ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা-২

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০২/২০১৯ - ১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। আসা যাওয়ার পথের ধারে, কেটেছে দিন

সচলের নিয়মিত হাজিরাদাররা আজকাল বড় অনিয়মিত। অন্যদের কথা কোণ মুখে বলি? আমিই স্টেজের সামনে পানের পিক ফেলতে ফেলতে নিষাদরাজের সিংহদ্বারে খোল তলোয়ার বলে হুঙ্কার দিয়ে ফিরেছি গত দেড় বছর। তারপর, আবার সে এসেছে ফিরিয়া! বহুদিন পরে স্যার নিবিড়ের লেখা পাওয়া গেল, বইয়ের বিজ্ঞাপনী সূত্রে পাওয়া গেল পরিবর্তনশীলকেও। সবাই ফিরে আসুক। সচল আবার জমজমাট হোক এই আশা অনেকেরই। চাইলেই কি হয়? সবাই কি ফিরে আসে? আসা সম্ভব? ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে হারিয়ে যাওয়ারা কি আর ফিরবেন? না তো! তাহলে?

২। আমি আছি সুখে, হাস্যমুখে, দুঃখ আমার নাই

এবার দ্বিতীয় দিন বইমেলা গিয়ে এক ব্যাগ বই হারিয়ে এসেছি। ব্যাকপ্যাক ছাড়া যাবার আক্কেল সেলামী। পরদিন সম্ভাব্য সব স্টলে খুঁজে এলাম। পাওয়া যায় নি। এই বইমেলায়ও যথারীতি ফাল্গুনী কালবৈশাখী হয়েছে । শুক্রবার বারবার মাইকে আবহাওয়া বার্তাও জানানো হয়েছিল। স্টল মালিকেরা অনেকেই আমলে নেন নি। আমার গাফিলতিতে হারিয়েছে এক ব্যাগ বই, এঁরা গাফিলতি করে নষ্ট করেছেন বস্তা বস্তা বই। পরদিন নিশ্চয় ভেজা বই গছানোর চেষ্টা চলবে। অন্তত অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা তাই বলে। আচ্ছে, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি আসে কোথা থেকে? বইমেলায় প্রায় প্রতিবছরই এটি ঘটতে দেখি। কেউ কি ভৌগোলিক কারণ ব্যখ্যা করতে পারেন? আমি জানতে আগ্রহী!

৩। ধ্রুপদের আলাপনে অকস্মাৎ ধরেছি খেউড়

রাজ্জাকুকিল জামাত নিয়ে পচা কথা বলতে না বলতেই কথার ঘায়ে মুর্চ্ছা না একেবারে পটলোত্তলন করলেন সোনালী কাবিনের সাবেক কবি। কবির ভক্তবৃন্দের কান্নাকাটি ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি। তাঁরা (মুরিদ) দাবী করছেন আল মাহমুদ ভুল বুঝে সত্যের পথে ফিরে এসেছেন। সেক্ষেত্রে ‘প্রকৃত’ কবিভক্তদের উচিৎ যৌবনে কবির লেখা কবিতাগুলো ঝাড়েগুষ্টিতে পুড়িয়ে ফেলা। নিদেনপক্ষে সেগূলোর কৃতিত্ব অস্বীকার করা। ঘুমঘোরে বখতিয়ারের ঘোড়ার আগমন প্রত্যাশী কবি নিশ্চয় ‘ফসলের সুষম বন্টণ’ চাওয়ার মতন নাফরমানী করতে পারেন না, তাই না? আর, বখতিয়ারি ভক্তরা আজীবন শহীদ মিনারকে শির্কি-মুশরিকি-কুফরি ইত্যাদি জ্বালাময়ী বিশেষণে ভূষিত করে এসেছেন। কবিকে সেই পাপ-পংকিল স্থানে নিয়ে তাঁর হুরের ভাগা কমিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা ভক্তরা কেন করেছিলেন? এতে কি ভক্তদের ভাগের হুর দুটো-চারটে বেড়ে যেত? তাঁদের ধর্ম বুঝি হুরের অসম বণ্টন? আল মাহমুদ হলেন শ্রোয়েডিঙ্গারের বিটকেলে বেড়ালের মতন উদ্ভট এক চরিত্র। মোটাদাগে তাঁর জীবনে অন্তত চারটা ধাপ খুঁজে পাই।
১। সোনালী কাবিন ইত্যাদি লেখার পূর্বকাল
২। গণকন্ঠ সম্পাদনার বিপ্লবীকাল
৩। পল্লীবন্ধুর গৌস্ট-রাইটার হিসেবে পতন কাল
৪। জামায়াতের গেলমান হিসেবে পচনকাল
উদ্ভট হলেও সত্য এই চারটি আলাদা সত্ত্বার মিশ্রণই আল মাহমুদ। আচ্ছা,টিকে থাকলে ইতিহাসে ঠিক কোণ আল মাহমুদ টিকে যাবেন? ১, ২, ৩ নাকি ৪ নং আল মাহমুদ? জেকে রাওলিং এর কল্পনায় ভলদেমোর্ট স্বীয় আত্মাকে ভেঙ্গেছিল সাত টুকরোয়। আমাদের হি-হু-মাস্ট-নট-বি-নেমড তাঁর আত্মাকে ভেঙ্গেছেন অন্তত চার টুকরোয়। কে জানে, কোথায় কোণ প্রাচীন প্রত্নসামগ্রীতে হোরক্রাক্স হয়ে লুকিয়ে রয়েছে আরো তিন টুকরো আল মাহমুদ? থাকতেই পারে, তাই না? আরো মোটা দাগে যদি দ্বিমিক বাছাই করতে যাই, সেক্ষেত্রে আল মাহমুদ দুইজন।
১। সোনালি কাবিনের কবি (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ কবি হোক আর যাই হোক, পরবর্তীতে কিন্তু জামাতী গেলমান)
২। একমাত্র হালাল কবি (সংবিধিবদ্ধ দায়মুক্তিঃ যদিও এককালে সমবন্টন কিংবা জেনা-ব্যভিচারের মতন নাজায়েজ-নাফরমানি ব্যপার নিয়ে কবিতা লিখেছেন, তবুও তো তিনি একমাত্র প্রধান কবি। তাছাড়া তিনি তওবা করে বখতিয়ারকে ডাকাডাকি করায় তাঁর সব পাপ কাটা গেছে)
যদি, কিন্তু, তবে ছাড়া আল মাহমুদকে বর্ণনা করা এক অসম্ভব ব্যপার। এবং সেটি যেকোন দৃষ্টিকোণ থেকেই। এই ডাক্তার জেকিল আর জনাব হাইডের মল্লযুদ্ধে কে জয়ী হবেন? সময়ই কি এর জবাব দেবে? সময় কি চলতে পারে পুরোপুরি নিজের মতন? নাকি সংখ্যাগরিষ্ঠের চাওয়াই সবার অলক্ষ্যে নির্দেশ করে ঘড়ির কাঁটা?

৪। বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় নি

এই বইমেলায় উত্তমার্ধ যথারীতি তাঁর প্রিয় জঁরা আত্মজীবনী কিনে ভরে ফেলেছেন জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার, আর আমি কিনেছি প্রচুর বিজ্ঞানসাহত্য। ফাকেফাকে সংগ্রহে এসেছে সচলদের বইগুলো। রাগিব হাসান, হাসান মোরশেদ, সুহান রিজওয়ান, পরিবর্তনশীল এই চতুষ্টয়ের বই সংগ্রহ করেছি। আরো কোনও পরামর্শ থাকলে জানান। বিশেষত, হাসান মোরশেদের বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। এবারের মেলায় যে বইটি সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে, সেটি এক তরুণ লেখকের প্রথম প্রকাশনা। অতনু চক্রবর্তী লিখেছেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’ শিরোনামে চমৎকার একটি বই। বইটির উপ শিরোনাম ‘বিস্মৃতির মেঘে ঢেকে যাওয়া বাঙালি বিজ্ঞানী, আর ভূমিকা লিখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ভাষা অত্যন্ত ঝরঝরে, বিষয়বস্তু তার চেয়েও চমৎকার। সূচীপত্র দেখে লজ্জিত হয়েছি, উল্লিখিত ১১ জনের মাঝে মাত্র ৩ জনের নাম জানি। অর্থাৎ, ৩০%এরও কম, সুকুমারের ভাষায় “হয়নি হয়নি, ফেল”! বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমার কাছে এখন লেখকের স্বহস্তে সাক্ষরিত একখানা বই আছে। বইটি পাবেন ঐতিহ্য প্রকাশনীতে। মোরশেদ ভাই এবং সুহান ভাইয়ের বইও এখানেই। গত হপ্তায় বিশেষভাবে গিয়েছিলাম ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’ সংগ্রহ করতে। বই নাকি শেষ? এনারা কি ৫০ কপি করে বই ছাপান আর শেষ করেন? ভাল বুদ্ধি কিন্তু। কোন এক স্টলে কে যেন সূনীলের লেখা রাত ভর বৃষ্টি খুঁজছিলেন বিকট স্বরে। ইনি নিশ্চয় সাজিদ কিনতে এসে ব্যর্থ মনোরথে ফেরার পথে এই কাজ করেছিলেন!

৫। আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর

এই লেখা যখন লিখি, তখন একুশের মথ্যরাত্রিতে প্রভাতফেরির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আচ্ছা, এটি বিলিতি নিয়মে রাত বারোটা এক মিনিটে শুরু হল কবে থেকে? অগ্রজদের স্মৃতিচারণ এবং শিশুকালের অতি ঝাপসা (কিংবা আরোপিত) স্মৃতিতে এটি সকালে বা ভোরে চর্চিত বলেই জানা ছিল। ঘড়ির কাঁটা কবে এগিয়ে এসেছে? কেন এসেছে? কি প্রক্রিয়ায় এসেছে? জানতে আগ্রহী। হিমু ভাইয়ের একটা লেখায় জেনেছিলাম, ইউভাল নোয়া হারারির প্রভুখন্ড ‘স্যাপিয়েন্স’ আসলে তাঁর মাতৃভাষা হিব্রুতে লেখা। আমি ইংরেজিতে পড়েছি, ঘুনাক্ষরেও ভাবি নি যে সেটি আদতে অনুবাদ। আহা, বাংলা একটা মৌলিক বই নিয়ে কবে বিশ্বে এমন কাড়াকাড়ি হবে? নাকি প্রচুর ব্যবহারকারীর আপাত গর্ব (যেটি কার্যক্ষেত্রে নিস্ফলা) অর্থাৎ কেবল সংখ্যার আস্ফালন দেখেই স্বলেহন করতে হবে আমৃত্যু? কে জানে? কেউ জানে?


মন্তব্য

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

বৃষ্টিতে বই ভেজা নিয়ে প্রকাশকরা একাডেমিকে দুষছেন। তবে প্রতিবারই যদি এক ঘটনা ঘটে, তবে তারাই বা কেন নিজেদের থেকে কিছু ব্যবস্থা নিয়ে রাখেন না, সেটা বুঝি না.

আপনার হারানো ব্যাগের জন্যে সমবেদনা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এবারে আগেই জানানো হয়েছিল। এরপরে নিজের গাফিলতি ঢাকতে চাওয়া ছাড়া একাডেমিকে দুষবার কারণ দেখছি না। বাংলা একাডেমির কার্যকলাপ নিয়ে ১০১ টা নায্য অভিযোগেরই ক্ষেত্র আছে। কিন্তু এই উধোর পিন্ডি একাডেমির ঘাড়ে চাপানো অনায্য।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অবনীল এর ছবি

অভিজিত রায়ের মৃত্যুর সাথে সাথে মনে হয় বইমেলার সাথে যে ভালো লাগার একটা সম্পর্ক ছিলো আমার সেটারো মৃত্যু ঘটেছে। ফেব্রুয়ারী আসলে সেই মজাটা আর পাই না।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ্যাঁ, আমাদের এই অনুভূতিগুলো বোধকরি অভিন্ন।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

ঠিক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনার উল্লেখিত চারটি পর্ব ছাড়াও আরো দুইটি পর্ব কিন্তু ছিল- ১। বঙ্গবন্ধুর কাছে কান্নাকাটি করে আর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মায়েরে বাপ বলে শিল্পকলা একাডেমির চাকুরিটা বাগিয়ে নেয়া এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উবুদ্ধ হয়ে বাকশালে যোগদান করা। ২। পট পরিবর্তন হইবামাত্র প্রেসিডেন্ট জিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত হয় জিসাস গঠন করে তার প্রেসিডেন্টের পদটি বাগিয়ে নেয়া।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আল মাহমুদ বাকশালে? আপনি নিশ্চিত? উৎস জানাতে পারেন কি? ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এই সচলেই নজরুল ভাইয়ের একটা অতি গুরুত্বপূর্ন ব্লগ আছে- "আল মাহমুদনামা", সেখানেই বয়ান করা আছে মহান কবির এই অবিস্মরণীয় কীর্তি। ব্লগটিতে আপনারও পদচারনা ছিল, এত সহজে ভুলে গেলেন কেমনে?

রাজু আলাউদ্দিন কবি নির্মলেন্দু গুণের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, যা বিডিনিউজে প্রকাশিত হয়েছিল। আল মাহমুদের এককালের ঘনিষ্ঠ কলিগ নির্মলেন্দু গুণ সেখানে স্পষ্ট করেই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আল মাহমুদ তখনও ইন্তেকাল ফরমাইয়াছিলেন না এবং এ সংক্রান্ত কোন প্রতিবাদের কথাও কেহ কোথাও শুনিতে পাইয়াছে বলিয়া জানা যায় নাই।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আরে তাই তো! বাকশালের লিস্টিতে তার নাম দেখেছি বলে মনে পড়ে না, তাই বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আবার ঘেটে দেখতে হবে!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

গগন শিরীষ এর ছবি

রাত ভরে বৃষ্টি না বুদ্ধদেব বসুর লেখা?

তিথীডোর এর ছবি

আমি বা আপনি তো জানি আসলে কার লেখা, ঐ পাঠক জানতেন না আর কী। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

১| সবাই ফিরবে না, ফেরে না। যাঁরা ফিরতে পারেন তাঁরাও যখন আড়ালে থাকেন - সে বড় কঠিন সময়।
২| এক ব্যাগ বই হারিয়ে আসা - প্রবল বেদনা। কয়েকবছর আগে দেশ থেক আনবার সময় এক স্যুটকেস ভর্তি বই শিকাগো বিমানবন্দরে নেই হয়ে গেল। সে ক্ষতি আর পূরণ হয়নি।
৩| হিমুর রেস্তোরাঁ-র প্রস্তাব-টা অসধারণ। তবে সম্ভবতঃ তুমি ঠিক-ই বলেছ - "সংখ্যাগরিষ্ঠের চাওয়াই সবার অলক্ষ্যে নির্দেশ করে ঘড়ির কাঁটা"
৪| অতনু চক্রবর্তী-র ‘মেঘে ঢাকা তারা’ শিরোনামে বই-টির একটি বিস্তারিত পাঠ-প্রতিক্রিয়া দিবা নাকি?
৫| কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে এই সচলায়তনেই কে যেন দুর্দান্ত লেখা লিখতেন এক সময়। সে ছিল এক দিন!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। মন খারাপ
২। মন খারাপ
৩। মন খারাপ
৪। এই বইমেলার বইগুলোর মধ্যে এটি নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। হাসি
৫। এখন পেছনের কথা ভুলে এগিয়ে যাওয়ার সময়! লইজ্জা লাগে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনরণ্য এর ছবি

আমার কাছে খুব অশ্লীল লাগে এই বইমেলা।নির্লজ্জ এখনক হতে পারিনি বলেই কার্জনে থেকেও যাইনা। এসব কথা মানুষকে বললেও ঠিক বুঝে ওঠেনা। ভালো থেকো ভাও।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বাংলা বিজ্ঞানের বইয়ের একটা তালিকা থাকলে খুব ভালো হতো!
লেখা ভালো লেগেছে। আপনার বিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলো বেশি ভালো লাগে। আপনার প্রথমদিককার কয়েকটি লেখা খুব পছন্দের ছিলো। এরপর হয়তো আপনি লেখেননি, অথবা আমি পড়িনি!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাংলা বিজ্ঞান বইয়ের তালিকা নামে আস্ত একখানা বই আছে, সম্ভবত বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত। একটু পুরনো, হালনাগাদ হওয়া দরিকার। আমার কাছে এক কপি ছিল, তাক খুঁজে দেখি, দাঁড়ান!

আমিই লিখিনি! সময় পাই না, আসলেই। বিজ্ঞানলেখা হুটহাট করে লিখতে ইচ্ছে করে না। প্রচুর সময় আর মনোসংযোগ লাগে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সোহেল ইমাম এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।