Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ধারাবাহিক

নৈরঞ্জনা(৯)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ২৯/১০/২০১৮ - ৪:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৯। দু'দিন পর । ডক্টর আদিত্যদের হোটেলে আমাদের মিটিং । ডক্টর আদিত্যের ঘরেই। ঘরটা বেশ বড়ো, চমৎকার সাজানো । আমরা সবাই কেউ চেয়ারে, কেউ তেপায়ায়, কেউ টুলে, কেউ সোফাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছি ।


নৈরঞ্জনা(৮)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ০৮/১০/২০১৮ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৮। দীর্ঘ যাত্রার শেষপ্রান্তে পৌঁছলাম অবশেষে। এসে গেল আমাদের গন্তব্য। ট্রেন থামলে ধীরেসুস্থে সব গুছিয়ে যখন প্ল্যাটফর্মে নেমে এলাম, তখন চারিদিকে শেষ বিকেলের মায়াবী আলো।


নৈরঞ্জনা (৭)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ১৫/০৯/২০১৮ - ৬:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৭।
দিন গুনতে গুনতে একদিন এসে গেল দিনটা। রওনা দিলাম আমরা। এখান থেকে আমি আর কাশ্মীরা। আমাদের সহকর্মী ও বন্ধু জহীর আমাদের সঙ্গে যাচ্ছে। সে ওর গ্রাম থেকেই রওনা হচ্ছে। কিছুদিন


নৈরঞ্জনা(৬)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১৮ - ৭:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৬।
আমরা ফিরে যাচ্ছি আদিত্যনগর থেকে। প্রায় শেষরাত্রে উঠে তৈরী হতে হয়েছে, তারপরে আবার ঐ অত ভোরেও ডক্টর আদিত্য আমাদের জন্য ব্রেকফাস্টের আয়োজন করেছিলেন, কিছুতেই না খাইয়ে ছাড়েন নি। আমি অবশ্য চা আর টোস্ট ছাড়া আর কিছু খাই নি। কাশ্মীরাও টোস্টও খায় নি, শুধু চা আর একটা বিস্কুট খেয়েছে।


নৈরঞ্জনা(৫)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১৮ - ৭:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৫।
"সবুজবীথি" থেকে বার হয়ে আবার একটা ছায়াশীতল রাস্তা, সেই রাস্তা দিয়ে গিয়ে পৌঁছলাম একটা বড়ো দিঘির কাছে, নির্জন ঘাটের কাছে ছায়া মেলে দাঁড়িয়ে আছে এক মস্ত ঝুরি নামানো বট। বটের ছায়ায় বসলাম সবাই।


নৈরঞ্জনা(৪)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৬/২০১৮ - ৪:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৪। আমরা ঢুকতে মিউজিয়ামের প্রৌঢ় কিউরেটর নিজেই এসে অভ্যর্থনা করলেন। ডক্টর আদিত্য পরিচয় করিয়ে দিলেন ওঁর সঙ্গে। ওঁর নাম অসিতদেবল বসু, উনি ইতিহাসবিদ। ঐ মিউজিয়ামে কাজ করছেন প্রায় ত্রিশ বছর। তবে এই কাজ ওঁর আংশিক কাজ, উনি ইতিহাসের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা আর লেখালিখিও করেন। ওঁর বেশ কিছু ইতিহাসবিষয়ক বই প্রকাশিত হয়েছে গত বিশ বছরে। এ ছাড়া বিভিন্ন জার্নালে বেশ কিছু গবেষণাপত্রও বেরিয়েছে।


নৈরঞ্জনা(৩)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০১/০৬/২০১৮ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৩। ভোর ভোর গন্তব্যে পৌঁছল বাস। আমি শেষরাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আবার । হঠাৎ শুনি ঝাঁকুনি দিয়ে কে যেন ডাকছে, "আবীর, আবীর, ওঠো। পৌঁছে গিয়েছি আমরা।"
কুয়াশাজড়ানো স্বপ্নের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসি ঝাঁকুনি খেয়ে, কাশ্মীরা আমাকে ডাকছে। জেগে দেখি বাস পৌঁছে গিয়েছে। ঘুমভাঙা চোখে যাত্রীরা সব হাই তুলতে তুলতে চোখ ডলতে ডলতে জিনিসপত্র গুছিয়ে নামছিল। আমরাও।


নৈরঞ্জনা(২)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ২১/০৫/২০১৮ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২। আমরা প্ল্যান করলাম শুক্রবার আপিস ছুটি হতেই আমরা যাবার জন্য বের হবো, দুদিনের মতন জিনিসপত্র ছোটো ব্যাগে গোছানো থাকবে আগে থেকেই। সন্ধ্যেয় বাস ছাড়ে আমাদের শহর থেকে, ডক্টর আদিত্যের বাড়ীর নিকটতম শহরে পৌঁছয় ভোরবেলা। সেখান থেকে ট্যাক্সিতে চলে যাবো ওঁর ওখানে। শনিবার সারাদিন সারারাত থেকে রবিবারে সকালে ফিরতি বাস ধরবো, সে বাস আমাদের শহরে চলে আসবে বিকেল-বিকেল। সোমবারে তাহলে অফিস করতে আমাদের কোনো অসুবিধেই হব


নৈরঞ্জনা(১)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১৮ - ৫:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। ম্যাপের উপরে একটা আঁকাবাঁকা রেখার উপরে তর্জনী রেখে কাশ্মীরা বললো, "এই যে আবীর, এইখানে একটা নদী থাকার কথা। উপগ্রহ-চিত্রেও নদী দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যের কথা এই নদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মুশকিল হলো জায়গাটা খুব দুর্গম। রুক্ষ পাহাড় আর মরুভূমির ভিতর দিয়ে শয়ে শয়ে মাইল রাস্তা পার হয়ে যেসব অভিযানকারী গিয়েছে, কেউই নদীটাকে খুঁজে পায় নি। ফিরে এসে তাই বলেছে। মোট পাঁচটা অভিযাত্রীদল গিয়েছিল, তার মধ্যে


চামেলী হাতে কিছু নিম্নমানের মানুষ (ক্রমশ)

আশফাক আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন আশফাক আহমেদ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৯/০১/২০১৪ - ৪:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার কখনো এতো রাগ ওঠে না। আজ কী করে যে এতো রাগ উঠে গেলো---বুঝতে পারলাম না।
রাতে ভালো ঘুম হয়নি। পরপর দুটো ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখেছি রাতে। একটা মধ্যরাতে, আরেকটা ভোররাতে। কাজেই, সকালবেলা মরার মত ঘুমুচ্ছিলাম।
ঘুম ভাঙে গেলো বাবার চিৎকার-চেঁচামেচিতে।