Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ)

মঞ্জু সরকারের 'অন্তর্দাহ' : মুক্তিযুদ্ধের কুৎসিততম উপন্যাস

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১৮ - ১:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিদগ্ধজনের প্রশংসা এবং মলাটের উপর বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সিল দেখে এক পাঠক বইটা পড়তে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয় একাত্তরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সম্মুখভাগ থেকে। প্রধান চরিত্র মানিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টগবগে তরুণ ছাত্র। পিতা গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা। মানিক ভিড় ঠেলে বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখে উজ্জীবিত হয় কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশে গণ্ডগো


প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু কর্কট রাশির বরকত কবি (অপেঃ)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০১/০৬/২০১৮ - ৫:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন বাড়ির অদুরেই
দেখা হয়ে যায় প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু কর্কট রাশির
বরকত কবির সাথে, তবে সে
অপেশাদার।
কুশলাদি জানতে চাওয়ার আগেই সে উল্টিয়ে কলার
আমায় বলে, হেরে গেলে ভন্দু।

বিস্ময় ও গোসসায় আমি হয়ে উঠি কাতর
কিন্তু আমায় নিজের পক্ষ সমর্থনের কুন সুযুগই দেয় না নিষ্ঠুর
অপেশাদার কবিটি। বলে, পপিতা এখন আমার ফ্রেন্ড।

হয়ে যাই ভাষাহারা। নায়িকা পপিতা? অস্ফুটে শুধাই


চুকচুকি

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৫/২০১৮ - ৬:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“তোমাদের তুমি করেই বলি, নাকি?” করমর্দনের সময় টের পেয়েছি, ভদ্রলোকের কব্জিতে সেরকম জোর, কিন্তু তাঁর কণ্ঠটি বড় মোলায়েম আর সুরেলা। জমিদার বংশের লোক, আলিশান প্রাসাদের মতো বাড়ি হাঁকিয়ে থাকেন এই ধুধু পারাবারের মাঝে, হয়তো অবসরে মুগুর আর তানপুরা দুটোই কষে ভাঁজেন। গদোগদো গলায় প্রায় সায় দিয়ে ফেলছিলাম, কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী দুলালটা সব সৌজন্যের দফা রফা করে দিয়ে ফোঁস করে উঠে বললো, “ক্যান, তুমি


মতি চোরা

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১৮ - ৭:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চোরদের বুকের পাটা থাকার কোন নজির নেই। কিন্তু মতি চোরার বুকের পাটার সাইজ বলতে গেলে ইয়া বড়। সে চিঠি পাঠিয়ে চুরি করতে যায়। চিঠির নমুনা দেয়া যাক-

"জনাব,
পর সমাচার এই যে অদ্য রাত বারো ঘটিকায় আপনার আলয়ে পা ফেলিব বলিয়া সিদ্ধান্ত লইয়াছি। মূল্যবান দ্রব্যাদি এবং টাকা-পয়সা সিন্দুকে তালা দিয়া কিংবা মাটিতে পুতিয়া রাখিয়া কোন ফল হইবে না। রাত জাগিয়া পাহারা দিয়াও কোন ফায়দা হইবে না। সমস্ত কিছুই আমার নখদর্পনে এবং আমার গতিবিধি অশরীরির ন্যায়। তাই রাত জাগিয়া কষ্ট না করিয়া আমার কাজ আমাকে নির্বিঘ্নে করিতে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হইবে। সালাম লইবেন।
ইতি,
অধম মতি চোরা"


তিন কুটি পাউন্ড আমায় দিলে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২০/০৫/২০১৮ - ৯:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাজনাতি হেরি
কুথা হতে জুটায়াছে শ্যামাঙ্গিনী এক সুন্দরী
বেগানা নারী, মেগানা তার নাম।
রামাদানের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করে আজ তারা সারাটি দিন ব্যাস্ত বনবাসী বনবোর ন্যায়
উদ্দাম ধস্তাধস্তি জাবরদস্তি লিঙ্গমস্তিতে।

সারাটি দুনিয়া তাদের এই পাউন্ডের হোলিখেলা দেখিতে অজ্ঞান।
হোসনে আরা সারাটি ছুটির দিন লইল সাধের মেকবুকটির দখল
বেন্ডুইথ পুড়াইয়া দেখিল উহাদের বখাটেপনা।


ভাড়াটে

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৩/০৫/২০১৮ - ৪:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খোসা ফেলে দেয়া সেদ্ধ ডিমের মত সাদা চাঁদ ঝুলে ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের আকাশে। পূর্ণিমা বোধ হয় দিন দুয়েক আগে হয়ে গেছে। আলোয় তেমন জোর নেই। পিচিত করে রাস্তার ধারে পিক ফেলে জিবে চুন লাগায় বাতেন চেয়ারম্যান। রাতের খানা শেষে তার কিঞ্চিত হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস আছে। অন্য সময় হলে বন্দুক হাতে জয়নাল সাথে থাকত। আজ নেই। ছোট মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে গেছে জয়নাল।

বাতেন চেয়ারম্যানের মন আজ বেশ অস্থির। হোসেনকে একটা কাজে পাঠিয়েছিলেন সিংহরাগী গ্রামে। সন্ধ্যার দিকে কাজটা হয়ে যাবার কথা। তার কোন খবর নেই। বোতাম টিপে মোবাইল ফোনে সময় দেখল সে। এগারোটা বেজে তিন মিনিট। হোসেনের মোবাইল বন্ধ। অপারেশনের সময় তার ফোন বন্ধ থাকে। তারপরও বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছে বাতেন। হোসেন ধরেনি।

“চুদিরপো……" বিড়বিড় করে কি যেন একটা গালি দিল বাতেন। ঠিক বোঝা গেল না।


শব্দগল্পদ্রুম ০৭

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ০৫/০৫/২০১৮ - ৯:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
ইংরেজিতে ভোজ্য প্রাণী আর তার মাংসের নাম দু'রকম। এ খিটকেল বাংলায় নেই। গরুর মাংসকে আমরা গরুর মাংস বলি, ঝামেলা শেষ। কিন্তু ইংরেজিতে গরু হচ্ছে কাউ, কিন্তু তার মাংস বিফ। বাছুর কাফ, কিন্তু তার মাংস ভিল। ভেড়া ল্যাম্ব, কিন্তু তার মাংস মাটন। হরিণ ডিয়ার, কিন্তু তার মাংস ভেনিসন। শূকর হগ/পিগ/বোর/সোয়াইন, কিন্তু তার মাংস পর্ক। সেদিন এক ভিডিওতে জনৈক পণ্ডিতের কাছে এর চমৎকার একটা ব্যাখ্যা পেলাম। ইংরেজিতে মাংসবাচক শব্দগুলো ফরাসি থেকে এসেছে, যখন ইংল্যান্ড শ'তিনেক বছর ধরে ফরাসি দখলে ছিলো। জ্যান্ত প্রাণীগুলোর নাম অ্যাংলো-স্যাক্সন রূপ নিয়ে রয়ে গেছে, কারণ ওগুলো পেলেপুষে সরবরাহের দায়িত্ব ছিলো বিজিত ইংরেজের। আর সে দুর্মূল্য পশু কেটেকুটে রেঁধে পরিবেশন করা হতো বিজয়ী ফরাসিভাষী কেষ্টুবিষ্টুদের। ছোটোলোক যোগানেওলার ভাষায় তাই জ্যান্ত প্রাণীর নাম টিকে গেলো, অভিজাত খানেওলার ভাষায় রয়ে গেলো মাংসবাচক নামগুলো।


দ্বিবর্ণ জাতক ৩

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১৮ - ১০:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৭

কুলাউড়া-সিলেট রেলযাত্রায় অলৌকিক এক ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা পাই সাগোতোর ডায়েরিতে। ১৯২০ সালের জানুয়ারির এক শীতের রাত্রে সিলেট থেকে কুলাউড়া ফেরার পথে কোন এক স্টেশনে রেল থামে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে। ব্যাখ্যাতীত কোন কারণে তিনি নেমে আসেন নির্জন স্টেশনে।


বোক্সোদগুলি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১৮ - ৪:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[আইজাক আসিমভের "সিলি অ্যাসেস" গল্পের অনুবাদ]
অনুবাদ: সামিনা কায়সার

দীর্ঘ আয়ুর রিগেলিয়ান জাতির নারন তার বংশের চতুর্থ লোক, যার কাঁধে ছায়াপথীয় ইতিহাস টোকার দায়িত্ব এসে পড়েছে।


সংযোজনা - ০২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৩/২০১৮ - ৭:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


০১/০৩/২০১৮


অতর্ণা হাসান

অন্ধকার। ঘন কালো অন্ধকার। সূক্ষ্ম একটা দাগের মতন আলোটা এলো। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে, চারপাশে। কিন্তু সব ঝাপসা, সব ঘোলাটে।
আলোটাই কি ফ্যাকাসে? নাহ, ফ্লুরোসেন্ট বাতির সাদাটে আলো, সাদা সিলিং। বাম দিক থেকে হালকা ঠাণ্ডা বাতাস। কিছু কিছু বুঝতে পারছি। কিন্তু তার মধ্যে দেখার অংশটা কম, অধিকাংশই ধারনা করে নেয়া।
চোখ খোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালালাম। এই ফ্যাকাসে-ঘোলা পৃথিবীর মাঝে একটু ঝকঝকা রঙের ছোঁয়া যদি পাওয়া যায়। আমার সমস্ত মনোযোগ এনে আমার চোখের তারায় বসালাম। কিছুটা দেখতে পাচ্ছি। অসংখ্য টিউব, পাইপ আমার দৃষ্টির সীমানায়।