রহিম বাদশা এখনো পোলাপান। দ্বাদশ শ্রেণী শেষ করে উচ্চমাধ্যমিকের অপেক্ষায়। মোটামুটি গুছিয়ে এনেছে সবকিছু। তার মধ্যে এই লক ডাউন। সঠিকবেঠিক সবসময় সবাই বাড়িতে।
টেস্ট পেপারগুলি টেবিলের উপরেই ভৌগলিক অবস্থান বদলাতে থাকে। কাল থেকে পরীক্ষা শুরু হলেই ফাটিয়ে ফেলবে মেজাজ বাড়িময় ভন্ ভন্ করে। ঘরের মধ্যে ষোলগুটির কোর্ট বানিয়ে হাঁটে। হাঁটতে থাকে রহিম বাদশা।
বিমলদা কে খুব মিস করছি বিগত দুই সপ্তাহ ধরে। মানুষটা কি এখনও বেঁচে আছে বাংলার কোন জনপদে? মহল্লার মোড়ের আলো ঝলমলে দোকানটা তো উঠে গেছে সেই কবে। দেয়ালে ছাঁটা পার্শ্বচিত্রের সেই সব সুকেশী রুপালি পর্দার নায়কদের অনেকেই আজ বয়সের ভারে কেশহীন।
বাবার চাকুরীর সূত্রে ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসের কোন একটি দিনে আমরা সপরিবারে ভুরুঙ্গামারি নামক একটি প্রত্যন্ত স্থানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি। রংপুর থেকে লালমনিরহাট গামী ট্রেনে এসে তিস্তা নদীর উপরে যে তিস্তা রেলওয়ে সেতু, তার কাছেই তিস্তা নামের একটি অতি অর্বাচীন রেল জংশনে আমরা কুড়িগ্রামগামী ট্রেন ধরার জন্য দুপুরের পর পর এসে পৌঁছালাম। আব্বা বললেন- ঐ তো কুড়িগ্রামের ট্রেনটি প্লাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছে। তা অব
[justify] অনেকদিন বোলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাই না। মনটা চায়, কিন্তু সময় আর সুযোগ দুয়ে ইম্রুল কায়েসের ব্যাট আর ইশান্ত শর্মার বলের মত একত্র হয় না। সময়টাও কেমন জানি অস্থির যাচ্ছে। পিএইচডি শেষের দিকে, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। দেশে কিছুদিন পরপর কিছু একটা নিয়ে অস্থিরতা, পরিবারে, সমাজে। সব মিলিয়েই #কিয়েক্টাবস্থা। সবচেয়ে বেশি প্যারা দিচ্ছে পিএইচডি। মুরুব্বিরা বলেন (যারা ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন) পিএচডির ৯৯% হলো সুপারভাইজার। করতে এসে হাড়ে মজ্জায় টের পাচ্ছি।
[justify]রোজাটা ৩০ দিনের হলে সবকিছু নিয়ম মতোই হয়। আগেও হতো। কিন্তু যদি হয় ২৯, তাহলেই বিরাট ভজঘট। অবশ্য ২৯ বিরাট একটা রোমাঞ্চকর বিষয় ছিলো। ২৮ তম দিনেই আমাদের মাঝে একটা চঞ্চলতা চলে আসতো। পরশু কি ঈদ হবে? নাকি আরেকদিন বেশি অপেক্ষা করতে হবে? যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখা বাটার জুতোটা কি পরা হবে পরশু নাকি আরেকদিন অপেক্ষা করতে হবে?
অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল দিল্লী ভ্রমনের। ভ্রমনকালে দিল্লী এবং এর সন্নিহিত অঞ্চলের বিখ্যাত জায়গাগুলো দেখার বাসনা যেমন ছিল, তেমনি আরও একটি গোপন বাসনাও ছিল, দিল্লীতে সত্যি সত্যি কোন বিখ্যাত রকমের "দিল্লী কা লাড্ডু" পাওয়া যায় কি, না তা একটু খুঁজে দেখা। নব্বই দশকের মাঝের দিকে অনেকটা হটাৎ করেই কলকাতা থেকে দিল্লী যাওয়ার পাকা বন্দোবস্ত করে ফেললাম। যাযাবরের বিখ্যাত "দৃষ্টিপাত" এবং নিমাই ভট্টাচার্যের "রাজধানী এক
শীত চলে যাচ্ছে। দিন লম্বা হচ্ছে, রোদ উঠছে নিয়মিত তবু ঠান্ডা কমছে না। কারণ তীব্র বাতাস। সকালে উঠেই সেই বাতাসের আক্রমনে পড়লাম বাপ ছেলেতে। আবহাওয়া নিয়ে বাবাইর নিজের অনেক মতামত আছে। সিরি নামের এক মহিলার সাথে তার ব্যাপক খাতির। ওর কাছ থেকে এ বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করে তারপর নিজের মতামত যোগ করে। বেশিরভাগ সময় সেগুলো ঠিক হয়। মাঝে মাঝে বাঙ্গাল সূলভ বেশি কথা যদিও বলে, আমিও বাঙ্গাল সূলভ পিতাভাব ধরে সেগুলো এড়িয়ে যাই। গাড়িতে উঠতে উঠতে বলে, বাবা আজকে অনেক মেঘ হবে। ঝুম ঝুমায়া মেঘ পড়বে। তুফানও হবে। ওর কথা সত্যি হয়ে যায় মিনিট কয়েকের মাঝে। চারদিক ঝাপসা করে আসে, সাথে ঝড়ো বাতাস। বাবাই বলে, দেখলায়তো বাবা আমার কথা সত্যি হলো। আমি বলি, হু, তুমি হইলা আবহাওয়াবাবা। মাথায় একটা পাগড়ি বাইন্ধা দেই...
[justify] এসব মোহগ্রস্ত দিনলিপি অন্যকেউ লিখে গেছে আগে...
ঘুমে ঢুলছি।
সেই সক্কালে, যাকে বলে কাকভোরে জেগে, চুলা জ্বালিয়ে আর মুরগিরে খাওন দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল। সারাদিনে দম ফেলার সুযোগ হয়নি একবারও, দুপুরে খাওয়ারও।
গত সন্ধ্যায় বইপড়ুয়া এবং অতিথি সচল এক ছোট্ট বন্ধুযুগলের বিবাহের নেমতন্ন ছিলো, শরীর বইছিলো না বলে যাইনি। দু'জন খুব কষে গালি দিচ্ছে নিশ্চয়ই।
আজকে ৫ ফেব্রুয়ারি।
ছয় বছর আগে আজকের বিকেলে আমরা কয়েকজন হাটতে হাটতে শাহবাগের মোড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কোন মানুষের ডাকে না। কোন সাময়িক হুজুগের ঝোঁকে পড়ে না। নিজেদের রক্তের ডাক, সেই অমোঘ ডাক উপেক্ষা করা যায় না।
[justify]রাত এগারোটায় হাসপাতাল থেকে ফোন আসলো, আপনি মি. তুলি? হ্যাঁ বলতেই বল্লো, মাত্র ফোন পেলাম। আপনার স্ত্রীকে পোস্ট অপারেটিভ থেকে নিয়ে আসবে ১৫ মিনিটের মাঝে। আসতে চাইলে আসুন। বল্লাম, আধা ঘন্টা লাগবে কমপক্ষে। উত্তরে হ্যাঁ সূচক জবাব পেলাম। আবার আব্দার করলাম, ছেলেকে নিয়ে আসবো... তাতেও হ্যাঁ।