মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আর পোড়ো বাড়িটার...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৪/১১/২০১৫ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

রণদীপমদার সিগনেচার লাইনে এখনও ঝুলছে গ্রীক দার্শনিক ইউরিপিডিসের উক্তি- “চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মাঝে কোনও মাহাত্ম্য নেই।” দার্শনিক আর লেখকদের ওপর চাপাতিপন্থীরা বরাবরই খড়গহস্ত কিংবা অধুনা চাপাতিহস্ত। টকশো আর বুদ্ধি বেচে খাওয়া বড় বড় লোকেদের কথা শুনলে মাঝে মাঝে মনে হয়- ইউরিপিডিস কতই না ভুল ছিলেন। আসল কথাটা হবে- “চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মাঝেই বুদ্ধিমানের মাহাত্ম্য।” তবু, ভাগ্যিস টকশোজীবিদের শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে ব্লগের মতন একটা দূর্মূখ জায়গা এখনও টিকে আছে, যেখানে চিন্তারাজিকে প্রকাশ করা যায়। বহুদিন পরে নিজের মুখোমুখি হলে নিজেকে অন্তত উত্তর দিতে পারব- “প্রকাশ করে কি হয়েছে জানি না, তবে চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখিনি”। কেমন হত যদি জিওর্দানো ব্রুনো অথবা গ্যালিলিও গ্যালিলি সবকিছু বুঝেশুনেও চেপে যেতেন? দৌর্দন্ডপ্রতাপ চার্চকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হতচ্ছাড়া এই পৃথিবীটা কিন্তু ঠিকই ঘুরে চলত তখন থেকে এখন পর্যন্ত এবং ভবিষ্যতেও। কেবল দেখা হতনা সেই ঘটনা স্মরণে নতজানু হয়ে চার্চের অসহায় ক্ষমা প্রার্থনার মতন হাস্যকর ঘটনা। ইতিহাসে শেষমেশ টিকে গেছেন ‘অনুভূতিতে আঘাত হানা’ ব্রুনো কিংবা গ্যালিলিওরাই, ‘অনুভূতির রক্ষক’ চার্চ আর তার জল্লাদ বিশপেরা হারিয়ে গেছেন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। প্রকৃতি বড় রসিক, কেবল একটু অলস কূম্ভকর্ণ এই যা। এখনকার ‘আনসার’ কিংবা ‘জামায়াত’ কিংবা ‘মুজাহেদীনদের’ দু’শ কিংবা দু’হাজার বছর পরের “খলিফারাও” হয়ত একদিন হাটু গেঁড়ে ক্ষমা চাবে এই চাপাতিকান্ডের জন্য। সেদিন ইতিহাসের পাতায় স্থান হবে অভিজিৎ রায় কিংবা অনন্ত বিজয়ের। রক্তমাখা চাপাতি পড়ে থাকবে ইতিহাসের আস্তাকূঁড়ের কোনও অন্ধকার কোনায়। শোকাবহ ৩ নভেম্বরের হতাকর্তা ড়্যাম্বোরাও ভেবেছিল, তাজউদ্দীন আহমদ ও তাঁর সহকর্মীদের হত্যা করে তাঁদের চিন্তারাজিকে গায়েব করে দেয়া যাবে। তাজউদ্দীনেরা বাঁচতে পারেন নি সত্য, কিন্তু সেই ড়্যাম্বোদের মুখে ছাই দিয়ে তাঁদের চিন্তারাজি টিমটিম করে হলেও জ্বলে আছে আজ অবধি। আর সেই ড়্যাম্বোদের স্থান জঞ্জালে ভরা ইতিহাসের আস্তাকূঁড়ে। কে না জানে, প্রকৃতিতে জঞ্জালের পরিমাণ ক্রমবর্ধমান? তবে, দিনশেষে কিন্তু পরিমাণে আধিক্যহেতু আমরা জঞ্জাল পাতে টেনে নেই না, গায়েও মাখিনা। বুদ্ধি হবার পর, জঞ্জালকে সকলেই চায় ঝেড়ে ফেলতে। কেউ সপ্তাহে দু’দিন গোসল করে, কেউ দিনে দু’বার- পার্থক্য এতটুকুই।

২।

ও হ্যাঁ, ইউরিপিডিসের পরের কথাগুলো ছিল- “যদি চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখতে হয়, তবে সেরকম চিন্তা না করাই ভাল।” এই কথাটি মনে পড়ল উচ্চ আদালতে করজোড়ে ক্ষমাপ্রাপ্ত বিবৃতিজাদা এবং টকশোজীবি গোলাম মোর্তজার সাম্প্রতিক লেখাটি দেখে। নিজের সম্পাদিত পত্রিকায় মোর্তজা বলেছেন-
যাদের হত্যা করা হয়েছে তাঁদের সবাইকে ‘নাস্তিক’ পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া হয়েছে। যদিও সবাই মোটেও নাস্তিক নয়। আমাদের বন্ধু দীপন নাস্তিকও নয়, ব্লগার বা অনলাইন লেখকও নয়। তারপরও গণমাধ্যম তাকে দেখছি ব্লগার হিসেবে পরিচিতি দিচ্ছে। ব্লগার খারাপ কিছু বলছি না। কিন্তু, যে যা না তাকে তা বলব কেন?

সাপ্তাহিক, বর্ষ ৮ সংখ্যা ২১, ৫ নভেম্বর ২০১৫, পৃষ্ঠা নং-৯
মোর্তজা ধুরন্ধর বাকচতুর কথাজীবি। নাস্তিক পরিচয় ‘প্রতিষ্ঠা’ কারা করেছে সেই ভাসুরের নাম তিনি মুখে আনেন নি। দীপন ভাই নাস্তিক কি আস্তিক সেটি নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়, তা নিয়ে সম্ভবত কারও মাথাব্যাথাও নেই। ব্লগার যে খারাপ কিছু না সেই ঐশী জ্ঞানটি সরবরাহ করে মোর্তজা নিঃসন্দেহে এই জাতিকে কিছুটা জ্ঞানী করে তুলেছেন। এদেশে সাহেবী কেতায় টুপি পড়ার প্রচলন নেই, খোলার সুযোগও নেই। তাই দেশীয় সংস্কৃতি মেনে তাঁকে লুঙ্গিখোলা অভিনন্দন জানাই। এবার, উদ্ধৃত অংশের শেষ দু’টি লাইনে আসুন। মোর্তজা এভাবে চোখের পাত্তি না ফেলে মিথ্যা কথা বলতে উদ্বাহু হয়েছেন কেন? এজন্যই কি তিনি ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালায়’ অসত্য তথ্য উপস্থাপনে শাস্তির বিধান সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটির কট্টর বিরোধীতা করতেন? এতদিন যাবত ব্লগার শব্দটিকে শত্রুবৎ জ্ঞান করে কুৎসা রটিয়ে আজ কি তিনি নিজের অতীত কে ভয় পাচ্ছেন? তাঁর কি মাথায় ঢুকে আছে ব্লগাররাই তাঁদের সেই ঐতিহাসিক বিবৃতিকে ন্যাংটো করে দিয়েছিল? আজ নিজের নিহত বন্ধুকে তিনি ব্লগার নামের অচ্ছুৎ অভিধা থেকে আড়াল করতে চান কেন? ওপরে ছোঁড়া কোন থুথুটা এতদিন পর আজ তাঁর গায়ে এসে পড়ছে? এভাবে দ্বার বন্ধ করে দিয়ে কি সত্যটারে রোখা যায়, জনাব মোর্তজা?

পুনশ্চ-একঃ আবুল কাসেম ফজলুল হক স্যারও প্রথম আলোয় “দীপন তো ব্লগার ছিল না” এই দাবি করেছেন।
পুনশ্চ-দুইঃ চাপাতিহত ফয়সাল আরেফীন দীপন “অন্ধকার” নিকে ৯ বছর ৪ মাস ব্লগিং যাবৎ করে আসছেন।

৩।

কেবলমাত্র বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ কিংবা দলত্যাগের “অপরাধে” যারা জ্বলজ্যান্ত মানুষকে কুপিয়ে আলুভাজি বানিয়ে ফেলতে পারেন তিনি কি অপরাপর সকল “বিশ্বাসের” ক্ষেত্রেই এই এই আইন জারী রাখতে রাজী? নাস্তিক কুপিয়ে হাত মুছে ফেলা একজন মুসলমান কি একজন ইজরায়েলী ইহুদীকে দায়মুক্তি দেবেন “ধর্মীয় অধিকার” রক্ষার্থে একজন ফিলিস্তিনী মুসলিমকে হত্যা করে ফেললে? ভারতের মুসলমান কুপিয়ে হাত মুছে ফেলা একজন শিবসেনা কি বিশ্বজিতের খুনীদের দায়মুক্তি দেবেন যদি খুনীরা “ধর্মীয় অধিকার” রক্ষার দাবিতে আপীল করে? কাদিয়ানী কুপিয়ে হাত মুছে ফেলা জামাতীরা কি একজন বর্মী সেনাকে দায়মুক্তি দেবেন যদি তারা রোহিঙ্গা নিধনের দায়মুক্তি হিসেবে “ধর্মীয় অধিকার” রক্ষার কথা বলে? ফিলিস্তিনী কুপিয়ে হাত মুছে ফেলা কোনও ইহুদী রাবাই কি একজন হিটলারকে হাসিমুখে দায়মুক্তি দেবেন যদি নাজিরা হলোকস্টের আত্মপক্ষ সমর্থনে “ধর্মীয় অধিকার” রক্ষার ব্যাপারটি উত্থাপন করে? গ্যালিলিও কিংবা ব্রুনোর ইনকুইজিশনে উপস্থিত কোনও বিশপ কি “ধর্মীয় অধিকার” রক্ষাকারী একজন আইএস জল্লাদকে সাধুবাদ জানাবেন কোনও ক্রিশ্চান বন্দীকে হত্যার পরে? নবীর অনুভূতি রক্ষার্থে জাগ্রত চাপাতিপন্থীরা কি তাঁদের নবীর ওপর অত্যাচারকারি তৎকালীন তায়েফের মক্কাবাসীকে হাসিমুখে বুকে টেনে নেবেন, যদি জানা যায় তায়েফবাসীরা তাঁদের প্যাগান অনুভূতির সম্মান তথা “ধর্মীয় অধিকার” রক্ষার্থে হামলা করেছিল? কিংবদন্তীর মোজেসের অনুসারীরা কি পৌরাণিক ফারাওকে সালাম দিতেন, যদি প্রমাণ করা যেত “ধর্মীয় অধিকার” রক্ষার্থেই ইজরাইলপুত্রদের ওপরে অত্যাচার করা হয়েছে?

৪।

জঙ্গী এবং এমনকি মডারেট প্রতিমা ধ্বংসকারীরাও প্রতিনিয়ত বলে চলেনঃ “মূর্তির হাত নাই, পা নাই, নিজেকে রক্ষার ক্ষমতা নাই, বোধশক্তি নাই... ব্লা ব্লা ব্লা... অর্থাৎ মূর্তি ভাঙ্গাভাঙ্গি নিঃসন্দেহে জায়েজ”। চন্দ্রফেরত ছাইদী কিংবা ভারতীয় টিভিতারকা ডাঃ নায়েকের লেকচার (ভিডিওসহ) দেখলে এই “যুক্তি” মূহূর্মুহ ব্যাবহার করতে দেখা যায়। লাইভ দেখতে চাইলে আশেপাশে এমন ঘটনা ঘটার পরে একটু কষ্ট করে ধৈর্য ধরে মডারেট ভদ্রলোকেদের (জঙ্গীরা খুব সহজলভ্য নন) আলাপ আলোচনা শুনতে পারেন। এনারাই আবার যখন বিমূর্ত অনুভূতিতে (যাকে হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন ভাবমূর্তি) আঘাতের অভিযোগে আলতো করে একটু-আধটু চাপাতি চালান কিংবা চাপাতি চালনা নিঃসন্দেহে ভদ্রলোকের অধিকার বলে দাবী করেন, তখন? তাঁরা কি টের পান, যে নিজেদের তথাকথিত “যুক্তি” দ্বারা তাঁদের স্বীয় উপাস্যকে কতটা খেলো, কতটা হাস্যকর, কতটা অসহায় করে তোলেন?

৫।

আমি অনেক কাল আগে যে প্রতিষ্ঠানে পড়েছি, তার প্রার্থনা-ভবনের প্রবেশদ্বারে ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল- “হে ঈমানদারগন, তোমরা সত্যের সহিত মিথ্যাকে মিশ্রিত করিও না এবং জানিয়া শুনিয়া সত্য গোপন করিও না”। এতকাল পরেও, ঈমানদারের প্রতি স্রষ্টার এই উদাত্ত অনুরোধ আমার মনে আছে। ঈমানদারেরা সেটি জোর করে ভুলে থাকতে চান কেন? এই আহ্বান কি তাহলে ছহীহ আহ্বান নয়? কেউ কি জানাবেন?

০৩.১১.২০১৫


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

গুরু গুরু

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

কৌস্তুভ এর ছবি

সুবিধাবাদী আর সত্যবাদী দুটো তো এক সাথে হওয়া সম্ভব নয়, তাই...

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

নিক বদলে 'সাক্ষী সুবিধানন্দ' করে নেয়াটা হালাল হবে বলছেন? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

কৌস্তুভ এর ছবি

হা হা হা, তাইই বটে!

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রকৃতি বড় রসিক, কেবল একটু অলস কূম্ভকর্ণ এই যা।

চলুক এই কথাটাই সেইদিন এক বন্ধুকে বলছিলাম। কলমের বিরুদ্ধে চাপাতির লড়াই এ কলমের জয় সুনিশ্চিত, কেবল দামটা একটু বেশী পড়ে যাবে এই যা। আমরা যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত বলে দাবী করি তারা যদি সুবিধাবাদী আচরন না করে নিজেদের বিবেক ও শিক্ষা অনুযায়ী আচরন করতাম তাহলে হয়ত এতটা দাম দিতে হত না, এইটা যা আফসোস।

আমি তোমাদের কেউ নই-> আতোকেন

আয়নামতি এর ছবি

চলুক চিন্তারাজি লুকিয়ে না রাখবার জন্য উত্তম জাঝা হে!

অতিথি লেখক এর ছবি

এই অস্থির আর নির্মম সময়ে প্রশ্নগুলো বড্ড বেশি যৌক্তিক। সাধুবাদ...

দেবদ্যুতি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বলেন কি? দীপন ব্লগার ছিল? তবে যে তাঁর বন্ধু এবং বাবা বললেন যে তিনি ব্লগার ছিলেন না?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লালুসালুর আড়াল থেকে ফারুকী কিংবা টকশো'র মগ হাতে গোলাম মোর্তজা এই দাবী করতেই পারেন, যা নয় তাই বলে বেড়ানোই তাঁর পেশা। দীপন ভাইয়ের বাবা স্বয়ং যখন সেপথে যান, তখন অদ্ভুদ লাগে। একজন ভুঁইফোঁড় হানিফের খেলো কথার তুবড়ি ছোটায় তখন সবাই সেটা অপছন্দ করেছে। স্যার জ্ঞানী-গুনী মানুষ, ব্লগ কি ইত্যাদি তাঁর না জানার কোনও কারন নেই। সেই তিনিও যদি, (জানিনা কি কারণে) এমন খেলো আবদার করেন তখন সবকিছুই কেমন মতিকন্ঠময় হয়ে ওঠে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনুসন্ধিৎসু এর ছবি

গুরু গুরু

অতিথি লেখক এর ছবি

হে ঈমানদারগন, তোমরা সত্যের সহিত মিথ্যাকে মিশ্রিত করিও না এবং জানিয়া শুনিয়া সত্য গোপন করিও না।

এই কথাটা কি চাপাতিওয়ালা আল্লাহ্‌র বান্দারা মানছে?

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

রানা মেহের এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

এই সময়ে প্রশ্নগুলো বড্ড বেশি দরকারী৷ চিন্তার স্বাধীনতা অব্যাহত থাকুক৷

-------------------
সামিরা

সোহেল ইমাম এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।