মাঝেমাঝে খুব রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে মনে হয় যেন লঞ্চের ধাতব মেঝেতে শুয়ে আছি বিছানার চাদর পেতে। হালকা গুমগুম করে কাঁপছে পুরো লঞ্চ ইঞ্জিনের শব্দে। ইঞ্জিন তো নয় দানব যেন! ছোটবেলায় যখনই লঞ্চে করে মামাবাড়ি বা গ্রামের বাড়ি যেতাম, বেশ কবার লঞ্চের ইঞ্জিনের জায়গাটা ঢু মারতাম। যত কাছে যেতাম শব্দ বাড়তো। একদম কাছে গেলে কানে প্রায় তালা লেগে যেত, কিন্তু ওটাই দারুণ উপভোগ করতাম। বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতাম নিচে, বুঝার চেষ্টা করতাম এই যন্ত্রদানবের কর্মকাণ্ড।
আগে ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে স্কুলছুটির বন্ধে ঘুরতে যেতাম সপরিবারে। সদরঘাটে ব্যাগ গাট্টি বোচকা সমেত রিকশা করে এসে লঞ্চঘাটের টিকেট কেটে লঞ্চে উঠে ফ্লোরিং এর জন্য উপযুক্ত জায়গা বাছা পর্যন্ত একটা চাপা টেনশন কাজ করতো। মাঝেমাঝে আগেই অনেক মানুষ এসে জায়গা নিয়ে ফেলতো। তখনো আমরা সপরিবারে ফ্লোরিং করেই যেতাম, কেবিনে যাওয়া হয় আরো পরে। সপরিবারে ফ্লোরে যাবার বেশ কিছু কায়দা ছিল। যেমন জায়গাটা এমন ভাবে নির্বাচন করা হত যাতে শাড়ি দিয়ে ঘের দিয়ে একটা ঘরের মত বানিয়ে ফেলা যায় আবার রেলিংটাও যেন এক পাশে থাকে। মানে লঞ্চের বাইরে দেখতে দেখতে যাতে যাওয়া যায়। তবে সবসময় রেলিং এর পাশে জায়গা পাওয়া যেত না। অনেক পরিবারই এভাবে শাড়ির ঘের বানিয়ে যেত। এভাবে মায়ের একটা পুরনো শাড়ি কিংবা চাদর সহযোগে চারিদিকের জনসমুদ্র থেকে নিজেদের খানিকটা বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারলেই কিছুটা স্বস্তি মিলতো। বাবা হয়তো একটা পেপার খুলে বসতো। চারিদিকে মানুষের কথাবার্তা, হকারদের দৌড়াদৌড়ি। কেউ পেপার ম্যাগাজিন নিয়ে আসছে, কেউ পাইনাপেল ক্রিম বিস্কুট, কেউ নারিকেল চিনি দেয়া মুড়ি। সময়কাল আশির শেষ কিংবা নব্বই এর শুরু।
লঞ্চে ওঠার পর দাদা মানে বড়ভাইয়ের টিকিটা দেখা যেত না। টো টো করতে বের হয়ে যেত। দিদি হয়তো রেলিং এর বাইরে দেখতো অথবা গল্পের বই পড়তো। মা-ও হয়তো কিছু একটা পড়তে বসে যেত। আমি কিছুক্ষণ রেলিং ধরে বাইরে দেখতাম। তখনো লঞ্চ ছাড়েনি হয়তো। পাশে দিয়ে কোন লঞ্চ এসে ভিড়লে সেই লঞ্চের সাথে মৃদু ঠোকাঠুকি, কখনো বা একটু জোরেই বাড়ি খেয়ে দুলুনি বেশ উপভোগ করতাম। লঞ্চের নামগুলো মনে নেই। তবে যদ্দুর মনে পড়ে এম ভি সাদিম, গাজীতে বেশ কবার গেছি বোরহানউদ্দিন এর পথে।
বিকেল হয়ে এলেই লঞ্চ ছাড়তো। বেশ কবার সাইরেন দিয়ে আস্তে আস্তে যখন লঞ্চ টার্মিনাল ছাড়তো কেমন যেন একটা অদ্ভুত মনের অবস্থা হত। রেলিং থেকে যখন টার্মিনালের পন্টুনগুলো দেখতাম দূরে সরে যাচ্ছে, মনে হত কোথায় যেন চলে যাচ্ছি। তবে এই পিছুটান উবে যেত যখন লঞ্চ আস্তে আস্তে বুড়িগঙ্গা ধরে সামনে বাড়তো। যখন দিনের আলো কমে সন্ধ্যা হয়ে আসতো, পাশাপাশি আর কিছু লঞ্চ পাল্লা দিয়ে ছাড়তো তখন। বুড়িগঙ্গার পথে দেখা যেত কত রকমের নৌকা নদীতে তখনো। আরো কিছু পরে রাত নেমে গেলে লঞ্চ যখন কাঠপট্টি পার হত, সবাই জানতে পারতো। আমি রেলিং দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতাম। আবছা অন্ধকারে দূরের কোন জনবসতি হয়তো সরে যাচ্ছে, দূরে কোন নৌকায় টিমটিম করে জ্বলছে একটু আলো। একটা হয়তো হারিকেন ধরিয়ে রেখেছে। দূর থেকে নৌকাগুলোকে অনেক মায়াবী লাগতো তখন। মনে হত আহা ওদের নৌকায় যদি এখন যাওয়া যেত।
রাত বেড়ে গেলে নদীর বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যেত। মাঝেমাঝে আশেপাশের মানুষের শান্তি ভঙ্গ করে তাদের ডিঙ্গিয়ে, চাদর মাড়িয়ে ছাদে যাওয়া হত। ঠান্ডা বাতাসে আর অন্ধকারে এক অদ্ভুত রহস্যময় পরিবেশের সৃষ্টি হত লঞ্চের ছাদে। শীতের সময় হলে পরিষ্কার আকাশে গিজগিজ করতো তারা। বাবা আঙুল দিয়ে তারা চিনাতো। আমি একবার বুক অভ নলেজ থেকে পড়া কালপুরুষ নিজে নিজে বের করে অনেক খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ছাদে বেশিক্ষণ থাকা হত না। ঠান্ডা লেগে যাবার ভয়ে চলে আসা হত।
শাড়ির ঘেরে চলে আসলে রাতের খাবারের পাট চোকানো হত। একটা প্লাস্টিকের থালা আর টিফিন ক্যারিয়ারে করে ভাত তরকারি নিয়ে আসা হত। একজন একজন করে সবাই খেয়ে নিতাম। মনে পড়ে একবার একটা থালা ধোবার সময় রেলিং থেকে পড়েই গেল।
খাবার পর ঘুমানোর চেষ্টা হত। অনেকেই হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। বাতাস যাতে না আসে তাই তখন রেলিং এর পর্দা টেনে দেয়া হত। তবু আমি লুকিয়ে পর্দার ফাঁক দিয়ে বাইরে দেখতাম আর ধরা পড়লে একটু আধটু বকুনি খেতাম। মাঝেমাঝে বাথরুম যাবার ছলে মানুষ দেখতে বের হতাম। ঘুমন্ত মানুষ, এদিক ওদিক পড়ে থাকা মানুষ, তাস খেলতে থাকা মানুষ। আর একতালায় সেই কানে তালা লাগানো ইঞ্জিন। কিছুক্ষণ ইঞ্জিনের চারপাশে ঘুরে চলে যেতাম লঞ্চের পেছনে। সেখানে আবার এক অন্য যজ্ঞ। পেছন দিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়া জলের শব্দ আর জলের সরে যাওয়া অনেকক্ষণ বসে দেখা যায়। এসব দেখে টেখে নাক টিপে বাথরুম সেরে চলে আসতাম নিজেদের সাময়িক ডেরায়।
মাঝেমাঝে খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে যেত। শীতের সকালে লঞ্চ যখন গন্তব্যের কাছাকাছি চলে আসতো আশেপাশের ঘাটগুলোতে অনেকেই নেমে যেত। ইঞ্জিন থামিয়ে লঞ্চ যখন নিঃশব্দে কুয়াশাঢাকা সুপারি নারিকেলের ঝাকড়া মাথা বের করা কোন ঘাটে ঢুকতো আমি তখন হয়তো রেলিং এর পর্দা ফাঁক করে দেখছি। সাধারণত ৬/৭টার দিকে গ্রামের ঘাটে লঞ্চ ভিড়তো। পৌছেই নামার তাড়া, সব গোছগাছ শুরু হয়ে যেত। কোন কুলি এসে হয়তো সব নামিয়ে নিয়ে রিক্সায় তুলতো।
ছুটি কাটিয়ে যখন আবার গ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিতাম তখন ঠিক অতটা ভাল লাগতো না। মন খারাপ হয়ে থাকতো। মনটা ভাল হত আবার সকালবেলায়। যখন লঞ্চ স্পিড কমিয়ে দিয়ে ইয়াব্বড়-বড় ইটের ভাটার চিমনী আর নানান আকৃতির দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ পেরিয়ে শহরের বন্দরে ঢুকতো। লঞ্চের ছাদে চলে আসতাম ভাল করে দেখতে। এগুলোর কিছুই ঢাকা ছাড়ার সময় কেন চোখে পড়তো না ভেবে অবাক হতাম। নিজের শহরকে খুব অচেনা লাগতো তখন,অন্যরকম একটা ভাললাগা এসে ভর করতো। এই ভাললাগার আবেশটা বাসায় আসা অব্দি থাকতো।
মন্তব্য
আহা, কী সুন্দর! যেন কুয়াশা উঠছে চারিদিক থেকে, ভোলার কাছে কুয়াশার চাদর চিরে দেখা দিচ্ছে সোনালী জল আর দূরের আবছা ঘাট, সেই স্মৃতিগুলো মনে আসলো। তবে বরিশাল বা ভোলার লঞ্চে একটা দারুণ জিনিস ছিল সেখানে খাবার, বিশেষ করে মুহিত ভাইয়ের জন্যও হয়তো আলাদা খাতির পেতাম বা পাই এখনো, ঝাল ঝাল আলু ভর্তা আর মুরগীর গাঢ় ঝোল পুরাই অমৃত লাগে লঞ্চের বাতাসের মাঝে কেবিনে বসে খেতে।
facebook
লঞ্চে উঠলেই ইলিশ ভাজির গন্ধে ম ম করতো চারদিক। কিন্তু বাবা কখনো খেতে দিতো না লঞ্চের ক্যানটিনে। অনেক পরে বরিশালের পথেই লঞ্চের চিকেনের ঝোল খাই পরোটা দিয়ে, আসলেই অমৃত!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কী সুন্দর একটা লঞ্চ যাত্রার বিবরণ। মনে হয় অনেকদিন পর এরকম একটা সুস্বাদু পারিবারিক ভ্রমণকথা পড়লাম। আমি কখনো লঞ্চে ভ্রমণ করিনি। লঞ্চে চড়ে ঢাকা থেকে বরিশাল যাবার ইচ্ছে ছিল এ বছর। করোনার কারণে পিছিয়ে গেলাম। ঢাকা থেকে দিনের বেলা কোন লঞ্চ ছাড়ে কিনা জানি না। অধিকাংশ দেখি রাতের লঞ্চ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দিনের বেলা কোন লঞ্চ ছাড়ে জানা নেই। লঞ্চে ঘুরতে চাইলে রাতের জার্নিগুলাই দারুণ। বরিশালের কোন বড় লঞ্চে চড়ে ঘুরে আসুন।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লঞ্চ যাত্রায় নদীর বাতাস, জলের গন্ধ, ঘাম, প্রস্রাব, ডিম-সেদ্ধ, ইলিশ-ভাজা, মুরগিরঝোল, ঝালমুড়ি - সব কিছুর গন্ধ মিলে, জলের ছলছল, ইন্জিনের শব্দ, মানুষের কথা, হকারের হাকডাক - সব শব্দগুলি, লঞ্চের ভিতরের নানাবিধ ক্ষণকালিন সংসার, হন্তদ্ত কর্মকান্ড, আর লঞ্চের বাইরে দুরন্ত শিশুর জলে ঝাপান, ছোট জেলে নৌকা, ইট ভাটা, ড্রেজিং, উল্টো দিক থেকে আসা লঞ্চ বা বড় ফেরি, ঠাটাপড়া রোদে জলের ঝিলমিল, বা ডিমের কুসুমের মতন স্যন্ধার সূর্য বা সূর্যাস্তের সময়ে আকাশে উচ্ছসিত রঙের ঝড়, পদ্মার ঘোলাটে জলের মতন মিলেমিশে এক হয়ে যায়। সেই ঘোলাটের বর্ণ, গন্ধ, রূপ, রং এমন বিশেষ রকম যা মনের মধ্যে তৈরী করে একই সাথে আনন্দময় সময় কাটিয়ে ঢাকার একঘেয়ে জীবনে ফেরার উৎকন্ঠা, আবার সেই সাথে প্রিয় চিরচেনা জায়গায় ফিরে আসার আরাম, সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে আপনার লেখায়!
দারুণ! আপনি তো সবই নিয়ে আসলেন। ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
চমৎকার স্মৃতি। ছোটবেলার ফেরিভ্রমনের স্মৃতিগুলো মনে পগে গেলো।
সত্যিই তাই, আমরা অবশ্য রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম ফিরতাম। ট্রেন - ফেরি- ট্রেন। কিন্তু আসবার পথে দৃশ্য দেখায় মন থাকতোনা, রাজশাহী ছেড়ে যাবার বিষন্নতা ভারি হয়ে চেপে বসে থাকতো।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ফেরিতে কেন জানি না আমার অস্থির লাগতো বেশি।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কি দারুণ সব দৃশ্যকল্প!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি মিয়া ভয়ে ভয়ে পড়ছিলাম যে লঞ্চবিষয়ক কোনো নৌ-হড়ড় নাকি। কোন জলদানো বা লাভক্রাফটিয়ান মন্সটার এসে হাজির হয় কি না। পরে পড়ে শেষ করে হাফ ছেড়ে বাচলাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হাহাহা একবার প্রায় লাভক্রাফটিয়ান ব্যাপার হইতে নিছিলো। ভয়ানক ঝড়ে পড়ছিলাম। একটা কথুলু হয়তো নীচে আড়মোড়া ভাঙ্গতে ছিল।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হাহা। খেকু মাঝে মাঝে এমনসব জবরদস্ত টুইস্ট মারে, ওর লেখা তাই সাবধানে ধরে ধরে পড়তে হয়। কোন ফাকে টুইস্টের খপ্পড়ে পড়ে যেতে হয়। যাক এযাত্রা "দিনগুলো মোর সোনার খাচায় রইলো না" - মূলক বিবাগী মনের স্মৃতিচারন হলো। তা বেশ লাগলো। তবে লাভক্রাফটিয়ান ফ্যানরাও ত অপেক্ষায় আছে নাকি, একটা গল্প ফেদে ফেলুন মশায় !
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
শরীয়তপুর গেছিলাম লঞ্চে সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে, রাতে। পদ্মানদীতে ঢুকামাত্র ব্যাপক কুয়াশা। টিমটিম আলো দেখা যায় দূরে দূরে। আপনার লেখা পড়ে সেই স্মৃতি টুপ করে ফিরত আসল। পারে ভিড়ে একটা হোটেলে পরোটা সবজি দিয়ে নাস্তা করেছিলাম আর আমাদের এক বন্ধু পাঁচ টাকায় চুল কাটিয়েছিল সেইটাও মনে পড়ল অকারণে। পদ্মা নদীর অন্ধকারে জেলে নৌকার টিমটিম বাতির মত সব স্মৃতি।
..................................................................
#Banshibir.
তার মানে ৯৯/২০০০ এর ঘটনা?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কলেজ না ভার্চিটি সেকেন্ড ইয়ার, সুতরাং ২০০১ এর ঘটনা মনে হয়।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য সচলে লগিন করলাম। আমরা যখন ছোটবেলায় লঞ্চে করে চাঁদপুর যেতাম, আমার সেই অভিজ্ঞতা কী ভীষণ মিলে যায় আপনার এই লেখার সাথে, এই লেখা আমার স্মৃতির ঘরে বেশ নাড়া দিয়ে গেল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আহা ইলিশভাজা! কে হায় হৃদয় খুঁড়ে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কি ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে! আমার লন্চে চড়ার অভিজ্ঞতা আছে বেশ।কলেজে পড়ার সময় ঢাকা থেকে কাঠপট্টি হয়ে আবদুল্লাহপুর নেমে রিকশা করে টংগীবাড়ি যেতাম। বাবা ছিলেন টংগীবাড়ির ইউ এন ও।
একা একাই চলে গেছি বেশীর ভাগ সময়। অল্প সময়ের জার্নি বলে বাইরে দাঁড়িয়ে আশেপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতেই চলে যেতাম। খুব ইচ্ছে করে সারারাত ধরে বা সারাদিন ধরে লন্চে চড়ে দূরে কোথাও চলে যাবার। কি সুন্দর লিখলেন, আবারো ইচ্ছেটা প্রবলভাবে জেগে উঠলো।
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পড়তে পড়তে আপনার ছেলেবেলার সঙ্গী হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ এই টুকরো স্মৃতির মানস ভ্রমণ আমাদের উপহার দেবার জন্য।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন