সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের কী কী মনে হতে পারে?
সবচেয়ে প্রচলিত যেটা হয়, গভীর ঘুম ভাঙ্গার পরে হঠাত বুঝে উঠতে খানিক সময় লেগে যায় যে, এখন কোথায় আছি। ছোটবেলায় এরকম হতো, আমি কি গ্রামের বাড়িতে আছি নাকি নিজের বিছানায় শুয়ে সেটা বেশ খানিকক্ষণ বুঝতে পারতাম না।
নতুন কোন জায়গায় ঘুরতে যাবার আগে প্রতিবার ভাবি বাউণ্ডুলে ব্যাকপ্যাকার হয়ে ঘুরবো। কিন্তু শেষমেষ টিপিক্যাল বাঙালীর মতো আরাম আয়েশের অপশনটাই প্রাধান্য পায় এবং ধাক্কাটা পকেটের উপর দিয়েই যায়। এবার সিমলা-মানালি ঘোরার একটা পরিকল্পনা হলো চার জনে মিলে এবং কেন যেন তুলনামূলকভাবে কম অভিজ্ঞ আমার উপর পরিকল্পনার দায়িত্ব চলে আসলো। নিজেকে তখন দক্ষিণ এশিয়ার একটা দেশের মন্ত্রীর মতো মনে হলো যেখানে অনভিজ্ঞ লোকদের মন্ত্র
কারো কারো ক্ষেত্রে মারফি’স ল যে কতটা কার্যকর উদাহরণ হতে পারে, তা আরো একবার প্রমাণিত হলো অক্সফোর্ড রোডের সেলুনগুলো রোববার বন্ধ থাকার মধ্যে দিয়ে। দু’তিন সপ্তাহের গড়িমসি শেষে যখন সময় এবং সম্মতি দুটোই জুটলো ওদের বাবা ছেলের কাকের বাসা, বাজারের ঝাঁপিসম চুলগুলো ভদ্রস্থ সমাজোপযোগী করার, ঠিক সেদিন মাইলকয়েক পথ হেঁটে এসে জানা গেলো গুণেগুণে কেবল সেলুনগুলোই আজ বন্ধ থাকবে, যদিও আশেপাশের অন্য সব দোকান বহাল তবিয়ত
রাজপ্রাসাদের সৈন্যরা সব শেষ, উজিরের মরল খানিক আগেই, বীরবেশে আমি রাজার ঘরে ঢুকতে যেতেই রাজকন্যা ফোন দিলো, আমার মুঠোফোনের স্ক্রিনে ছবি সমেত নাম ভেসে উঠলো তার, কঙ্কাবতী! আমি তো চমকে উঠলাম। হাতের চকচকে খোলা তলোয়ার সাই করে বগলে চেপে অন্য হাতে কল রিসিভ করেই বললাম, হাআআলোওওও, নেমজ কুমারস, ডালিমস কুমারস!
ব্যক্তিগত ডায়েরী টাইপ লেখা বাদে আর কিছু লিখছি না আজকাল। তৃতীয় পক্ষের সমালোচনা বিষয়ক কিছু নিয়ে লেখালেখি বিপদজনক হয়ে গেছে, যদি সেই পক্ষটি অর্থ- বিত্ত কিংবা রাজনৈতিক ক্ষমতার মালিক হয়। এছাড়া ২০১৩ সালের পর অনেক কিছু বদলে গেছে বাংলাদেশে। তার আগ পর্যন্ত মোটামুটি স্বাধীনভাবেই ‘যা খুশী’ তা নিয়েই কিবোর্ড চালাতাম। তারপর থেকে কলমের বিপক্ষে চাপাতি এসে এমন এক সতর্ক যুগ নামলো যে, যাই লিখি তার আগে সাড়ে দশবার ভাবি
কিছুক্ষণ আগে সোশাল মিডিয়ায় জানা গেছে ব্লগার নিলয় নীল (নিলয় চৌধুরী/নিলাদ্রী চ্যাটার্জি) কে রাজধানীর গোরানে নিজ বাসস্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অসমর্থিক খবর ভাড়াটে পরিচয়ে বাসায় ঢুকে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
নিহত ব্লগার নিলয় ইস্টিশন ব্লগে লিখতেন এবং ফেইসবুক স্টাটাসের মাধ্যমে তার বক্তব্য জানাতেন।
এবার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ধুলো লাগা সব বইপত্তর ঝেড়ে ঝুড়ে রাখছিলাম। আমার ছোটবেলার পুরনো বইয়ের আলমারি থেকে শুধু পুরনো বই নয় হাবিজাবি নানারকম জিনিস বের হচ্ছিল। আমার পেপার কাটিং জমানোর খাতা, স্টিকার জমানোর খাতা, সবুজ রঙের ভাঙা ইয়ো ইয়ো, কলেজের বায়োলজি ডিসেকশন বক্স আরো কত কি!
বিষণ্ণ দিনের একঘেয়ে ব্লগর ব্লগর।
কিংবা, আমারও লিখতে ইচ্ছে হল।
পর্ব চারঃ ব্লুবেরি
বিল।
গত ৩৫ বছর ধরে ব্লুবেরির চাষ করছে। প্রথমবার গাছ লাগানোর পর ৩ বছর লেগেছিল ফল ঘরে তুলতে। "মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ করিনি তখন। এতগুলো টাকা আর পরিশ্রম।"
"ভালবাসা আর ইচ্ছার কমতি ছিল না।" আমি উত্তরে বললাম। "ইয়াপ, প্যাসন অ্যান্ড উইল দ্যাটস অল আই হ্যাড।"