গন্তব্য দিকশূন্যপুর?

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: রবি, ১৮/১২/২০১৬ - ১১:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এতক্ষণে পৌঁছে গেছো অনেক দূর..গাছের ছায়া, দীঘির কালো, পুকুরপাড়
এতক্ষণে তোমার বিষাদ-মন ছোপালো, সন্ধ্যা নামার একটু আগের অন্ধকার।
ততক্ষণে আমিও উড়ে ফিরছি ঘর...রোদ-বিকেলে নীল-ডোবানো মেঘপথে,
ডানার আওয়াজ ঘুমের মতো ক্লান্তিহীন...

_________________________________________

পুরো এক বছর পর লিখছি। হাসি

৩৬৫ দিনের বিরতিতে পৃথিবীতে ঘটে গেছে বহুকিছু। আমার দেশ বদলেছে, অন্যদের-ও। ট্রাম্পচাচা এসেছেন শ্যাম চাচার দেশের গদিতে, আমিও ছেড়ে এসেছি সে দেশ।
ফিরেছি বাংলাদেশে।
প্রবাস নিয়ে, দেশ ত্যাগের আগে ও পরে বহু বিচিত্র প্রশ্ন ও অভিজ্ঞতার অর্জন হয়েছে। এ সুবাদে বিশাল সংখ্যক মানুষের সঙ্গে নৈকট্য ঘুচেছে অনিচ্ছাকৃত নির্বুদ্ধিতায়, কখনো বা ইচ্ছাকৃত ঔদাসিন্যে। কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা হয়ে এসেছে আর্শীবাদ, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি।
কখনো ভুগেছি বিচ্ছেদঘটিত বিষণ্ণতায়।

নৈর্ব্যক্তিকভাবে চিন্তা করলে, প্রতিটা সম্পর্কই স্থাপিত হওয়া মাত্রই এ সম্পর্কের জন্য কষ্ট পাওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়। সম্পর্কগুলি অনেকটা টাইম বম্বের মতো। একটা সম্পর্কের শুরু মানেই যেন কেউ টাইমার অন করে দিলো..যতো আনন্দই আসুক, যতো প্রাপ্তিই আসুক, এ সম্পর্কের থেকে নির্ধারিত কষ্টটুকু নিশ্চিতভাবেই পেতে হবে!

সচল 'সবজান্তা' অসাধারণ একটা লেখায় অনেক আগে জানিয়েছিলেন তা। জানা থাকলেও নূতন করে জেনে, মন খারাপ করা তাতে আটকানো যায় না।
মৃত্যু অমোঘ জেনেও প্রিয়জনবিয়োগে ডুকরে কেঁদে উঠি না আমরা? অনেকটা সেরকম-ই আর কী।

সাড়ে আট হাজার মাইল দূরে ৩৬৫ +৩৬৫= ৭৩০ দিন কাটানোর উদ্দেশ্য, বিধেয় এবং পরবর্তী কর্তব্য কী হবে, সেটা নিয়ে ভাবতে বসা উচিত ছিল যাত্রার শুরুতেই। অজ্ঞতা এবং অলসতাজনিত কারণে সেটা সময়মতো করিনি বলে গিয়ে ভুগতে হয়েছে বিস্তর।
এবং সে একই কারণে, ফিরেও, পড়তে হয়েছে নানা ফ্যাসাদে।
অসংখ্যবার মেজাজ সামলাতে হয়েছে, ওখানে চাকরির চেষ্টা করেন নি?
বিয়ে করে থেকে গেলেই পারতে!
আবার যাবার ইচ্ছে আছে?
পিএইচডি করছো না তাহলে?--এসব প্রশ্ন শুনে।

প্রশ্নকারীরা সবাই যে নির্মম, সবগুলো প্রশ্ন-ই যে অনাকাঙ্ক্ষিত, তা নয়। কিন্তু নিজের কাছেই নিজে যখন প্রশ্নবিদ্ধ, তখন সেই আত্মদ্বন্দের প্রতিধ্বনি প্রশমনে সাহায্য করে না এতোটুকুও।
বরং ক্ষত বাড়ায়।

জীবনে কী চাই তা জানি না বলে বারবার হতাশাবাদী হাবড়হাটি লিখি সচলে, ফেসবুকে, গুডরিডসে।
জানি কী চাই না। চাই না পরনির্ভরশীলতা, স্বদেশে, স্বজন-সকাশে।
চাই না প্রবাসে নিঃসঙ্গ একাকী জীবন, স্বজনবিয়োগে বিনিদ্র রাত্রি। আমি তো কেবল আমি নই, দুটো লাগেজে, একটা বোর্ডিং কার্ডে, স্টুডেন্ট ভিসায় আমার ওপড়ানো শেকড় অন্যত্র গজাবে কী করে?
জানি না আমার শৈশব, আমার কৈশোর, আমার নিরাশ তারুণ্য ছেড়ে বাকি জীবনের জন্য ভিন দেশে পড়ে থাকার পুনঃ তোড়জোড় শুরু করলেই কি ফিরবে সুখ, পাবো স্থিতি, নিশ্চিত নিদ্রা, দীর্ঘদিন ধরে যে নিয়মিত সঙ্গদানে অনিচ্ছুক?

চাকরিতে ঢোকার পর থেকে অবশ্য এসব 'হাই' ভাবনা চিন্তার সময় জোটে না খুব একটা।
বেকার ছিলাম বেশ লম্বা সময়-ই, যতোটা দূরতম দুরাশাতেও ছিলো না। ব্যাটে-বলে মিলছিলো না, অগত্যা মনোবেদনা বাড়ছিলো।
বছর ঘোরে নি অন্তত, শেষমেশ সম্মানজনক হালাল রোজগারের দরজা খুলেছে, এটুকুই সান্ত্বনা।

এখন সক্কালে উঠি, যেটা আজীবনের অভ্যাস। এরপর ছুটি, গন্তব্যে।
সপ্তায় পাঁচ দিন সাড়ে আট ঘন্টার গোয়ালঘর। নিতান্ত মন্দ জায়গা না অবশ্য, টেকাটুকায় মনসই মাপে না হলেও অতীব উইম্যান ফ্রেন্ডলি। বঙ্গদেশে, বহুস্থানে যেটা দূলর্ভ। সহকর্মীরা এখনো কেউ গায়েপড়া ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করেনি বাবা কী করেন, মায়ের অফিসিয়াল ডেজিগনেশন কী এখন, বিয়ে করছি না/হচ্ছে না কেন? উল্টো পাঁচবছর পর নিজেকে ফুলটাইমার হিসেবে একাডেমিয়াতে দেখতে চাই বলায় বুড়ো ডিরেক্টর খুশি হয়ে গেছেন।
বলার জন্য বলা অবশ্য।
এক সান্ধ্য দাওয়াতে জনৈক 'একদা' সচলাকে যেমন বলেছি সুযোগমতো আসব একদিন তাঁর বাসায়। মনে নিশ্চিত জানি, কখনোই যাব না..

বোরিং অফিসের মধ্যাহ্নে পাকেচক্রে প্রোজেক্টের 'শিক্ষা মন্ত্রী' পদের প্রার্থীদের কাগজপত্রে চোখ বুলানোর সুযোগ আসে।
জাতীয়তা, পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং সবকিছু মিলিয়ে উচ্চতম পছন্দসই যিনি, দুখানা মাস্টার্স, একখানা খাসা পিএইচডি, একগাদা পাবলিকেশনওয়ালা লেডিটি জাতিতে নেপালি। বয়স মাত্র ৩৫ ছুঁইছুঁই। কত কিছু ঘুরে, করে ফেলেছেন এর মধ্যেই!
আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, আফা, আপনি কি সুখী?
জাগতিক সাফল্য কি সুখ এনে দেয়?

সুখে-অসুখে তবু দিন চলে যাচ্ছে। মাগরিব ছুঁই ছুঁই বেলায় বের হই, কোলাহলময় সান্ধ্যনগরীতে বাড়ি ফেরার দলে গা ভাসিয়ে পা বাড়াই। আটপৌরে জীবনের চার দেয়ালের ঘরে ফেরার দৌড়ে তখন এরকম আরো হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ লোক।

কিন্তু আসলে কোথায় যেতে চায় মানুষ? কুড়িতে বুড়ির ট্যাবু কাটলো দেশে, এখনকার ডেডলাইন কতো, বত্রিশ? এখনকার বিষণ্ণতার নিদান কী, আরো নামী সংস্থায় যোগদানপত্র, দশাসই অংকের বেতন, যেমন সমবয়সী অনেকে পায়?
যেমন, নিশ্চিন্ত আবাসন, আচ্ছাদন, অলংকার ইত্যাদি, যা আছে, উত্তরাধিকার বা উপহারসুত্রে যেসব প্রাপ্তি আদৌ কোনদিন উৎফুল্ল করেনি?
এই কী জীবন কালীদা, দিন গড়িয়ে মাস, মাসের পর বছর, একেই টিকিয়ে রাখার জন্য এতো উচ্চাশা, আয়োজন, অসুস্থতায় আত্মসম্মান খুইয়ে সাহায্যকামনায় এমনকি দোরে দোরে হাত পাতা.. দু-দশ বছর এক্সটেনশন পেতে?

জীবন, এতোটাই মূল্যবান যদি, অভাজন আমাকে কেন সে ক্লান্ত করে এতোটা, প্রাক-তিরিশেই?

'আমাকে পৌঁছুতে হবে দিনাবসানে নীলাঞ্জন
যমুনা কিনারে- রাখালজন্মে কৃষ্ণমথুরা বৃন্দাবন কই আমার?
ধুলোর সখি পাহাড়ে এসে ভুলে যায় সব
স্মৃতিচিহ্ন লোপাট ডোবাজলে, নীলাভ্র মেঘে মেঘে জাগে বটতলা, বালুচরে শীতল জাজিম,
রৌদ্র-শরে পোড়ে শৈশব, স্মৃতি, নাড়ার দহনের আশেপাশে যুগলবন্দি মাটি ও আকাশ-
দশ বছর পেরুতে না পেরুতেই নদীর এপার
ওপারে সূর্যাস্তে, ঘূর্ণমায়ায় জেগে থাকি রাত্রিদিন জলের কিনারে
যে আসে সে আর ফেরে না কখনো...'

The wind-up bird & her story..


মন্তব্য

জিপসি এর ছবি

এতদিন পর এসেই দিলেন এক মন খারাপ করা পোস্ট; সচলের সবাই যদি বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকে তাহলে কিভাবে চলবে?
পোস্টের শিরোনামটি আমার ভাল লেগেছে, মাঝে মাঝে দিকশূন্যপুর না গেলে জীবনের একঘেয়ে গোলকধাঁধাঁ থেকে বেরুতে পারিনা।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

তিথীডোর এর ছবি

আজকের দিনটা খুব,খুব বাজেভাবে গেছে।
ফেরার সময় গাড়িতে এক সদা হাসিখুশি কলিগ ধরেবেঁধে সবাইকে মাছের ঝোল চাখালেন। শুনে দেখুন। হাসি

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সোহেল ইমাম এর ছবি

অনেক দিন পর লিখলেন। আবার নিয়মিত লিখুন, বিষন্নতা হোক চাই উচ্ছাস কলম খুলে লিখুন। আপনার শাসনে লেখায় বানান নিয়ে তটস্থ হয়ে উঠি আবার হাসি

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

তিথীডোর এর ছবি

বানান নাজি ধংস হউক!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

কুড়িতে বুড়ির ট্যাবু কাটলো দেশে, এখনকার ডেডলাইন কতো, বত্রিশ?

- আজ্ঞে না। সরকারিভাবে এটাকে তেরো/চৌদ্দ করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় ২০২১ সালের মধ্যে এটা পাঁচ/ছয়ে নামিয়ে আনা যাবে।

মানুষ বেশিরভাগ সময়ে তার হার্ভেস্ট সিজনটাকে চিনতে পারে না, প্রাপ্তিটাকেও বুঝতে পারে না। ভালো লেখাপড়া করলাম > ভালো ফলাফল করলাম > ভালো চাকুরি করলাম > ভালো রোজগার করলাম > ভালো সংসার করলাম > ভালো বাচ্চাকাচ্চা পেলাম > বাচ্চাদের ভালোভাবে মানুষ (!) করলাম > বাচ্চারা আমাকে সুখে রেখেছে ......... এই বহুল আখাঙ্খিত, বহুল চর্চিত পথের মধ্যে হার্ভেস্ট সিজন কোনটা? আর প্রাপ্তিটাই বা কী?

ছাত্রজীবনে একদিন দুম্‌ করে একজনের সাথে তার গ্রামে চলে গিয়েছিলাম আষাঢ় মাসে। বসতবাড়ি থেকে একটু দূরে একটু উঁচু একটা ভিটিতে খড় জমিয়ে রাখা ছিল। গত কয়েক দিনে বৃষ্টি হয়নি। আষাঢ় হলেও আকাশে মেঘ নেই। সারা রাত খড়ের গাদায় শুয়ে মেঘমুক্ত আকাশভরা তারার বাগান দেখেছিলাম। সেদিন বুঝিনি ঐটা আমার ফসল কাটার দিন ছিল। ঐ তারাভরা আকাশটা আমার গোলাভরা ফসল ছিল।

তিথীডোর এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা খুব পছন্দ হয়েছে! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ধুনুচি মাথায় সেই ছবিটা! দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

— 'রে অধম কাপুরুষ পাষণ্ড বর্বর-' রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

যাব্বাবা, সবাই বিষণ্ণ-টিষণ্ণ বলে নিন্দেমন্দ করছে বলে একটু আনন্দের উপলক্ষ খুঁজে বের করলাম, তা তো সইবে না। ভুলেও এভাবে গালাগাল করবেন না যেন! শেষে সত্যানন্দের শাপে গুলিস্তান মোড়ে বসে 'কেবল কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে' ৩০০ ট্যাকার এলইডি বাত্তি ১০০ ট্যাকায় বেইচা কূল পাবেন না কইলাম! লাইনে আসুন! চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

বিষণ্ণতা কাটুক, অথচ বিষণ্ণতা নিয়ে এইরকম লেখা চলুক এমন ইচ্ছা জানানোর কোন মানে হয় না, তাই জানালামনা।
মুর্শেদের কবিতা-টুকরো বসানোটা চমৎকার লেগেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তিথীডোর এর ছবি

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জিজ্ঞাসু এর ছবি

আমার এক বন্ধু খুবই ক্যারিয়ার সচেতন। ত্রিশ বছরেই সে সম্পূর্ণ সার্টিফাইড সিএ বনে গেল। তারপর মধ্যপ্রাচ্যে মোটা বেতনের চাকুরিতে যোগদান। কিন্তু তার মন কিছুতেই সেখানে স্থিত হতে পারছিল না। কথাবার্তায় একদিন আমি বলেছিলাম যেখানে যেভাবে থেকে তোর ভাল লাগবে, মনে প্রশান্তি আসবে সেখানে থাকাই ভাল। কয়েক মাসের মধ্যেই সে সিদ্ধান্ত বদলে মধ্যপ্রাচ্যের পাট চুকিয়ে দেশে ফেরে। ভাল আছে। সবচেয়ে বড় কথা মানসিক প্রশান্তি আছে। আসলে জীবনের প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি, ব্যর্থতা-সাফল্য একেক জনের কাছে একেকরকম। আমার নিজের কাছে এখন মনে হয় - আমি যদি দেশে গিয়ে নিজের জমিতে নিজের চাল-ডাল, শাক-সব্জি এবং পুকুরে মাছ চাষ করে জীবনধারণ করতে পারতাম সেটাই হত আমার নিকট সবচেয়ে তৃপ্তিকর ও আত্মতুষ্টির বিষয়। একটা সময় আবার ছিল যখন - বড় ডিগ্রি, পিএইচডি, জমকালো চাকরি ইত্যাদি বেশ টানত। এখন আর সেসব আমাকে আকর্ষণ করে না। জীবন বড়ই বিচিত্র।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

তিথীডোর এর ছবি

এক কলিগ ফিরলেন গতকাল ভুটান থেকে। সুভেনিয়র হিসাবে আনা ম্যাগনেটের দিকে তাকিয়ে চকলেট চিবুতে চিবুতে আপাতত ভাবছি পাহাড়-পর্বত কোথাও গিয়ে লাফ দেবো কিনা।
জীবনের ভার অসহনীয় লাগে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, অনেক দেরিতে অবশ্য! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।