আজ হাওয়ার মাঝে ছড়িয়ে আছে শুকনা মরিচডলা
ছাগলশালার আগলখোলা পাগল পেছনজ্বলা
-আঁকারটুন
মাটির বুদ্ধ
মুসাররাট জাহান শ্বেতা
বের হওয়ার আগে আয়নায় আর এক ঝলক নিজেকে দেখে নিলাম। আমেরিকার এই নতুন শহরের নতুন আবহাওয়ায় শীতের ভারী ওভারকোট আর মাথায় স্কার্ফ জড়ানো এই নতুন বেশে আয়নায় নিজেকে একটু একটু অচেনা লাগলো।
ছোট ছেলে নাছোরবান্দা । মায়ের প্রথমে কড়া নির্দেশ, পরে আকুতি। মা আকুতি নিয়ে বলছেন, "তোমার পরীক্ষা চলছে। পহেলা বৈশাখের দিন শুধু ছুটি। তবু নিশ্চয় ওই দিন আমরা রমনায় যাব, চারুকলায় যাব । তাই ঘর সাজানোর জন্য আর সময় নষ্ট কোরো না । আমরাতো ঐদিন বাইরেই থাকব, ঘর সাজানোর আর দরকার কি।" ছেলে মোটেই নরম হয় না। সাজাতে তাকে হবেই। অন্তত দরজার গায়ে কিছু একটা। যেন এইটুকু বলা ‘স্বাগত হে নববর্ষ’ ।এভাবেই প্রতি উৎসবে চলে
১
অধ্যাপক লতিফ সাহেব চায়ের দোকানে বসে আছেন। গলির সেলুনে সিরিয়াল দিয়ে এসে বেশ কিছুক্ষণ হল এখানে বসেছেন। শেভ করে বাসায় ফিরবেন। এরই মধ্যে পাশের বাসার জামান সাহেব এশার নামাজ শেষ করে এসে তার সাথে যোগ দিলেন। এক গলিতে থাকলেও তাদের মাঝে যে খুব কথা হয়, তেমন নয়। এটা-সেটা নিয়ে কথা বলতে বলতে একসময় ছেলেমেয়ে নিয়ে কথা উঠল।
বাপরে!
কোরো নাকো অবহেলা
প্রকৃতির চাপ রে।।
............
এইতো!
এতোদিনে এলে তুমি
ঠিক পথে, সেই তো।
গলছে দখিন মেরু
উত্তরও উষ্ণ
প্রকৃতি পুলিশ নয়
খায় না সে ঘুষ, নো!
বাড়ছে ধূসর মরু
মানুষের স্বার্থে
সবুজ উজাড় হলে
টিকবে কে আর্থে!
পোড়ে তেল ওড়ে ছাই
কল কারখানাতে
বাঁচবে কোথায় গেলে
বৈরুত! ঘানাতে?
নদীর পানিতে বিষ
মাছ নেই সাগরে
প্রলয় ঘনায় বলে!
এইবার জাগো রে
"তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা , তুমি আমার সাধের সাধনা,
মম শূন্যগগনবিহারী।
আমি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা--
তুমি আমারি, তুমি আমারি, মম অসীম গগন বিহারী॥"
অগ্নিকাণ্ডে বা ভূমিকম্পে
পুড়লে ভবন কাঁপলে ভূতল
ধ্বসলে দালান মরলে মানুষ
গোল হয়ে দ্যাখো, গোল হয়ে দ্যাখো
ঐ ভোঁভোঁ শোনো আসছে পুলিশ
দমকল গাড়ি পানির যোগান
জায়গা দিও না, ভিড় করে থাকো
ওরা কি তোমার চেয়ে বেশি বোঝে?
ককখোনো না গো, ককখোনো না গো
গোল হয়ে দ্যাখো
ফোন উঁচু করে ছবি তুলে নাও
দৃশ্য বাগাও বা ধারাভাষ্য
ফেসবুকে দাও গরমাগরম
বুড়ো আঙুলের স্তুপ জমা করো
অ্যাম্বুলেন্সে কী বা যায় আসে