ব্রেকি সুপারস্টানার আর ভূতুড়ে সকাল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১০/১১/২০১৯ - ২:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার স্নাতকোত্তর ছাত্র জীবন শেষ হয়েছে মাত্র সেদিন, চার মাসও হয়নি। আমি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিন পড়াশুনা করেছি সেটা মেলবোর্ন শহর থেকে ২৫ কি মি দূরে। তাই গত চার বছরে আমার খুব একটা শহরে আসা হয়নি। বাসা থেকে নিজে ড্রাইভ করে ল্যাব, আবার ল্যাব থেকে বাসা। বাসা থেকে কর্মস্থল কাছে হওয়ায় ভালো করে বাসা থেকে নাস্তা করে, চা খেয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে তারপর অফিসে যেতাম। আমার অধ্যাপকও ‘কুল’ মানুষ। ঠিক নয়টায় যেতে হবে, ৫ টার আগে বাসায় যাওয়া যাবেনা, এমন কোন বাধ্যবাধকতা ছিলনা। প্রতি ১৫ দিন পর একটা করে সভা হত, সেই সভায় গত ১৫ দিন কি করেছি তা পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইডে দেখাতে হত। আমার অধ্যাপক শুধু ঐ দিনটা নিয়েই মাথা ঘামাতেন। ঐ দিন যদি উনাকে বোঝানো যেত যে যথেষ্ট কাজ হয়েছে কিংবা কোন সত্যিকার প্রতিবন্ধকতার জন্য কাজ হয়নি তাহলেই হল। সেই সভার তাগিদেই সবাই নিজ থেকেই নিজের মত করে কাজ করতাম।

ডিগ্রীর সনদ পাওয়ার আগেই মেলবোর্ন শহরের একদম প্রানকেন্দ্রে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে আমার চাকরি হয়। এবার তো আর ড্রাইভ করে যাওয়া যায়না, শহরে গাড়ি পারকিং এর সুব্যাবস্থা নেই। যা আছে তা পরিশোধ করতে গেলে খালি গাড়ি পার্ক করতেই আমার বেতনের এক তৃতীয়াংশ চলে যাবে, তার উপর শহরে ঢোকার মুখে যেই জ্যাম! সবাই ট্রেনে করেই শহরে যায়। ট্রেন সাশ্রয়ী, আরামদায়ক, সময়মত পৌঁছানো যায়, জ্যাম নেই, ৫ মিনিট পর পরই ট্রেন আসে। কোন উজবুক যাবে গাড়ি করে! কিন্তু এখনও চেষ্টা করি আমি আর আমার স্ত্রী বাসায় নাস্তা করে বের হতে, আর দুপুরের খাবার আগের দিন রাত্রেই গোছানো থাকে।

( এখানে ক্লিক করলে আমি যেই স্টেশান থেকে রেলগাড়িতে উঠি তার ছোট একটা ভিডিও দেখা যাবে। )

সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ভালোমন্দ খাবারের প্রতি আমার লোভ ছেলেবেলা থেকেই। মেলবোর্ন শহরের তুলনায় মনাশ ইউনিভারসিটির ফুডকোরট বলতে গেলে মফস্বলের ভার্সিটির ক্যান্টিন । খুব বেশি খাবারের অপশন ছিলনা, যা ছিল; তাও অহেতুক দাম, কিছু দোকানীর একচেটিয়া ব্যবসা। এখন তো শহরের মাঝখানে অফিস। অফিসের নিচেই এত এত খাবারের দোকান। ফাস্টফুড, চাইনিজ, টার্কিশ, ইন্ডিয়ান, পারসিয়ান, ইন্দোনেশিয়ান, মালয়শিয়ান, লেবানিজ, ইটালিয়ান, পর্তুগিজ কি চাই! সবাইকে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয়, তাই দামও নাগালের মধ্যে। তাই বাসা থেকে খাবার আনলেও মন মানে না। আমি টুকটাক এটা সেটা কিনে খেতেই থাকি। কোনদিন যদি দেখি আমার স্ত্রী দোনা-মনা করছে যে কালকে আমাকে কি দেবে টিফিনে, আমি আগে থেকেই বলতে থাকি কিছু দিতে হবেনা, আমি চালিয়ে নেব, এটা নিয়ে একদমই ভেবোনা তুমি! আমার স্ত্রী সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়। আমি মুখ করুণ করে থাকার চেষ্টা করি।

এমনি এক বসন্তের সকালে ক্লাস শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগেই ট্রেন থেকে নেমেছি। অজস্র মানুষের স্রোতে গা ভাসিয়ে হেটে চলেছি অফিসের পথে। আমার অফিসের নিচে অসংখ্য খাবারের দোকানের মাঝে পাশাপাশি দুটো জায়ান্ট ফাস্টফুড ফ্র্যাঞ্চাইজি, একটা হল ম্যাকডোনাল্ড আরেকটা হল হাংরি জ্যাক্স। আমি হাংরি জ্যাক্স এ ঢুকে একটা ব্রেকি সুপারস্টানার অর্ডার করলাম। হাংরি জ্যাক্স বারগার কিং এরই অস্ট্রেলিয়ান সংস্করণ। ১৯৭১ সালে জ্যাক কওয়িন নামক একজন ক্যানাডিয়ান বংশতভূত ব্যাবসায়ী বারগার কিং এর ফ্র্যাঞ্চাইসি হাংরি জ্যাক্স নামে অস্ট্রেলিয়াতে নিয়ে আসেন। এরা ম্যাকডোনাল্ডের সাথে দিব্যি পাল্লা দিয়ে চলছে, কারন এদের সবসময়ই কোন না কোন অফার চলতে থাকে, আর খাবারের নানা রকম ডিল তো আছেই। এবার ব্রেকি সুপার স্টানার ব্যাপারটা খোলাসা করা দরকার। অস্ট্রেলিয়ান স্ল্যাং এ এরা সবকিছু ছোট করে বলে। যেমনঃ ম্যাকডোনাল্ড কে ম্যাক্কাস, ব্রিসবেন কে ব্রিসি, ক্রিসমাস প্রেসেন্ট কে ক্রিসিপ্রেসি, ক্যাঙ্গারু কে রু এমন অসংখ্য অসংখ্য স্ল্যাং আছে। হাংরি জ্যাক্স যেহেতু শুধুই অস্ট্রেলিয়াতে আছে তাই তারা খাবারের নামে এই অজি-স্ল্যাঙগুলো ঢুকিয়েছে। ব্রেকি মানে হচ্ছে ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাস্তা। ব্রেকি সুপারস্টানার হল সকালের নাস্তার একটা জবরদস্ত ডিল। এতে মাত্র ৫.৯৫ ডলারে ২ টা পনিরের টোস্ট, ২ টা হ্যাশ ব্রাউন (আলুর সোনালী করে ভাজা বেগুনীর সাইজের বড় টুকরো), ৪ টা ছোট প্যানকেক, মাখন, ম্যাপল সিরাপ আর একটা পানীয় (কফি/অরেঞ্জ জুস/ সফট ড্রিঙ্কস থেকে যেটা খুশি) পাওয়া যায়।

চিত্র ১ঃ ব্রেকি সুপারস্টানার (ছবিটা হাংরি জ্যাক্স এর ওয়েবসাইট থেকে নেয়া )

চিত্র ২ঃ হাংরি জ্যাক্স

আমার উদ্দেশ্য ছিল ‘হাংরি জ্যাক্স’ থেকে একটা ‘ ‘ব্রেকি সুপার স্টানার‘ কিনে সোজা ক্লাসে যাব আর আমার ছাত্ররা আসার আগে ক্লাসরুমের বিশাল কাচের জানালার পাশে বসে আরাম করে খাব।এই ক্লাসরুমটা থেকে পুরো মেলবোর্ন শহর দেখা যায়। নিচে বয়ে চলা ইয়ারা নদী, নদীর উপরের ব্রীজ, ব্রীজে ব্যাস্ত মানুষের ছোটাছুটি, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ঝাঁক সবই উপর থেকে দেখা যায়। কিন্তু শব্দ ভেতরে আসেনা। যেন নিচের এই মহাযজ্ঞ নিরবে চলছে টু শব্দটি না করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচেই বিশাল ফ্লিন্ডার স্ট্রিট স্টেশন, যেটা ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার প্রথম রেলস্টেশন। পুরো মেলবোর্নের ট্রেন নেটওয়ার্ক এখান থেকে শুরু হয়ে উত্তর, দক্ষিন, পূর্ব, পশ্চিম সব শহরতলীগুলোকে যুক্ত করেছে। আপনি যেই শহরতলীতেই থাকুন না কেন মোটামুটি ২০ মিনিট থেকে দেড় ঘন্টার মাঝে সিটি সেন্টারে চলে আসতে পারবেন। ইয়ারা নদীর সাথে পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে ট্রেন লাইনগুলো ফ্লিন্ডারস স্ট্রীট থেকে সব দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রেনগুলো যখন ফ্লিন্ডার স্ট্রিটে ঢোকে কিংবা যাত্রা শুরু করে তখন খুব ধীরে যায়, আস্তে আস্তে গতি বাড়ে। বিশাল কাচের জানালের পাশে ক্লাসঘরে বসে আমার মনে হয় উপর থেকে দেখা আমার এই আপাত নিস্তব্ধতা যাতে ভেঙ্গে না যায়, তাই ট্রেনগুলো খুব সন্তর্পণে পা টিপে টিপে যাচ্ছে। জানালা থেকে ফ্লিন্ডারস স্ট্রিট এর বিশাল ঘড়িটাও দেখা যায়। ফ্লিন্ডারস স্ট্রিট এর রেলস্টেশানের গায়ে একটা বিশাল ঘড়ি আর প্রবেশদ্বারের উপর অনেকগুলো ঘড়ি টানানো আছে। এই প্রবেশদ্বারের ঘড়িগুলো একটা বিশেষ কারনে বিখ্যাত। যখন মোবাইল ফোন ছিলনা, তখন মানুষ এই ঘড়ির নিচে দাড়িয়ে একজন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করত। “At 6 under the clock mate” অর্থাৎ ছয়টায় আমি ঘড়ির নিচে তোমার জন্য অপেক্ষা করব- এই রকম পুরোনো উক্তিগুলো এখানে সবাই জানে, অনেকটা প্রবাদের মত হয়ে গেছে,যেগুলো মানুষকে পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন মোবাইল ফোন ছিলনা।

চিত্র ৩ঃ আজকের দিনে ফ্লিন্ডারস স্ট্রিট স্টেশান

চিত্র ৪ঃ ১৯২৭ সালে ফ্লিন্ডারস স্ট্রিট (উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া)

চিত্র ৫ঃ আমার ক্লাসের জানালা থেকে তোলা ফ্লিন্ডারস স্ট্রিট

চিত্র ৬ঃ আমার ক্লাসের জানালা থেকে তোলা ইয়ারা নদী আর মেলবোর্ন শহরের একাংশ

চিত্র ৭ঃ আন্ডার দা ক্লক মেইট খ্যাত স্টেশনের প্রবেশদ্বার

( এখানে ক্লিক করলে ক্লাসরুমের জানালা থেকে আমার মুঠোফোনে তোলা মেলবোর্নের ছোট একটা ভিডিও চিত্র দেখা যাবে )

যাই হোক, ব্রেকি সুপারস্টানার হাতে নিয়ে ক্লাস্রুমে ঢুকেছি, কেউ এখনও আসেনি, বাতি নেভানো, বিশাল গ্যালারী জুড়ে নিশ্চুপ আলো আঁধারি। আমি বাতি জালানোর সুইচ এ হাত রেখেছি মাত্র। হঠাত মনে হল গ্যালারির এক কোনে একটা ছায়া মূর্তি দাড়িয়ে আছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম; ঠিক তাই, নিশ্চল একটা ছায়ামূর্তি এই বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নেই। উত্তেজনায় আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল, তাহলে কি সত্যিই ভূত দেখছি? এও সম্ভব? তাও কিনা মেলবোর্ন শহরের মাঝখানে, বন জঙ্গলে হলেও না হয় একটা কথা ছিল! আমি তাড়াতাড়ি বাতি জ্বালালাম। সব ফকফকা, সত্যিই একজন মানুষ অদ্ভুত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে, কোন নড়াচড়া নেই। আলো জ্বালা কিংবা আমার প্রবেশে তার মুখভঙ্গি ভাবলেশহীন, পেশী গুলোও অনড়। আমি সন্তর্পণে তাকে পাশ কাটিয়ে ডায়াসের দিকে যাচ্ছি, হঠাৎ পেছন থেকে শুনলাম সে বলছে “Do you have a class here now?” সে এখনও নিশ্চল, তবে তার কন্ঠ থেকেই বাক্যটা বের হয়েছে। যাব্বাবা, এতো দিব্যি ইংরেজি বলে, ভূত দেখার রোমাঞ্চটা আর হলনা। আমি বললামঃ “ Yes but still 20 minutes to go, you can keep doing it before my students come” সে আর কিছু বলল না, তেমনি দাঁড়িয়ে রইল, আমি নাস্তায় মনোযোগ দিলাম।

চিত্র ৮ঃ অদৃশ্য মানব শিশু কে কোলে নিয়ে আকাশের পানে চেয়ে থাকা আগুন্তক

প্রথমে পনিরের টোস্ট দিয়ে শুরু করলাম। গরম পনির, ম্যাপল সিরাপ আর মাখন আমার মুখের ভেতর মোমের মত গলে গলে যাচ্ছে; আজকে আর মেলবোর্ন শহর নয়, আমি এই জীবন্ত মূর্তিকে দেখছি। নিশ্চয়ই সে শরীরচর্চা জাতীয় কোনকিছু করছে, আহ শরীর সুস্থ রাখতে মানুষ কত কি-ই না করে, সেখানে আমি কিনা শরীরের তোয়াক্কা না করে মোটামুটি ২ জনের ব্রেকি একাই সাঁটাচ্ছি! যাক গে, কি আছে জীবনে ভেবে হ্যাশব্রাউন ধরলাম, তারপর প্যানকেক। আমার খাবার শেষ করার পুরোটা সময়জুড়ে আগুন্তক ঐ ভাবেই ছিল, হাত দুটো কেমন বাঁকা করে সামনে বাগিয়ে ধরে, ঠিক যেন একটা অদৃশ্য বাচ্চা কে কোলে নিয়ে আছে। যেই ভুতের বাচ্চাকে আমি দেখতে পাচ্ছিনা, কিন্তু সে পাচ্ছে; অদ্ভুত অভিজ্ঞতা আর কাকে বলে। লোকটা ভূত না তা হয়ত নিশ্চিত... কিন্তু... আচ্ছা, লোকটা পাগল নয় তো! পাগল হলে কি করা যায় ভাবছি, রিসেপশানে গিয়ে বলব কি? এই সাত সকালে ভাল জ্বালা হল দেখছি। এসব ভাবছি, হঠাৎ তার ধ্যান ভাঙল। সে বললঃ “আমি আসলে ইয়োগা করছিলাম, ভেবেছিলাম এই রুমটা ফাঁকা, তাই আর কি, বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।“ আমি বললামঃ “না না ঠিক আছে, কিন্তু এমন অদ্ভুত ভঙ্গিতে কেন দাঁড়িয়ে ছিলে, আমিতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।“ সে বলল “এটা হল হোল্ডিং বেবী ইয়োগা পশ্চার। যেন মনে হবে তুমি একটা মানব শিশু কে কোলে নিয়ে আকাশের পানে চেয়ে আছ। নিষ্পাপ একটা সত্তাকে আঁকড়ে ধরে অসীমের দিকে তাকিয়ে থাকার একটা চেষ্টা।“ আমি বললামঃ “তাতে লাভ কি?” সে বললঃ “ইনার পিস, মনের ভিতরটা শান্ত হয়, সাথে সাথে পেশীগুলোও সুদৃঢ় হয়।“ আমি বললামঃ “হুম। মনে মনে ভাবলাম আমার তো ব্রেকি সুপারস্টানার খেলে মনটা শান্ত হয়, অবশ্য পেশিগুলো ঢিলা হয়ে যাচ্ছে... কি আর করা যাবে...” আমি বললাম ”তোমার একটা ছবি তুললে আর সে ছবি কাউকে দেখালে কি আপত্তি আছে? না থাকলে আবার হোল্ডিং বেবী ইয়োগা পশ্চারে দাড়াও, আমি একটা ছবি তুলি।“ সে আমার আবদার রেখে “ তোমার সাথে দেখা হয়ে অনেক ভালো লাগল” বলে গ্যালারী থেকে বের হয়ে গেল। এই যাহ্‌ , এইসব ভেজালের মাঝে অরেঞ্জ জুসটাই খাওয়া হয়নি। তাইতো বলি গলা শুকিয়ে আসছে কেন…আমি জুসের গ্লাসে চুমুক দিলাম।

- সৌখিন


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রতিদিনের গল্পগুলো লিখতে থাকলে তার ফাঁকে ফাঁকে সব রকমের ভাবনাগুলো কিছু কিছু করে চলে আসে। একটা মহানগর, তার পরিবেশ, তার সংস্কৃতির কথা চলে আসে। সবচে' বড় ব্যাপার তার মানুষের কথা চলে আসে। মানুষের গল্পই হচ্ছে সবচে' সেরা গল্প - সেই মানুষটা নিজে হোক, আর অন্য কোন পরিচিত বা অপরিচিত মানুষ হোক।

এমন গল্প আরও আসুক।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৌখিন  এর ছবি

ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার দিনপঞ্জির একটা পৃষ্ঠা পড়লাম মনে হল। লেখাটা পড়ে। সুন্দর। অনেস্ট।
ilmulhaq

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।