অস্ট্রেলিয়ার টিকিট কাটা ছিল কুয়ালাম্পুর-এডেলেড, পার্থ-কুয়ালাম্পুর অর্থাৎ নামব এডেলেড আর ফিরব পার্থ হয়ে। দু সপ্তাহের ভ্রমণ। পুরো মহাদেশ তো আর এই স্বল্প সময়ে দেখা সম্ভব না, আপাতত দুটো স্টেট দেখে যাই, এরকমটাই ছিল প্ল্যান। টিকিট কেটেছিলাম প্রায় পাঁচ মাস আগে, বাজেট এয়ারলাইন “এয়ার এশিয়া”র মূল্যছাড় অফার থেকে। যাত্রা তারিখের প্রায় দু’মাস বাকী থাকতে এয়ারলাইন এর কাছ থেকে ই-মেল পেলাম যে ওরা এডেলেড এর সব ফ্লা
[justify]বৃষ্টি, জ্বর আর একাকিত্ব নিয়ে আমার বেড়ে উঠা। বৃষ্টিকে আমরা মেঘ বলি। মেঘের পর মেঘ আমাকে ভিজিয়েছে আশৈশব, বালকবেলা থেকে মেঘে ভিজতে ভিজতে পেরিয়ে এসেছি একাকী তারুণ্য, এসে দাঁড়িয়েছি চালসে সময়ের সামনে...
সতেরো বছর আগে সোফিয়াকে যখন আমি প্রথম দেখি তখন সে ঘুমন্ত মায়ের পাশে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সারাহ রেস্তোঁরার পাশে অগ্রণী ব্যাংকের বন্ধ কলাপসিবলের সামনের ছায়াটুকুতে মা মেয়ের অস্থায়ী নিবাস। আর ঠিক সেই জায়গায় আমার অফিসের গাড়ি থামতো। সকাল সাতটায় প্রতিদিন অফিস যাবার সময় আমাদের দেখা হতো। অমন সুন্দর শিশু আমি এই শহরে আর একটিও দেখিনি। সবুজ চোখের সোনালী কোঁকড়া চুলের দুধে আলতা বর্ণের শিশু
ঘুম থেকে উঠি, হাত মুখ ধুই
কফির কাপ হাতে নিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশ করি
স্ক্রিন জুড়ে দেখি রক্তাক্ত মগজ
ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারগুলো একে একে বদলে যায়
কেউ কেউ অভিজিৎ রায় হয়, কেউ রাজীব, কেউ বাবু, কেউ বিজয়
কেউ বা মাজল মি নট, কেউ শুধুই অন্ধকার।
ছোট কেউ মরলে একটা স্ট্যাটাস পয়দা করি
বড় কেউ মরলে আস্ত একটা ব্লগ
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে হুঙ্কার দেই, কলম চলবে
লাইক, শেয়ার আর কমেন্ট আসে নগদে
সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ নামে আরেক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অনন্ত বিজয় মুক্তমনা ব্লগে লিখতেন এবং গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সক্রিয় ছিলেন। ব্লগার অনন্তের প্রকাশিত চারটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো হলো
এছাড়া সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘যুক্তি’ সম্পাদনা করতেন তিনি।
আজ সকালে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে সেভাবেই খুন হন অনন্ত বিজয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি গওসুল হোসেন জানান, অনন্ত বিজয় দাশ সকাল ৯টার দিকে সুবিদবাজারের বনকলাপাড়া এলাকায় তার বাসা থেকে বেরিয়ে রিকশায় করে শহরের দিকে আসার সময় হামলার মুখে পড়েন।
বরাবরের মতোই আগে থেকে ওত পেতে থাকা চারজন তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কয়েকটা ছবিতে সয়লাব হয়ে গেছে ফেসবুক। এখানে একটা তুলে দিলাম। হু বিষয়টা দুঃখজনক। একটা মেয়েকে এভাবে পুলিশ নির্যাতন করতে পারে না। এর নিন্দা জানাই। কিন্তু এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করার কোন মানে নাই। ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে, পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্যই কঠোর হতে হয়। আপনার এই ছবিটা দেখার পর কস্ট লাগবে, রাগ উঠবে, সেটাই হওয়া উচিত। আমারও হয়েছে। কিন্তু ইউ হ্যাভ টু এ তুকাতুকি মাইন্ড। আপনাকে তুকাতুকি, মানে খুঁজাখ
আজ বৃহস্পতিবার। ভোটের দিন। কোনো উৎসব উৎসব ভাব নেই। হাঁক-ডাক নেই। গাড়ি-ভেঁপু, চিৎকার, চেঁচামেচি কিছু নেই। ঘুম ভেঙে ওঠে চার-পাশ দেখে বিশ্বাস হয় না আজ ভোট। কম্পিউটারে বারের নাম দেখি। ৭ মে, বৃহস্পতিবার। হুমম... আজই তো ভোট।
প্রচন্ড গরম। হাতে নোটখাতা, প্রশ্নতালিকা অনবরত হাতড়াচ্ছি। সামনে উতসুক চেহারা নিয়ে বসে আট-দশজন মহিলা। অভিভাবকের ভঙ্গি নিয়ে বসে আছেন একজন পুরুষ, মহিলাদের কারো স্বামী হবেন। ইন্টার্ভিউ যদিও শুধুমাত্র মহিলাদেরই নেবার কথা ছিল, বেশিরভাগ উত্তর দেবার দায় স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনিই নিচ্ছিলেন।
একদিন খবর পেলাম ছোট ফুপা মৌলবাদী হয়ে গেছেন। খবরটা শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। কারণ আমার সেই সুদূর অতীতের কথা মনে পড়ে গেল।
দুর্যোগের বিরাশি সিক্কার থাপ্পড়ে মানুষের মুখোশ খুলে পড়ে। শুধু দুর্যোগ নয়, শাহবাগ আন্দোলনের মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময়ও প্রয়োজনীয় মেরুগুলো প্রস্ফুটিত হয়। একেকটা ঘটনার(Event) প্রসবযন্ত্রনার মধ্য দিয়েই মানুষের জন্ম হয়, মানুষের অন্তরাত্মা পরিপূর্ণ নগ্নতায় অবভাসিত হয়। স্থবির সময়ে আমরা মানুষের যে রুপটা দেখি, তা শুধুই মরীচিকা।