"ভাই পানি আছে?"
"আছে, মিনারেল না জগের পানি?"
"জগের পানিই দ্যান।"
লোকটা ঘাড় থিকা বড় একটা ছালার বস্তা ধপ্পড় কইরা নামায়া এক পাশে রাখলো। বস্তাওয়ালা গায়ে গতরে তাগড়া, বেশ গাইট্টা গুইট্টা। এই শীতের রাইতেও ঘাইমা পুরা গোছল কইরা ফালাইছে। মনে হয় অনেকক্ষণ ধইরাই সে এই বোঝা নিয়া বইয়া বেড়াইতাছে। কইত্থিকা আইতাছে, বুঝা গেল না। ওইপার যাইবো মনয়।
চারটি অসমীয়া লোককথা। চারজনের মায়ের গল্প। সেখানে একজন হিংসুটে লোভী মা। আরেকজন এক চালতার মা। এক মায়ের শুধুই কোলখালি হয়। আরেক রাক্ষসী কখনো চায়নি মা হতে। কিছু অন্ধকার কিছু অদ্ভুত রসের গল্প। অসমীয়া ভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিক লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার "বুঢ়ী আইৰ সাধু" (বুড়ি আইর সাধু) থেকে চারটি গল্পকে আশ্রয় করে চলচ্চিত্রখানি নির্মিত। "সাধুকথা" আমাদের ভাষায় রূপকথার সমার্থক। "বুঢ়ী আইর সাধু" হল গিয়ে কিনা আমাদের ঠাকুরমার ঝুলি।
মশানে : প্রথম পর্ব
রাত্রির তৃতীয় প্রহর। নিস্তব্ধ চারিধার। কিয়ৎক্ষণ পূর্বেও শূলাবিদ্ধদিগের কাতর আর্তনাদ, আত্মীয়াদির চিৎকার আর শৃগাল শকুনীদের মড়া আধমড়া লইয়া টানাটানিতে বধ্যভূমি নারকীয় হইয়া ছিল। নিকটবর্তী শ্মশান হইতে চিতার কাষ্ঠ বিদীর্ণ হইবার শব্দ শোনা যাইতেছিল। এখন প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ। হয়তো অন্যান্য দণ্ডীদিগের মৃত্যু হইয়াছে। শবদাহ করিয়া বাড়ির পথ ধরিয়াছে শ্মশানবন্ধু সকল। শৃগাল শকুনীরাও সরিয়া পড়িয়াছে নিজ নিজ ক্ষুন্নিবারণ শেষে। কিন্তু চমরবাল এখনো মরে নাই। তার প্রাণবায়ু এখনো দেহ হইতে নির্গত হয় নাই। আশ্চর্য হইয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া তাহাই দেখিতেছিল বুঝি এক শিবা, এক্ষণে সেও সরিয়া পড়িল। নড়িল না শুধু মশাল হাতে এক যুবক। চমরবাল অস্ফুটে কী জানি কহিতে চাহিলো, বোঝা গেল না। হয়তো আকুতি, হয়তো বা তার তীব্র যন্ত্রণার প্রকাশ।
একটি প্রাপ্তি সংবাদ!
একটি প্রাপ্তি সংবাদ!
শহরের উষ্ণতম দিনে
যখন রাস্তার দুধারে
সারিসারি ভোঁতা কিছু মুখ আটকে রেখে
শাঁই শাঁই করে চলে যাচ্ছিলো
খুবই, খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক গাড়ির বহর,
ঠিক সেইসময়, সবার সম্মিলিত চেষ্টায়
'ভাবনা' নামে একটি বাচ্চা পাওয়া যায়।
তুম্বাড় চলচ্চিত্রের মূল বিষয় মানুষের তৃতীয় রিপু। লোভ। অন্ধ সর্বগ্রাসী লোভ। আর এই লোভের শুরু এক পৌরাণিক কাহিনী দিয়ে।
(পূর্বের অংশ এখানে সংযুক্ত করা হলো)
১
"মন্ত্র কী জানো তো?"
"না, কী?"
জটাধারী মাটিতে আঁক কষতে কষতে মুখ টিপে হাসলেন আর গুনগুনিয়ে গাইতে শুরু করলেন। ঘুরঘুট্টি অমাবস্যায় মশালের আগুনে তার ব্যস্ত হাত মাটিতে চক্রাকারে কী যেন এঁকে চলেছে। জটাধারী গাইছেন,
"স্বপন পাড়ের ডাক শুনেছি, হু হুম হু হু হু হুম ..
কেউ কখনো খুঁজে কি পায়.. হু হুম হু হুম হুম"