলে গেনু পরস্ত্রীক, 'হাওয়া' সিনামাটি অবলোকিনু
বাইর হইতে না হইতে কুথা হতে আসিয়া সে ঠাসিল কলার মম।
হুঙ্কারিয়া শুধাল কুশল, খেলায়েত কবি! শালিকের মাংস দিয়া ভাতভুত খেয়ে
খুব মুটাগাটা হয়েছস দেহি! তারপর সে দৃষ্টি হানে হাওয়াসাথী পরস্ত্রীর দিকে,
হাসে কিটিকিটি।
আমি পড়ি মহা মুশকিলে। শালিকের মাংস আমি কেন খাব? পাবই বা কুথা?
ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় প্রতি সপ্তাহে একদিন করে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পলিসিতে গেছে অফিস।
আজ সপ্তাহের সেই দিন।
প্রেশার কমেটমে গতকাল রীতিমতো গিয়ানজাম লাগিয়ে দিয়েছিলাম৷
আমার এমনিতেই লো প্রেশার। দুপুরে লাঞ্চ করতে করতে চারটা বাজল। এরপর দেখি পেকে ভর্তা হয়ে যাওয়া সাগরকলার মতো ঘাড় চটাৎ চটাৎ করে পড়ে যাচ্ছে৷ 'বল বীর, বলো চির উন্নত মম শির' জাতীয় কোবতেটোবতে আওড়ে কোন লাভ হলো না।
যখন ব্যস্ত ফুলের দল মুহূর্ত গুণে
চেনা রাস্তায় ঘরে ফিরে
তখন মেরুন সন্ধ্যালোকে
কোলাহলে আড়াল তোর আমার গুঞ্জন
নিয়ন অন্ধকারে মুখোশ খুলে
তোর সুরে চিৎকারে
দৃষ্টির কামনায় মমতার ছন্দ
বাধার অরণ্যে তোর ঘ্রান
একমাত্র নিশ্চিত স্থানাংক
ভাঙনের খবরে ঘুম ভাঙে
অচেনা ঘরে কম্পিত শব্দে
সতন্ত্র সাহসীর ভয়ার্ত চিৎকারে
হঠাৎ খুন হয়েছে
স্বপ্ন মোড়া আমার বিষণ্নতার একমাত্র ঠিকানা
ঢাকার যানজট :
সম্প্রতি ঢাকার এক অংশের মেয়র বলেছেন, ‘রাজধানীর যানজট নিরসন এক দিনের বিষয় নয়। এ যানজট আমাদেরই সৃষ্টি। পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্পভিত্তিক কাজ করতে গিয়ে রাজধানীতে এই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।’ তিনি অন্যত্র আবার বলেছেন, ‘এখন বনানীর সামনে এসে বিশাল যানজটের মধ্যে আটকে থাকতে হয়। আমরা নিজেরাই সেখানে সেতু ভবন করেছি। এর পাশে আবার বিআরটিএ ভবনও করে ফেলেছি।’
আলামিন ভাতের হোটেল পারে পানের দোকানে
চাবাইতেছিনু পান। তখন অকস্মাৎ
পাঠাও চাপিয়া এসে উপস্থিত হাউমাউ ক্রন্দনরত গেনী বন্ধু ইছহাক
চন্দ্র বিদ্যাসাগর। পাঠাওয়ের ইয়ামহা চালকটি পরম আদরে
মুছাইয়া দিল গেনী ইছহাকের অশ্রু একটি বাতিল রুমালে। আমা পানে
ইছহাককে আলিঙ্গন বাগাইয়া আগাইতে দেখিয়া সে করিল হুশিয়ার, ভাই এট্টু দেইহেন।
তারপর চলে গেল ভো ভো করে কুথা পানে যেন।
তার নাম রফিক। পাশের যে জন তারও নাম রফিক। একই বাসায় তাদের বাস। তারা ঘরবন্ধু।
তবে তাদের ভেতর বেজায় মালিন্য। তাদের চলে নিত্য নৈমত্তিক বিরতিহীন বচসা। হাতাহাতি। তবুও কোন এক কারণে তারা ভাগাভাগি করে থাকে। বাড়ি বদলায় না। এই একটা জায়গায় তাদের অকথিত বোঝাপড়া।
রোজকারের মতো সেদিনও চলছে তাদের নিরন্তর বাহাস।
এক রফিকঃ শালা কুত্তা কোথাকার! মাত্র তেরো বছরের মেয়ে! তেরো!! কিভাবে পারলি??
অন্য রফিকঃ চুপ শালা! চুপ! একদম চুপ! তাতে তোর কি রে! আমি তোর খাই না পরি?
এক রফিকঃ তুই মানুষ না। তুই জানোয়ার।
অন্য রফিকঃ হ্যাঁ, আমি জানোয়ার।
এক রফিকঃ তুই ইতরেরও নীচের ইতর। মরে যাস না কেন?
ঢাকাতে বিভিন্ন সময়ে সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে বেশ কিছু আবাসিক এলাকা ডিভেলপ করা হয়েছে। যেমন ধানমন্ডি , গুলশান, নিকেতন , পল্লবী, বনশ্রী , বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বা বিভিন্ন ডিওএইচএস। সবগুলোই প্লট ভিত্তিক অর্গানাইজেশন। অর্থাৎ একটা বেসিক রোড নেটওয়ার্কের আওতায় কোনো এলাকাকে প্রথমেই ছোট ছোট ব্লকে ভাগ ক'রে নিয়ে তাতে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আকার এবং আয়তনের প্লট তৈরী করা হয়। তারপর সেই প্লটগুলোকে এক বা একাধিক
গণমাধ্যমের কল্যাণে তথাকথিত ‘ই-কমার্সের’ নামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বড় মাত্রার প্রতারণার কথা ইতোমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি। স্বাধীনতার পর দেশি উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় অনেক সফল শিল্প প্রতিষ্ঠিত কিংবা বিকশিত হলেও, তথাকথিত ‘ই-কমার্স-শিল্পের উদ্যোক্তারা’ যাত্রার শুরুতেই এই মাত্রার গণ-প্রতারণার জন্য উদাহরণ হয়েই থাকবেন। মাসখানেক ধরে একটা অনলাইন পোর্টালে দুজন পলাতক ‘উদ্যোক্তা’, ইভ্যালির নিয়োজিত ‘সোস্যাল মিডিয়া সেলেব্রিটি’ এক ব্যারিস্টার, উপস্থাপক এবং কিছু কৈফিয়তদাতার ‘বয়ান’ শুনে এই সেক্টরের দুর্বৃত্তায়নের গভীরতা সম্বন্ধে একটা ধারণা পাওয়া গেল।
১৩
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪। পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওআইসির (OIC) দ্বিতীয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানে আগত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তুন আবদুল রাজাকের সাথে স্বাগতিক দেশ, অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠকের আয়োজন করা হল। সময়মত আবদুল রাজাক বৈঠকের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলেও জুলফিকার আলী ভুট্টোর দেখা নেই। পাগল-প্রায় প্রটোকল অফিসাররা ভুট্টোর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারল না। অনেক চেষ্টা করেও ভুট্টোকে পাওয়া না গেলে আবদুল রাজাক ক্ষুব্ধ হন, এমনকি দেশে ফিরে যাবেন এমন কথাও বলেন।
@মন মাঝিঃ আছেন কেমন? বহু দিন হয় আপনার কোন পোস্টও দেখি না, কমেন্টও দেখি না।