বিষাদনগর ইষ্টিশনে......

নিজের বড় হওয়া শহরে, এখন আবার এটা নগরী হয়ে গেছে, গ্রাম জীবনে অভ্যস্থ না, তাই গ্রামে গিয়ে ঈদ করার আনন্দও পাওয়া হযে উঠেনি। ঈদের টুকটাক আনন্দময় মূহুর্তের কথা পড়ে ভালো লেগেছে, তবে লেখাটাকে একটু ছোট-ই মনে হলো।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

চমৎকার। আপনার ঈদ প্রত্যেক বছর এমনই কাটুক।

দেশ ছাড়ার আগে প্রায় সবাই মিলে গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া হয়েছিল। ওই কয়টা দিন যে কি দারুণ কেটেছিল! আপনার লেখা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল।

লেখা ভাল লেগেছে।

সজল

দারুন ..... তবে সবচেয়ে দারুন....
"নানাভাইকে বললাম, একটা ছেলে খুঁজে এ সুযোগে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিন.. এক ঢিলে দুই পাখি খাইছে বুড়ো বলে, যা ভাগ..
দুনিয়াতে ভাল কথার দাম নেই আসলে!" :D

আপনি আসলেই ভাগ্যবতী। এই রকম আত্মীয়-পরিজন সমেত, গ্রাম্য আবহে ঈদ কয়জনের ভাগ্যে জোটে বলেন। বলতে পারেন আপনার লেখা পড়তে পড়তে একদিকে যেমন হিংসায় হলুদ হয়ে উঠছিলাম, তেমনি করে মাঝে মাঝেই বেদনায় বেগুনী রঙও ধারন করছিলাম।

লেখা ভাল হয়েছে।

অনন্ত আত্মা

লেখাটি চমৎকার। দলবেঁধে গ্রামে যাইনা দুদশকেরও বেশী। সেই স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম

ঢাকায় ঈদ কোনমতে পার করে পরের দিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঈদের লেজটা পাকড়েছি!

মামা খালা কাজিন আর বন্ধু নিয়ে দারুন দুদিন পার করে আজ সকালে উঠেছিই ফেরার চিন্তা মাথায় নিয়ে...

আজ 'বিষাদ এক্সপ্রেস' ধরার দিন!

ভাল লেখার মন খারাপ করে দেয়ার এ অসাধারণ গুণটাকে এজন্যই মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে....;-(
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

চমৎকার লাগল। একসাথে ঈদ করার মজাই আলাদা।

-------------------------------------
হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন

প্রাঞ্জল বর্ণনা ভালো লাগলো !

রোমেল চৌধুরী

এরকম একটা ঈদ কবে যে আসবে.........

স্বপ্নদ্রোহ

'হেণী' - কী এক অদ্ভুত সৌন্দর্য থাকে এ নামগুলোতে...
এরকম কত কত নাম লুকোনো এ দেশের পথে - ঘাটে....
ঈদবাড়ি এক্সপ্রেসে ফের চড়ে বসো দস্যি মেয়ে,
কোন এক ক্লান্তিমাখা শহর-রঙা দিনান্তে....

------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য

চট্টগ্রামে এবার ঈদ করেননি তবে...

গ্রামে প্রতি ঈদেই নিয়ম করেই যাই, কিন্তু থাকাটা আর হয়ে ওঠেনা এখন, সবাই বেলা না হতেই পাততাড়ি গুটায়...শহুরে ইট কাঠের স্তুপে ফের আস্তানা গাড়ে।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

ফাঁকিবাজিরও একটা সীমা থাকা লাগে!!!

এভাবে ফুড়ুৎ করে পড়তে না পড়তেই লেখা শেষ???

আহা, এবার চট্টগ্রামে সচল আড্ডাটা যা জম্পেশ হলো, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ইলিয়ট, জয়েস, কাফকা, বিনয়-বাদল-দীনেশ থেকে অনেকেই এলেন। এমনকি, জাকির নায়েক পজ্জন্ত :~
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

সুন্দর...

আসলেই...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কবিতাটা সুন্দর, লেখা অনেক সুখপাঠ্য হয়েছে!

সবগুলো ঈদই গ্রামে করেছিলাম। তারপর ডাইরেক্ট দেশের বাইরে। দেশে কখনো শহরে ঈদের স্মৃতি নেই।
এলাকার সব বাড়িগুলোই টিলার উপরে। টিলা বাড়িগুলোতে উঠতে নামতে পা ব্যাথা হতো। তারপরও মজা ছিলো অনেক। নামায পড়ে দলবেধে যেখানে খুশী ঘুরতে যাওয়া, মারবেল খেলা....।এখন ঈদের নামায পড়ে সময় কাটানোর কোন পথ খুজে পাই না। ঈদের দিন অফিস করবো ভাবলে ভালো লাগে না। তাই ফাও ছুটি নেই। মাঝে মাঝে লং ড্রাইভ....

এখন আর গ্রামে ঈদ করা হয় না
দেশ ও জাতির ভবিষ্যত খারাপ, ছুটিতেও মানুষ বই নেয়

কি চমৎকার! হৃদয় ছুঁয়ে গেল লেখাটি।

এবারের ঈদও স্বজনদের ছাড়াই করতে হল বলে হয়ত বেশী আক্রান্ত হলাম লেখাটিতে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

তিথী, আজকাল তোমার লেখায় যে বাড়তি পাওয়াটুকু থাকে তা হলো চমৎকার কিছু কবিতার লাইন। খুব মজা করে ঈদ করেছো বুঝতে পারছি । সামনেই পরীক্ষা নাকি? পরীক্ষার জন্য শুভকামনা।

চমৎকার বর্ণনা। পড়ে ভালো লাগলো এবং ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে গেল।
সেইসব দিনগুলোকে খুব মিস করি।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

কিপটেমির জন্য তীব্র দিক্কার!
গ্রামে যাই না কতদিন! খুব যে তারিয়ে তারিয়ে গ্রাম চেখে দেখা হয়েছে তোমার বেশ বোঝা যাচ্ছে।

তোর লেখার ভীষন ভক্ত আমি---সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই।
যেকোন আটপৌড়ে লেখাও তোর হাতের স্পর্শে আকাশে ডানা মেলে।

ঈর্ষনীয় এক লেখার ক্ষমতা নিয়ে এসেছিস তুই!

এতদিন তোর লেখাটাকে ঈর্ষা করে এসেছি, আজ থেকে তোর জীবনটাকেও ঈর্ষা করা শুরু করলাম। এরকম পরিবারের সকলে মিলে গ্রামে ঈদ করে আসতে পারে ক'জন বল? আমার জীবনটা তোর সাথে বদলে নিতে পারলে বেশ হতো---

ভাল থাকিস,
আরো ভাল লিখিস--

কতদিন পর যে আবার আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে পারবো!!!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

বৈদেশের গ্রামীণ ঈদখান যদি একবার দেখতেন!.....এমন দৈন্যদশার ঈদ..পাঁচনগেলা যাকে বলে। তিতকুটেভাবটা একদম উধাও হলো চমৎকার জমাটি ঈদ আনন্দের কথা জেনে। এমন আনন্দেই থাকা হোক জীবনভর। কেলেংকারিয়াস শৈশব নিয়ে জলদি লেখা চাই। হিংসের সাথে বোনাস মুগ্ধতা রেখে গেলাম। শুভেচ্ছা।

হৈ মিয়া, আপ্নের কিসের এত বিষাদ আর কষ্ট? হুদাই দু:খবিলাস!

লেখা ভালৈসে।

আহা কী দুঃখের কাহিনি! কীবোর্ডের কটি ফাইট্যা দুঃখ বাইর হইতেছে, মাধবকুণ্ডের ঝর্ণার মতোন।

আবারো,বেশ ক'দিন পর।আবারো,বেশ অসাধারন।
আরেকটু ঘন ঘন লিখতে সমস্যা টা কী?!

ঈদের পর দিন-ই সবাই মিলে ব্রাক্ষণবাড়িয়া গিয়ে সন্ধ্যার পরপর মামা-খালা-নানু-আম্মু আর সব কাজিন দের সাথে অসাধারন কয়েক ঘন্টা আড্ডা।।আহ..মনে করিয়ে দিলেন।একরাশ ধনেপাতা..!

ভাল থাকুন(লিখতে থাকুন!),অনেক ভাল..সবসময়।।