ছুরির ধারে ক্ষতবিক্ষত করি তাঁর চিন্তা
কেটেকুটে দেখি কত অনুভূতি,
কত কথা,
কোথায়, কোনখানে..
কতটুকু, কার তরে..
তাঁর ক্লান্তি স্পর্শ করে
আমাদের,
আধো-আলো-ছায়ার এই লাশকাটা ঘরে।
উদাসীন চোখ তাকিয়ে থাকে তাঁর তবু
অন্ধকারে উঁকি দেয়
প্রেম ঘৃণা নির্বিশেষে
ভালবাসে, বাসাতে চায়
কী এক আশ্চর্য ভাবালুতায়..
আর আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচি
অপেক্ষা করে থাকি
আরেকটা দিনের কাটাকুটির আশায়।
গল্পটা মার মুখে শোনা। মা শুনেছেন তাঁর মায়ের মুখে, আমার দিদিমার কাছে।
তাঁর নাম জিতেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী। পেশায় উকিল ভদ্রলোক আমার দাদুকে নিজের ছেলের মতই জানতেন, তাঁর কাকার মত ছিলেন। দাদুর দুঃসময়ে তিনি তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমার দাদু হেমচন্দ্র দে তখন সদ্য বিবাহিত। দিদিমা সুচিত্রা রানী দে'কে নিয়ে উঠেছিলেন তাঁর বাড়িতে। বাড়িটা বেশ বড় ছিলো। একটা আম কাঠালের বাগান ছিলো। একপাশে লাগো ...
"পড়াশুনা ফেলে পড়ে ঘুম দিলি ছোড়া!
এই তোর নিরিবিলি সুদ কষা করা?"
হাউমাউ কেঁদে আমি বলে উঠি "মামু,
অংক হরমু না মুই হিমালয় যামু!"
একদা সে সাধু ছিল এমনি ভীষণ
তার কাছে সব ঋষি নামে প্রহসন
তপোবলে আনিলো সে এক দেবতারে
হা হা করি হাসি দেবে চারি মুণ্ডে ঘাড়ে
বলে, 'ওহে ভক্ত তোমার ধ্যানেতে গলিয়া
স্বর্গ ছেড়ে মর্ত্যে দেখো আসিনু চলিয়া
চাও তবে কিবা চাহো তবে শর্ত রয়
তিনখানি বর বেশী কভু একটি নয়
আরো একটা কথা শুনো কর্ণদ্বয় খুলিয়া
অমরত্বের বর তুমি যাওগো ভুলিয়া'
শুনিয়া তো সাধু রাগি দাঁত কড়মড় করে
দেবতারে ধরে বুঝি এই সেই মারে!
দ...
শুনো ওহে শিবঠাকুর শুনো মন দিয়া
অভাজনে দেখো চাই ওঠে জিজ্ঞাসিয়া
'এ জগতে তুমি কেনো নাই প্রভু নাথ
কেনো তুমি করে গেলা আমাকে অনাথ
সকল সম্পদবিষয়বুদ্ধি থুইয়া আমি বাকি
দেখি এসে দিন শেষে আমোদেই থাকি
এমনই আমোদ প্রভু দুঃখ সেথা হাসে
দারিদ্র বোকাচু'টা হাসতে হাসতে কাশে।।
ক্ষমা করো দয়াবান মুখ খারাপ হয়
কি করিবো, করো গতি, যাহা মনে লয়..।'
'শুনো ওহে ভক্ত তুমি নহো কম পাজি
সিদ্ধিলাভ হেতু ক্ষণিক এলাই...
আমেরিকান লইয়ার কেইট, ফার্মের হয়ে আসে ফ্রান্সের এক প্রত্যন্ত শহরে, একটা খেলনার ফ্যাক্টরীর শর্তসাপেক্ষ বিকিকিনি শেষ করতে। জানতে পায়, ফ্যাক্টরীর মালিক বৃদ্ধা অ্যানা কদিন হলো মারা গেছেন। তার এক ভাই আছে, হ্যান্স। সবাই জানতো মারা গেছে; আর ঘুমিয়ে আছে এই শহরেরই কবরস্থানে। অ্যানা তার নোটারীতে বলে যায় সেই ভাই এখনো জীবিত। সে এখান থেকে আরো উত্তর-পূর্বে কোথা...
বেশ রাত হয়েছে। শীতের রাত। অবিনাশবাবু দ্রুত হাঁটতে লাগলেন। এমনিতে তেমন একটা বাজারে যান না তিনি। আর গেলেও এতো রাত করে কোনদিন ফিরেননি। আগে যখন বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতেন তখন বলতে গেলে ওখানেই পড়ে থাকতেন। সারাদিন আড্ডাবাজি, তাস পেটানো, রংবাজি সবই ওখানে। এখন সে বন্ধু বান্ধবের তেমন কেউই নেই, থাকলেও তারই মত ব্যস্ত। মাঝে মাঝে দু একজনের সাথে দেখা হয় তার। "কীরে.. শালা! .. কেমন আছিস .. কী ক...
মনটা অত খারাপ নাতো কাঁদবো ছিঁড়ে গলার তার
(ভালও তো নেই সেই পরিমাণ গাঁথবো মালা বিন সুতার!)
শরীরে নেই তেল অতটা সাঁতরাবো মাঝরাত্তিরে
(এক্কেবারে কমও তো নেই, জ্বলবে কুপি বাত্তি রে!)
অসুস্থ? নাহ.. থাকলে পরে, লাগতো জানি বিদঘুটে
(তারপরো ক্যান জিভটা লাগে গিললে পানি তিতকুটে?)
জটিল আমি? নয়কো মোটেও, জটিল তোদের আইনস্টাইন
(সরলই বা কেমনে বলি.. লাগলে ভাল.. রামস্টাইন..)
মিনমিনিয়ে বলছি নাকি? ধ্যাৎ ওটা তোর ...
সব ঘুম যায়
তবু ঘুমায় না এই কিম্ভুত
খুট খাট কি টিপে এতো ওখানে?
চৌকোণা বাক্সে চোখ, বসে থাকে হাঁ..
আলোখোর নাকি!
আয় তো মেপে দেখি!
দেখি কতবারে হোস আমার কত জিহবা! ..
তেড়ে আসে বেরসিক
গজগজ করে উঠে যাই ফের
নীচে হিসহিসিয়ে উঠে বোকাটা..
সব ঘুম গেলে
বেরিয়ে আসে সে ধূসর
দেয়াল-হাঁটা সেই প্রাচীন ডাইনোসর,
হুপ হাপ করে ধরে পিঁপড়া-পাখি
আলোর ধারে পেতে ওঁত
আমি দেখি ..
আর কখনো বা নেমে এলে
বেয়াড়া থপথপে পা মেল...
১
অত ভাবতে নেই
অত ভেবো না হাঁদারাম
দেখো না আকাশে ভাসে বোদলেয়ার মেঘ
তারা কেউ ভাবে না কত হলো পেঁয়াজের দাম
২
যে শিশু ভূমিষ্ঠ হলো আজ রাত্রে
আর করলো হিশু, মাখালো তোমাদের গাত্রে
মনে রেখো এই শেষ নয়
এতো শুরু সবে
কবে?
কালই, কালই সে অন্ন বলবে ভাত রে