বলো তুমি কেমন মানুষ?
ভেতরে কি পাহাড়, নদী
তার পাশে পথ; পথিক চাইলে হাঁটতে পারে?
আছে আকাশ? মেঘলা দুপুর—
গাছের ছায়ায় রাখালরা কি মনের সুখে বাঁশী বাজায়?
জানলা আছে? চুল ওড়ানো ফুলের বাতাস?
রোজ বিকেলে চিঠির আশায় কেউ কি বলো
দাঁড়িয়ে থাকে?
মানুষটা কি এমন তুমি?
পাল তোলা এক মনের মাঝে ‘বউ কথা কও’ পাখি পোষো,
যত্ন করে ছড়িয়ে রাখো সোনালী ধান উঠোন জুড়ে—
যন্ত্রপাখিটার পেটের ভেতরে একবার ঢুকেছ কি আর কারও কথা শুনতে পাবে না। সারাক্ষণ এমনই একঘেঁয়ে চিৎকার করে যাবে যে সে মাথা ধরে যাবে তোমার। কানে আমি তাই হেডফোন গুঁজে রাখি। আন্ধি ফিল্মটার গান শুনি। মাঝে মাঝে নীচে তাকাই। নজরে আসে আদিগন্ত বিস্তৃত বন। ঘন অরণ্যের মাথাটা সূর্য্যস্নান সেরে নিচ্ছে এবেলা। তারাও জানে ওবেলা নেমে আসবে বাদল। কয়েকটা গাছ জ্বালিয়ে দেবে ক্রুর বাজগুলো। এই বৃষ্টি-অরণ্যের নীচটা কেমন এত উঁচু
বুড়িগঙ্গার কালচে পানি, হকারদের অবিরত ডাক আর এঞ্জিনের বিরক্তিকর শব্দ ছাপিয়ে মিষ্টি কণ্ঠটা নাহিদের কানে অনুরনন সৃষ্টি করল।
'একটু হেল্প করবেন প্লিজ।'
চাঁদপুরগামী স্টীমার ঈগলের স্টার্ন সাইডের রেলিংএ একা একা দাঁড়িয়ে ছিল নাহিদ। বর্ষাকাল দেখে স্টীমারে স্বাভাবিকের থেকে লোকজনের সমাগম কম। খোলা আকাশ আর উন্মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শ
অনেকদিন পরে আনমনা করে দিচ্ছিল সবকিছু। তখনি এই আহবান।
এইবেলা নদীর কথা না বললে আর শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হলো কিভাবে বলবো? যতই বলি খুব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, অস্থির কিংবা অদ্ভুত- কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। শুধু মনে হয়- হলো না! ঠিক করে বলতে পারলাম না। তাই ভাবলাম চুপ যাই। কিছু ফটুক তুলে দেই- তারপর ঐ বিশেষন গুলো না হয় আপনারাই ঠিক করে নিবেন।
[ধরলা-১]
পুর্বলেখঃ
হার্লেম রেনেসাঁর মধ্যমণি আফ্রো-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ কবি Langston Hughes (১৯০২-১৯৬৭)। বিশ শতকের গোড়ার দিকে আমেরিকার বর্ণবাদ তাঁকে ভুগিয়েছিলো, কিন্তু তিনি আপন সততায়, বোধে ও বিশ্বাসে স্থিরচিত্ত থেকে বর্ণবৈষম্যের উর্ধ্বে উঠে বিশ্বমানবতার জয়গানে হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা নিংড়ে দিতে পেরেছিলেন। "The Negro Speaks of River" তাঁর সেই 'কসমিক' ভালোবাসার গগণবিহারী রূপটিকেই ফুটিয়ে তোলে। এই কবিতাটির মূলসু ...