রূমঝুমপুর, কত দূর??

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ০৬/১২/২০১০ - ৭:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


"একদিন চুপিচুপি দুর্গা বলিল– চড়ুইভাতি করবি অপু?
অপু মহা উৎসাহে শুকনা লতাকাটি কুড়াইয়া আনে। এই তাহাদের প্রথম বনভোজন। অপুর এখনো বিশ্বাস হইতেছিল না যে, এখানে সত্যিকারের ভাত তরকারি রান্না হইবে, না, খেলাঘরের বনভোজন– যা কতবার হইয়াছে– সেইরকম– ধুলার ভাত, খাপরার আলুভাজা, কাঁটালপাতার লুচি।"
#আম আঁটির ভেঁপু :বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
__________________________________________________________

আমাদের চারতলার ছাদের খানিকটা অংশ ইচ্ছে করেই ফাঁকা রাখা। আমের আচার শুকোতে সুবিধে, বিকেলে দু-বোনের ব্যাডমিন্টন কর্ক নিয়ে লুফোলুফি, রোদে রিমরিম খেলনাদিন কিংবা মেঘে জানালাবিলাস। শীত পড়তে শুরু করেছে হঠাৎ’ই, আসরের আযানের পর পর’ই দুম করে সন্ধ্যা নামে, ছিরিছাঁদহীন দিনের শেষে শিশিরভেজা সন্ধে! মেঘ ধুয়ে নামে কুমারীর ঘ্রাণ আর জল ছুঁয়ে নামে আঁধারের শ্বাস…

গতকাল দুপুরে রোদ পোহাতে বসেছি কোণ ঘেঁষে পাতা প্লাস্টিক চেয়ারে। ঠাণ্ডার ধাত বলে ইদানিং বুড়োটে কাশি আর গলাব্যথায় ভুগতে হয় বছর জুড়েই.. হৈচৈ শুনে কাঁধ বাড়িয়ে দেখি উল্টোদিকের গ্রিন হাউসের (এ বাড়ির নাম নিয়ে খানিকটা ঠাট্টা-মশকরা চালু ছিলো এককালে) সামনের খোলা চত্বরে চড়ুইভাতির আয়োজন চলছে.. মস্ত বাড়ি, চারপাশটা জুড়ে বড়সড় সব গাছ আর যত্নে করা বাগান। বচ্ছরকার ছুটিতে হয়তোবা দিনদুয়েকের তরে জড়ো হয়েছে নাতিনাতনিরা, তিন থেকে তেরো যাদের বয়স। সেই কষ্টে পাওয়া অবকাশ উদযাপনেই বাগানের এককোণে চুলো খুঁড়ে চড়ুইভাতির আয়োজন প্রায় সারা! এক পিচ্চি এমন ভঙ্গিতে হাঁড়িকুড়ি সাজিয়ে রাখছে যে, স্বয়ং সিদ্দিকা কবীরও দেখলে থতমত খেয়ে যেতেন!

মজা লাগছিলো খুব দেখতে, আর কেন যেন মনে হচ্ছিলো ফ্ল্যাশব্যাকে দেখছি নিজেরই শৈশব..

যখন কলোনিতে থাকতাম বিচ্ছু বলে বেশ বদনাম ছিলো আমার। দলে ছিলো পাশের বাড়ির বাসিন্দা পপি, সামনের বাসার জুয়েল, দোতলার জনি, উল্টোদিকের তেতলার শাওন, আর ছোটভাই আসিফ। জন্মের পর থেকেই একসঙ্গে বেড়ে ওঠা.. তাই একজনের অন্যদের বাড়িতে ছিলো অবাধগমন! পপির মেজভাইয়া রাসেল যখন শখের বাগানের জন্য জৈবসার বানানোর কঠিন কাজে লিপ্ত হতেন, নাকে রুমাল পেঁচিয়ে আমিও হাত লাগাতাম। শপিং থেকে ফিরে জনির আম্মু দেখতেন খালি বাড়ি পেয়ে “ওইজাবোর্ড” খেলার সুবাদে তার পুরোবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে আছে! বকাঝকা গায়ে মাখছে কে? বড়দের কাজই হলো ধমক দেওয়া,আর সেসব যে ডান কান দিয়ে ঢুকিয়ে সোজা বাম কান দিয়ে বের করে দিতে হয়.. সে তো পৃথিবীর সব বাচ্চারাই জানে!

সালটা খুব সম্ভবত ৯৩/৯৪। ফাইনাল টার্ম শেষে আমরা ঠিক করলাম পিকনিক করতে হবে। চাঁদা কত ছিলো ভুলে গেছি.. আর একটা করে ডিম। ডিমের প্রোপোজাল আমার দেওয়া, খোসায় ছবি আঁকার লোভে। নয়তো মেশিনগান তাক করেও দুধ- ডিম– এই দুই দ্রব্য আমাকে খাওয়ানো যায়নি কখনো!

পপি ঘোষণা দিলো, ভাত এবং ডাল রান্নার কাজটা সে চালিয়ে নিতে পারবে। তথাস্তু! ডিম সেদ্ধ করবে লিকপিকে জুয়েল, খোসা ছাড়াবে জনি আর চুলোয় লাকড়ি হিসেবে ননস্টপ খবরের কাগজ কিংবা পুরোনো ম্যাগাজিন জোগানোর দায়িত্ব আসিফ আর শাওনের। কিন্তু দুই ঠ্যাঙের মুরগি, ওটাকে সাইজ করবে কে??
জুয়েলের মাথায় যতসব ফিঁচকে বুদ্ধি– আগেরদিন আম্মুকে দিয়ে রাঁধিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলেই হয়, পরে এমন ভাব করবো যেন নিজেরাই রেঁধেবেড়ে খাচ্ছি! শাওন যম কিপ্টুস, টুক করে ফোঁড়ন কাটলো- এহ, এই কটা টাকায় মাংসও রাঁধছে.. মুরগিওলা কি তোমার শ্বশুর? হাতাহাতি বেঁধে যাওয়ার উপক্রম!!

অ্যাকাউন্টেন্ট জনির মাথায় হাত! আরে তাই তো, আমাদের বাজেটের দশাও তো সেইরকম!! ঠিক হ্যায়, তেতলার তানিয়াদের তিন বোনকে ডাকা হোক.. আমদানি বাড়বে।

তাতে আবার আমার ঘোর আপত্তি! ওই পোড়ামুখি হিংসুটেগুলোকে দলে নেবো? কাভি নেহি! নানামুখী ঝামেলা…

গোটা দুই গ্লাস ভেঙে, হাত পুড়িয়ে, প্রায় গলে যাওয়া ভাত আর আধসেদ্ধ তরকারি কী করে গলঃধরণ করেছিলো একদল ছেলেমানুষ চড়ুইভাতির দল, সে অনেক আগের কথা…জুয়েল এখন চবিতে ফরেস্ট্রি পড়ছে, জনি এমবিএ করছে ঢাবিতে, শাওন কুয়েট আর আসিফ রাবিতে। পপির বিয়ে আগামি মাসেই, সব ঠিকঠাক।

ঐ যে দেখা যাচ্ছে ঝুঁটিতে গোলাপি ক্লিপ গোঁজা পিচ্চি আনিকা কিংবা চোখমুখ লাল করে চুলোয় ফুঁ দিচ্ছে জিয়াদ, ঠিক এরকমই ছিলাম আমরা… ওদেরই মধ্যে হয়তো আমরাও আছি। শৈশব আসলে হারায় না কখনোই, কেবল টুকরো কাঁচের মতো ছড়িয়ে যায় এখানে -সেখানে। বেভুলে হাঁটতে গিয়ে পায়ে যদি জড়ায় স্মৃতির সুতো, তখন গড়ায় মিল অমিলের হিসেব মেলানোর চাকা…

বেঁচে থাকুক বাউল বুকের ভেতর সেই বসন্ত উৎসব। আমার ছেলেমানুষী পুতুলখেলার সেই শৈশব, যে জীবনের সম্বল ছিলো ছেঁড়া ঘুড়ি আর রঙিন বল। ল্যাজঝোলা পাখি কিংবা দলছুট চড়ুইটাকে হুশ করে উড়িয়ে দেওয়ার খেলা.. আমার লাল বুটিদার ফ্রকের পকেট জুড়ে ছিলো খুচরো পাথর, আর ব্যথার আদর জুড়ে ছিলো অবুঝ আঙুল।

বাস্তবে নাই বা থাকুক, না মেটা হাজারো স্বপ্নসাধ নিয়ে থাকুক স্মৃতিকাতরতার উঠোন জুড়ে.. স্ফটিক জলের মত স্বচ্ছ সবুজ সেই রূমঝুমপুর।


মন্তব্য

ফ্রুলিক্স [অতিথি] এর ছবি

মন খারাপ হইছে এবং ভাল্লাগছে

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ফ্রুলিক্স। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

শৈশবের গন্ধমাখা লেখা ভালো লাগে হাসি

খুব সুন্দর হয়েছে।

অটঃ

রূমঝুমপুর,কত দূর?? -> একটা স্পেস হবে কমার পরে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

থ্যাংকু! লইজ্জা লাগে

অটঃ সরি ভাইয়া, প্রিভিউ তে চোখে পড়েনি। ইয়ে, মানে...
পরে ঠিক করে দেবো।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

নাহ্‌.... তোমার লেখা আর পড়া যাবে না..... তুমি খালি 'কুটি-কালের' কথা মনে করিয়ে দাও......
এ অন্যায়.....ঘোর অন্যায়.....

তোমার লেখা সুদ্ধ তোমারে ডাবল মাইনাস...... দেঁতো হাসি

----- মেঘ রোদ্দুর (পুচকুন)

তিথীডোর এর ছবি

হ। মন খারাপ
নিজেও বেশিরভাগ সময় মন খ্রাপ করে থাকি, বাকিদেরও মন খ্রাপ করে দিই....

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

ধূসর বিকেল গড়িয়ে গেছে অজান্তে...
একলা দুপুর হারিয়ে গেছে সীমান্তে...
বোকা আমি আজও ভাবি একান্তে...
রূমঝুমপুর কবে যাবো দিনান্তে.. হাসি

সত্যেন রায় তো দেখি ইদানীং বড্ড ফেমাস... খাইছে চোখ টিপি

-----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

তিথীডোর এর ছবি

"আমার হৃদয় পৃথিবী ছিঁড়ে উড়ে গেল,
নীল হাওয়ার সমুদ্রে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো গেল উড়ে...." হাসি

আমি তো ভাই আমজনতা, ফেমাস লুকজন ডরাই! চিন্তিত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার!

সত্যেন রায় কে?

তিথীডোর এর ছবি

ধন্যবাদ! হাসি

ইয়ে, ওটা ছদ্মনাম। ইয়ে, মানে...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তুলিরেখা এর ছবি

আহ, খুব খুব খুব ভালো লেখা।
আরো আরো শুনতে ইচ্ছে হয়, কত
মায়ামায়া রোদ্দুর মনে পড়ে, মাঠের চড়ুইভাতিগুলো, প্রথম ডিমের ঝোল রান্না, তাতে আলুর টুকরা এত বেশী ছিলো যে সেটাকে আলুর ঝোল বলেও চালানো যেত। হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তিথীডোর এর ছবি

অনেক অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পাতা তুলিদি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

চমৎকার। চড়ুইভাতির দলে গেস্ট এনট্রি নেইকো?

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

"গেস্ট এনট্রি"? বিলক্ষণ, আছে বৈকি!! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

তাইলে ডাকছেন না ক্যান?

তিথীডোর এর ছবি

স্বাগতম!! হাসি

_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জাহামজেদ এর ছবি

চড়ুইভাতি শব্দের সঙ্গে পরিচয় কলেজে উঠে। তারও আগে স্কুলবেলায় চড়ুইভাতিকে আমরা সিলেটি ভাষায় টোপাটুপি বলতাম। কীন ব্রীজের নিচে আর সুরমা তীরে কেটেছে আমাদের অনেক টোপাটুপি সময়।

সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না। হয়তো ব্লগে, লেখার খাতায় উঠে আসবে সেইসব স্মৃতিচারণ, কোনো এক স্মৃতিচারণে অথবা ছোট ছোট মন্তব্যে !!!

লেখাটা ভালো লেগেছে...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

তিথীডোর এর ছবি

"সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না। হয়তো ব্লগে, লেখার খাতায় উঠে আসবে সেইসব স্মৃতিচারণ, কোনো এক স্মৃতিচারণে অথবা ছোট ছোট মন্তব্যে !!!"
সেইই....

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বাউলিয়ানা এর ছবি

ছোটবেলায় কলোনীর পিচ্চিগুলানের ঝগড়াঝাটি প্রত্যাহিক কাজের অংশ ছিল।
আমাদের বেশি লেগে যেত, টেনিস বল কেনা নিয়ে। চাঁদা দিয়ে যদিও কেনা হতো কার কাছে রাখা হবে সেটা এক বিরাট ক্যাচালের জন্ম দিত। এক বল দিয়েই খেলা হতো- সাত চাড়া, বোম্বাস্টিং, ক্রিকেট, হকি আরও কত কী!

চড়ুইভাতি আমরাও করতাম, নাম দিতাম টি-পার্টি। মাঠের মাঝখানে বাঁশ গেঁথে তার উপর বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে সামিয়ানা টাঙ্গানো হতো। তারপর এক একজনের বাসা থেকে এক একরকমের খাবার এনে খাওয়া হতো। শেষে শুধু চা আমরা বানাতাম- নিজেদের তৈরী করা চুলাতে। এটুকু করতেই অবস্থা কেরোসিন হয়ে যাইত!

ভাল কথা- সত্যেন রায় কে?

তিথীডোর এর ছবি

আমার রান্নাবান্নার দৌড় তো এখনো ঐ চা বানানো পর্যন্ত!! ইয়ে, মানে...

পুরো লেখা বাদ দিয়ে "সত্যেন রায়"কে নিয়ে পড়লে ক্যাম্নে কী! রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বাউলিয়ানা এর ছবি

অই অই...পুরা লেখা পড়ে এত বড় কমেন্ট করসি, সেটা চোখে দেখা যায় না? খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

হাঃহাঃ খাইছে

আপনার লেখাটা খুঁজছিলাম.. যাক, অবশেষে দৃশ্যমান হলো।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

ভালো লেগেছে। হাসি

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অদ্রোহ এর ছবি

আমার নানাবাড়ি পাহাড়ের কোল ঘেঁষেই, বেশ ছিমছাম কোলাহলমুক্ত জায়গায়। বার্ষিক পরীক্ষা শেষের লম্বা ছুটিটা পড়ত শীতকালে, তাই ছুটি শুরু না হতেই নানাবাড়িতে দে ছুট। তারপর সব কাজিনরা মিলে যাকে বলে আক্ষরিক অর্থেই বনে ভোজন করা, আইটেম বলতে আধসেদ্ধ ডিম, তার সাথে অপটু হাতের চটকানো আলুভর্তাই থাকত বেশি।

লেখাটা ভালু পেলাম বোনডি।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তিথীডোর এর ছবি

"আমার নানাবাড়ি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে",
ঠিক কোথায় জায়গাটা বলুন তো?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইডি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অদ্রোহ এর ছবি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে, বান্দরবানের পাহাড়সারির খুব কাছেই।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কুলদা রায় এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ এই সুন্দর স্মৃতিচারণের জন্য। আমার ভাল লেগেছে। আপনার লেখার হাত সুন্দর।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

তিথীডোর এর ছবি

প্রথমবারের মতো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল্লাগলো!
অনেক ধন্যবাদ! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রেশনুভা এর ছবি

তোমার লেখা সবসময়ই মায়া দিয়ে ঘেরা থাকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়।

তবে বলি কী, বয়স তো কম হলো না; শৈশব নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করলেই হপে? খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

থ্যাঙ্কু!! হাসি

এইভাবে বয়সের খোঁটা দিলে ভাইয়া? আমি খেলবো না!! মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে [অতিথি] এর ছবি

তিথী'পু,

আফসুস,
জীবনেও চরুইভাতি খাইলাম না.. মন খারাপ

আপুনি একদম ঠিক কথা কইছ..শৈশব আসলে কখনই হারায় না.. হাসি

লেখা ভাল পাইছি!

ভাল থাইকো, অনেক ভাল..সবসময়।।

তিথীডোর এর ছবি

নিয়মিত পাঠকটিকে সবিশেষ কৃতজ্ঞতা! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

শৈশব আসলে হারায় না কখনোই, কেবল টুকরো কাঁচের মতো ছড়িয়ে যায় এখানে -সেখানে। বেভুলে হাঁটতে গিয়ে পায়ে যদি জড়ায় স্মৃতির সুতো, তখন গড়ায় মিল অমিলের হিসেব মেলানোর চাকা…

বাস্তবে নাই বা থাকুক, না মেটা হাজারো স্বপ্নসাধ নিয়ে থাকুক স্মৃতিকাতরতার উঠোন জুড়ে.. স্ফটিক জলের মত স্বচ্ছ সবুজ সেই রূমঝুমপুর।।

কেন জানি চোখটা ঝাপসা হয়ে এল লেখাগুলো পড়ে। বয়েস হচ্ছে হয়ত। কোথায় যেন পড়েছিলাম বুড়ো হবার সবচাইতে বড় অসুবিধাটা হল---বুড়োদের কোন ভবিষ্যত থাকেনা। কথাটা সত্যি। কিন্তু তারচেয়েও বড় অসুবিধা হল এত এত স্মৃতির ভার ঘিরে থাকে তাকে---যে পথচলাই হয়ে যায় দুস্তর।

তুই এত অল্প বয়েসে আমাদের মত বুড়োদের মনের কথা পড়লি কী করে রে?

ভাল থাকিস, অনেক দিন বাঁচিস---আর কখনো আমাদের মত বুড়ো হস নে--

তিথীডোর এর ছবি

অনিদা,
আমি প্রতিটা আবজাব লিখে ভাবি আপনি কখন মন্তব্য করবেন।
কিন্তু এমনভাবে বললে তো বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যাই!! লইজ্জা লাগে

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৃত্তিকা এর ছবি

"বেভুলে হাঁটতে গিয়ে পায়ে যদি জড়ায় স্মৃতির সুতো, তখন গড়ায় মিল অমিলের হিসেব মেলানোর চাকা…"

বাহ! কি সুন্দর কথাটা! ভালো লেগেছে লেখা হাসি

তিথীডোর এর ছবি

আরে, অনেক দিন পরে আপু!!! (তালিয়া)
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

তিথী, তোমার লেখা পড়ে আমারও নিজের ছোটবেলার সেই চড়ুইভাতির কথা মনে পড়ছে। সবার শৈশবেই কোথাও না কোথাও অনেক মিল তাই না?

তিথীডোর এর ছবি

আপু,
শৈশব সবারই প্রায় একই রঙে আঁকা.. কেবল ক্যানভাসটা খানিকটা আলাদা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দময়ন্তী এর ছবি

বাঃ বাঃ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দমুদি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বইখাতা এর ছবি

ছেলেবেলার গল্প পড়তে ভালো লাগলো তিথী। নিজের বাচ্চাকালের চড়ুইভাতি, স্কুল পালানো, আরো আরো অনেক কথা মনে পড়লো এই লেখা পড়ে। এখনকার এই ঢাকা শহরে এই সময়ের বাচ্চাগুলোর জন্য খারাপ লাগে। হয়তো ওদের শৈশব ওদের মতো করে আনন্দময়, তারপরও খারাপ লাগে। নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিই এই ভেবে যে ভাগ্যিস আমার শৈশবটা কেটেছে একেবারে গ্রামঘেঁষা মফস্বলে! হাসি

তিথীডোর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপু! হাসি

♪ ♪ "ধুলোলাগা চেনা বই সব,
হাতড়ায় কে না শৈশব….
ভাললাগা চেনা বই সব,
ভালবাসে কে না শৈশব!"♪ ♪

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ওডিন এর ছবি

পড়তে পড়তে মন কেমন করা একটা ভালোলাগা এসে ভর করলো। এইটাকেই মনে হয় স্মৃতিকাতরতা বলে। হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

তিথীডোর এর ছবি

"বুকের মধ্যে বাহান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি।
আমার যা কিছু প্রিয় জিনিস, সব সেইখানে।
যে সব মেঘ গভীর রাতের দিকে যেতে যেতে ঝরে পড়েছে বনে.. তাদের শোক,
যে সব বনপাখির উল্লাস উড়তে গিয়ে ছারখার হয়েছে কুঠারে কুঠারে.. তাদের কান্না,
যে সব পাখি ভুল করে বসন্তের গান গেয়েছে বর্ষার বিকেলে.. তাদের সর্বনাশ,
সব ঐ আলমারির ভিতরে।"

স্মৃতিকাতরতা কী সাধে? হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাহ্...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ভাইয়া। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সজল এর ছবি

সেসব যে ডান কান দিয়ে ঢুকিয়ে সোজা বাম কান দিয়ে বের করে দিতে হয়.. সে তো পৃথিবীর সব বাচ্চারাই জানে!

আমি তো জানতাম, বাম কান দিয়ে ঢুকিয়ে ডান কান দিয়ে বের করে দিতে হয় চিন্তিত

লেখায় চলুক
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

বের করে দেওয়াটা হলো আসল কাজ।
ডান- বাম দিক ভ্রাণ্তিতে কী আসিয়া যায় হে, কী আসিয়া যায়?? চিন্তিত খাইছে

মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- মর্ম! দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ভাইয়া। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মেঘ ধুয়ে নামে কুমারীর ঘ্রাণ আর জল ছুঁয়ে নামে আঁধারের শ্বাস…

বাহ, কি চমৎকার! বিশ্লেষণের বুদ্ধিগত পথ এড়িয়ে প্রখর-তীব্র-সজাগ অনুভূতির প্রশান্ত পথে গোধূলি ভ্রমণ।
শৈশব আসলে হারায় না কখনোই, কেবল টুকরো কাঁচের মতো ছড়িয়ে যায় এখানে -সেখানে। বেভুলে হাঁটতে গিয়ে পায়ে যদি জড়ায় স্মৃতির সুতো, তখন গড়ায় মিল অমিলের হিসেব মেলানোর চাকা…

এতো ফলিত দর্শন নয়, দিবাস্বপ্নের স্মৃতিবিদ্ধ গোলাপি চাদর জড়িয়ে নেবার মায়াবী শলমা আঁকা আকাশ। অপূর্ব, অপূর্ব!!

পুনশ্চঃ লেখাটি যে কেমন করে চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল লুকোচুরি কৈশোরের মতো, বুঝতেই পারিনি!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তিথীডোর এর ছবি

এ লেখার অনেকগুলো লাইন 'চন্দ্রবিন্দুর' গান থেকে ধার নেওয়া... হাসি

পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য সবিশেষ কৃতজ্ঞতা!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

আরেএএএএএএএএএ, গীতিকবি!!

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।