সমস্ত রাত আগলে রাখি বাড়ি, সমস্ত দিন নিজের সঙ্গে আড়ি!

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০২/২০১৯ - ৮:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এসব মোহগ্রস্ত দিনলিপি অন্যকেউ লিখে গেছে আগে...

ঘুমে ঢুলছি।
সেই সক্কালে, যাকে বলে কাকভোরে জেগে, চুলা জ্বালিয়ে আর মুরগিরে খাওন দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল। সারাদিনে দম ফেলার সুযোগ হয়নি একবারও, দুপুরে খাওয়ারও।
গত সন্ধ্যায় বইপড়ুয়া এবং অতিথি সচল এক ছোট্ট বন্ধুযুগলের বিবাহের নেমতন্ন ছিলো, শরীর বইছিলো না বলে যাইনি। দু'জন খুব কষে গালি দিচ্ছে নিশ্চয়ই।
আমার আংরেজি বিদ্যা ভয়াবহ, ভিনভাষায় বেশি কড়া কিছু বললে তো মানেও বুঝবো না। যাকগে, দেখা হলে খুব একপেট খাইয়ে দিতে হবে দুটোকেই। গাঁটছড়া বাঁধার সাহস করেছে, সে বড় কম কথা নয়!
আমিও দিনের শেষবেলায় আধখানা কিটক্যাট, এক বোতল পানি আর একখানা প্রাগৈতিহাসিক আমলের ল্যাপটপসমেত বিছানায় চ্যাগিয়ে বসেছি।
ব্লগটা আজ আমি পোস্টাবোই সাক্ষী, শুনছো?

দেড়খানা বছর তো চলে গেলো কিস্যু না লিখেই। এমনকি গুডরিডসে রিভিউ-ও না। কাজের ফাঁকে শুধু বদনবই কিংবা বিডিজবস। লাইককমেন্ট শেয়ার আর এপ্লিকেশন ডেডলাইনের ভারে ভারাক্রান্ত দিনের সারি। সমস্ত দিন নিজের সাথেই আড়ি...
এখন মাসটা ফেব্রুয়ারি, ঋতুটা ফাগুন, ঘরটা মশায় ভরা আর ছোট্ট ব্যালকনিটা অনেক সুবাসে!
হাসনুহেনার।
বহু প্রতীক্ষার পর ফুটেছে। টবে পোঁতা পুষ্ট তরতাজা গাছ, কুশিকুশি সবুজ পাতায় ডালপালা ভর্তি। অথচ ফুলের নামগন্ধ নেই। কী তামাশা!
শীত ফুরোনোর পর অবশেষে উনি ফুটতে শুরু করেছেন। লেইট পারফরমার আর কী।

কেমন চোখের পলকে ফুরিয়ে গেছে আঠারো! উনিশের ফেব্রুয়ারিও শেষ প্রায়! ভাবা যায়?
২০১৮ ছিল অনেক বদলের বছর। প্রথম মাসেই হুট করে চাকরি বদলে চলে গেলাম কক্সবাজার। একটু ভাল করে বাঁচব বলে, আর একটু বেশি রোজগার ইত্যাদি। বেশিদিন টিকতে পারিনি অবশ্য।

ক্লাস ফোরের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে কক্সবাজার গিয়েছিলাম বেড়াতে। ছোট খালারা চাকরিসুত্রে সাগরপাড়ের বাসিন্দা ছিলেন তখন, অস্থায়ীভাবে। আমারো সেই প্রথম সাগর দেখা। বিচে যেতেই কী অসীম মুগ্ধতা, কী প্রচণ্ড বিস্ময়! বন্দরনগরীর মানুষ, পতেঙ্গা যাওয়া হয়েছে কত সহস্র বার!
তাও!
খালারা প্রায় নববিবাহিত যুগল-ই তখনো। খালু অফিসে যান, খালা সংসার সামলান। কয়েকদিনের মধ্যেই শেলফের সমস্ত বই পড়ে শেষ করে ফেলায় এবং নূতন বইয়ের দাবিতে খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়ে দেওয়ায় রোজ সকালে আমাকে জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে দিয়ে আসার পলিসি চালু হলো। সদ্য চশমা নিয়েছি ভীষণ শখ করে, সেটা সমেত দিব্যি পা ঝুলিয়ে বসে বসে বই পড়ি। লাঞ্চব্রেকে খালু বাড়ি ফেরেন, আমাকেও ফেরান। ছুটিও ফুরোল একদিন এভাবেই।
খালু আমাদের বাসে উঠিয়ে দিতে এলেন। জানালার এপাশে-ওপাশে আশু বিচ্ছেদের বিরহে ছলছল এক দম্পতি। প্রাণপণ চেষ্টা চলছে দু'জনের, প্রকাশ্যে চোখ যাতে না ভেজে কিছুতেই। আমি বিস্মিত। নেক্সট উইকেই তো আন্টি চলে আসবে আবার, এখানে এরকম কান্নাকাটির কী আছে!
ছোট ছিলাম তো।

বাসাটাসা ভাড়া নিয়ে ছেটেল হবার সপ্তা দুয়েক বাদে সুদূর উত্তরবঙ্গ থেকে মোটে একবেলার ছুটি নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন জনাব সত্যানন্দ। বহুকষ্টে হাফ ডে লিভ নিয়ে দুপুরে খেলাম একসাথে। সন্ধ্যায় বিদায় দিতে হলো।
বহু বিলম্বে কাদম্বিনীর বোধগম্য হইলো, ছোটখালার অইদিন চোখ ভিজে উঠেছিল কেন! হাসি

বছরের ঠিক মাঝামাঝি সমুদ্রতীর এবং চাকরি, দুটোই ছেড়ে মাস চারেকের অসহনীয় বেকারত্ব শেষে আবারো যোগ দিলাম পুরোনো কামলাঘরে।

এখনকার দিনকাল ছকে বাঁধা, ফিতেয় মাপা। ভোর সাতটায় ছুটি, রাত আটটায় ফিরি। কপাল মন্দ থাকলে তারো পরে। অসহনীয় জ্যাম, অসহ্য ধুলো, মেট্রোরেলের জন্য খুঁড়ে ফর্দাফাই করা রাস্তা, নিরুপায় মধ্যবিত্তের বাহন লোক্যাল বাস, মহাখালি ফ্লাইওভার টু গুলশানের মোড়ে মোড়ে নির্ধারিত ও অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি, যাত্রিদের ওঠানামা, ভাড়া হাতবদল কিংবা আসন, কটুক্তি অভব্যতা এবং কদাচিৎ সহানুভূতি। স্যুট টাই পরা সহযাত্রির মুখে সামান্য দু টাকার ছেঁড়া নোট নিয়ে খিস্তিখেউড়ে আহত হই, মলিন বেশবাসের সহযাত্রির 'মা, এখানে বসো' বলে নিজ থেকে সিট ছেড়ে দেওয়ার ভদ্রতায় হই আপ্লুত।
প্রতিদিনের এই জার্নি কখনো এ্যাডভেঞ্চার, আবার কখনো ব্যাডভেঞ্চার।
মনোটনাস এক নগরীর নোনা ধরা নোংরা দেয়ালে বিষাদদের শুধু পাখি হতে চাওয়া, আর না পেরে দুমড়ানো ডানা ঘষটে টিকে থাকার চক্রে রোজকার ক্লিশে গল্পসব..

রোড নং ১৩৬, অফিস। বিতিকিচ্ছিরি কাজের চাপ, মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্যের মতো বালাইবিহীন টাইমটেবিল। একমাত্র সান্ত্বনা বস, এইচআর বিভাগীয় প্রধান যিনি। আসলেই বস, সার্কাজমের। সোজাসাপটা স্বরে একটা প্রশ্নের উত্তরও তিনি দিতে পারেন না, যে কোনো সিরিয়াস ইস্যুতে নির্বিকার মুখে সরস ঠাট্টা করেন।
নিজেও যেহেতু একই ঘরানার মানুষ, বনে ভালো। রিজিড, ডিকটেটর কিসিমের কেউ হলে আমার জন্য টেকা মুশকিল হয়ে যেতো।
হুকুম জিনিসটা ঠিক হজম হয় না তো।

আমি ওয়ার্কহোলিক, ব্যস্ততা উপভোগ-ই করি। কিন্তু একই সাথে মনে হয় স্বভাববিরুদ্ধ এবং একসময়ের বিদ্বেষমোড়া যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা এবং চাকরিবাকরি জুটিয়ে কোনমতে করে খাচ্ছি, সে মেয়েটা আমি নই।
এটা একটা মুখোশ।
মানুষ অপছন্দ করি অথচ কাজ করি মানবসম্পদ বিভাগে। আঁকিয়ে হতে চাওয়া, অন্তর্মুখী, অসামাজিক, পড়ুয়া মেয়েটাকে ঢেকে রেখে ভীষণ সামাজিক হয়ে আর অসীম ধৈর্য্য নিয়ে রাতদিন হোমোস্যাপিয়েন্স ঘাঁটি। মেজাজ চড়লেও সামলে রাখি, ভালো না লাগলেও কাজ চালিয়ে যাই। লিফটে-ক্যাফেটেরিয়ায়-ফোনে ঠোঁটে ফুটে থাকে স্মিত হাসি, বাধ্যতামূলক অভিবাদন, হাউ ক্যান আই হেলপ ইউ লুক।

দমবন্ধ লাগতো গোড়ায়, বয়সের সাথে সাথে সয়ে আসছে ধীরেধীরে। ঘাঁটা পড়ে যাচ্ছে আসলে, সাতকাহনে দীপাবলী যেমন বলেছিল, বোধহয় মায়াকে।
শুধু মনে হয় একটা দ্বৈত সত্বা প্রতিদিন আমার আসল আমিটাকে কুড়মুড় করে খেয়ে নেয় ঘুনপোকার মতো।
এরপর সিসিফাসের মতো আবার শুরু করা, শূন্য থেকে...

এ তো বড়ো রঙ্গ জাদু, এ তো বড় রঙ্গ

মাসের গোড়ায় একটা ক্যারিয়ার ফেয়ারে ছিলাম কাজের খাতিরে। ব্যক্তিগত এবং দলীয় আশা ছিল বেশকিছু চোখা পুলাপান পাওয়ার। আদতে হতাশ হয়েছি। দ্যাশে চাকরির বাজার ভয়াবহ খারাপ, নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তা হাড়ে হাড়ে জানি। অথচ রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে, গাঁটের পয়সা খরচ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ইয়ং গ্রাজুয়েটদের জীবনের আপাতঃ মূলমন্ত্র সম্ভবত হোয়াই সো সিরিয়াস?
যতদূর জানি, আগেই জানানো হয়েছিল কোন কোন প্রতিষ্ঠান থাকবে মেলায়। এক্ষেত্রে ক্ষীণতম আগ্রহ এবং ন্যুনতম বাস্তববুদ্ধি থাকলেও সময় করে খুঁজে দেখা উচিত আগত চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে কাজ/ব্যবসার ধরন এবং সম্ভাব্য কাজের সুযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যাদি। খুবই স্বাভাবিক, ফ্রেশারদের নিয়ে আয়োজিত চাকরিমেলায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মাঝারি পর্যায়ের পদগুলোতে আবেদনের সুযোগ আসবে না। কিন্তু কী ধরনের সুযোগ আসতে পারে তথ্যের সে উৎসগুলোও না হাতড়ে নানা স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি বা চেক ইন দিতেই আগ্রহী দেখেছি বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীকে। বিডিজবস বা লিঙ্কডইনে একাউন্ট নেই, দিন কেটে যায় ফেসবুকে.. কারণ ফলোয়ার শয়ে শয়ে। আর কী চাই?
চলতি শূন্যপদগুলোর জব ডেসক্রিপশন পড়ে দেখতে যে সময় লাগে সেটা দিতে তারা রাজি নন, SWOT এনালাইসিস বা মক টেস্টে আগ্রহী নন, জব স্পেসিফিকেশন জেনে সময় নষ্টে রাজি নন, রাজি নন প্রাসঙ্গিক পদ খোঁজায় অবশ্য প্রয়োজনীয় পরিশ্রমটুকু করতে।
রাঁধুনীর রেডিমিক্স মশলার মতো রেডি চাকরি পেতে চান যদি, ভেবে পাই না প্রভাবশালী পারিবারিক সুত্র ছাড়া সেই বেড অফ রোজেসের মখমলী জীবন ক'জনের বরাতে জুটবে?

শরীর, শরীর..তোমার মন নাই কুসুম?

বইমেলা থেকে যুগলে একগাদা (অতিশয়োক্তি নয়, আক্ষরিক অর্থেই) বই কিনে এনেছি।
জীবনসঙ্গীর কেনাকাটা এখনো শ্যাষ হয়নি, সে অদ্যাবধি আই গো আপ ইউ গো ডাউন, মানে কেবলই কিনিতেছে। ছোট্ট সংসারে অনেক শখ করে কেনা বুকশেলফে আর কিছু ঠাসার জায়গা নেই। সঞ্চয়ের সমস্ত নবলব্দ্ধ পুস্তকাদি পাঠ সমাপ্তির পূর্বে আর একটি নূতন গ্রন্থও কিনিব না -বারংবার এমত প্রতিজ্ঞা করিয়াও সানন্দে ভঙ্গ করি। হঠাৎ আলোর ঝলকানি লেগে ঝলমল করে চিত্ত, অষ্টম গর্ভ বা অক্ষয় মালবেরির মতো উপলখণ্ড জোটে, মন ভালো হয়ে যায়। কী আর আছে জীবনে নাহলে, কন? হাসি

কানন দেবীর আত্মজীবনী সবারে আমি নমি শেষে এই মুহূর্তে পড়ছি র'নবীর স্মৃতিচারণ স্মৃতির পথরেখায়। এ বছরই বেরিয়েছে, বেঙ্গল থেকে।
বেশ লাগছে পড়তে।
সুহান রিজওয়ানের পদতলে চমকায় মাটি শেষ করেছি রাত জেগে, রিভিউ লেখার আগে আবার পড়ার ইচ্ছে রাখি। সব মিলিয়ে তিন কপি কেনা হয়েছে এ বই, বন্ধুবান্ধবদের উপহার দেওয়ার মতলবে।

যে বন্ধুরা দৈনন্দিন জীবনের বিশাল একটা অংশ জুড়ে ছিল একসময়, তারা প্রত্যেকেই আজ ঘোর সংসারি। মধ্যপ্রদেশের ভূগোল বদলাতে শুরু করেছে অনেকের, পক্ককেশ এবং কেশীও বেশ ক'জনে, ছানাপোনা সমেত ভারিক্কী একদল মানুষ এখন।
অথচ এইতো সেদিন কিশোর ছিলাম, পাড়া ছিল দখলে। যোজন যোজন বদলে গেছি একেকজন মননেও। খুকি অপবাদ খানিকটা ঘোচাতে পারলেও নিজে অবশ্য অবয়বে বয়স বাড়াতে পারিনি এখনো।
বুড়ো হয়ে গেলাম, কিন্তু বড়ো হওয়া হলো না আর!

জাগতিক এবং মানবিক নিরাশার যুগলবন্দী ভারে ক্লান্ত সপ্তাহান্তের ভোরের অপেক্ষায়, আপাতত স্থলপদ্মের বনে নিদ্রাহীন জেগে আছি...


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

কত কাল এই মেয়ের কোন লেখা পাই না! আজ বেচারি ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে লিখে গিয়েছে। লিখতে লিখতে নিদ্রাহীন হয়ে গিয়ে জেগে আছে। খুব ভালো লেগেছে গো দিদি। মাঝে মাঝে এ রকম আরো লিখো। শরীরের নানা যন্ত্রণায় কেটে যায় বিনিদ্র রাত। আজও একটা খারাপ রাত আসছে। কিন্তু এ রাতটায় অন্তত তোমার এমন সুন্দর লেখাটা এল - এইটা ত পাওয়া গেল!

দ্বৈত সত্ত্বার হাত এড়ানোর উপায় মনে হয় কারোই থাকে না। অনেক সময়-ই আরো বেশী সত্ত্বায় ভাগ হয়ে থাকতে হয়। এই-ই জীবন কালীনাথ!

চাকরী পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বিষয়ে চাকুরীপ্রার্থীদের অমনোযোগ বা ঔদাসীন্য নিয়ে তোমার কথা আর ষষ্ঠ পাণ্ডবের কথা একই বিন্দুতে মিলে যাচ্ছে। আমি সেই সাথে এটা যোগ করতে চাই যে এই ছবি খানিকটা আমি এই প্রথম বিশ্ব বলে স্বীকৃত দেশেও দেখেছি। তবে, হয়ত জনসংখ্যা অনেক কম বলে অপ্রস্তুত লোকের সংখ্যাও কম।

মন আছে ত! সেই জন্যই ত নিদ্রাহীনের এই পোস্ট এল। আর এই যে, আর একটা নিদ্রাহীন পাঠক লেখককে ধন্যবাদ আর লেখকের সাক্ষী-সহ যুগলজীবনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে! হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তিথীডোর এর ছবি

জীবন যে অর্থহীন, বুঝে গেছে এই অর্বাচীন। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলেন কিছু...
এ ধরনের লেখা পড়তে ভালো লাগে। হাসি

তিথীডোর এর ছবি

বহুৎদিন আপনার সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয় না।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সত্যপীর এর ছবি

লিফটে-ক্যাফেটেরিয়ায়- ফোনে ঠোঁটে ফুটে থাকে স্মিত হাসি, বাধ্যতামূলক অভিবাদন, হাউ ক্যান আই হেলপ ইউ লুক।

একবারে খাঁটি কথা।

..................................................................
#Banshibir.

তিথীডোর এর ছবি

হ, য়্যাকদম!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কনফুসিয়াস এর ছবি

আবার ঢাকায় তাহলে? ঠিক বুঝলাম, আমাদের সাথে মোলাকাত এড়াবার জন্যেই তার মানে বেছে বেছে ঠিক ওই সময়েই কক্সবাজারে চলে যাওয়া। খুব খ্রাপ! হাসি
অক্ষয় মালবেরি অবশেষে জোগাড় করেছি, পড়া ধরিনি এখনো, করবো শিঘ্রী।
বইমেলা মিস করি আসলে। গত বছর গেলাম, নানা অভিযোগ, নানা পরিবর্তন, কিন্তু তবু ভালো লাগে, তবু মিস করি।

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

তিথীডোর এর ছবি

ঐ ক'মাস ঢাকা ছেড়ে থাকায় পছন্দনীয়, দিহান আপু, ডালিমকুমার- কংকাবতী জুটি সবার সাথে দেখা হওয়ার চান্স মিস করেছি।
সেই আফসোস কবে মিটবে, আদৌ মিটবে কিনা কে জানে।

টু ব্যাড লাক, ট্রুলি। মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ব্যক্তিগত কথোপকথন ধরণের লেখা কিছু পড়া হলেও কী মন্তব্য করব বুঝে উঠতে পারিনা প্রায়শই।
তারপরও অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখলাম। ভালো লাগলো।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তিথীডোর এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সঞ্চয়ের সমস্ত নবলব্দ্ধ পুস্তকাদি পাঠ সমাপ্তির পূর্বে আর একটি নূতন গ্রন্থও কিনিব না -বারংবার এমত প্রতিজ্ঞা করিয়াও

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

দূরে গিয়ে মর।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বিডিজবসে কী করো, সিভি ঝাড়াই-বাছাই? যদি তাই হয় তাহলে তা বোরিংস্য বোরিং এক জব্‌!

সপ্তাহান্তের দাম্পত্য জীবন যে কী করুণাকর, বঞ্চনাকর, হতাশাজনক এক জীবন সেটা যে পার করেনি সে এর অতলতা বুঝতে পারবে না। বিরহ নিয়ে বিলাস করা গল্প-কবিতা-গান পড়লে/শুনলে/দেখলে আমার লাঠিপেটা করতে ইচ্ছে করে।

শীতের পাতার মতো বন্ধুবান্ধব ঝরে পড়ার দিন শুরু হয়ে গেছে ডিয়ার! মেনে নিতে থাকো, সহ্য করতে থাকো। অচিরেই 'কোথাও কেউ নেই' হয়ে যাবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তিথীডোর এর ছবি

-বিডিজবস
উমম, অনেকটা তাই। জঘন্য জিনিস।

সপ্তাহান্তের দাম্পত্য জীবন
- অসহনীয়।

বন্ধুবান্ধব ঝরে পড়ার দিন
-হ্যাঁ, শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন। কারো কারো বেলায় ব্যাপারটা স্বস্তিদায়কও অবশ্য...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুমায়ের  এর ছবি

বিরহ নিয়ে বিলাস করা গল্প-কবিতা-গান পড়লে/শুনলে/দেখলে আমার লাঠিপেটা করতে ইচ্ছে করে।

ইদানিং শুনলে কেন জানি মনে হয় নিজেই ওপারে চলে যাই

তিথীডোর এর ছবি

হ। যেকোন ফরম্যাটের লং ডিসট্যান্স সর্বদা বিষবৎ পরিত্যাজ্য।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এলিজা  রহমান  এর ছবি

সত্যিই আমারও মাঝে মাঝে মনে হয় বুড়ো হয়ে গেলাম বড় হওয়াটা হলো না

তিথীডোর এর ছবি

বয়স আমার মুখের রেখায় শেখায় আজো ত্রিকোনমিতি...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি ভালো লেখেন তিথিডোর। একটা সময় নিশ্চয়ই নিয়মিত লিখতেন? আশা করি আবার শুরু করবেন।

---মোখলেস হোসেন

তিথীডোর এর ছবি

সময় পাই না রে ভাই...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক এর ছবি

ঘ্যানঘ্যানে এই লেখাটায় মন্তব্য করতেই লগাইলাম।

লেখা ভাল্লাগছে, অনেকদিন পর পুরানো বইয়ের গন্ধ!

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তিথীডোর এর ছবি

সুইসাইড নোট লেখার সাহস নাই তো, বোলগ-ই সম্বল। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।