১৭
কুলাউড়া-সিলেট রেলযাত্রায় অলৌকিক এক ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা পাই সাগোতোর ডায়েরিতে। ১৯২০ সালের জানুয়ারির এক শীতের রাত্রে সিলেট থেকে কুলাউড়া ফেরার পথে কোন এক স্টেশনে রেল থামে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে। ব্যাখ্যাতীত কোন কারণে তিনি নেমে আসেন নির্জন স্টেশনে।
[আইজাক আসিমভের "সিলি অ্যাসেস" গল্পের অনুবাদ]
অনুবাদ: সামিনা কায়সার
দীর্ঘ আয়ুর রিগেলিয়ান জাতির নারন তার বংশের চতুর্থ লোক, যার কাঁধে ছায়াপথীয় ইতিহাস টোকার দায়িত্ব এসে পড়েছে।
০১/০৩/২০১৮
অতর্ণা হাসান
অন্ধকার। ঘন কালো অন্ধকার। সূক্ষ্ম একটা দাগের মতন আলোটা এলো। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে, চারপাশে। কিন্তু সব ঝাপসা, সব ঘোলাটে।
আলোটাই কি ফ্যাকাসে? নাহ, ফ্লুরোসেন্ট বাতির সাদাটে আলো, সাদা সিলিং। বাম দিক থেকে হালকা ঠাণ্ডা বাতাস। কিছু কিছু বুঝতে পারছি। কিন্তু তার মধ্যে দেখার অংশটা কম, অধিকাংশই ধারনা করে নেয়া।
চোখ খোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালালাম। এই ফ্যাকাসে-ঘোলা পৃথিবীর মাঝে একটু ঝকঝকা রঙের ছোঁয়া যদি পাওয়া যায়। আমার সমস্ত মনোযোগ এনে আমার চোখের তারায় বসালাম। কিছুটা দেখতে পাচ্ছি। অসংখ্য টিউব, পাইপ আমার দৃষ্টির সীমানায়।
কাঁচা-মিঠা আমের ডালে তারা দোল খাচ্ছিল।
-কাজটা কি ঠিক হলো?
-হ্যাঁ। তোমার কি এখন আফসোস হচ্ছে?
-না, আফসোস না। মানে...
-শোন, তুমি আমাকে ভালবাস?
-এখন জিজ্ঞাস করছো এ কথা? তুমি জানো না?
-জানি। আমিও তোমাকে ভালবাসি। এর উপরে আর কিছু হতে পারে না।
ভোরের আলো ফুটেছে। কাঁচা-মিঠা আমের ডালে পা দুলিয়ে তারা দোল খাচ্ছিল।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর প্রাণঘাতী, বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাঁর আশু আরোগ্য কামনার পাশাপাশি আমাদের নিম্নলিখিত পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শগুলো প্রশাসন ও সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
মাছের মাথাটা শফিকের প্লেটে তুলে দিয়ে ময়না বলল,” আরেক টুকরা মাছ দেই?”
খাওয়া থামিয়ে বিরক্ত হয়ে শফিক বলল,” মাছতো আলরেডি প্লেটে ঢাইল্লা দিছ। দেওয়ার পর পারমিশন চাও এইটা কেমন স্বভাব?”
ময়না খিলখিল করে হাসে। বিরক্ত হয়ে শফিক মাছের মাথা চিবাতে চিবাতে বলল,” কথায় কথায় এত হাস কেন? সমস্যা কি তোমার?”
ময়না আরো জোরে জোরে হাসে। খিলখিল। খিলখিল।
“আরে কি সমস্যা! আবার মাথায় ঘোমটা দিছ? বলছি না আমার সামনে ঘোমটা দেওনের দরকার নাই?”
খিলখিল। খিলখিল। খিলখিল। খিলখিল।
“ধুর বাল খামুই না।”
সে দেশে শুধু পুরুষ। কোন নারী নেই। বংশবৃদ্ধি কি করে হয় সে এক রহস্য। নারী বলে যে আলাদা এক জাতের মানুষ আছে তাই তারা জানে না।
সে দেশের শেষ মাথায়, যেখান থেকে গহীন বনের শুরু, এক অদ্ভুত গহ্বর ছিলো। লোকে বলা মায়া গহ্বর। ভরা পূর্ণিমার রাতে গহ্বর থেকে ভেসে আসে মায়াবী ডাক- আয়...আয়...আয়। ভয়ে ওদিকে কেউ যায় না। মায়া গহ্বরের ডাকে সাড়া দিয়ে ফেরেনি কোন পুরুষ।
তারপরও মন্ত্রমুগ্ধের মত কত পুরুষ ওদিকে গিয়ে হারিয়ে গেছে। মায়া গহ্বরের ডাকে সব ভুলিয়ে দেয়া সে এক আশ্চর্য মায়া। পূর্ণিমা এলেই কানে গামছা বেঁধে রাখে মানুষ।
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত গণমাধ্যম সংক্রান্ত একটা খবর দৃষ্টি কাড়ে। উইকিলিক্সে ফাঁস হওয়া মার্কিন ‘ক্যাবলের’ বরাতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরে আমাদের জানায়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই অন্তত দুইটি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানার অংশিদারিত্ব কেনার ব্যাপারে কাজ করেছিল সেই সময়ে। খবরে বলা হয়, ডিজিএফআই কথিত বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ রিসার্চ ফাউন্ডেসন নামে একটা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে ইটিভির ২০% অংশীদারীত্ব কিনেছিল এবং চ্যানেল ওয়ানের এক-তৃতীয়াংশ অংশীদারিত্ব কেনার ব্যাপারটা প্রক্রিয়াধীন ছিল।
১.
অশেষ স্বলেহনের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সহজে যূথচিন্তনের সুযোগও ফেসবুক খোলা রেখেছে। পরিভাষা নিয়ে চিন্তার জন্যে আগ্রহী কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গড়া এমনই এক যূথচিন্তনের জায়গায় সেদিন একটি প্রশ্ন দেখে থমকে গেলাম: "জেলিফিশের বাংলা কী হতে পারে?"
২০০৭-৮ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জ্বালানী উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম তামিম। সংবাদ মাধ্যম কিংবা এর দ্বারা প্রভাবিত জনমানসে তিনি কিছুটা বিতর্কিত ব্যাক্তিত্ব, সাধারনত বিদেশি তেল-গ্যাস প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষাকারী হিসাবে উপস্থাপিত হন।