মানুষ কেন বই পড়ে? জ্ঞানী হবার জন্য নাকি স্রেফ আনন্দের জন্য? অন্যদের কথা জানি না, আমি পড়ি আনন্দের জন্য। সেই ফাঁকে যদি দুয়েকটা জ্ঞানার্জনের পূণ্য অর্জিত হয় সেটা বাড়তি লাভ।
তো, এই পড়াশোনা ব্যাপারটা জ্ঞানার্জনের পাশপাশি মানুষের কল্পনাশক্তির প্রসারণ ঘটায় ব্যাপক ভাবে। আমি নিজে স্কুল বয়স থেকে আজ অবধি হাজার হাজার হাবিজাবি বই গিলে নিজের কল্পনাশক্তির বড়সড় এক পর্বত দাঁড় করিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম জীবনে আর নতুন কিছু পড়ার নাই। কিন্তু কয়েকদিন আগে শেষ করা একটি অভিনব পুস্তকের কাছে আমার সমস্ত কল্পনাশক্তির পর্বতের ভিত নড়বড়ে হয়ে গেছে। আরেকটুর জন্য ধ্বসে পড়েনি।
মজার ব্যাপার হলো, আমি আগ থেকেই জানতাম আমি একটি কল্পকাহিনী পড়তে যাচ্ছি যার সাথে বাস্তবের কোন যোগসূত্র নেই। তবু এই হোঁচট খাবার কারণ কী?
জানতে হলে, পড়তে হবে।
নোনাসমুদ্রে এতকাল কাটাবার পর মিঠাপানির প্রথম স্পর্শটা সুখের ছিল তা বলতে পারি না। তবে বলতে পারি স্পর্শটা বড় বিচিত্র ছিল। মুখে নিয়ে কুলি করে ফেলে দেবার পর শান্তি।
আবহাওয়া ঠিক আছে। জলের কোলাহলও তেমনি। ঘনত্বে একটু পার্থক্য, আর রঙে। এখানকার রঙটা যেন ফ্যাকাসে। তবু কেউ কেউ বলছিল যে যাই বলুক, যত সুখ শান্তি সব মিষ্টি জলের নদীতে। অগাধ ঝড়ঝঞ্ছাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রে অনিশ্চিত জীবনযাপন করার চেয়ে এখানে অনেকটা নিশ্চিন্ত জীবন। চাইলে যখন তখন কূলের কাছাকাছি যাওয়া যায়, গাছ লতাপাতা ফুল পাখিদের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সমুদ্রে কি তা সম্ভব? তবু এতকালের অভ্যেস সমুদ্র। এই নেশা কাটানো মুশকিল। আমি ওদের পিছু পিছু নদীতে আসার পর সেই কথাই ভাবছিলাম।
প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত, আজ দবির একটি বিশাল বাক্স কাঁধে হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে আসে। আমাকে দেখে একগাল হেসে সেটি টেনেটুনে নিয়ে ঢুকে বসার ঘরে। অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। বসার ঘর থেকে নানা ধরনের ঠুকঠাক শব্দ ভেসে আসে। দবিরের এই ধরনের কাণ্ডকারখানা এতদিনে চেনা হয়ে গেছে। তাই কিছু না বলে নিজের ঘরে চলে যাই। বিছানায় বসে ডুবে যাই নিজের ভাবনা চিন্তার অতল গভীরে। অনেকক্ষণ পর দবির আসে
১
"চাইনা মেয়ে তুমি অন্য কারো হও...” রেডিও তে গান টা শুনতে ভালই লাগছে।
১.
আজকের সকাল টা কেমন জানি ম্যাড়ম্যাড়া!
পিটার পার্কারের মন খারাপ!
পিটার পার্কারের মন খারাপ!
উপসংহারের আগে :
আমি বিছানার পাশে বাবার মাথার কাছে বসে আছি। আমার ভাই বোনেরাও আছে সাথে। আমি অঝোরে কাঁদছি। বাবার চোখ দিয়েও টপটপ করে পানি পড়ছে। বাবা কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড অসুস্থ। বাবা বিড়বিড় করে কি যেন বলছে। বুঝতে পারছি বাবা আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
তারও আগে যা ঘটেছিলো :
আমরা ছোট্ট একটা দোতলা বাসায় থাকি। আমরা মানে আমি আমার ৮ ভাই বোন এবং বাবা। আমিই সবার চেয়ে বড়। ছোটবেলার স্মৃতি য...
আঞ্জুমা'র সাথে আমার প্রথম দেখা হয় নীলক্ষেতে। 'মামা, লাগবো' বা 'দেসি মাল আচে, ফাসকেলাস' এর ভীড় ঠেলে ইউনিক স্টোরের পাশের চিপা গলি দিয়ে ঢুকতেই অকস্মাৎ আমার হাতে তীব্র জ্বলুনি হলো। খুব ভয় পেয়েছিলাম, সেসময় দেশে হঠাৎ করেই কয়েকজন 'এইডসের ভুবনে স্বাগতম' জানাতে উঠেপড়ে লেগেছিল। জ্বলুনি থেকে রক্ত না বেরিয়ে তা ফোস্কায় রূপান্তর হওয়ায় একটু অন্যরকম আনন্দের সাথে সাথে চরম মেজাজ খারা...
- আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
-হুমম
-সালাম হুজুর।
-হুমমমম।
-ইয়ে মানে হুজুর অনেকদিন পরে আপনাকে বাইরে দেখে বড়ই দিলটা ঠান্ডা হয়ে গেল।
-হুমম।
কিছুক্ষণ নিরবতা ।
-হুজুর কিছুদিন ধরে আমাদেরকে গালিগালাজ করছে লোকজন।
-মানে?
-আবার অনেকে রাজা...