তিথীডোর এর ব্লগ

‘কখনো আমার মাকে'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ২৪/০১/২০১১ - ৭:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

‘কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।
সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়ে আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না,
আজ মনেই পড়ে না।
যেন তিনি সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে রেখেছেন বন্ধ ক’রে আজীবন…
এখন তাদের গ্রন্থিল শরীর থেকে কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু ন্যাপথলিনের তীব্র ঘ্রাণ ভেসে আসে !’
#শামসুর রাহমান


রূমঝুমপুর, কত দূর??

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ০৬/১২/২০১০ - ৭:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
"একদিন চুপিচুপি দুর্গা বলিল– চড়ুইভাতি করবি অপু?
অপু মহা উৎসাহে শুকনা লতাকাটি কুড়াইয়া আনে। এই তাহাদের প্রথম বনভোজন। অপুর এখনো বিশ্বাস হইতেছিল না যে, এখানে সত্যিকারের ভাত তরকারি রান্না হইবে, না, খেলাঘরের বনভোজন– যা কতবার হইয়াছে– সেইরকম– ধুলার ভাত, খাপরার আলুভাজা, কাঁটালপাতার লুচি।"
#আম আঁটির ভেঁপু :বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়


'ডানার রৌদ্রের গন্ধ'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: শুক্র, ১৯/১১/২০১০ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
"ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর-- চিল একা নদীটির পাশে
জারুল গাছের ডালে ব'সে ব'সে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে
.."

মিরুজিন নদীটির ধার ঘেঁষে ঐ যে মস্ত জঙ্গল, তাতে ক্লান্ত সমুদ্র সফেন সম অশ্বত্থ গাছ, আরো নানা রকমের গাছ সারি সারি। নিবিড় বট, দেবদারু আর আমলকী গাছ তারা। ধূসর পাতার ফাঁকফোঁকরে ম্যালা পাখির বাসা...


'বুকপকেটে জোনাকি পোকা'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: শুক্র, ২৯/১০/২০১০ - ৮:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

'পড়ার ঘরে পড়তে বসি যখন,
বাবা ডেকে বলেন-- ওরে খোকন, মন দিয়ে খুব করিস্ লেখাপড়া...
একজামিনে নইলে খাবি বড়া!
কিন্তু আমি পড়ি কেমন করে?
বাবা জানেন না ত, পড়ার ঘরে জুটেছে সব দুষ্টু পাজি যত!!
পড়তে কি দ্যায় একটু মনের মতো'
#শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
_______________________________________

মৃদুলের পড়াশোনায় একেবারেই মন নেই।


'পাঁউরুটি আর ঝোলা গুড়'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: রবি, ২৬/০৯/২০১০ - ১২:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
'আয়রে ভোলা, খেয়াল-দোলা স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়...
আয়রে পাগল, আবোল -তাবোল মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়'

-----------------------------------------------------------------------------------------

নেহায়েতই সাদামাটা বালিকা আমি।
স্নো -পমেটম মাখি না.. 'গরীব বেজায়, কষ্টেসৃষ্টে দিন চলে যায়'। 'সটান বসে চুলকে খানিক মাথা' মাঝে মাঝে 'হিসেব লেখার খাতা' হাতে নিই।


'অপরাজিত'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: রবি, ১৯/০৯/২০১০ - ৫:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

"অন্য কিছুই চাইনে,
এ গাঁয়ের বনঝোপ, নদী, মাঠ বাঁশবনের ছায়ায় অবোধ, উদগ্রীব, স্বপ্নময় আমার সেই যে দশ বৎসর বয়সের শৈশবটি--
তাকে আর একটিবার ফিরিয়ে দেবে দেবী?"
#অপরাজিত : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
_______________________________________________

সাতজন ছিলাম আমরা,
এক, দুই,তিন..... ছয়, সাত!


বিষাদনগর ইষ্টিশনে......

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৯/২০১০ - ৬:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
'ডুবসাঁতারের চিহ্নমাখা মানুষ আমি--
জলের কাছে, স্রোতের কাছে সমর্পিত মানুষ।
বিষাদনগর ইষ্টিশনে,
গাঁয়ে ফেরার ট্রেনের জন্যে হন্যে হয়ে টিকেট খুঁজি!'
#সুমন সুপান্থ
----------------------------------------------------------------------------------

ঈদবাড়ি এক্সপ্রেস:


ঝিঁ ঝিঁ পোকা কিংবা তিতিরপাখির গল্প ।।

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৮/২০১০ - ৭:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

''পিছনে ফেলে আসি একটি বাড়ি---
বয়ঃপ্রাপ্ত কিছু বৃক্ষ, শুকনো ডালপালা;
কিশোর ঘুড়িগুলো, শিউলিঝরা ভোর, শ্যাওলাসবুজ জলের পুকুর...
কিংবা কোন আকাশউপুড় জলবতী মেঘের মৃদু একটানা বর্ষণ।
'বিদায়' বলা একটি মুখের কান্নাচাপা হাসি.. পিছনে ফেলে আসি।''
# রফিক আজাদ
____________________________________________

খট খট খটাং.. বাইরের দরজায় শব্দ।


শহরবন্দী মেঘ আর জলপাই সবুজ স্কুটার ..

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৬/২০১০ - ৪:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমাদের ঠিক উল্টোদিকের হলদেটে তেতলা বাড়ির ডানদিকে থাকতো মায়িশারা।

ফ্ল্যাটগুলো জুড়ে আরো অনেকেই থাকতেন বটে, তবে কেবল এই একটি পরিবারকেই আমি খেয়াল করেছি খুঁটিয়ে! ওরা মানে মায়িশা, ওর মা আর বাবা.. মেয়েটা তখন এট্টুশখানি, প্লে কিংবা কেজিতে পড়ছে বড়জোর!
আমাকেও বলা চলে সদ্য কিশোরী, সেভেনের ক্লাস করা ছেড়েছি বেকায়দায় পিছলে পড়ে পা ভেঙেছে বলে।


'কাশ ফুলের কাব্য'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৫/২০১০ - ৬:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমার নানাভাই যৌবনে বেশ রাশভারি মানুষ ছিলেন। মোটা কালো ফ্রেমের চশমা চোখের পুরোনো ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আরেকটা ব্যাপার বোঝা যায়, তিনি ছিলেন দুর্দান্ত সুর্দশন! হাসি
কথিত আছে, কেবল রাজপুত্রের মত পাত্রের দিকে তাকিয়েই ধনাঢ্য বাবা তাঁর দশ ছেলেমেয়ের মধ্যে সবচেয়ে আদরের মেয়েটিকে ছাপোষা চাকুরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কাজটা যে মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত ছিলোনা এই নিয়ে নানুমণি প্রায়ই প্রবল হাহুতাশ করেন।