অফিস থেকে বের হলাম তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যাব বলে। ডার্লিং হারবার ব্রিজের উপর হাটতে হাটতে মাথায় অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছিল, নববর্ষের ঘটনা নিয়ে। এক বান্ধবী কে দেখলাম রাগ সম্বরণ করতে না পেরে ফেসবুকে অচেনা লোকজন (পড়ুন জানোয়ার) কে সমানে গালি দিয়ে যাচ্ছে। তাও যদি রাগ কমে। যে অবস্থা, যুক্তি তর্ক দিয়ে বুঝানোর মত ধৈর্য না আসলে দোষ দেয়া যায়না।
জীবন চলছে, ভাল ভাবে চলছে না খারাপ ভাবে চলছে তার বিচার করিনা। যেমন চলছে চলুক, যা হবে দেখা যাবে টাইপ একটা ব্যাপার এসে গেছে। এ্যামবিশনের খ্যাতা বালিশ পুড়িয়ে সেটার ছাই গাঙের পানিতে ভাসায় দিয়ে মোটামুটি নির্ভার আছি। টুকটাক বই পড়ি, আর অবসরে একটা গেম খেলি, মাঝে মাঝে কিছু ছবি তুলি। ২ মাসের মধ্যেই জীবনে আরেকটা বিরাট পরিবর্তন আসবে, ব্যাপক টেনশনের ব্যাপার স্যাপার, তাই সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নিচ্ছি বেশি করে। ঘুমাল
আম্মু বার বার বলছিল একটা ঘুম দিতে। দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমালে নাকি ছোটদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। আয়নায় নিজেকে তো প্রায়ই দেখি, স্বাস্থ্য তো ভালই মনে হয়। গাট্টা গোট্টা হাত-পা, গালেও মাংস টাংস আছে খারাপ না। হুহ্ ! দুপুরে ঘুমাতে আমার বয়েই গ্যাছে। ঐ যে আম্মু মনে হয় গোসল করতে ঢুকল। পা টিপে টিপে বের হয়ে গেলে কেমন হয়? ধরা খেলে অবশ্য কান দুইটা আস্ত থাকবেনা! ধুউরর কি আর হবে?? আম্মু বের হবার আগেই নাহয় চলে আসব।
তোমাকে তো দেখিনি কোনদিন।
৫ রাত হল টানা শিফট করছি রাতে। ১২ ঘন্টার শিফট, সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা। আজকে শেষ রাত, তার পর তিনদিন কাজ নাই। অবাক ব্যাপার হলেও পুরা বিল্ডিংয়ে আমি একা কাজ করছি। কিছু হয়ে গেলে দেখার কেউ নাই। খরচা কমানোর যুগে এরকমটাই হয়তো স্বাভাবিক। কর্মী আউটসোর্সিং করতে করতে এখন তিরিশ জনের মত বাকি আছি। তাই 'স্বাস্হ্য ও নিরাপত্তা নীতি'র সাথে ঠিক না গেলেও একজন দিয়ে রাতে কাজ চালানোটা এরা বৈধ করে ফেলেছে। আমাদেরও কিছু
আবার অনেক দিন পর। ফাঁকিবাজির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
আমি দিনের চেয়ে রাতে ছবি তুলতে পছন্দ করি বেশি, রাতের আলো টালো নিয়ে অনেক সময় অনেক মজার মজার প্যাটার্ন তৈরি করা যায়, রং ঝলমলে সাইন, ডিসপ্লে এগুলার ছবি তুলতেও আমি বেশ মজা পাই। তবে আজকের প্রধান বিষয় হল আতশবাজি বা ফায়ারওয়ার্কস। প্রথমে ছবি গুলো দেখে ফেলি,
কাতার জাতীয় দিবসের আতশবাজি, ২০১০ (প্রথম চেষ্টা )
খুবই আউলাঝাউলা অবস্থা।কালকে বিকালে বাসা ছেড়ে দিয়ে আরেক বাংলাদেশি ভাইয়ের বাসায় উঠলাম ২ দিনের জন্য। প্রশ্ন হইতে পারে, "ক্যান? আমি ভাড়া দিতে না পারায় আমারে খেদায়া দিল নাকি?"
উত্তর হইল, না সেইরকম কিছু না। এই দেশে আর থাকুম্না ঠিক্কর্সি, তাই বাক্স-পেটরা গুছায়া যাইগা। কালকে ফ্লাইট সন্ধ্যায়, দোহা টু ঢাকা!
"চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে" খুব পছন্দের একটা গান আমার। যতবারই গাইতে যাই কেন যেন চোখে পানি চলে আসে।
ভূমিকা: দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে এটা সিরিজের তৃতীয় লেখা, ছবি বিষয়ক পোস্ট হিসেবে পাঁচ নম্বর। দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে আগের দুই পোস্ট সহ মোট ৭ টা পোস্ট এখনও অতিথি এ্যাকাউন্টে আছে। কোন মডু ভাই এ পোস্ট পড়লে একটু খেয়াল করবেন বিষয়টা (কন্টাক্ট এ্যাট সচলায়তনে ইমেইল ও করেছি)।
১
"চাইনা মেয়ে তুমি অন্য কারো হও...” রেডিও তে গান টা শুনতে ভালই লাগছে।