Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অগল্প

ভোট

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৭/১২/২০১১ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify] মোরগ মার্কার উপর সিলটি বসানোর ঠিক আগ মুহূর্তে পরিমন বেওয়া মারাত্মক ধান্ধায় পড়ে গেল। গোলাপি রঙের কাগজে ছাপানো মেম্বারদের জন্য নির্ধারিত ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারের একেবারে নিচে বাম দিকে মোরগ মার্কা ছাপানো থাকবে, ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগে পূব পাড়ার সাবেক মেম্বার জমির শেখ খুব ভালো মতো শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে। ছাপ মারার কালি মাখানো সিলটি যেন অন্য কাগজ বাদ দিয়ে মোরগ মার্কাতেই প্রথম ছোঁয়ায়, সে


মেঘপিয়নের চিঠি

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ০২/০৫/২০১১ - ১০:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
ছেলেবেলায় ছোড়দার নেশা ছিল ডাক টিকেটে।
বড়মামা তখন বিলেতে থাকতেন। কী যেন পড়তেন সেখানে, আফিসিফিয়াস--বলতে গিয়ে আমি গুলিয়ে ফেলতাম।


অকবিতার অগল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ৩০/০১/২০১১ - ১২:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবিতা লিখতে চাইতাম, কিন্তু কবিতা হতো না। প্রথম কবিতা লিখার চেষ্টা করেছিলাম সেই ছোটবেলায়। রবাহুত স্তব্ধ নিশীথিনীর পথমুখে পতিত কোন শ্রান্ত বিকেলের ক্রান্তিলগ্নে নয়, গগণবিদারী মেঘগর্জন শেষে নেমে আসা হিমচঞ্চল বারি বিন্দুকে মাথায় নিয়ে নয়, এমনকি রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিবসে- শাশ্বত সপ্তাশ্বরথের সারথি হয়ে নয়; আসলে আমার ঠিকঠাক মনেই নেই সেই মহেন্দ্রক্ষণটা কেমন ছিল। শুধু মনে পড়ে, স্মৃতির নাজুক অভিধানটা দাবড়িয়ে কতগুলো শব্দ এনে জড়ো করলাম আঙুলের আগায়, আঙ্গুল পেরিয়ে সেগুলো পৌঁছে গেল কলমের সূক্ষ্মতর নিবে। তারপর কিছু ছন্দ, কিছু ছত্র, কিছু মাত্রা যোগ করতে লাগলাম- ঠিক কবির মত করে নয়, অনেকটা কাব্য ব্যাবসায়ীর মত করে। তবে যে জিনিসটার অভাব আমার কবিতাকে কুরে খাচ্ছিল সেটা হল ‘আবেগ’।


'অপরাজিত'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: রবি, ১৯/০৯/২০১০ - ৫:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

"অন্য কিছুই চাইনে,
এ গাঁয়ের বনঝোপ, নদী, মাঠ বাঁশবনের ছায়ায় অবোধ, উদগ্রীব, স্বপ্নময় আমার সেই যে দশ বৎসর বয়সের শৈশবটি--
তাকে আর একটিবার ফিরিয়ে দেবে দেবী?"
#অপরাজিত : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
_______________________________________________

সাতজন ছিলাম আমরা,
এক, দুই,তিন..... ছয়, সাত!


ঝিঁ ঝিঁ পোকা কিংবা তিতিরপাখির গল্প ।।

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৮/২০১০ - ৭:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

''পিছনে ফেলে আসি একটি বাড়ি---
বয়ঃপ্রাপ্ত কিছু বৃক্ষ, শুকনো ডালপালা;
কিশোর ঘুড়িগুলো, শিউলিঝরা ভোর, শ্যাওলাসবুজ জলের পুকুর...
কিংবা কোন আকাশউপুড় জলবতী মেঘের মৃদু একটানা বর্ষণ।
'বিদায়' বলা একটি মুখের কান্নাচাপা হাসি.. পিছনে ফেলে আসি।''
# রফিক আজাদ
____________________________________________

খট খট খটাং.. বাইরের দরজায় শব্দ।


শহরবন্দী মেঘ আর জলপাই সবুজ স্কুটার ..

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৬/২০১০ - ৪:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমাদের ঠিক উল্টোদিকের হলদেটে তেতলা বাড়ির ডানদিকে থাকতো মায়িশারা।

ফ্ল্যাটগুলো জুড়ে আরো অনেকেই থাকতেন বটে, তবে কেবল এই একটি পরিবারকেই আমি খেয়াল করেছি খুঁটিয়ে! ওরা মানে মায়িশা, ওর মা আর বাবা.. মেয়েটা তখন এট্টুশখানি, প্লে কিংবা কেজিতে পড়ছে বড়জোর!
আমাকেও বলা চলে সদ্য কিশোরী, সেভেনের ক্লাস করা ছেড়েছি বেকায়দায় পিছলে পড়ে পা ভেঙেছে বলে।


কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ০৮/১১/২০০৯ - ৪:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মলিনা বেগম স্বপ্ন দ্যাখে, আধখানা চাঁদ ঝুলে আছে পশ্চিম আকাশে। ক্ষীণ আলোর ধারা ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। একটু ঘোলাটে ধরনের। এই ঘোলাটে ধরন একটা ভৌতিক আবহ এনে দিয়েছে। আর এমন সময় সে কী’না খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। পায়ের নিচে ধান কাটা ক্ষেত। মলিনা বেগমকে দেখে একটি ইঁদুর পালিয়ে যায়। দূরে কোথাও একটা পেঁচা ডেকে ওঠে। মলিনা বেগম আরো ভয় পান। বুকের ধুকপুকানি বাড়ে। খোলা মাঠটা তার চেনা নয়। আবা...


শহুরে পাখি মানুষ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৬/২০০৮ - ২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেবার ঘরে ফেরার কথা ছিলো না।
কেবল গন্তব্যহীন যাত্রা – ক্রমাগত নিজেদের ছাড়িয়ে শহরের বাইরে।
সেদিন বৃষ্টি ছিলো এবং রোদ – কখনো মেঘলা আকাশ।

আমরা এসব দেখে দেখেই শহরের বাইরে যাই। মনের রোদ আর দমকা হাওয়া সঙ্গী হয় মাধবীর ঘ্রাণে। ভর দু...