ছবিসূত্র: Ikumi Kayama
ভুরু বা কোদণ্ড, যাই বলুন না কেন, মানুষের চেহারার এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো চোখের ওপরে ভেসে থাকা এই মিহি লোমের রেখাদুটি। আমাদের মনের বিভিন্ন ভাব মুখাবয়বের বিভিন্ন অংশ দিয়ে প্রকাশ করার সময় ভুরুও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, আপনি কারও উপর বিরক্তি প্রকাশ করতে ভুরু কুঁচকালেন, অথবা ভয়ের ভিডিও দেখে বা কারও কথায় অবাক হয়ে চোখ বড় করতে গিয়ে ভুরুকেও উপরে তুলে ধরলেন, অথবা, পাশের বাসার রহিম সাহেবের বে
বলো তুমি কেমন মানুষ?
ভেতরে কি পাহাড়, নদী
তার পাশে পথ; পথিক চাইলে হাঁটতে পারে?
আছে আকাশ? মেঘলা দুপুর—
গাছের ছায়ায় রাখালরা কি মনের সুখে বাঁশী বাজায়?
জানলা আছে? চুল ওড়ানো ফুলের বাতাস?
রোজ বিকেলে চিঠির আশায় কেউ কি বলো
দাঁড়িয়ে থাকে?
মানুষটা কি এমন তুমি?
পাল তোলা এক মনের মাঝে ‘বউ কথা কও’ পাখি পোষো,
যত্ন করে ছড়িয়ে রাখো সোনালী ধান উঠোন জুড়ে—
প্রশ্নটিও সহজ, আর উত্তরও তো জানা........তবু আবার একটু চোখ বুলাই।
যদি বলি আপনার সহস্র নাম্বার পূর্বপুরুষটি সত্তর হাজার বছর আগে আফ্রিকার কোন জঙ্গলাকীর্ণ পর্বতের ঢালুতে বসে একটা আধপাকা কলা ভক্ষণ শেষে কলা ছিলকার উপর হাতের আঙুলগুলো রেখে অবাক হয়ে দেখছে –আরে এই ছিলকায়ও দেখি আমার হাতের আঙুলের সমান টুকরা! হাউ ফানি! অংক আবিষ্কারের এই ভুজুংভাজুং কেচ্ছা কি বিশ্বাস করবেন? না করলেও সমস্যা নাই। কিন্তু কল্পনাটি অসম্ভব কিছু না। প্রাগৈতিহাসিক কালের কোন আদম হয়তো ওই ভাবেই প্রথম গুনতে শিখেছিল যার অসংখ্য বিবর্তনের ফসল হিসেবে ৭০ হাজার বছর পরে আপনি কম্পিউটারে খুটখাট করার দুর্লভ সুযোগ সুলভে ভোগ করছেন।
হে
কুকুর,
মিছিলের রাস্তা ছেড়ে
সুরম্য
পুঁজিপতির কাছে
চলে যাও-
এখানে একমাত্র
তারই আছে
মানুষ মাড়াইকল,
যেখানে নরোম আখ নয়
বরং
হাড় মাংস মন
সব গলে
বেরিয়ে আসে
উচ্ছিষ্ট অর্থের মতো,
তিন বেলা
পেট পুরে খেতে পারবে
চাও তো
চারবেলা-
পূত্রের ছুঁড়ে দেয়া হাড়
কন্যার চু চু চুমোয়
নাদুসনুদুস অনুভূতিতে
তারপর
লেজ নাড়তে নাড়তে
অল্পদিনেই
তুমি
হয়ে উঠবে
তার
কাছের সম্পাদক,
দেহটা নিজের দখলে আছে ভাবলেও আমার শরীরে অসংখ্য এলিয়েন বা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের বসবাস। এই জীবগুলিকে ছাড়া আমি আসলে ঠিক আমি নই। তাদের নিয়ে একটি সাধারণ পরিচিতিমূলক লেখা।
আপনি কিন্তু শুধু মানুষ নন, আসলে আপনার দেহের বেশিরভাগটাই মানুষ নয়!