বাংলা ভুলে গেছি!

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/১০/২০১৫ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের কী কী মনে হতে পারে?
সবচেয়ে প্রচলিত যেটা হয়, গভীর ঘুম ভাঙ্গার পরে হঠাত বুঝে উঠতে খানিক সময় লেগে যায় যে, এখন কোথায় আছি। ছোটবেলায় এরকম হতো, আমি কি গ্রামের বাড়িতে আছি নাকি নিজের বিছানায় শুয়ে সেটা বেশ খানিকক্ষণ বুঝতে পারতাম না।

হোস্টেলে থাকাকালীন সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বাঁশির শব্দে। ছুটিতে বাসায় ফিরতাম যখন মাঝে মাঝে কোথা থেকে যেন বাঁশির শব্দ শুনতে পেতাম, ঝট করে ঘুম ভেঙ্গে কিছুক্ষণ বুঝতে পারতাম না কোথায় আছি এখন, বাসায় নাকি কলেজে!

এখন এই মাঝবয়সে এসে মাঝে মাঝেই সকালে উঠে আয়নায় তাকিয়ে মনে হয় বুড়ো হয়ে যাচ্ছি বেশ। মেটামরফোসিস গল্পের কথা মনে পড়ে যায়, যে গল্পে একদিন সকালে হঠাত উঠে গ্রেগর দেখে যে সে একটা পোকা হয়ে গেছে, মানুষ নেই আর।

স্কুল জীবনে কোন কোন কঠিন বিষয়ের পরীক্ষার দিন সকালে উঠেই সবার আগে আমার মনে হতো, কাল কী কী পড়েছি সব ভুলে গেছি, কিচ্ছু মনে নেই! সাংঘাতিক আতঙ্কে কাটতো কিছু মুহুর্ত।

আজ সকালে উঠে, হাতে কিছু সময় পেয়ে, পত্রিকা খুলে বসলাম। প্রথম আলো। সেখানে চিত্র সমালোচনার পাতাটি পড়তে গিয়ে আমার পরিষ্কার মনে হল, আমি নির্ঘাত বাংলা ভুলে গেছি।

ভাল করে পড়ে দেখলাম লেখাটি আসলে বাংলাতেই লেখা, কিন্তু পড়ে সত্যিই অনেক কিছু বুঝতে পারছি না। লেখকের নাম মতিন রহমান, পরিচিত লাগলো নামটি, এই নামে একজন সিনেমা পরিচালক আছেন বলে মনে পড়ছে, জানি না তিনিই লেখক কিনা। লেখাটির কিছু শব্দের ব্যবহার বুঝিনি, কিছু বাক্য মনে হয়েছে অসমাপ্ত, কোন অর্থ দাঁড় করাতে পারেনি। কিছু শব্দের অর্থও জানি না মনে হল। লেখা থেকেই কিছু উদাহরণ তুলে দিচ্ছি, অর্থ বুঝিয়ে দিতে যদি কেউ এগিয়ে আসেন তাঁকে আগাম ধন্যবাদ!

‘গল্পের আঙ্গিক বৈশিষ্ট্যে ধৃত হয়েছে ভারতীয় পরিবারের ছেলেমেয়ে যারা উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গিয়ে হোটেল, রেস্তোরাঁয়, রেলস্টেশনে প্রেমখেলায় সময় কাটায়।’ - এ বাক্যটায় প্রথম চারটা শব্দের অর্থ করতে পারছি না, শেষটুকুও না।

‘অজয়ের চরিত্রভাবে প্রশ্ন জুড়ে গল্পে বিরতি ঘোষিত হয়।’ - মানে বুঝিনি।

‘বেশ কিছু কৌতুক ও উপভোগ্য রহস্য দৃশ্যের মাঝ দিয়ে গল্পটি নায়ক-নায়িকার ভাবমূলক দাবি থেকে অজয়ের বাবা বোধমূলক প্রাপ্তির দিকে নিয়ে যায়। অজয়ের বাবার নাট্য রসানুভূতিমূলক দৃশ্য বেশ উপভোগ্য।’ - ভাবমূলক দাবি, বোধমূলক প্রাপ্তি, রসানুভূতিমূলক দৃশ্য- এই ব্যাপারগুলো আসলে কী?

‘গীতদৃশ্যে শিল্পীদের অঙ্গমুদ্রার বর্ণনাত্মক ভঙ্গি সুসামঞ্জস্য।’- মিলছে না মনে হচ্ছে।

‘ক্যামেরার অহেতুক কারিগরি কৌশলগতি থেকে আশিকী ভারমুক্ত।’ - কৌশল, ঠিক আছে, গতি কেন?

‘বৃষ্টিভেজা সকাল’সহ প্রতিটি গানের গীতসংলাপ শ্রুতিমধুর।’ - গীতসংলাপ, এটা কী, এবং কেন?

‘রাহুল ও শ্রুতির চুম্বনপূর্ব দৃশ্যে ক্লোজড শটে নীরবতা উভয়ের স্পটে যোগসূত্রের নির্মাণ।’- এ বাক্যের কোথায় শুরু, কোথায় শেষ, স্পট কী? পুরো বাক্যের কী মানে দাঁড়ায়?

‘অজয়কে উদ্ধার করতে রাহুলের গাড়ি চালিয়ে আসা ইন্টারকাট রীতিতে গড়ে তোলা দৃশ্যটি সম্পাদকের মস্তিষ্ক–প্রসূত করতে বাসনা। তবে স্টিম ইঞ্জিন ট্রেনের আগুয়ান গতিময় শটের সঙ্গে কম্পার্টমেন্ট দৃশ্যের স্টোটিক শটগুলোর সংযোগ ধারাবাহিকতা বিভ্রাট ঘটায়।’ - মস্তিষ্ক-প্রসূত করতে বাসনা কী জিনিস? স্টোটিক শট কী?

‘যৌথ দেশের যৌথ মেধাশ্রমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে নির্মিত আশিকী প্রথাবদ্ধ প্রেম কাহিনির চর্বিতচর্বণ। দর্শকের দৃষ্টিতে সময় কাটানো সিনেমা খোলা। এম এ আজিজ ও অশোকপতি পরিচালকদ্বয়ের ‘হিস্টরি রিপিট’।’ - সিনেমা খোলা এটা কী? খায় না মাথায় দেয়?

পুরোটা কয়েকবার পড়লাম। বুঝিনি ভাল করে এখনো। আরও ক’বার পড়বো কিনা ভাবতে ভাবতেই মনে হল তার চেয়ে সিনেমাটাই দেখে ফেলা ভাল হবে। আমার অবুঝমূলক ভাবনা আগুয়ানিত হয়ে মস্তিষ্ক গীতসংলাপে সুসামঞ্জস্য হয়ে যাবে!


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

মতিন রহমান লেখনশৈলী আগামাথা হিন্দালু দুমফট।

..................................................................
#Banshibir.

কনফুসিয়াস এর ছবি

এই লাইনটা মূল লেখায় যুক্ত করার দাবি জানাই। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

এই রিভু কি মস্কোভাই লেখছে? উনার লেখা পড়লেও আমার কেনো যেন এই রকম মনে হইত।

হাততালি চলুক

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমি তেমন পড়িনি ওনার লেখা, কিন্তু ভাল বলে শুনেছিলাম। ঃ/

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী এর ছবি

আমি তাহলে একা না! সকালে পড়ার পর থেকে মাথা ঘুরান্টি মারতেছিলো।

কনফুসিয়াস এর ছবি

সেটাই। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সো এর ছবি

১। লেখার মাথামুন্ডু কিছু না বুঝলেও জীবনের আরেকটা রহস্য ক্লিয়ার হয়ে গেছে। পিটি ক্লাসের সময় দিলীপ স্যার বলতেন -বাবারা - তোমরা একটু পিছনের দিকে আগাও। কথাটার মানে এখন মনে হয় বুঝতে পারলাম।
২। উনার বাংলা ডিকশনারির ডায়রিয়া হয়েছে।
৩। মতিন রহমান গুগল-ট্রান্সলেট এর ভাই।

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমি ভাবছিলাম, কিছু কিছু বানান বিভ্রাট বা এরকম কিছু হয়েছে হয়ত। কিন্তু পত্রিকায় দেবার আগে সম্পাদকের হাত হয়ে যাবার কথা লেখাটার, তখন ঠিক হল না কেন বুঝছি না।

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

রিভিউ ভালা পাইসি। হাসি

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

কনফুসিয়াস এর ছবি

উত্তম জাঝা!

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হায় হায়। আমি তো দাবি করতাম যে চর্যাপদ থাইকা ওএমজি-বাংলা পর্যন্ত মোটামুটি বুঝি। কিন্তু এই বাংলাতো মাথার উপর দিয়া গেলো....

০২
দুইজন মতিন রহমানকে আমি চিনি। একজন কবি। এইটা তার ভাষা না আমি নিশ্চিত; বিষয়টাও তার হইতে পারে না; সেই বিষয়েও নিশ্চিত...

দ্বিতীয় মতিন রহমান; চলচ্চিত্র পরিচালক/বর্তমানে চলচ্চিত্র শিক্ষক। ঘটনাক্রমে একটা ইস্কুলে তিনি আমার সহপাঠি এবং শিক্ষক দুইটাই...

লেখাটা পইড়া তিনারে ফোন করছিলাম। এইটা তিনারই লেখা। ধুমায়ে প্রসংশা করছি লেখার। বলছি সুদূর অস্ট্রেলিয়ার এক চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ এই লেখার প্রসংশা করছেন...

কনফুসিয়াস এর ছবি

এই রে লীলেনদা, ফ্রেন্ডলি ফায়ার করে দিয়েন না আবার! হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হাসিব এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

না বুঝে পোস্টমর্ডানিস্ট হতে চাওয়া কিছু অকালকুষ্মান্ডের হাতে পড়ে বাংলা নাটকের যে অবস্থা হয়েছে, এখন বাংলা ভাষারও সেই অবস্থা করার পায়তারা। পরিভাষা তৈরির প্রচেষ্টা থাকা ভালো, তাই বলে, অর্থবহ হতে হবে তো। আর বাক্যের আকাংখা, আসত্তি, যোগ্যতা ইত্যাদি না থাকলে ক্যামনে কি! বাংলা চলচিত্র শেখার আগে বাংলা ভাষার ক্লাসে ঢু মারা দরকার লেখকের।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কনফুসিয়াস এর ছবি

এ কথা আমারও। নতুনত্বে আপত্তি নেই, কিন্তু অর্থবহ হতে হবে তো সেটা।

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সাফি এর ছবি

বাংলা নাট্ক দেখে আমার রীতিমত আক্কেল গুড়ুম হয়। এখন দেখি এক ধরণের নাটক খালি চিৎকার চেঁচামেচি, হই চই আর মোশাররফ করিম, আর আরেক ধরণের নাট্ক হলো মিষ্টি মিষ্টি গান সাথে তাহসান। আমি বুঝে পাইনা আমার রুচি পাল্টালো নাকি নাটকের মান। নাটক দেখে আর ভালো লাগেনা। অথচ আগে রাত ৯টা বাজার জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকতাম মোটামুটি।

স্পর্শ এর ছবি

কে যেন হিসাব দিলো, ৪০ টা চ্যানেলে প্রতিটিতে ঈদের ৫ দিন পাঁচটা নাটক দেখালেও ৪০ x ৫ = ২০০ নাটক! এত নাটক লেখার লেখক, অভিনয় করার অভিনেতা, পরিচালনা করার পরিচালক আসবে কোথেকে? তাই এই ফারুকীয়রেসিপি। তার উপর নাটক চলার সময় স্ক্রীনে ডানে বামে উপরে নিচে স্ক্রল করতে থাকে নানান খবরা খবর।

লোকজন বই টই তো পড়েই না। নাটক সিনেমা যাও দেখত তাও যা হচ্ছে আজকাল! তাও ভালো যে ভারতে কিছু ভালো বাংলা সিনেমা হচ্ছে। ওদের কুটনামি মার্কা মেগাসিরিয়ালগুলোও বাংলাদেশি হাউকাউ এর চেয়ে ভালো (অন্তত স্ক্রলিং নিউজ আর বিজ্ঞাপনের দৌরাত্ব নেই)। মীরাক্কেল, টিরাক্কেলে আর রিয়েলিটি শোগুলোটে তো বাংলাদেশি পারফর্মাররাই মাতিয়ে আসছে। বাংলাদেশে কীভাবে যেন মিডিয়া চলে গেছে কিছু অসংস্কৃত মানুষের হাতে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হাসিব এর ছবি

না বুঝে পোস্টমর্ডানিস্ট

এইখানে পোস্টমর্ডানিজমটা ঠিক কোথায়?

স্পর্শ এর ছবি

সেটাই তো!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাফি এর ছবি

রিভিউ আর পুরোটা পড়ার সাহস পাইলাম না। যে কয়টা উদ্ধৃত করেছেন, তাই পড়েই বুঝেছি এই ভাষা আমার না।

আলতাইর  এর ছবি

চক্ষু ঝালাপালা হইয়া গ্যাছে!!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ-য-ব-র-ল ভুলে গেছেন? ২৬ ইঞ্চি ফিতে ধরা টেকো বুড়োর কথা মনে নেই বুঝি? যার বয়স বাড়ত-কমত! ভাষারও একই ব্যাপার। একবার সে প্রাকৃত ডিঙ্গিয়ে আধুনিকে আসে, তারপর নির্দিষ্ট সময় পরে আবার উল্টোরথে যাত্রা করে। এইটা হল রিভার্স প্রাকৃত ভাষা। চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব এর ছবি

তুমিতো এমন কুটনা ছিলানা কখনো! এইভাবে সবাইরে চুবানি খাওয়াবার দরকারটা কী? পড়ছো, ভালো কথা। মাথা ঘুরাইছে, শুয়ে থাকো কিছু সময়। ডেকে ডেকে ভাই বেরাদরকে যন্ত্রনা দেবারতো মানে নাই।

রেগে টং

এক লহমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

কনফুসিয়াস এর ছবি

কথা সত্য অপু ভাই, আজকে থেকে সব রকম সমালোচনা অফ। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

তারেক অণু এর ছবি
এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

হো হো হো

মতিন রহমান; চলচ্চিত্র পরিচালক/বর্তমানে চলচ্চিত্র শিক্ষক

দেশীয় চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী হলেম।
এসব বিষয় যতবেশি দুর্বোধ্য হবে, ততবেশি আন্তর্জাতিক লাউ বেগুন প্রাপ্তির সম্ভাবনা।
দেশের বাঙালসকলের বুঝাবুঝি দিয়ে কচুটা হবে। পরিস্কার হিসাব।
মা ভৈঃ! সম্মুখে সুন্দর আগামিকাল....

দময়ন্তী এর ছবি

এইটা কোনও অটোমেটিক রিভিউ জেনারেটারে লেখা নয়ত? হয়ত সফটওয়্যারটার বিটা ভার্সানে এইটে বের হয়েছে।

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কনফুসিয়াস এর ছবি

হতেও পারে। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো মজা!!

দেবদ্যুতি

তাহসিন রেজা এর ছবি

মতিন রহমানের লেখাটি পড়ে ভীষণ মাথা ধরেছে মন খারাপ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

হিমু এর ছবি

খবরের কাগজ খুললেই সমিস্যা। হয় মতিকণ্ঠ, নয় মতিনকণ্ঠ।

স্যাম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।