মঞ্জু সরকারের 'অন্তর্দাহ' : মুক্তিযুদ্ধের কুৎসিততম উপন্যাস

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১৮ - ১:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিদগ্ধজনের প্রশংসা এবং মলাটের উপর বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সিল দেখে এক পাঠক বইটা পড়তে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয় একাত্তরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সম্মুখভাগ থেকে। প্রধান চরিত্র মানিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টগবগে তরুণ ছাত্র। পিতা গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা। মানিক ভিড় ঠেলে বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখে উজ্জীবিত হয় কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশে গণ্ডগোল লেগে যেতে পারে বলে হল ছেড়ে গ্রামে চলে যায় ঢাকাবাসী মামার পরামর্শে। মামার শ্বশুর অবাঙ্গালী তার সাথে পাকিস্তানী আর্মিদের ভালো যোগাযোগ কিন্তু মামা-মামী দুজনেই মুজিব ভক্ত। তরুণী মামীকে দেখে মানিকের ভেতর জৈবিক আলোড়ন জাগে।

ইতিমধ্যে পাঠক জেনে যায় মানিকের বাবা আওয়ামী লীগ হলেও তার নানা মুসলিম লীগের নেতা এবং এলাকার চেয়ারম্যান। বাবা ও নানার মধ্যে সাপে নেউলে সম্পর্কে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে। মানিকের মা নেই, নানাবাড়িতে মানুষ হয়েছে বলে সেও নানা ভক্ত। কিন্তু রাজনৈতিক দিকে বাবার প্রতি পক্ষপাত বলে সে বরাবরের মতো নানাবাড়িতে না উঠে নিজের বাড়িতে উঠে। বাবা সজব ভুঁইয়ার রাজনৈতিক ডানহাত হলো প্রতিবেশী পরেশ সাহা। পরেশ কাকার তরুণী বউ মালতি কাকীও মানিকের ভেতর জৈবিক আলোড়ন জাগায়।

মানিক গ্রামে বসে রেডিওতে ৭ মার্চের ভাষণ শোনে এবং গ্রামবাসীকে সংগঠিত হতে বলে। এর মধ্যে ২৫শে মার্চের কালরাত্রি এগিয়ে আসে। মানিক দেশের আসন্ন স্বাধীনতার জন্য উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে থাকে। পচিশে মার্চ রাতে বিবিসি থেকে মানিক জানতে পারে সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে। ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ঢাকা ত্যাগ করেছে। যদিও ইতিহাস পাঠক মাত্রেই জানেন যে ভুট্টো সে রাতে ঢাকা ছাড়েনি, ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগের খবর তখনো অজানা। বিবিসিতে এমন সংবাদ আসার কথা নয়। যাই হোক, এই সংবাদ পেয়ে রাতেই পরেশকাকার বাড়িতে গিয়ে জানিয়ে আসে এবং আলোচনা শেষে প্রবল উত্তেজনা ও অনিশ্চতা নিযে ঘরে ফিরে শুয়ে পড়ে মানিক।

শুয়ে শুয়ে মানিক কী ভাবে? "মানিক চোখ বুজে আবার পরেশ কাকার খাটে মালতী কাকির কালো ব্রেশিয়ারটি দেখতে পায়। স্মৃতিতে হঠাৎ মামির নগ্ন বুক জ্বলে ওঠে।"

মানিকের মতো কেন্দ্রীয় চরিত্রের চেতনার এমন দশা দেখে যে কোন পাঠকই নিশ্চিতভাবেই আঁতকে উঠবে।

পরদিন ২৬শে মার্চ মানিক জানতে পারে গতরাতে পাক বাহিনী রংপুরে ব্যাপক গণহত্যা চালাবার পর আজ হাজার হাজার মানুষ ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণ করে মিলিটারির সাথে যুদ্ধ শুরু করেছে। এটাও সত্যের অপালাপ। ইতিহাস বলে, সাধারণ মানুষ সংগঠিত হয়ে রংপুর ক্যান্টমেন্ট ঘেরাও করতে গিয়েছিল ২৮ তারিখে।

গ্রামের মধ্যে গুজবে গুজবে সয়লাব বলে মানিক প্রকৃত সত্য জানার জন্য রেডিওতে কান পেতে থাকে। সেই সময় মানিক শুনে ফেলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়ার ঘোষণা। পাঠকের তৃতীয় হোটচ এখানে। চট্টগ্রাম বেতারের সেই ক্ষীণ কন্ঠ ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি ঠিকমত, আর রংপুরে বসে মানিক শুনে ফেললো সেই ঘোষণা? অবিশ্বাস্য।

এর মধ্যে শহর থেকে পালিয়ে মানিকদের বাড়িতে আশ্রয় নেয় মশিয়ার আখন্দ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা যিনি পার্লামেন্ট সদস্য। তার অষ্টাদশী কন্যা আসমাকে দেখার পর মানিকের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জৈবিক চেতনা আবারো পরস্পরের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে। মানিক আসমাকে বিয়ে করার কথা ভাবতে ভাবতে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেবার কথা ভুলে যায়। গ্রামের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে ওদের দুজনের বিয়ের কথা বেশী আলাপ করে। শেষে সবাইকে হতাশ করে আখন্দেরের পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়। মানিক দেশে বসে ঘুরে ফিরে, রেডিও শোনে। এই পর্যায়ে পাঠকের মনে হবে লেখক স্থির করতে পারছে না মানিককে দিয়ে কী করানো যায়। মুক্তিযোদ্ধা বানাবে নাকি লম্পট বানাবে সেটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কয়েক মাস কেটে যায়।

কয়েক মাস পর আগস্টে দেখা যায় মানিকও ভারতের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাচ্ছে পরেশ কাকার পরিবারের সাথে। পালানোর পথে নৌকায় পরেশের বউ মালতি কাকীর পাশে বসে তার জৈবিক চেতনা আবারো জাগ্রত হয়। কিন্তু নৌকার মধ্যে কাকাও আছে। তাই বেশীদূর আগানো হয় না। খানিক পরেই পাকিস্তানী গানবোট দেখা দেবে নদীতে। মালতী কাকীকে নিয়ে মানিক নৌকা থেকে নেমে পালিয়ে বেঁচে যাবে। কাকা মরে থাকবে পেছনে। এভাবে কোনমতে ভারতে ঢোকার পর মালতীর মামার বাড়ি খুঁজে নিয়ে সেখানে আশ্রয় নেবে। কাকীকে নিয়ে বেড়াতে যাবে। কাকীর প্রেমে পড়ে যাবে। কিন্তু যেটা হয় সেটাকে প্রেম বললে প্রেমের চুড়ান্ত অপমান। এই পর্যায়ে যা হয়েছে সেটাকে মানিকের অসংলগ্ন লাম্পট্য ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। মানিকের মতো একটা সুবোধ চরিত্রকে লেখক কেন নষ্ট করার দিকে এগিয়ে গেলেন সেটা পাঠকের বোঝা অসাধ্য।

অবশেষে মানিক যুদ্ধ করার জন্য ভারত পৌঁছালো। কিন্তু যুদ্ধের ধারে কাছেও গেল না। ভাবতে ভাবতে কাকীর সাথে লম্পটামি করতে করতে শেষ। শেষভাগে একটা ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়ে কদিন থাকার পরেই দেশ স্বাধীন। দেশ স্বাধীন হবার খবর শুনে দেশে না ফিরে কলকাতা গেল সেই আসমার খোঁজে। কাকীর সাথে আকাম করে পালিয়ে এসে এবার আসমার খোঁজ। তবে এবার আসমার কাছে ধাক্কা খেয়ে দেশে ফিরতে সিদ্ধান্ত নেবার পরে আবার গ্রামে না গিয়ে ঢাকার দিকে হাটতে শুরু করে। গ্রামে নিজের পরিবার কেমন আছে তা নিয়ে কোন ভাবনা দেখা যায় না। ঢাকা যাবার পথে যশোহরে এক বামপন্থী নেতা মাস্টারদা সাথে পরিচয় ঘটে তার। তার সাথে একটা বাড়িতে দুদিনের জন্য আশ্রয় পেয়ে তার মনে আবারো জৈবিক চেতনা। তার সততার প্রমান দেবার জন্য সে মাস্টারদাকে নিজের হস্তমৈথুনের অভ্যাসের কথা অকপটে জানিয়ে দেবার পর মাস্টারদা নিজের শালীর সাথে বিছানায় শোবার প্রস্তাব দেয়। বলতে বাধ্য হচ্ছি সততার পরিচয় দেবার জন্য পায়খানা পাতলা বা কষা হয়েছে এসব তথ্য কোন সভ্য মানুষ প্রকাশ্যে কোন অপরিচিত মানুষকে বলে না। এমন অদ্ভুত অসংলগ্ন সব বিবরণ একজন সুস্থ লেখক কিভাবে লিখতে পারেন সেটা ভেবে পাঠক হিসেবে লজ্জিত হতে হয়েছে।

দেশ স্বাধীন হবার পর মানুষ আতংকিত। সেই আতংক মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে। মুক্তিযোদ্ধাদের অত্যাচারে সমগ্র দেশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা শুধু ডাকাতি করে, অবাঙ্গালীদের হত্যা করে, বাড়ি দখল করে, ব্যবসা দখল করে। দেশের সব খারাপ কাজগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সংঘটিত হচ্ছে।

উপন্যাসে আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আখন্দ সাহেব। যিনি ভারতে গিয়ে তারকা হোটেলে মদ আর নারী নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন সেটা মানিক নিজের চোখে দেখে এসেছে। মানিকের বাবা স্বাধীনতার পর তার নানার সম্পদ গ্রাস করতে ব্যস্ত। দেশপ্রেমিক মানিক তাই শান্তিকমিটির চেয়ারম্যান নানাকে নিরাপদে শহরে পাঠিয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে। তিনি এলাকায় শান্তি বজায় রেখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। যদিও সেই নানাকে মানিক চুড়ান্ত গালিগালাজ করেছিল মার্চের পর।

উপন্যাসে একমাত্র সাধু মুক্তিযোদ্ধা ছিল মানিকদের বাড়ির চাকর বাংটু। উপন্যাসের শেষভাগে যাকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় মানিকের আওয়ামী লীগ বাবা, যাকে মানিক নিজেই রিলিফ চোর হিসেবে সম্বোধন করে।

তবে এই লেখকের আর কোন বই না পড়ার সিদ্ধান্ত এখানেই পাকা হয়ে গেলেও এই বইটি কেন পুরস্কার পেল নেহাত সেটা বোঝার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে হয়। শেষ পর্যন্ত পড়ার শেষে যা আবিষ্কার করি তা খুবই ভয়াবহ।

মঞ্জু সরকারের 'অন্তর্দাহ' নামক উপন্যাসটি লেখা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা নামক সম্মানিত শব্দটিকে ধর্ষণ করার জন্য। আমি এ যাবত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যতগুলো গল্প উপন্যাস পড়েছি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আর কোথাও এত কুৎসিতভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।

এই উপন্যাসটি ঠিক কোন যোগ্যতার নিরিখে বাংলা একাডেমির চিত্তরঞ্জন সাহা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়েছিল ২০১৩ সালে খুব জানতে ইচ্ছে করে। পুরস্কার বিতরণ সিদ্ধান্তে সেই পুস্তকটির ন্যূনতম রুচিবোধের প্রয়োজন আছে কী? পুরস্কারদাতারা আদৌ কী উপন্যাসটি পড়েছেন?


মন্তব্য

সোহেল ইমাম এর ছবি

বইটা পড়িনি কখনও। কিন্তু আপনি যা বর্ণনা দিলেন তাতে সত্যিই কুৎসিততম মুক্তিযুদ্ধের বইই এটা হওয়ার কথা। বাংলাদেশের মাটিতে এধরণের বই পুরস্কার পাচ্ছে এটা কিভাবে সম্ভব?? এনিয়ে এখনও প্রশ্ন তোলার অবকাশ মনে হয় শেষ হয়ে যায়নি বিশেষ কাছে বাংলা একাডেমীর কাছে। বাংলা একাডেমী এ বই পুরস্কৃত করে কি প্রমাণ করতে চাইছে।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এদেশের বই বাজারে আজে বাজে বই অনেক লেখা হয়েছে, হচ্ছে, হবে। কিন্তু পুরস্কার দেবার জন্য বেছে এই বইকে নেবার হেতুটা বুঝতে চেষ্টা করছি। ২০১৩ সালে এই পুস্তকটি কোন বিচারে সেরা নির্বাচিত হয়েছিল। সেই পুরস্কার দেবার কমিটিতে কারা ছিল, এই প্রশ্নগুলো জানা গেলে ভালো হতো। পুরস্কার বিষয়টির উপর আস্থা উঠে যায় এসব কীর্তি দেখে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

মানিক ১৬শ ডিভিশনের মুক্তিযোদ্ধা ছিল কিনা, সেই ব্যাপারে কি লেখকের কোন বক্তব্য আছে?!

একদিকে দেশের প্রতি দায়িত্ব, অন্যদিকে নিজের জৈবিক চাহিদার নিবৃত্তি - সাহিত্যের বিষয়বস্তু হিসেবে এই দুয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব অত্যন্ত আগ্রহোদ্দীপক। আত্মবিশ্বাসী এবং শক্তিশালী লেখক না হলে এই দ্বন্দ্বের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে উৎকৃষ্ট সাহিত্য সৃষ্টি সহজ নয়। কিন্তু অনেক লেখক নিজের ক্ষমতার অতিমূল্যায়ন করে এই দ্বন্দ্বের সাহিত্যরূপ দিতে যেয়ে আবর্জনা উৎপাদন করেন। আপনার মূল্যায়ন পড়ে মনে হচ্ছে মঞ্জু সরকার এই দ্বিতীয় গোত্রের লেখক!

Emran

নীড় সন্ধানী এর ছবি

না মানিক ১৬ ডিভিশনের কেউ না। বইটিতে ষোড়শ ডিভিশনের সমালোচনাও আছে। মানিক হলো এমন একটা ডিভিশন যেটার অস্তিত্ব বাস্তবে থাকা অসম্ভব। লেখক চরিত্রটিকে কী বানাতে চেয়েছেন সেটা আগাগোড়া বইটি পড়ে আমি বুঝতে পারিনি। কিছু জায়গায় তাকে আওয়ামী, কিছু জায়গায় বামপন্থী, কিছু জায়গায় সে নাস্তিক, কিছু জায়গায় সে নামাজী, কিছু জায়গায় সে সর্বহারা। যেহেতু সেই উপন্যাসের নায়ক সে সব ভালোর সাথে আছে, সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু সব ছাপিয়ে সে একজন প্রেমিক কিন্তু কার প্রেমিক সেটা বুঝতে বুঝতে বই শেষ। তার প্রেমিক সত্ত্বাকে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রচ্ছন্ন লাম্পট্য দিয়ে। রসময় গুপ্তের সাহিত্যের কথা মনে পড়ে যায় কোন কোন অংশে। এই চরিত্রটি আগাগোড়াই অসংলগ্ন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

মেহেরজান ফিচারিং কায়কাউসের ছেলে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হ। এই যুগে কায়কাউসের ছেলেরাই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

মানিক তো দেখা যাচ্ছে রত্ন বিশেষ। বইটার প্রশংসা শুনে গ্যাটের পয়সা খরচ করে বেঙ্গল থেকে ই-কপি কিনেছিলাম। এখন তো মনে হচ্ছে পয়সা পানিতে ফেললেও মাছেরা চাট্টি চিড়া মুড়ি কিনে খাইতে পারতো। মন খারাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গাঁটের পয়সা জলে গেছে যাক, মাছেরা চিড়া মুড়ি খেয়ে থাক।
এই পুস্তকের পেছনে সময় লস্টের চেয়ে সেটাই উত্তম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মেঘলা মানুষ এর ছবি

এই বই বাংলা অ্যাকাডেমি থেকে পুরষ্কার পেয়েছে!!!

এরকম একটা বই ছাপানোর আগেই প্রকাশকের ছুঁড়ে ফেলা দরকার ছিল। আদ্ভুত!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বইটি যেনতেন প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়নি। বেঙ্গলের মতো খ্যাতনামা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং বিদগ্ধ জনেরা এই বইটিতে আপত্তি করার মতো কিছু পাননি। সম্ভবত আমার চোখেই শুধু ধাঁধা।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

মঞ্জু সরকারের লেখাটি পড়িনি বলে খুব একটা কিছু বলতে পারছি না। লেখকের স্বাধীনতা এবং দায়িত্ব নিয়ে তর্ক, বিতর্ক, এবং আলোচনা নতুন নয়। ক্ষেত্র বিশেষে আইন করে অনেক কিছুই হয়তো নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই নিয়ন্ত্রণ কতটুকু থাকে সেটা নির্ভর করে লেখাটি লেখা হিসেবে কেমন হয়েছে তার উপর। বর্তমান জার্মানিতে হিটলারকে নায়ক করে কোন উপন্যাস হয়তো লেখা সম্ভব নয়। কিন্তু কেউ যদি লেখেন, আর তা যদি কোন কালে প্রকাশিত হয়, তাহলে কেমন হবে ভাবছি। যাই হোক, বইটি পড়ার আগ্রহ জন্মেছে আপনার সূত্রে।

---মোখলেস হোসেন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আসলে লেখকের স্বাধীনতা বিষয়ে আপত্তি করিনি। বিষয় নির্বাচনে লেখক স্বাধীন। কিন্তু একটা সাহিত্য তখনই পাঠকের সমাদর পায় যখন লেখক যা বলতে চেয়েছেন পাঠক তা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু এই বইটি শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়ে ওঠেনি। যে চরিত্রটি নিয়ে আপত্তি করছি সেই চরিত্রটি আগাগোড়া অসংলগ্ন, অসম্পূর্ণ, স্ববিরোধীতায় পরিপূর্ণ। শুরুতে কিন্তু বইটি পড়তে শুরু করে ভালোই লাগছিল। কিন্তু ১০০ পাতা পার হবার পর লেখক খেই হারিয়ে ফেলেন এবং পাঠক হোচট খেতে শুরু করে। উপন্যাসটি এগোতে থাকে প্রায় দিকনির্দেশহীনভাবে। প্রধান চরিত্রটি এতই অসংলগ্ন, এবং বিকারগ্রস্থ যে মনে হয়েছে লেখক নিজেই বুঝতে পারছেন না তাকে কোথায় নিয়ে যাবেন। তাকে দিয়ে যা করিয়েছেন সবটা এখানে লিখতেই লজ্জা হচ্ছে আমার। তাও মেনে নিতাম যদি উপস্থাপনায় ন্যূনতম শৈল্পিক ছোয়া থাকতো। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো যে মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে বইটি লেখা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে সেই মুক্তিযোদ্ধাদের কুৎসা রচনাই উপন্যাসটির মূল উদ্দেশ্য। বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের কোন অপারেশানের বিবরণ না থাকলেও তাদের ডাকাতির ঘটনাগুলো ভালো করে উপস্থাপন করা হয়েছে। যুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা ডাকাতি লুটপাটেই ব্যস্ত ছিল। আর নেতারা ভারতে ব্যস্ত ছিল নারী আর মদ নিয়ে। বাকীটা পাকিস্তানীদের গোলমাল।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কিছু পর্যবেক্ষণঃ

১। পক্কতা লাভের পর সব লেখক আজীবন নিজের ঐ মাপের লেখক আর থাকেন না। উদাহরণস্বরূপ আমার অসম্ভব পছন্দের লেখক শওকত আলীর কথা বলা যায়। একবিংশ শতকে তাঁর রচনাগুলো তাঁরই সত্তর-আশি'র দশকের রচনাগুলোর তুলনায় মোটামুটি অপাঠ্য জিনিস। তাই 'নগ্ন আগন্তুক', 'তমস', 'নান্টুর মেলা দেখা'র মঞ্জু সরকার ষাটোর্ধ্ব বয়সে যদি 'অন্তর্দাহ'র মঞ্জু সরকার হয়ে যান তাহলে অবাক হবার কিছু নেই।

২। হাসনাত আবদুল হাইয়ের লেখক জীবনের ইতিহাস যারা স্মরণ করতে পারেন তারা জানেন কিছু কিছু লেখক জীবনের একটা পর্যায়ে এসে 'ভূপেন হাজারিকা' বা 'এম জে আকবর' হয়ে যান। জীবনের এই পর্যায়ে এসে মঞ্জু সরকার যদি অমন কিছু হয়ে যান তাহলেও অবাক হবার কিছু নেই।

৩। খুব ছোটবেলা থেকে দেখেছি কিছু মানুষ 'মুক্তিযুদ্ধের বছর', 'সংগ্রামের বছর' বা 'যুদ্ধের বছর' না বলে 'গণ্ডগোলের বছর' বলতেন। এরা যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানুষ তা নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পাঁচ বছরের মধ্যে এই বেখেয়াল লোকজনের মনমগজে 'গণ্ডগোলের বছর' টার্মটা খুব সাবধানে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন আরও অনেক কিছু কায়দা করে দেশের সাধারণ মানুষের মগজে খোদাই করে দেয়া হয়েছে। এই খোদাই করার কাজটা গলাবাজ রাজনীতিবিদদের কর্ম নয়। এই কাজটা করেন সন্দেহের বাইরে থাকা বুদ্ধিজীবি, লেখক, শিল্পী, বক্তারা। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীতা একটা অনিঃশেষ প্রয়াস এটা মুক্তিযুদ্ধের শুরুর মুহূর্ত থেকে এখনো চলমান। এটা শুধু প্রতিশোধ নেবার আক্রোশজাত নয়, এখান থেকে নানা রকম ফায়দা তোলার ব্যাপার আছে বলেই এটা অনিঃশেষ। এই প্রক্রিয়ায় লোভের জালে কেউ কেউ তো পড়েই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এক লহমা এর ছবি

এই 'গণ্ডগোলের বছর' টার্মটা খুব সাবধানে ঢুকিয়ে দেয়া-র কাজটা একটা লাগাতার প্রক্রিয়া। আলোচ্য বইটা এবং এই বইকে পুরস্কার দেওয়াটা সেই প্রক্রিয়ার অংশ বলেই মনে হচ্ছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণগুলোর সাথে একমত। চিরকাল কেউ একইরকম লিখে যেতে পারে না। সব লেখকের সব বই ভালো হয় না। কিন্তু এই পুস্তকটিকে বিদগ্ধজনেরা ভালো বলেছেন, পুরস্কার দিয়েছেন, তাঁদের নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে বইটি। কোন অংশটি তাদের ভালো লেগেছে, কেন তাঁরা এমন একটি বইকে পুরস্কারের জন্য বেছে নিলেন, সেটাই আমার প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত চিত্র তুলে ধরার মধ্যেও আর কিছু না হোক একটা সাহিত্যমান থাকতে হয়। এই অসংলগ্ন উপন্যাসটি তার ধারে কাছে নেই। অনেকখানি ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে আমাকে কটু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে হয়েছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার প্রতিক্রিয়া যথার্থ। পুরষ্কারপ্রাপ্তির ব্যাপারে আপনার মনে জাগা প্রশ্নের এক প্রকার উত্তর শুভাশীষ দাশের এই গল্পটাতে আছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শুভাশীষ দাশের এই অসামান্য গল্পটা মিস করেছিলাম। পিঠ চুলকানি যে দেশের অন্যতম সাহিত্যিক চরিত্র সে দেশে এমন ঘটনাই বাস্তবতা। সবখানেই 'আমরা আমরা' ব্যবস্থার জয়জয়কার!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এক লহমা এর ছবি

আপনার রিভিউ পড়ে যা বুঝলাম - উপরে অল্প কয়েক শব্দে হিমুর মূল্যায়নটা যথার্থ। আর এই বই লেখা-প্রকাশ-সম্মাননা মুক্তিযুদ্ধের বিনাশী প্রক্রিয়াটার লাগাতার কার্যক্রমের-ই অংশ।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এমন পুস্তককে বেছে নেবার কারণে বাংলা একাডেমির পুরস্কার ব্যাপারটির উপর আস্থা নড়ে গেল!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসিব এর ছবি

এভাবেই সব কিছু গল্প হয়ে যায়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

মানুষের চরিত্রে বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট থাকতেই পারে, বিশেষ করে তরুন বয়সে দেহ ও মনের গহীনে জৈবিক তাড়না প্রবল হয়ে ওঠা কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। কিন্তু লেখকের বর্ননায় সেই মামুলী বিষয়টিি যদি মূখ্য হয়ে ওঠে, বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের মত অতি ব্যাপক একটি বিষয়কে ছাপিয়ে, তাহলে সে তো ভাবনার বিষয়। পুরস্কার দাতারা মনে হচ্ছে এখন আর ধৈর্য ধরে কোন কিছু পড়েন না, এমন কি পুরস্কার দেবার বইটিও নয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হ্যাঁ সেটা নিয়ে একমত। তরুণ বয়সে যে কারোরই জৈবিক তাড়না থাকতেই পারে, পরস্পরবিরোধী অনুভূতি থাকতে পারে। ওটাকে বড় কোন ত্রুটি হিসেবে দেখি না। কিন্তু এখানে সেটাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন লেখক। মালতি কাকী নামে একটি চরিত্রের সাথে মানিকের যে ঘটনাগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেটাকে লেখক প্রেম বলে উল্লেখ করলেও পাঠকের চোখে সেটা লাম্পট্য হিসেবে ফুটে উঠেছে। লেখক আসলে কী করতে চেয়েছেন সেটাই পরিষ্কার না গোটা উপন্যাসটিতে।

উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র মানিকের চোখ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের এবং যুদ্ধ পরবর্তী নানা দৃশ্যপটকে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই দৃশ্যগুলোর মধ্যে যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অবমাননাকর। মুক্তিযোদ্ধারা গৌরবের কোন কাজ করেছে তেমন একটি নজিরও পাইনি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নজমুল আলবাব এর ছবি

এতো দেখি ভয়ঙ্কর লেখক! বেঙ্গলও আরেকটা "প্রথমা" তাহলে! বাংলা একাডেমী বিষয়ে মন্তব্য নাই।

** উনার কয়েকটা লেখা পড়েছিলাম। খারাপ লাগেনিতো।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি এর আগে ওনার গল্প পড়েছিলাম। ভালো লেগেছিল। তাই এটা নিয়ে আরো বেশী আশাবাদী ছিলাম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তিথীডোর এর ছবি

উপন্যাসটা পড়েছি। সম্ভবত কোন একটা ঈদসংখ্যায় পয়লা প্রকাশিত হয়েছিলো।
অখাদ্য জিনিস।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এলিজা  রহমান  এর ছবি

মানিক তো আসলেই রত্নবিশেষ মুক্তিযুদ্ধে না গিয়েই সে মুক্তিযোদ্ধা বনে গেলো ৷ এই বই পুরষ্কারই বা পায় কিভাবে ?

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

সিদ্ধান্ত নিলাম, পড়বো না এই বই। আপনাকে ধন্যবাদ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।