[justify] এসব মোহগ্রস্ত দিনলিপি অন্যকেউ লিখে গেছে আগে...
ঘুমে ঢুলছি।
সেই সক্কালে, যাকে বলে কাকভোরে জেগে, চুলা জ্বালিয়ে আর মুরগিরে খাওন দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল। সারাদিনে দম ফেলার সুযোগ হয়নি একবারও, দুপুরে খাওয়ারও।
গত সন্ধ্যায় বইপড়ুয়া এবং অতিথি সচল এক ছোট্ট বন্ধুযুগলের বিবাহের নেমতন্ন ছিলো, শরীর বইছিলো না বলে যাইনি। দু'জন খুব কষে গালি দিচ্ছে নিশ্চয়ই।
[justify]
চাকরির বয়স প্রায় এক বছর ছুঁই ছুঁই। অ্যানুয়াল ইভ্যালুয়েশন দেখে টেখে খেদিয়ে দেয় কিনা সেই টেনশনে ডেইলি দু'বার করে কোমায় যাই। হিসেব করে দেখলাম, সচলেও শেষ লেখার বছর ঘুরতে চলেছে প্রায়। ছুটির দিন, জামাই-ও বিদ্যাশ, এলা একটু হুদাই গ্যাঁজাই তাইলে, কী কন?
পুরো এক বছর পর লিখছি।
টুকটুক করে লাগেজ গুছাই। নাহ, উইন্টার ব্রেক না, স্টেট বদলাচ্ছি। পড়াশোনার পাট চুকলো, এবার ডর্ম থেকে তো খেদিয়ে দেবেই।
দু'বছর আগে এরকম একটা সময়ে লাগেজ গুছিয়েছিলাম দেশ ছাড়ব বলে। ২৬ বছরের একটা জীবনকে দুটো স্যুটকেসে তুলে আনার গল্পটা খুব সহজ ছিলো না। দিশেহারার মতো বারবার তাকাচ্ছিলাম বুকশেলফগুলোর দিকে। এদের ছেড়ে থাকবো কী করে? কতো অসংখ্য প্রিয় বই, গান্ধর্বী কী আবোল তাবোল...বেছে নেবো কাকে, সঙ্গী করে? শেষমেশ নেওয়া হয়নি কাউকেই, ওজনবাহুল্যের গেরোয় পড়ে।
ভেবেছিলাম, থাকগে। মানুষ ছেড়ে যেতে পারছি, জড়বস্তুতে আর কী এসে যায়!
[justify]
চাপা মাথা ধরা নিয়ে বিছানা ছেড়েছিলাম, সেটা ক্রমশই বাড়ছে।
ভরা বাদর, মাহ ভাদর, শূন্য মন্দির মোর.. ♪♫♪
লুপে পড়ে আছি।
..It is not the length of life, but the depth.
― Ralph Waldo Emerson
______________________________
বাড়ি ফিরেছি ক'দিন আগে, লম্বা ছুটিতে। ক'দিন মানে, অলরেডি অবশ্য মাস-ই গড়াতে চললো প্রায়।
উইকেন্ড, ইয়েএএ।
এত খুশি হবার কিছু নেই, ছুটির দিন মানেই ছুটি নয়। অন্তত এ সপ্তাহে তো নয়ই। আজকে রাত ১১.৫৯, কালকে রাত ১১.৫৯... এরকম আগামি টানা সাতদিন রোজ একটা করে মৃতরেখা, মানে ডেডলাইন আছে আমার। 'বোলগ' লিখতে বসে গেছি দুঃখে, দেখেন না।
অনেকদিন কোথাও যাওয়া হচ্ছিলো না।
দেশ ছাড়ার বছর ঘুরতে চললো প্রায়। জানুয়ারি থেকে জানুয়ারি, ২০১৪ টু ১৫। পাক্কা ৩৬৫ দিন। নির্বাসনের একটি বছর।