কাঁচা রাস্তাটা বেশ এবড়োথেবড়ো। এই পথে মানুষ পায়ে হেঁটে যায় এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে, কিংবা বাজারে। রিকশা এইদিকে একটু কমই আসে। রিকশায় বসে ঝাঁকুনি খেতে খেতে পলাশের মনে হচ্ছিলো যেন শরীরের সব কলকব্জা খুলে যাবে। আস্তে যেতেও বলতে পারছে না। এমনিতেই সন্ধ্যা হয়ে গেছে, দেরী হয়ে যাবে। অনেকদিন পর গ্রামে আসলো পলাশ। প্রায় ছয় বছর পর।
সন্ধ্যা হয়ে আসছে। পাখিগুলো সব হল্লা করে ফিরে যাচ্ছে যার য...
গোল টেবিলটা ঘিরে আছে ওরা। টেবিলের উপর নিজেদের দুই হাতের বুড়ো আঙ্গুলগুলো আর প্রান্তের কেনো আঙ্গুলগুলো স্পর্শ করে একটা বৃত্ত তৈরী করে ওরা মোমবাতিটা ঘিরে। মোমবাতির আলো সবার মুখের উপর পড়ে, অদ্ভুত অতিপ্রাকৃত দেখায় সবাইকে। ওরা পাঁচজন। ওরা সবাই চিন্তা করছে একজনের কথা।
সুমন বলছিল, প্ল্যানচেটের কথা। ওর মাথায় সবসময় আধিভৌতিক ব্যাপার স্যাপার ঘুরে। তন্ত্র মন্ত্রের কিছু বই পড়ে ইদানীং ...
(উৎসর্গঃ বর্তমানে শুকনা কাঁথার দোকানদার প্রাক্তন এক জলদস্যুর জন্মদিনে)
টোনা কহিল টুনি পিঠা কর। টুনি কইলো না পিঠা কত্তাম না, আম্নে আমারে বেড়াইতে নিয়া যান না, বিয়ার পরের ত্থে খালি ফরমাইশ করেন।
টোনা আবারো কাঁই কুঁই করিয়া বলিতে গেল, কিন্তু টুনি.. খিদে যে..
টুনি দুই পাটি দাঁত বাইরা কইরা কইলো, চলেন বাইরের ত্থে ঘুইড়া একলগে খাইয়াও আমু নে!
টোনা নির্বাক্যে তৈয়ার হইতে গেল, বুঝিল বেড়াইতেই হব...
ফুটে দেখ ফুল কত
ফুটে কত ডিম যে
ফুটে তবু বোমা গোলা
ধুম ধাম ধ্রিম যে!
ফুটে চোখ দেখো ওই
ছোট কাক ছানাটার
লুটে নিয়ে মানিব্যাগ
ফুটে কে রে কানাটার?
ফুটে যায়..
হুল হায়..
কবি-পোঁদে..
কি ব্যথা!..
চেপে বসে দেয় তা
ফুটে শেষে কবিতা।
"কি রে?? তোরা কথা কস না ক্যান?" বদরুল জিজ্ঞাসা করল আবার, বাংলার নেশায় তার নিজের কানেই কথাগুলো জড়ানো শোনে সে । এবারো কেউ জবাব দেয় না। ওরা মাটি কুপিয়ে চলছে তো চলছেই। ওরা বলতে চন্দন, নাসির আর ট্যাপা। মতলব মেম্বারের জন্য কাজ করে ওরা। মাথা ফাটানো, ভয় দেখানো.. খুন, সব কাজ।
বদরুল উঠে বসে। চারদিকে ঝিঁ ঝিঁ পোকা ডেকেই চলছে। এমনেই বাংলা গেলা, তার উপর এরকম ঝিঁঝিঁ..ঝিঁঝিঁ ডাক..। মাথায় যেন বাজতেই থাকে...
একটু উলট পালট খেলি
একটু নদীর ঘ্রাণ নিয়ে ঘষে দেই ফসলের পলি কাদায়
আহ!
আনন্দ টানি বুক ভরে
ফু দিয়ে ছাড়ি বাশের চোঙ্গে
মাটির তিন কোনা উনুনে
ভাপ বড় ভাপ
ফুয়ে পোড়ে খড়.. চোখে জল
কাশি আসে
কেশে উঠে আধশোয়া কেউ
ভয় হঠাৎ..
কাশি সংক্রামক কি?
আনন্দের মতই?
কই?
তবে কেনো দেখা যায় পাজরের হাড়?
খায়নি?
কিন্তু হাড়িতে তো ধোঁয়া উঠে তখনো ..
তবে? ...
হায় তুমি দেখোনি বালক..
এভাবেই মেশে,
মিশে যায় কিছু কষ্ট,
গোগ্রাসে ...
কালো পিচ ধরে ছুটে চলা রিকশা কেন দোলে নৌকার মত ?
ও রিকশাওয়ালা তুমি বুঝি খেয়া নৌকার মাঝি ছিলে ভাই?
তুমি কি হলিউডের মুভি ট্রান্সফর্মার দেখেছ?
মানুষ রবোট হয়ে যায়,
রবোটগুলো গাড়ি,
গাড়ি উড়োজাহাজ।
বেঁচে থাকা, টিকে থাকার অমোঘ ফর্মুলা।
বদলাও, নিজেকে বদলাও, কিছুটা বদলে যাও।
তুমি ভূমিপুত্র ছিলে,
তুমি কৃষকসন্তান ছিলে-
তুমি ভূমি হারিয়ে খেয়া নৌকার মাঝি হয়েছিলে,
ইঞ্জিন নৌকা এসে আবার বদলেছে তো...
একটা গান শুনলেই আমার মাথা নষ্ট হইয়া যায়। গুরু বুড়ার "আকাশ ভরা সূর্য তারা" টা। গানটা শুইনা আগে ভাল লাগত। কিন্তু একদিন দেইখা ভাল লাগলো। এইবার উইড়া গেলাম। এরপর যতবারই শুনি খালি চোখে ভাসে পথে, মাঠে, বনে, ঘাসে উদ্বাহু হয়ে গান গেয়ে ঘুরে বেড়াইতাসে একটা পাগল, তার যে সে অভিব্যক্তি, মাথাই নষ্ট! ধন্যবাদ ঘটক দাদা, নমস্কার অনিল চ্যাটার্জী।
...
মামুন ভাই কইলো 'বিয়া কইরা অক্করে ভাল হইয়া গেসি'
আমি কইলাম, 'ভাল হওয়া কি ভাল?'
মামুন ভাই কইলো, 'ভাল হইতে হয় রে ভাই.. উপায় নাই'
হের দীর্ঘঃশ্বাস আমারে কাবু করল না
কারণ আমি জানি.. হেইডা আছিল হরফের দীর্ঘঃশ্বাস
কারণ আমি জানি.. হে ভাল হয় নাই
কারণ আমি জানি.. হে বিয়াইত্তা হইয়াও
আমার লাহান এক আবিয়াইত্তার মত ক্যারেন ম্যাকডুগালের ফটো দেখে
আর উহু আহা করে..
বদ্দা কইছিল, 'যা ভাল না তা কি খারাপ?'
আমার মনে ...
আমিও পোস্টার বানাইতে পারি না, চেষ্টা করলাম। আমার এক বন্ধু আছে ফারুক সে আমাদের নিয়া এরকম সিনেমার পোস্টার বানায়, ভাবলাম সচলগো নিয়া একটা বানাই! যাই হোক, রাগ করলে কইলাম খেলুম না!
(পাব্লিক খেপার আগেই আপ কইরা কাইটা পড়ি! ছবির আসল সাইজ দেখতে চাইলে ছবিতেই ক্লিকান)