১
- 'হাউ মাউ খাউ,
মাইনষের গন্ধ পাউ!'
- 'হুর ব্যাটা তুই বদ্যি দেখা
তোর তো নাকে ঘাও!
মানুষ এতো সস্তা নারে
চাইলে পাবি ফাউ'
'আহারে! কি লক্ষ্মী আছিলো মাইয়াটা..'
আক্ষেপ করে উঠলেন বুড়ো হরিপদ। তার বয়সের কোন গাছ পাথর নেই। তার সমবয়সীও কেউ নেই। শেষ ছিলেন একমাত্র রফিক সাহেব, তবে তার বয়স 'কাছাকাছি' বললেও অনেক ভুল হবে। তাকে ছেলের মতই জানতেন হরিপদ। তাই রফিক সাহেবের ষাটোর্ধ স্ত্রী, আকলিমা বেগমের মৃত্যুতে তাঁর এই আক্ষেপে বাইরের সবাই চমকে উঠলেও গ্রামের সব স্বাভাবিকই ছিল।
'কালকেও তো দেখলাম.. এক গাদা আন্ডাবাচ্চা নিয়া...
তরল কথা ১
........................
লিপনের ভাইয়ের বিয়া। ঢাকার বাইরে। তো সাথে গেছে পরিতোষ, শম্ভু, দীপক আরো কয়জন। একদিকে বিয়া হইতাছে আর তারা সব নদীর পাড়ে গিয়া তরলায়িত হইতাছে। কিসের বিয়া, কার কি! এইভাবে তরলায়িত হইয়া সবাই আবার হাঁটা ধরছে, সবাই দুলতাছে। হাঁটতে হাঁটতে তাদের কারো আর কিছু মনে নাই। পরের ঘটনা সুমনই ভাল বলে,
- দোস্ত সকাল হইলে দেখি আমরা একটা ঘরে, কেমনে আইলাম মনে পড়ল না, দেখি সাইডে পরিতোষ উপতা ...
- ওরা সবাই অনুতপ্ত ছিল.. সবাই। অনেক অনুতপ্ত। সেই ছেলেটিও, যে কিনা হত্যা করেছিল তার প্রেমিকাকে। আমি ওকে বলেছিলাম ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে। হাউ হাউ করে কাঁদছিল ও, বলছিল মেয়েটির কথা, মেয়েটি নাকি শেষ মূহুর্তে বলছিল সে তাকে ভালবাসে না। আর তা বলার পরই গুলি করে সে। কদিন পর খবরের কাগজে দেখতে পাই ছেলেটির থ্যাঁতলানো লাশ। বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়েছিল ও। পুলিশ অনেক অনুসন্ধান করেও কিছু প...
২
এইভাবে সেইদিনই ঘোড়া ছুটিয়ে তারা রাজ্যে এসে উপস্থিত হল। কৃষ্ণপক্ষ রাজার অবর্তমানে রাজ দরবারে পায়চারী করছিল, হঠাৎ দূত এসে বলল, “মন্ত্রীমশাই, দেহরক্ষীরা রাজার খবর নিয়ে এসেছে, তারা আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক।” মন্ত্রী দেখলো তার রাজাকে মারার দুষ্টবুদ্ধি ব্যর্থ হয়েছে। কিছু পরে দেহরক্ষীরা ফিরে আসলে তারা জানালো রাজা সুস্থ আর নিরাপদ আছেন, তিনি রানী...
অনেক অনেক দিন আগের কথা। ভারতবর্ষে পৃথিবীভূষণ নামক এক রাজ্য শাসন করতেন রাজা শুক্লপক্ষ। তিনি ছিলেন অতি সৎ এবং সাদাসিধা একজন মানুষ। কেউ কখনো কারো খারাপ করতে পারে এই চিন্তা তিনি করতে পারতেন না। রাজার এক মন্ত্রী ছিল, নাম কৃষ্ণপক্ষ। এই কৃষ্ণপক্ষ ছিল খুবই ধূর্ত এবং দুষ্ট একজন লোক। একদিন সকালে শুক্লপক্ষ যখন সভাসদদের সাথে রাজদরবারে বসে রাজকার্য পরিচালনা করছিলেন দূত এসে বলল, “মহারাজ, ব...
বৃষ্টি পড়ছে শহরে
ভেসে যাচ্ছে রাস্তা মাঠ পথ ঘাট ঘুপচি লেন
রিকশাওয়ালা ভিজে ঝড়ো কাক
খালি রাস্তায় বেল দেয় পাগলের মত
চিৎকার করে উল্লাসে
কলেজের মোড়ে ছেলে মেয়ে কিছু বেরিয়ে,
তাদের হুল্লোড়ে কানপাতা দায়
ঠোটের কোনে ঝুলিয়ে হাসি
দেখছে পৌঢ়, কোন বাসস্ট্যান্ডে বসে
বৃষ্টি পড়ছে শহরতলীর গাছপালা নুইয়ে
নিচে ছাড়া ছাড়া মিষ্টির দোকানে ভিড় অনেক
চায়ের কদর বেড়ে গেছে আজ বেশী
টিং টিং সাইকেল
পিছে পাট...
হাঁটছিলাম
খেলছিলাম ধুলা টেনে টেনে
বোবা ধরা শহর
বিকেলের ঘুমন্ত রাজপুরী যেন
হা করা এক দুঃস্বপ্ন চুপ চিৎকার-
হাতড়ে ফেরে আশ্বস্ত হাত
ঘর্মাক্ত কলেবরে
কান পাতি,
শুনি হিসহিসিয়ে উঠে ব্যধি-
'আহ! এসো এখন!..
দেখোনা দেই চিন্তায় বেড়িবাঁধ
হবে কল্পনার বৈদ্যুতিক আবাদ
বিকোবে সে দানব
কিনবে তুমি?
গাড়ল কোথাকার!..
দূর দূর!..
চুপ তাই আমি
হাঁটি মাথা হেঁট
ম্যাগিলান পৃথিবীর কোনে কোনে
পেরোই, মাড়াই
কব...
কিছু মুভি আছে দেখলেই শেষ হয় না, দিন রাত মাস বছর ধরে জ্বালাতন করে। ওল্ড বয় মুভিটা দেখে আমার এমনই অবস্থা। ছবির প্রথমেই দেখা যায় এক মাতালকে। ব্যবসায়ী মানুষ মনের ফুর্তিতে কাজ শেষে মাতলামী করছিলেন তিনি। মাত্রা বেড়ে গেলে ধরে পুলিশে। জামিনে ছাড়িয়েও আনে এক বন্ধু। রাস্তায় বেড়িয়ে মাতাল ও দেসু ফোনে কথা বলে তার পিচ্চি মেয়ের সাথে। ঠিক পরপর...
ওই আবে সুন কইতাছি কি
দেখবি অ্যালা নিউ ফাপর
সুময় আছে.. ভালায় ভালায়
এই বেলা তুই কাইটা পর
কইতাছি..ওই! হুনছ না যে!
পড়বি দেহিছ কোন চিপায়..
মাইনকারা সব আইতাছে দেখ
লাম্ফা লাম্ফা কঞ্চি পায়
গুস্ গালে নাই দুই ছটাকও
ট্যাপ খাইয়া যাস এক টিপেই
ফুস্ফুসে হেহ্ নাই বাতাসা
খ্যাপ দিয়া স্যাস এক ট্রিপেই
জুস্ দিয়া খাছ আকিজ হালায়
সাত আট নিয়া তাস্ পিটাছ
মাইখা খুমায় সেবিং লুসন
পাও পারা দা ছ্যাপ ছিটা...