রাতের শেষ প্রহরে ঝিমোতে ঝিমোতে নিঃসঙ্গ বাসটা এসে দাঁড়ালো ঘুমন্ত শহরের কার্নিশে।
শেষ যাত্রী মেয়েটাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল টার্মিনালে।
একটা ঘেয়ো কুকুর হতাশাময় ঘাউ করে নিজের অস্তিত্ব জানান দিল।
পাশের টং দোকান থেকে কেউ এক বালতি ময়লা পানি ছুঁড়ে মারলো রাস্তায়।
সূর্য উঠতে এখনো ঢের দেরি।
রাতভর বিরতিহীন আলো দিয়ে ল্যাম্পপোস্টের অবসন্ন বাতির ম্লান চোখে ধুলো জমা অন্ধকার।
সাইকেলে টুংটাং শব্দ করে নাইট ডিউটি সেরে ফিরে যাচ্ছে রাত প্রহরী।
দোতলা দালানের ঘুলঘুলি থেকে উঁকি দিচ্ছে দুটো অস্থির চড়ুই।
ঘরে ঢুকে জীবন রক্ষাকারী ট্যাবলেটের পাতাটা ঘুমন্ত মায়ের শিয়রে রেখে বাথরুমে ঢুকলো মেয়েটা।
শরীর থেকে রাত পুরুষের চিহ্ন মুছে আরেকটা দিন বাঁচার প্রস্তুতি।
[রচনাকাল: ২০২০]
মন্তব্য
নীড়পাতায় লেখাটা দেখে ভাবলাম আপনি যে কবিতা লেখেন সেটা জানা ছিলো না। ভেতরে ঢুকতে দেখি একটা চমৎকার কাব্যময় রচনা। এটা সার্থক ছোটগল্পের একটা সুন্দর উদাহরণ হয়েছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
করোনার শুরুতে অলস ঘরবন্দী জীবনে এরকম কিছু পরমাণু গল্প লিখেছিলাম। তারই একটি সাহস করে দিলাম। আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব আনন্দিত হলাম। আপনাকে আজকাল সামাজিক মাধ্যমে দেখছি না। আপনার চমকপ্রদ লেখালেখি মিস করি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। আশা করি ঐসব পরমাণু গল্পের আরও কিছু আমরা পড়তে পাবো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বছরখানেক হয় দূরে আছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কাব্যগন্ধী লেখা। ভালো লেগেছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নতুন মন্তব্য করুন